ইউনিভার্সেল মেডিক্যাল কলেজ (ইউএমসি) স্বাস্থ্য শিক্ষা অঙ্গনে নতুন অভিযাত্রী। ২০১৩ সালে প্রতিষ্ঠিত চিকিৎসা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি তার শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করেছে ২০১৪-২০১৫ সেশনে প্রথম ব্যাচের শিক্ষার্থী ভর্তির মাধ্যমে। প্রতিষ্ঠাকাল থেকে এ প্রতিষ্ঠানের অচিন্তনীয় উন্নয়ন ঘটেছে এবং এটি বিদ্যার্জন এবং প্রণোদনার উৎকৃষ্ট কেন্দ্রে পরিণত হবে বলে কর্তৃপক্ষ আশাবাদী।
কলেজটি সরকার অনুমোদিত, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে নিবন্ধিত এবং বিএমডিসি প্রদত্ত কারিকুলাম অনুযায়ী পরিচালিত। ইউএমসি শিক্ষাগত অভিজ্ঞতা উপস্থাপন করে, যা থেকে শিক্ষার্থীরা তাদের সক্ষমতা খুঁজে পেতে পারে এবং স্বাস্থ্যসেবার ক্ষেত্রে পেতে পারে প্রকৃত আহ্বান। ইউএমসি’র লক্ষ্য হলো সামঞ্জস্যপূর্ণ শিক্ষা পরিবেশ গড়ে তোলা যাতে ছাত্র-ছাত্রীরা পর্যাপ্ত জ্ঞান, দক্ষতা ও সহনক্ষমতা অর্জন করতে পারে; তারা বাংলাদেশের স্বাস্থ্যসেবা দলের সদস্য হিসেবে ঔষধের ব্যবহার রপ্ত করতে পারে। প্রতিষ্ঠানটি পরবর্তী প্রজন্মের স্বাস্থ্যসেবার নেতৃত্ব গড়তে পারে, যারা রোগীর দক্ষ পরিচর্যাকারী উদ্ভাবক হিসেবে মেডিকেল গবেষণায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে; তারা সমাজে সম্মানীয় নেতারূপে বিবেচিত হবেন।
ইউএমসি’র ডিপার্টমেন্টসমূহের মধ্যে রয়েছে এনাটমি, ফিজিওলজি, বায়োক্যামেস্ট্রি, কমিউনিটি মেডিসিন। অন্যান্য যেসব ডিপার্টমেন্ট রয়েছে সেগুলো হলো ফরেনসিক মেডিসিন, ফার্মাকোলজি, মাইক্রোবায়োলজি, প্যাথোলজি, মেডিসিন, সার্জারি এবং গাইনি ও অব্স।
লাইব্রেরি
কলেজ লাইব্রেরি সুসজ্জিত ও সুপ্রশস্ত স্থানে স্থাপন করা হয়েছে। লাইব্রেরি শান্ত-নিরিবিলি পরিবেশে রয়েছে; যেখানে সাম্প্রতিক সময়ের টেক্সট বুক, রেফারেন্স বুক, জার্নাল রয়েছে; যেগুলো ছাত্র-শিক্ষকের জ্ঞান পিপাসা মেটাতে পারে। এখানে রয়েছে ইন্টারনেট সুবিধাসহ কম্পিউটার ফ্যাসিলিটিস। লাইব্রেরিটি সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত খোলা থাকে।
লেকচার হল
ইউএমসি’র লেকচার হল পূর্ণাঙ্গ শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত, আধুনিক আসবাবপত্র, অডিও-ভিজ্যুয়াল সুবিধা সংবলিত।
