সব সফল মানুষ শুধুই কঠোর পরিশ্রম করেন না, তাঁরা স্বল্প সময়ে পর্যাপ্ত ঘুমান। দেহ ও মনের সুষ্ঠু সমন্বয় করতে কয়েক ঘণ্টার গভীর ঘুম যথেষ্ট।
বিষয়টি নিয়ে এক পণ্য নির্মাতা প্রতিষ্ঠান গবেষণা করে বলছেন, অল্প সময়ের মধ্যেই যথেষ্ট ঘুমানো সম্ভব। আসুন জেনে নেওয়া যাক সেই মন্ত্র...
১. দেহঘড়ির সময়চক্রকে প্রাধান্য দিন। ঘুমাতে যাওয়ার ও ঘুম থেকে ওঠার নির্দিষ্ট সময়সূচি নির্ধারণ করুন। এই রুটিন ঠিকঠাক থাকলে, প্রতিদিন ঘুম থেকে জেগে পাবেন সুন্দর সকাল।
২. ঘুমাতে যাওয়ার আগে হঠাৎ কোনো কাজ শুরু করবেন না। এ সময় আপনার দেহ কেবল নিজের জন্য সময় চায়। আধাঘণ্টা আগে বই পড়া বাদ দিন। কেবল ঘুমের প্রস্তুতি নিন।
৩. ঘুমের এক ঘণ্টা আগে থেকে স্মার্ট পণ্য বা কম্পিউটারসহ কোনো ডিজিটাল স্ক্রিনে কাজ করবেন না। কেননা এসবের ব্লুু লাইট মস্তিষ্ক উত্তেজিত করে।
৪. আরামদায়ক ঘুমের জন্য বিশেষ তাপমাত্রা প্রয়োজন। এ জন্য ১৫ ডিগ্রি থেকে ১৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা আদর্শ।
৫. ঘুমের আগে যা যা নিয়ে দুশ্চিন্তা আসে সেগুলোর একটা তালিকা করে ফেলুন। এসব চিন্তা আপনাকে সারা রাত জাগিয়ে রাখবে। প্রয়োজনে বিছানায় ওঠার আগে থেকেই এসব চিন্তার কাজ শেষ করুন।
৬. অর্থপূর্ণ মেডিটেশনে অভ্যস্ত হোন। এতে মানসিক চাপ দূর হয়। বর্তমানের প্রতি মনোযোগ দিন। অতীতের সমস্যা সামনে আনবেন না।
৭. কৃত্রিম আওয়াজ যেন কানে না আসে। এ জন্য প্রকৃতির শব্দ শুনুন। প্রকৃতির শব্দের সঙ্গে মগজ অভ্যস্ত হলে ঘুম ভালো হয়।
৮. ক্যাফেইন খাবেন সকালে। বিকেল বা রাতে কফি বা চা পান করবেন না। ক্যাফেইন দেহে ১৪ ঘণ্টা পর্যন্ত থাকে। কাজেই এটি সজাগ রাখে আপনাকে।
৯. পরদিনের কাজের তালিকা আগের রাতেই প্রস্তুত করে ফেলুন। অনেকেই ভাবেন, পরদিন সব ঠিক করে নেওয়া যাবে। এখন ঘুমানোর চেষ্টা করা যাক। কিন্তু অবচেতন মন ঠিকই কাজের চিন্তা করতে থাকে। তাই ঘুমাতে যাওয়ার আগেই এগুলো নিয়ে চিন্তার কাজ সেরে ফেলুন।
১০. বেড রুমটাকে ঘুমের জন্যই ব্যবহার করুন। বিছানায় বসে কাজ বা টেলিভিশন দেখবেন না। মস্তিষ্কে এ তথ্য দিয়ে দিন যে বিছানায় যাচ্ছেন মানেই ঘুমাতে হবে।
১১. মোটামুটি আট ঘণ্টা ঘুমালেই মানুষ সুস্থ থাকে। তবে অনেকে চার-পাঁচ ঘণ্টা ঘুমিয়েই দিব্যি সুষ্ঠু জীবন কাটাচ্ছেন। আসলে কার কতটুকু ঘুম যথেষ্ট, তা নিজেরই বুঝে উঠতে হবে। যত ঘণ্টা ঘুমালে আপনি পরদিন স্বস্তি নিয়ে কাজ করতে পারবেন, তত ঘণ্টা ঘুমই দরকার আপনার।