তিনজনকে জাতীয় অধ্যাপক হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। পাঁচ বছরের জন্য তারা জাতীয় অধ্যাপকের দায়িত্ব পালন করবেন। সম্প্রতি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
জাতীয় অধ্যাপক হিসেবে নিয়োগ পাওয়া তিনজন হলেন- চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ইমিরেটাস অধ্যাপক ও সাবেক উপাচার্য ড. আলমগীর মোহাম্মদ সিরাজুদ্দীন, ডায়াবেটিক অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ডা. একে আজাদ খান এবং বাংলাদেশ গ্যাস্ট্রোএনটারোলজি সোসাইটি এবং গ্যাস্ট্রোলিভার ফাউন্ডেশনের প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ডা. মাহমুদ হাসান।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, নিয়োগ পাওয়া ব্যক্তিরা ১৯৮১ সালের ‘জাতীয় অধ্যাপকগণ সিদ্ধান্তমালা’ অনুযায়ী নিযুক্ত পদের দায়িত্ব পালন করবেন এবং অন্যান্য সুবিধা প্রাপ্য হবেন।
তিন জাতীয় অধ্যাপকের মধ্যে আলমগীর মোহাম্মদ সিরাজুদ্দীন বর্তমানে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমিরেটাস অধ্যাপক। তিনি একুশে পদকজয়ী একজন গবেষক ও ইতিহাসের শিক্ষক।
অধ্যাপক একে আজাদ খানও সমাজসেবায় পেয়েছেন স্বাধীনতা পদক। এছাড়াও তিনি বারডেমের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। অক্সফোর্ডে তার গবেষণার পথ ধরেই তৈরি হয়েছিল ডায়রিয়ার সঙ্গে রক্ত পড়া নিরাময়ের ওষুধ। ডায়াবেটিসের চিকিৎসা ও সচেতনতা সারাদেশে ছড়িয়ে দিতেও তার ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ।
অধ্যাপক মাহমুদ হাসান বাংলাদেশ গ্যাস্ট্রোএনটারোলোজি সোসাইটি ও গ্যাস্ট্রোলিভার ফাউন্ডেশনের সভাপতি। সমাজসেবায় একুশে পদক পাওয়া এই চিকিৎসক পরিপাকতন্ত্র ও লিভারের চিকিৎসা বিষয়ে গবেষণার পাশাপাশি এ বিষয়ে দক্ষ চিকিৎসক তৈরিতে ভূমিকা রেখেছেন।