মেডিকেল এডুকেশন ইউনিট
ইউএমসি মেডিক্যাল এডুকেশন ইউনিট এর শিক্ষা পদ্ধতি সহজ করার লক্ষ্যে ডিজিটালাইজড ইনফরমেশন সিস্টেমের মাধ্যমে সর্বশেষ তথ্য সরবরাহ করে।
হেল্থ ফ্যাসিলিটিজ
ইউএমসি তাদের সকল ছাত্র, তাদের পরিবার / অভিভাবক /আত্মীয় স্বজনের জন্য হ্রাসকৃত মূল্যে স্বাস্থ্যসেবার সুযোগ রেখেছে।
হোস্টেল সুবিধা
ইউএমসি-তে রয়েছে শিক্ষার্থীদের জন্য হোস্টেল সুবিধা।
হাসপাতালে সুযোগ-সুবিধা
ইউনিভার্সেল মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল (সাবেক আয়েশা মেমোরিয়াল হাসপাতাল) একটি বিশেষায়িত-বিভাগ সমন্বিত জেনারেল হাসপাতাল, যা বিভিন্নমুখী স্বাস্থ্যসেবা দানে নিবেদিত। হাসপাতালে টিম-ভিত্তিক রোগীর মানসম্পন্ন সেবা প্রদান করে। এ হাসপাতালে রোগীগণ ২২টি বিশেষায়িত ডিপার্টমেন্টে সেবা নিতে পারে। ১৯৯৬ সালে এ হাসপাতাল প্রতিষ্ঠিত হয় ঢাকার মহাখালী সংলগ্ন এলাকার লোকজনের স্বাস্থ্যপরিচর্যার জন্য। হাসপাতালটি একটি আধুনিক এবং বিশ্বস্ত রেফারেল হাসপাতাল হিসেবে মর্যাদা লাভ করে। উন্নত সেবা এবং উচ্চমান চিকিৎসার কল্যাণে এ হাসপাতাল অনেক সুখ্যাতি অর্জন করেছে। এখানে অভিজ্ঞ শিক্ষক দ্বারা প্রশিক্ষণ দেয়া হয়ে থাকে।
এক্সট্রা কারিকুলাম একটিভিটিজ
ছাত্র-ছাত্রীদেরকে মানসিকভাবে সুস্থ এবং উদ্ভাবনী চেতনা সম্পন্ন রাখতে ক্যাম্পাসে সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড, ক্রীড়া এবং বিতর্ক প্রতিযোগিতাকে উৎসাহিত করা হয়।
ক্যাম্পাসের অবস্থান
ইউএমসি ক্যাম্পাস ৭৪জি/৭৫ পিকক স্কয়ার, মহাখালী, ঢাকা (রাওয়া কনভেনশন সেন্টারের বিপরীতে) অবস্থিত। ঢাকার প্রাণকেন্দ্রে এর অবস্থান এবং চমৎকার সড়ক যোগাযোগ নেটওয়ার্কের আওতায় এর অবস্থান।
লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য
ইউএমসি’র লক্ষ্য হলো স্বাস্থ্যসেবায় পরবর্তী প্রজন্মে দক্ষ নেতৃত্ব তৈরি করা।
সঠিক শিক্ষা পরিবেশ গড়ে তোলা, যেখানে মেডিকেল শিক্ষার্থীরা স্বচ্ছন্দে তত্ত্বগত ও প্রায়োগিক শিক্ষা অর্জন করতে পারে।
দেশে স্বাস্থ্যশিক্ষার মান বৃদ্ধির লক্ষ্যে স্বাস্থ্যবিজ্ঞানের গবেষণা পরিচালনা করা।
এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উদ্দেশ্য হলো এমবিবিএস+হিউম্যানিটি = ডাক্তার। রোগীদের প্রতি সততা, শৃংখলা, সম্মানই হলো ইউএমসি এর শক্তি!
