বিশ্বের সব দেশের শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার জন্য অবারিত সুযোগ করে দিয়েছে চীন। দেশটিতে স্কলারশিপে গেলে শিক্ষার্থীদের জন্য আবাসন খরচ সম্পূর্ণ ফ্রি।
দেশটিতে বিদেশি শিক্ষার্থীদের মধ্যে ৩৩ শতাংশ পড়াশোনা করছে আন্ডারগ্রাজুয়েটে, ১৪ শতাংশ মাস্টার্স ডিগ্রি এবং পিএইচডিতে ও ৩০ শতাংশ রয়েছে প্রাইমারি এবং সেকেন্ডারি লেভেলে।
বিদেশি শিক্ষার্থীদের মধ্যে ৪০ শতাংশ চীনে যায় স্কলারশিপ নিয়ে পড়তে, বাকি ৬০ শতাংশ যায় ব্যক্তিগত খরচে। চীনের রাজধানী বেইজিং এবং সাংহাই শহর বিদেশি শিক্ষার্থীদের পছন্দের জায়গা। এই দুই জায়গার বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সবচেয়ে বেশি ইংলিশ টট প্রোগ্রাম থাকে। বেল্ট অ্যান্ড রোড স্কলারশিপের আওতায় চায়না সরকার প্রতি বছর অতিরিক্ত ১০ হাজার স্কলারশিপ ঘোষণা করেছে। এ সুবিধা পাবে প্রকল্পের অধীন ৬৪টি দেশ। এ তালিকায় বাংলাদেশের নামও রয়েছে। এ দেশগুলো থেকে প্রতি বছর ২ লাখ শিক্ষার্থী চীনে পড়তে যাবে বলে ধারণা করছে চায়না সরকার।
যেভাবে আবেদন করা যাবে
স্কলারশিপের জন্য দুইভাবে আবেদন করা যাবে। সংশ্লিষ্ট দেশের শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও দূতাবাসের মাধ্যমে আবেদন করা যাবে। আবার সরাসরি বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদন করা যায়। বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদন করলে স্কলারশিপ পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে বেশি। দূতাবাসের স্কলারশিপ থাকে নির্দিষ্ট এবং প্রতিযোগিতামূলক।
বিদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য স্কলারশিপগুলো হলো- কাস টাওয়াস স্কলারশিপ, চায়নিজ স্কলারশিপ কাউন্সিল (সিএসসি), রোড অ্যান্ড বেল্ট স্কলারশিপ, মফকম স্কলারশিপ, কনফুসিয়াস স্কলারশিপ, চায়নিজ লোকাল গর্ভনমেন্ট স্কলারশিপ, ফরেন গর্ভনমেন্ট স্কলারশিপ, বিশ্ববিদ্যালয় স্কলারশিপ, ইয়েস চায়না স্কলারশিপ এবং এন্টারপ্রাইজ স্কলারশিপ। তবে সবচেয়ে বেশি স্কলারশীপ দেয় সিএসসি।