৯ আগস্ট প্রকাশিত হয় এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফল। এ বছর ৮ টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের অধীনে অনুষ্ঠিত এইচএসসি (উচ্চ মাধ্যমিক) সার্টিফিকেট ও সমমানের (আলিম ও কারিগরি) পরীক্ষার পাসের হার ৬৯.৬০ শতাংশ। মোট ১০ লাখ ৬১ হাজার ৬১৪ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ৭ লাখ ৩৮ হাজার ৮৭২ জন। মোট জিপিএ পেয়েছে ৪২ হাজার ৮৯৪জন। ৮ হাজার ২৯৪টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে শতভাগ পাস করেছে ১ হাজার ১৩৩টি প্রতিষ্ঠান থেকে।
অন্যদিকে ৮টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডে গড় পাসের হার ৬৫.৮৪ শতাংশ। ৮ লাখ ৭৬ হাজার ৪৭৬ জনের মধ্যে পাস করেছে ৫ লাখ ৫৫ হাজার ৮৭ জন। বিদেশে ৫টি কেন্দ্রে ৭টি ইন্সটিটিউশনের মোট ২৩৬জন পরীক্ষায় অংশ নেয়। পাস করেছে ১১২জন।
এছাড়া ঢাকা বোর্ডে ৬৮.১৬ শতাংশ, চট্টগ্রাম বোর্ডে ৬৩.৪৯ শতাংশ, দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডে ৭০.৩৬ শতাংশ, রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডে ৭৭.৫৪ শতাংশ, বরিশাল বোর্ডে ৭০.০৬ শতাংশ, সিলেট শিক্ষা বোর্ডে ৭৪.৫৭, যশোর বোর্ডে ৪৬.৬৫, মাদ্রাসা বোর্ডে পাসের হার ৯০.১৯ শতাংশ ও কারিগরি বোর্ডে পাস করেছে ৮৫.৫৮ শতাংশ।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পূর্বঘোষণা অনুযায়ী এবারের সেরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নির্বাচন করা হয়নি।
১ এপ্রিল থেকে পরীক্ষা শুরু হওয়া পরীক্ষা সারা দেশে দুই হাজার ৪১৯টি কেন্দ্রে আট হাজার ৩০৫টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ১০ লাখ ৭৩ হাজার ৮৮৪ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ এবং চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনের কারণে ২৬, ২৭ ও ২৮ এপ্রিলের পরীক্ষা পিছিয়ে ২, ৪ ও ১৬ মে গ্রহণ করা হয়।
ঢাকা বোর্ড
এবার উচ্চ মাধ্যমিক (এইচএসসি) ও সমমানের পরীক্ষায় ঢাকা বোর্ডে পাসের হার ৬৮.১৬ শতাংশ। গত বছর এ হার ছিলো ৮৪.৫৪ শতাংশ। অর্থাৎ এবার ঢাকা বোর্ডে পাসের হার ১৬.৩৮ শতাংশ কমেছে। এ বছর জিপিএ-৫ পেয়েছে মোট ১৮ হাজার ৮৯৩ জন শিক্ষার্থী।
এবার এ বোর্ডে মোট পরীক্ষার্থী ছিলো ২ লাখ ৭৪ হাজার ১৪৬ জন। এর মধ্যে পাস করেছে এক লাখ ৮৬ হাজার ৮৫৩ জন।
ঢাকা বোর্ডে বিজ্ঞান বিভাগে পাস করেছে ৪৬ হাজার ১১ জন, ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগে পাস করেছে ৭৫ হাজার ২৮৯ জন আর মানবিক বিভাগে পাস করেছে ৬৫ হাজার ৫৫৩জন।
রাজশাহী বোর্ড
রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডে মোট উপস্থিত পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল এক লাখ ৪ হাজার ৮৮২ জন। এর মধ্যে পাস করেছে ৮১ হাজার ৩৩০ জন।
রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডে পাসের হার গত বছরের তুলনায় কিছুটা কমেছে। গত বছর পাসের হার ছিল ৭৮ দশমিক ৫৫ শতাংশ। কমেছে জিপিএ-৫ সংখ্যাও। এ বছর জিপিএ-৫ পেয়েছে সাত হাজারের কিছু কম। গত বছর জিপিএ-৫’র সংখ্যা ছিল ৭ হাজার ৬৪১ জন।
চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ড
চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডে এবারের এইচএসসি পরীক্ষায় গত বারের তুলনায় ৬ দশমিক ৫৭ শতাংশ পাসের হার কমেছে। একইসঙ্গে কমেছে জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীর সংখ্যা।
শিক্ষাবোর্ড সূত্রে জানা গেছে, চট্টগ্রাম বোর্ডে গত বছর দুই হাজার ৬৪৬ শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেলেও এবার পেয়েছে দুই হাজার ১২৯ জন।
চট্টগ্রাম বোর্ডে এবার পাসের হার ৬৩ দশমিক ৪৯ শতাংশ।
চট্টগ্রাম মহানগরে পাসের হার ৭৬ দশমিক ৩৫ শতাংশ, চট্টগ্রাম জেলায় পাসের হার ৫৮ দশমিক ৭৩। মহানগরসহ চট্টগ্রাম জেলায় পাসের হার ৬৬ দশমিক ৩৬ শতাংশ, কক্সবাজারে ৬৪ দশমিক ৮০ শতাংশ, রাঙ্গামাটিতে ৪৩ দশমিক ৫১, খাগড়াছড়িতে ৫০ দশমিক ১৬ ও বান্দরবান জেলার ৫৭ দশমিক ৯৩ শতাংশ।
সিলেট শিক্ষা বোর্ড
সিলেট শিক্ষা বোর্ডেও গতবারের চেয়ে পাসের হার কমেছে। এবারের উচ্চ মাধ্যামিক (এইচএসসি) পরীক্ষার পাসের হার ৭৪.৫৭ শতাংশ। বোর্ডের ২৩১টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মোট ৫৭ হাজার ৭০২ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়ে পাস করেছে ৪৩ হাজার ২৮জন। এদের মধ্যে ছেলে ১৯ হাজার ৭২১ ও মেয়ে শিক্ষার্থী ২৩ হাজার ৩০৭ জন।
জিপিএ-৫ পেয়েছে মোট ১ হাজার ৩৫৬ জন শিক্ষার্থী। এদের মধ্যে ছেলে ৭৯৮ ও মেয়ে ৫৫৮ জন। এবার শতভাগ পাস করেছে এমন প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ১৩টি।
বরিশাল শিক্ষা বোর্ড
বরিশাল শিক্ষা বোর্ডের অধীনে ২০১৫ সালের এইচএসসি পরীক্ষায় পাসের হার ৭০ দশমিক ০৬ শতাংশ।
এ বছর এ বিভাগের ৩০১টি কলেজের ১০৯টি কেন্দ্রে ৫৬ হাজার ৬৮০ জনের মধ্যে পরীক্ষা দেয় ৫৫ হাজার ৮০৪ জন। এর মধ্যে ৩৯ হাজার ৯৭ জন পাস করেছে। যার মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ হাজার ৩১৯ জন।
যশোর বোর্ড
যশোর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডে এবারের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় পাসের হার ৪৬ দশমিক ৪৫ শতাংশ। এ বছর যশোর বোর্ডে এক হাজার ৯২৭ জন জিপিএ-৫ পেয়েছে।
দিনাজপুর শিক্ষাবোর্ড
দিনাজপুর শিক্ষাবোর্ডের অধীনে এবার এইচএসসি পরীক্ষায় গড় পাসের হার ৭০ দশমিক ৪৩ শতাংশ।
এ বছর দিনাজপুর শিক্ষাবোর্ডের অধীনে ৮৮ হাজার ৯৮৮ শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেয়। এদের মধ্যে পাস করেছে ৬২ হাজার ৬৭১ জন।
এদিকে, এ শিক্ষাবোর্ডে ছাত্রদের তুলনায় ছাত্রীদের গড় পাসের হার বেশি। ছাত্রীদের পাসের হার ৭২ দশমিক ৬৪ শতাংশ ও ছাত্রদের পাসের হার ৬৮ দশমিক ৪০ শতাংশ।
এবার মোট জিপিএ-৫ পেয়েছে ২ হাজার ৩৯৫ জন শিক্ষার্থী। এদের মধ্যে ছাত্রী ৮৮৭ জন ও ছাত্র ১ হাজার ৫০৮ জন।
কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ড
এবারের এইচএসসি পরীক্ষায় কুমিল্লা বোর্ডে পাসের হার ৫৯ দশমিক ৮ শতাংশ। কুমিল্লা বোর্ডে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ হাজার ৪৫২ জন শিক্ষার্থী। এর মধ্যে ছাত্র ৭৫৪ জন ও ছাত্রী ৬৯৮ জন।
কারিগরিতে বেড়েছে পাসের হার, জিপিএ-৫
বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডে এবারের এইচএসসি পরীক্ষায় পাসের হার ও জিপিএ-৫ এর সংখ্যা বেড়েছে। গত বছর এ বোর্ডে পাসের হার ছিল ৮৫ দশমিক ০২ শতাংশ। যা বেড়ে এ দাঁড়িয়েছে ৮৫ দশমিক ৫৮ শতাংশে।
ফলাফলে দেখা যায়, ২০১৪ সালে এ বোর্ডে জিপিএ-৫ পেয়েছিল ৬ হাজার ৩৯৩ জন শিক্ষার্থী। আর এবার পেয়েছে ৬ হাজার ৪৩০ জন শিক্ষার্থী।
এর মধ্যে ৩ হাজার ৬৬ জন ছাত্র ও ৩ হাজার ৩৬৪ জন ছাত্রী। গত বছরের মতো এবারও কারিগরি বোর্ডে জিপিএ-৫ অর্জনের ক্ষেত্রে ছাত্রদের তুলনায় এগিয়ে রয়েছে ছাত্রীরা।
কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অন্তর্ভুক্ত ১ হাজার ৬৪৬ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১৭৮ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা শতভাগ পাস করেছে। সব শিক্ষার্থী অকৃতকার্য হয়েছে এমন প্রতিষ্ঠান নেই একটিও।
এ বছর কারিগরি শিক্ষা বোর্ড থেকে পরীক্ষায় ৯৮ হাজার ২৯৬ জন শিক্ষার্থী অংশ নেয়। এর মধ্যে ছাত্র ৬৭ হাজার ৯৮৪ ও ছাত্রী ৩০ হাজার৩১২ জন।
পাসের হারে শীর্ষে মাদরাসা বোর্ড
এ বছরের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় পাসের হারে সবচেয়ে এগিয়ে বাংলাদেশ মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড। ১০টি শিক্ষা বোর্ডের গড় পাসের হার যেখানে ৬৯ দশমিক ৬ শতাংশ সেখানে মাদরাসা বোর্ডে পাসের হার ৯০ দশমিক ১৯ শতাংশ। ভালো ফল করেছে মাদরাসা বোর্ডের বিজ্ঞানের শিক্ষার্থীরাও।
মাদরাসা বোর্ডে এবছর আলিম পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল ৮২ হাজার ৫৫৮ জন শিক্ষার্থী। এর মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছে ৭৪ হাজার ৪৬১ জন। আর উত্তীর্ণ হওয়া শিক্ষার্থীদের মধ্যে ছাত্র ৪২ হাজার ৪৯৬ ও ছাত্রী ৩১ হাজার ৯৬৫ জন। মাদরাসা বোর্ডে এ বছর জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ হাজার ৪৩৫ জন শিক্ষার্থী।
ভালো করেছে মেয়েরা
প্রকাশিত এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলে ছেলেদের তুলনায় ভালো করেছে মেয়েরা। দেশের আটটি শিক্ষাবোর্ডে মেয়েদের পাসের হার ৬৭ দশমিক ২৫ শতাংশ আর ছেলেদের পাসের হার ৬৪ দশমিক ৪৮ শতাংশ।
ফলাফলে দেখা যায়, সবচেয়ে ভালো করেছে রাজশাহী বোর্ডের মেয়েরা। এ বোর্ডে মেয়েদের পাসের হার ৮০ দশমিক ৬৭ শতাংশ। অন্যদিকে, ছাত্রদের পাসের হার ৭৪ দশমিক ৮৯ শতাংশ।
সবচেয়ে বাজে ফল এবার যশোর বোর্ডে। ছেলেদের পাসের হার ৪৫ দশমিক ২২ শতাংশ। একটু ভালো মেয়েদের। সব বিভাগ মিলিয়ে মেয়েদের পাসের হার ৪৭ দশমিক ৮১ শতাংশ। ৫৪ হাজার ৪৬২ জন ছাত্রী পরীক্ষায় অংশ নিয়ে পাস করেছেন ২৬ হাজার ৩৭ জন।
ঢাকা বোর্ডে ছাত্রদের পাসের হার ৬৭ দশমিক ৪০ শতাংশ আর ছাত্রীদের ৬৮ দশমিক ৯৪ শতাংশ। এক লাখ ৩৪ হাজার ৬৩৯ জন ছাত্রীর মধ্যে ৯২ হাজার ৮২৪ জন পাস করেছেন।
কুমিল্লা বোর্ডে পরীক্ষায় অংশ নেয়া ছাত্রীদের সংখ্যাও বেশি। এ বোর্ডে ৫১ হাজার ৪৮২ জন ছাত্রীর মধ্যে ৩১ হাজার ২৩ জন পাস করেছেন। পাসের হার ৬০ দশমিক ২৬। ছাত্রদের পাসের হার ৫৯ দশমিক ৩১ শতাংশ।
চট্টগ্রাম বোর্ডে ছাত্রীদের পাসের হার ৬৫ দশমিক ১১ শতাংশ। ৪১ হাজার ১৯০ জন ছাত্রীর মধ্যে ২৬ হাজার ৮১৮ জন পাস করেছেন। ছাত্রদের পাসের হার ৬১ দশমিক ৮১ শতাংশ।