কেমন চলছে আপনার মেডিক্যাল কলেজ এমন প্রশ্নের জবাবে মিসেস প্রীতি চক্রবর্ত্তী বলেন, প্রকৃতপক্ষে আমরা নবজাত শিশুর মতো; যা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে গেলো বছর, এ বছর দ্বিতীয় বর্ষে পদার্পণ। তবে যে পরিমাণ সাড়া পাচ্ছি তাতে আমরা আশাবাদী যে, আমরা সব বাধা-প্রতিবন্ধকতা কাটিয়ে এগিয়ে যেতে পারব। সচেতন মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত সহযোগিতা আমাদেরকে দিয়েছে এগিয়ে যাবার প্রেরণা।
কোন্ প্রেরণায় উদ্বুদ্ধ হয়ে মেডিক্যাল কলেজ প্রতিষ্ঠায় উদ্যোগী হলেন এমন প্রশ্নের জবাবে কল্যাণকামী, মানবদরদী ব্যক্তিত্ব প্রীতি চক্রবর্ত্তী বলেন, স্বাস্থ্যসেবা ও চিকিৎসা শিক্ষার মাধ্যমে মানবতার কল্যাণ সাধনই আমাদের লক্ষ্য, শুধুমাত্র ব্যবসায়িক দৃষ্টিকোণ থেকে এ প্রতিষ্ঠান গড়ে ওঠেনি।
তিনি বলেন, আমাদের দেশে প্রয়োজনের তুলনায় ডাক্তারের সংখ্যা কম; ভালো ডাক্তারের সংখ্যা আরো কম। তাই আমরা সিদ্ধান্ত নিই, একটি মেডিক্যাল কলেজ স্থাপন করে সেখানে যোগ্য ডাক্তার তৈরি করব; যারা বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের চিকিৎসা-সেবা বঞ্চিত মানুষদের সেবা দেবে, দেশের বাইরে ভিন্ন দেশের হাসপাতালেও তারা কাজ করবে। তারা শুধু এ দেশের সম্পদ নয়, তারা বিশ্বের সম্পদ হয়ে উঠবে। আমাদের শিক্ষকগণ নিবেদিতপ্রাণ, তারা শিক্ষার্থীদেরকে এমনভাবে গড়ে তুলছেন যাতে কর্মজীবনে তারা শতভাগ ডেডিকেশন নিয়ে কাজ করতে পারে। তারা শুধু ভালো ডাক্তার হয়ে বেরুবে না, ভালো মানুষ হয়ে শিক্ষাজীবন শেষে প্রবেশ করবে কর্মজীবনে।
নব-প্রতিষ্ঠিত এই মেডিক্যাল কলেজের বিশেষ বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে প্রীতি চক্রবর্ত্তী বলেন, প্রত্যেক মেডিকেল কলেজের প্রতিষ্ঠাতা চান তার কলেজটি বৈশিষ্ট্যপূর্ণ হয়ে উঠুক, তবে প্রত্যেকের মধ্যে একটা পার্থক্য থাকে যা দিয়ে তাকে চিহ্নিত করা যায়। আমি বলবো উদ্যোক্তা হিসেবে আমি নিজেকে অন্যভাবে দেখতে চাই। আমি যেকোনো ভালো কাজে লেগে থাকতে চাই; কাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত আমার চেষ্টা চলতে থাকে। এ প্রতিষ্ঠানটি গড়ার ক্ষেত্রেও আমার ভেতর সেই চেতনা কাজ করছে। এ প্রতিষ্ঠানে যারা আমার সহকর্মী তাদের মধ্যে ডেডিকেশন আছে, তারা টিম স্পিরিট নিয়ে কাজ করে, লক্ষ্যে পৌঁছতে তারা দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। আমাদের এ প্রতিষ্ঠানে এক ঝাঁক স্বপ্নচারী মানুষ আছেন যারা স্বপ্নবাস্তবায়নের জন্য নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন। স্বপ্নের মানুষদের মাঝে আমাদের অবস্থান, স্বপ্ন বাস্তবায়নে আমরা নিবেদিত। তাই অচিরেই আমাদের প্রতিষ্ঠান বিশেষ বৈশিষ্ট্যপূর্ণ হয়ে উঠবে এটা সহজে আশা করা যায়।
