প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, স্কুল-কলেজে দরিদ্র ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের ভর্তি সুনিশ্চিত করতে তাদের আর্থিক সহায়তা দিতে একটি নীতিমালা প্রণয়ন করবে সরকার। যে কোনো দুর্ঘটনায় মারাত্মক আহত শিক্ষার্থীদের আর্থিক সহায়তা দেয়ার নীতিমালাও তৈরি হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রীর তেজগাঁও কার্যালয়ে শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট ফান্ডের উপদেষ্টা পরিষদের সভায় একথা বলেন তিনি।
সভায় ভাষণদানকালে প্রধানমন্ত্রী বলেন, শিক্ষা বছরের প্রথম দিনে পাঠ্যপুস্তক বিতরণের মতো দেশব্যাপী একটি নির্দিষ্ট দিনে শিক্ষার্থীদের এ ট্রাস্টের অর্থ প্রদান করা হবে। তিনি জানান, তার সরকারের প্রধান লক্ষ্য হচ্ছে দারিদ্র্য নির্মূলে একটি শিক্ষিত জাতি গঠন করা। দেশকে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত করতে শিক্ষার কোনো বিকল্প নেই। এ জন্য কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষার ওপর গুরুত্ব দেয়া হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, পাহাড়ি ও উপকূলীয় অঞ্চলের দূরবর্তী স্থানে অবস্থিত স্কুলগুলোর শিক্ষার্থীদের জন্য আবাসিক ব্যবস্থার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, রাষ্ট্র ক্ষমতায় যারাই আসুক না কেন, শিক্ষা খাতকে এগিয়ে নিতে স্থায়ী নীতিমালা প্রণয়নের কোনো বিকল্প নেই। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ছাত্র-ছাত্রী না বাড়িয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে কলেজগুলোকে অধিভুক্ত করা দরকার। ডিগ্রিটা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাবে কিন্তু বিভিন্ন কলেজে তারা পড়াশুনা করবে। এক জায়গায় বেশি চাপ দিলে সেখান থেকে ভালো ফলাফল আশা করা যায় না। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ক্যাম্পাসকে যদি ভাগ করে দিতে পারি তাহলে শিক্ষার পরিবেশটা উন্নত হবে। অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মোস্তফা কামাল, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান প্রফেসর এ কে আজাদ চৌধুরী, ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি কাজী আকরাম উদ্দিন আহমেদ ও সংশ্লিষ্ট সচিবরা সভায় উপস্থিত ছিলেন।