জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) ‘সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যম অধ্যয়ন’ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক রাকিব আহমেদকে লাঞ্ছিত করার ঘটনায় অভিযুক্ত সার্জেন্ট ইমরানকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এ ঘটনায় একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে আগামী তিনদিনের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
ডিসি ট্রাফিক (উত্তর) কুদ্দুস আমিন আর উত্তরা অঞ্চলের ডিসি ইকবাল হোসেনকে প্রধান করে এ তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক তপন কুমার সাহা।
এদিকে শিক্ষক লাঞ্ছনার প্রতিবাদে টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ-মিছিল করে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। এসময় তারা কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর করে। মহাসড়ক অবরোধ চলাকালে উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলাম দোষী সার্জেন্টকে শাস্তির মুখোমুখি করার আশ্বাস দিলে বিক্ষোভকারীরা অবরোধ তুলে নেয়।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. ফারজানা ইসলাম বলেন, ‘এ ঘটনায় অভিযুক্ত পুলিশ সার্জেন্টকে বরখাস্ত করা হয়েছে। একই সঙ্গে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তিনদিনের মধ্যে তাদের প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে সার্জেন্টের শাস্তি চেয়ে পুলিশের মহাপরিদর্শককে ফ্যাক্স করা হয়েছে।’
এদিকে পুলিশ সার্জেন্ট ইমরানের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে উপাচার্য অধ্যাপক ড. ফারজানা ইসলামের সঙ্গে দেখা করেছে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি। বেলা ২টার দিকে সমিতির সভাপতি অধ্যাপক খবির উদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মাফরুহী সাত্তারের নেতৃত্বে তারা দেখা করেন। এর আগে সমিতির কার্যনির্বাহী জরুরি সভায় মানববন্ধন করার সিদ্ধান্ত নেয় তারা।উল্লেখ্য, সিলেট যাওয়ার জন্য রাকিব আহমেদ তার মা-বাবাকে নিয়ে ব্যক্তিগত গাড়িযোগে বিমানবন্দর রেলস্টেশনে যাচ্ছিলেন। গাড়ি উত্তরা হাউসবিল্ডিং এলাকায় পৌঁছলে ট্রাফিক সার্জেন্ট ইমরান ঢাকা (উত্তর) গাড়ি থামাতে বলেন এবং গাড়ির কাগজপত্র তলব করেন। গাড়িচালক কাগজপত্র দেখান। কাগজপত্র হাতে নেয়ার পর সার্জেন্ট ইমরান গাড়ি জব্দ করা হবে বলে হুমকি দেন। এসময় রাকিব আহমেদ ওই সার্জেন্টকে বলেন, ‘আমি এবং আমার মা-বাবা সিলেট যাব। ট্রেন ১০টা ২০ মিনিটে। আমাদের সময় অতিবাহিত হয়ে যাচ্ছে আমাদের একটু তাড়াতাড়ি যেতে দিন।’ কিন্তু সার্জেন্ট ইমরান ও তার সহকর্মীরা মিলে রাকিব আহমেদকে জামার কলার ধরে কিল-ঘুষিসহ শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে পুলিশ বক্সে আটকে রাখে।