যুগোপযোগী মেডিক্যাল শিক্ষা বিস্তারে ফ্যাকাল্টি মেম্বার/শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে কোন্ কোন্ বিষয়কে অগ্রাধিকার দিয়ে থাকেন এমন প্রশ্নের জবাবে চেয়ারম্যান প্রীতি চক্রবর্ত্তী বলেন, আমাদের অবস্থানগত কারণে কিংবা ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে অনেক যোগ্য ও অভিজ্ঞ ফ্যাকাল্টি মেম্বার/শিক্ষক অন্য প্রতিষ্ঠান থেকে এসে আমাদের এখানে যুক্ত হয়েছেন, আরও কয়েকজন আসার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। কিন্তু আমরা যে বিষয়টির প্রতি গুরুত্ব দিই, তাহলো তিনি এখানে যোগদান করে তাঁর সারাজীবনের অভিজ্ঞতা শিক্ষার্থীদের মাঝে ছড়িয়ে দিতে পারেন কিনা। মেডিক্যাল কলেজের সব শিক্ষকের মধ্যে এ বৈশিষ্ট্য থাকা উচিত। আমি আশাবাদী যে আমাদের শিক্ষকবৃন্দ খুব ভালো ডাক্তার, মানবিক গুণাবলিসম্পন্ন মানুষ তৈরি করতে তাঁরা সক্ষম হবেন।
মেডিক্যাল শিক্ষাকে যুগোপযোগী করার জন্য এতে কী কী পরিবর্তন আনা প্রয়োজন বলে মনে করেন এমন প্রশ্নের জবাবে দূরদর্শী শিক্ষাদ্যোক্তা কল্যাণকামী ব্যক্তিত্ব প্রীতি চক্রবর্ত্তী বলেন, আমরা ছোটবেলায় স্বপ্ন দেখতাম বড় হলে ডাক্তার হবো, ইঞ্জিনিয়ার হবো, শিক্ষক হবো, আজকাল ছেলে-মেয়েরা স্বপ্ন দেখা ভুলে গেছে, তাদের ধরস রহ ষরভব নেই। কিন্তু মেডিক্যাল প্রফেশন যারা বেছে নেবে তাদেরকে আগেভাগেই এর যোগ্যতা অর্জনে নিজেদের তৈরি করতে হবে, তবে এক ঘন্টার পরীক্ষাই তার যোগ্যতার আসল মানদন্ড নয়, এসএসসি, এইচএসসি এর রেজাল্টও হিসাবে আনা হবে; তবে সবার উপরে থাকবে- আমাদের ছেলে-মেয়েদের স্বপ্ন যে তারা ভবিষ্যতে ডাক্তার হবে, আর্ত-পীড়িতের সেবা করবে, মানব কল্যাণে থাকবে নিবেদিত। এ মানসিকতা আমাদের ছেলে-মেয়েদের মধ্যে সঞ্চার করতে হবে, তৃণমূল থেকে তারা সে চেতনায় উজ্জীবিত থাকবে, আশান্বিত থাকবে।
বলা হয়ে থাকে, একটা প্রতিষ্ঠানের সুন্দর-সুষ্ঠুভাবে চলা নির্ভর করে প্রতিষ্ঠান-প্রধানের ওপর; এর সাথে কি আপনি একমত এমন প্রশ্নের জবাবে আস্থাশীল ব্যক্তিত্ব প্রীতি চক্রবর্ত্তী বলেন, আমি এর সাথে দ্বিমত পোষণ করি। আসলে একটি প্রতিষ্ঠান শুধুমাত্র তার প্রধানের কারণেই সুন্দর-সুষ্ঠুভাবে চলে না; প্রতিষ্ঠান প্রধান একটি প্ল্যান তৈরি করে দিতে পারেন, টিম করে দিতে পারেন, কিন্তু সবাই যদি একই মানসিকতা নিয়ে কাজ না করেন, টিম-ওয়ার্ক গড়ে না ওঠে তাহলে সাফল্য আসবে না। প্রতিষ্ঠান প্রধানতো সব কাজ করবেন না, তাকে তার সহকর্মীদের নির্ধারিত কাজে সহযোগিতা করতে হবে। প্রতিষ্ঠান প্রধানকে তার সব সহকর্মীর মন-মানসিকতা পরিবর্তনে দিক-নির্দেশকের ভূমিকা পালন করতে হবে। তিনি ওয়েল-ইকুইপ্ড টিম গড়ে তুলতে পারলে সেটি হবে তার প্রতিষ্ঠানের সম্পদ, যা তার কর্মসফল ব্যক্তিত্ব হিসেবে গড়ে উঠতে সহায়ক হবে।
