সবার প্রিয়পাত্র হতে কে না চায়। কিন্তু এটি মোটেই সহজ কাজ নয়।
এ লেখায় রয়েছে সাতটি উপায়, যা নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করলে সহজেই অন্যের প্রিয়পাত্র হওয়া যায়।
১. সাদর সম্ভাষণ
প্রিয় কারো সঙ্গে দেখা হলে তাকে অবশ্যই সম্ভাষণ জানান। এক্ষেত্রে অন্য সব বিষয় বাদ দিন। সবকিছু ভুলে আন্তরিকতার সঙ্গে সম্ভাষণ জানানো সম্ভব হলে তা নিঃসন্দেহে আপনাকে অন্যের প্রিয়পাত্র করে তুলবে।
২. ইগো বাদ দিন
আমরা অধিকাংশ সময়েই নিজস্ব ইগো বা অহং নিয়ে চলি। একে অন্যের সঙ্গে কথাবার্তায় কিংবা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কমেন্টেও এসব বিষয় অহরহ দেখা যায়। যখনই কোনো বিষয় অন্যের চিন্তাভাবনার সঙ্গে মেলে না বা না মেলার আশঙ্কা তৈরি হয়, তখনই মনের অজান্তে বিষয়টির সঙ্গে যুদ্ধ করার প্রস্তুতি গড়ে ওঠে। আর এভাবে গড়ে ওঠা অহং মানুষের একটি বড় শত্রু। এটি দূর করতে পারলে তা আপনাকে অন্যের প্রিয়পাত্র হয়ে উঠতে সহায়তা করবে।
৩. ভালো শ্রোতা হয়ে উঠুন
অন্যের সঙ্গে ভালোভাবে মেশার জন্য তার কথা শোনা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আর এজন্য ভালো শ্রোতা হতে হবে। নিজে কোনো কথা বলার আগে তার বক্তব্য ভালোভাবে শুনে নিন। তিনি কোন বিষয় নিয়ে কথা বলছেন, তা জানুন। সব বিষয় বুঝে নিয়ে তারপর কথা বলুন।
৪. উপযুক্ত প্রশ্ন করুন
কারো সঙ্গে আলোচনার সময় প্রয়োজনে তাকে জিজ্ঞাসা করে বিষয়টির বিস্তারিত জেনে নিন। এক্ষেত্রে তাকে অযাচিত প্রশ্ন নয় বরং প্রয়োজনীয় প্রশ্নটি করুন। প্রত্যেকেরই নিজস্ব অভিজ্ঞতা রয়েছে। এসব বিষয় জিজ্ঞাসা করুন।
৫. নতুনকে আপন করে নিন
নতুন একজন মানুষ যখন আপনার কাছাকাছি আসে তখন তাকে দ্রুত আপন করে নিন। কেউই বিরূপ কোনো মানুষকে পছন্দ করে না। নতুন কোনো পরিবেশে একজন মানুষ আসলে কিছুটা উদ্বিগ্ন থাকে। আপনি যদি সেখানে আগে থেকেই থাকেন তাহলে পরিচয়ের সঙ্গে সঙ্গে তার সেই উদ্বেগ দূর করুন। এতে আপনার পক্ষে তার প্রিয়পাত্র হয়ে ওঠা সহজ হবে।
৬. শারীরিক ভাষায় মনোযোগী হোন
অন্য মানুষের সঙ্গে আপনি কেমন আচরণ করছেন তা আপনার মুখভঙ্গি, অঙ্গভঙ্গি ও অন্যান্য শারীরিক ভাষায় প্রকাশিত হবে। অনেকেই এ বিষয়গুলো পর্যবেক্ষণ করে আপনি কতোখানি বন্ধুবৎসল তা বিচার করবে। এক্ষেত্রে আপনার হাসি, দাঁড়ানোর ভঙ্গি ইত্যাদি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
৭. সন্দেহজনক কারো সঙ্গে আচরণ
কাউকে সন্দেহ হলে তার সঙ্গে কেমন আচরণ করবেন? এক্ষেত্রে সন্দেহ হলেই যে তার প্রতি বিরূপ মনোভাব বা শত্রুতা পোষণ করবেন, এমনটা উচিত নয়। এক্ষেত্রে সরাসরি প্রশ্ন করে ফেলাই ভালো যে- ‘আপনি কী চান বা আপনার উদ্দেশ্য কী?’ এ ধরনের আলোচনায় অনেক বিষয় পরিষ্কার হবে এবং পারস্পরিক সম্পর্ক গড়ে উঠবে। এক্ষেত্রে অন্যের প্রতি সম্মান ও বিশ্বাস প্রয়োজনীয় একটি বিষয়।