বরিশাল বোর্ডেও ভালো করেছে মেয়েরা। ২৭ হাজার ৪৯৯ জন ছাত্রীর মধ্যে ২০ হাজার ১১৯ জন পাস করেছেন। পাসের হার ৭৩ দশমিক ১৬ শতাংশ। ছেলেদের পাসের হার ৬৭ দশমিক ০৫ শতাংশ।
সিলেট বোর্ডেও ছাত্রদের তুলনায় পরীক্ষায় ছাত্রীদের সংখ্যা ছিল বেশি। যেখানে ২৬ হাজার ৬৫৭ জন ছাত্র অংশ নিয়েছেন, সেখানে ছাত্রী অংশ নিয়েছেন ৩১ হাজার ৪৫ জন। ২৩ হাজার ৩০৭ জন ছাত্রী পাস করেছেন। পাসের হার ৭৫ দশমিক ০৭ শতাংশ। ছাত্রদের পাসের হার ৭৩ দশমিক ৯৮ শতাংশ।
দিনাজপুর বোর্ডে ছাত্রীদের পাসের হার ৭২ দশমিক ৬৪ শতাংশ। ৪২ হাজার ৪৬৮ জন ছাত্রীর মধ্যে ৩০ হাজার ৮৪৯ জন পাস করেছেন। ছাত্রদের পাসের হার ৬৮ দশমিক ৪০ শতাংশ।
প্রস্তুতি বিঘ্নতায় খারাপ ফল -শিক্ষামন্ত্রী
বিএনপি-জামায়াতের হরতাল-অবরোধে শিক্ষার্থীদের প্রস্তুতিতে বিঘ্ন সৃষ্টি হওয়ায় এবার উচ্চ মাধ্যমিকে (এইচএসসি) খারাপ ফল হয়েছে বলে দাবি করেছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ।
পাশাপাশি সৃজনশীল প্রশ্নও ফলাফলের ক্ষেত্রে প্রভাব ফেলেছে বলে উল্লেখ করেছেন শিক্ষামন্ত্রী।
এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ উপলক্ষে সচিবালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ফলাফল খারাপ হওয়ার তিন কারণ দেখছেন নাহিদ।
৯ আগস্ট সকালে গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে ফলাফলের অনুলিপি হস্তান্তরের পর সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে আসেন শিক্ষামন্ত্রী।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, এ বছর জানুয়ারি থেকে হরতাল-অবরোধ শুরু হয়। হরতাল-অবরোধের কারণে বিভিন্ন সময়ে পরীক্ষা নিলেও এসএসসিতে খারাপ ফল হয়েছে। এ অবস্থায় এইচএসসি পরীক্ষা নেয়াটাও বড় চ্যালেঞ্জ ছিল। বাস্তবে হরতাল-অবরোধ জনগণ প্রত্যাখ্যান করলেও পেট্রোল বোমায় মানুষ মরেছে। পরীক্ষার আগে কলেজগুলো প্রস্তুতি নিতে পারেনি।
কলেজে ক্লাস না হওয়ার পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের প্রস্তুতিতেও ব্যাঘাত সৃষ্টি হয় বলে জানান শিক্ষামন্ত্রী। শিক্ষার্থীরা পরীক্ষার আগের সময় কাজে লাগাতে পারেনি। পরিস্থিতি স্বাভাবিক ছিল না, সবার দাবিতে অস্বাভাবিক পরিস্থিতিতে পরীক্ষা নিতে হয়েছে। পাশাপাশি সৃজনশীল প্রশ্ন প্রভাব ফেলেছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, আগের বছর এইচএসসি’র প্রশ্ন ফাঁসে আমাদের উচ্চতর দিকে যেতে হচ্ছে। অতি সামান্য হলেও পরীক্ষার্থীদের ওপর এর প্রভাব পড়বেই। তবে সৃজনশীল প্রশ্ন উন্নয়ন ঘটিয়েছে।
সার্বিকভাবে ফলাফল খারাপ হলেও সুসংবাদ দিয়ে নাহিদ বলেন, বিজ্ঞানে এবার ৭৭ দশমিক ৬৬ শতাংশ শিক্ষার্থী পাস করেছে। মোট শিক্ষার্থীর অর্ধেকেরও বেশি (২৬ হাজার ৫৫৬ জন) জিপিএ-৫ পেয়েছে। কারিগরি শিক্ষা নিয়ে সমালোচনা থাকলেও শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ এবং অন্যান্য পদক্ষেপের কারণে এবার সেখানে ৮৫ দশমিক ৫৮ শতাংশ পাস করেছে।
শিক্ষাসচিব নজরুল ইসলাম খান, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ফাহিমা খাতুন, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা এবং বিভিন্ন বোর্ডের চেয়ারম্যানরা এসময় উপস্থিত ছিলেন।