স্বাস্থ্যসেবা প্রত্যন্ত অঞ্চলে পৌঁছে দিতে হলে কী ব্যবস্থা নেয়া উচিত বলে মনে করেন এমন প্রশ্নের জবাবে প্রীতি চক্রবর্ত্তী বলেন, কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে প্রাথমিক কিছু চিকিৎসা-সুবিধা প্রত্যন্ত অঞ্চলে পৌঁছে দেয়ার কাজ করছে সরকার, জনগণও এতে সাড়া দিচ্ছে। তবে জটিল রোগের চিকিৎসালাভে গরিব-দুঃখী, নিম্ন আয়ের মানুষ বঞ্চিত হচ্ছে। এ ব্যাপারে সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে উদ্যোগ থাকা প্রয়োজন। আমাদের জনগণের মনমানসিকতার পরিবর্তন প্রয়োজন। স্বাস্থ্যসেবা প্রদানে যারা নিয়োজিত তাদের কাজের মধ্যে সমন্বয় থাকতে হবে। দেশীয় চিকিৎসা সেবার উপর আস্থা থাকতে হবে। দেশে অনেক অভিজ্ঞ ডাক্তার আছেন, তাদের সহযোগিতা নিতে আমরা কেন কুন্ঠিত হবো, প্রয়োজনে-অপ্রয়োজনে চিকিৎসার জন্য বিদেশে ছোটার মানসিকতার পরিবর্তন প্রয়োজন।
মেডিক্যাল কলেজকে ঘিরে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সম্পর্কে প্রীতি চক্রবর্ত্তী বলেন, আমরাতো সবেমাত্র শুরু করলাম। আমার স্বপ্ন হলো, এ মেডিক্যাল কলেজে প্রাকৃতিক পরিবেশ বিরাজ করবে। স্নিগ্ধ পরিবেশের মধ্যে থেকে তারা চিকিৎসা শিক্ষা লাভ করবে, স্বাস্থ্যসেবায় মনোনিবেশ করবে। আমার এ স্বপ্নটি যেদিন বাস্তবায়িত হবে, মেডিকেল শিক্ষার্থীরা মানুষের মতো মানুষ হয়ে, কল্যাণকামী ডাক্তার হয়ে বেরিয়ে আসতে সক্ষম হবে; সেদিন আমি স্বপ্নপূরণের আমেজ অনুভব করব।
শিক্ষার্থী-যুবকদের উদ্দেশ্যে মূল্যবান পরামর্শ রেখে প্রীতি চক্রবর্ত্তী বলেন সময়ের কাজ সময়ে করবে; শিক্ষার্থীদের জন্য এটি খুবই প্রয়োজনীয়। আমাদের ছোটবেলায় অভিভাবকগণ বলতেন পড়ালেখা শেষ করে পরে খেলাধূলা বা অন্যকিছু করো। কিন্তু বর্তমানে প্রত্যেক পরিবারে সন্তান সংখ্যা কম, যার ফলে অভিভাবকরা স্নেহের বাৎসল্যে সন্তানদের অনেক স্বাধীনতা দিয়ে থাকে। প্রযুক্তি তাদের হাতের নাগালে, মোবাইল-কম্পিউটার-ইন্টারনেট ব্যবহার করে তারা অনেক কিছু দেখছে ও শিখছে। যার ফলে তারা অনেকক্ষেত্রে এগিয়ে আছে। আমরা এ বয়সে যা পাইনি, তা তারা অবাধে পেয়ে যাচ্ছে হাতের কাছে। তিনি বলেন, আমাদের অভিভাবকগণকে সতর্কতার সাথে তাদের সন্তানদের দিকনির্দেশনা দিতে হবে। তারা যেন মানুষের মতো মানুষ হয় এটা আমার একান্ত কামনা।