সফল হওয়ার যথেষ্ট লক্ষণ আপনার ভেতর রয়েছে। কিন্তু আপনি জানেন না সেগুলো কী কী? সাহস ও একাগ্রতাই আপনাকে পৌঁছে দেবে সফলতার চূড়ায়।
তাহলে জেনে নিন এমনই ১১ লক্ষণ।
১. ভুলের কারণে হতাশ না হওয়াঃ ভুল করার অভিজ্ঞতা হয়তো আপনার রয়েছে। জীবনে অপমান আর বোকা বনে গেছেন। কিন্তু এসব অভিজ্ঞতা আপনার চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যকে আরো দৃঢ় করে। সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা গেছে, সফলদের মাঝে দুই ধরনের বৈশিষ্ট্য রয়েছে, এরা ব্যর্থতা কোনোভাবেই মেনে নিতে পারেন না। আর অন্যরা কী ভাবছেন তা নিয়ে তাঁদের কোনো মাথাব্যথা নেই।
২. লড়াই চালিয়ে যাওয়াঃ ধরুন, আপনি বুঝে গেছেন পরাজয় নিশ্চিত। কিন্তু তার পরও লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন। এটা পরাজয় না মানার লক্ষণ।
জীবনে সফল হতে এই লক্ষণ বড় ভূমিকা পালন করে।
৩. ইচ্ছা না থাকলেও হ্যালো বলাঃ সুফল আসবে জেনেও আমরা হয়তো কোনো কারণে মনের বিরুদ্ধে কাজ করতে নারাজ। কিন্তু সফলতা আনতে কারো সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করা বড় ব্যাপার। তাই কাউকে ফোন দেওয়ার ইচ্ছা না থাকলেও হ্যালো বলুন। এতে আপনার আসল উদ্দেশ্য পূরণ হবে।
৪. আবেগ নিয়ন্ত্রণঃ নেতিবাচক আবেগ দৃঢ় মানসিকতা থেকে বিচ্ছিন্ন করে আপনাকে। ফলে আবেগ নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। কারণ সফলতা পেতে নিজের ওপর নিয়ন্ত্রণ থাকা খুব জরুরি। আবেগ নিয়ন্ত্রণ করতে পারলে নিজের ওপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে পারবেন।
৫. নিজের ওপর আস্থাঃ মনের ওপর বিশ্বাস রাখতে হবে। অনেক সময় সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার কোনো যৌক্তিক উপাদান থাকে না। তখন একমাত্র অবলম্বন মনের ওপর বিশ্বাস।
৬. কৃতজ্ঞতাঃ জীবনে মানুষের কাছ থেকে অনেক কিছুই পাবেন, যা পেয়েছেন, তার চেয়ে অনেক বেশি ফেরত দেওয়ার চেষ্টা করবেন। এ ধরনের মনোভাব শক্ত মনের পরিচায়ক।
৭. অটল থাকাঃ যখন মানুষের সমর্থন পাবেন তখন নিজের বিশ্বাস ও চিন্তা নিয়ে সাহসের সঙ্গে এগিয়ে যাওয়া সম্ভব। কিন্তু যখন কেউ আপনাকে সমর্থন করবে না, তখনো নিজের পথে অটল থাকায় ভালো।
৮. দৃঢ় ব্যক্তিত্বঃ সময় বেঁধে দেওয়া যেকোনো কাজ নিয়ে ব্যস্ত থাকার অভিজ্ঞতা থাকা গুরুত্বপূর্ণ। শেষ সময় পর্যন্ত লক্ষ্য-উদ্দেশ্য নিয়ে গন্তব্যের পথে হাঁটা আপনার দৃঢ় ব্যক্তিত্বের পরিচয়।
৯. অস্থির সময়ে পিছু না হটাঃ খুব জটিল বিষয় নিয়ে চিন্তা করতে গেলে একসময় মাথা গুলিয়ে যায়। বিশেষ করে ক্লান্ত থাকলে গভীর চিন্তা সম্ভব হয় না। কিন্তু যাঁদের সাহসী মানসিকতা আছে তাঁরা পুরোটা নিয়েই ভাবতে চান। অস্থিরতা এলেও পিছিয়ে পড়েন না।
১০. ভাব বিনিময়ঃ জীবনে বিভিন্ন মানুষের সঙ্গে নানা ধরনের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়বেন। অনেকের সঙ্গে বাজে অভিজ্ঞতা হবে। কিন্তু বিনিময়ে অভদ্র হবেন না।
১১. নিজ কর্মের দায়ভার গ্রহণঃ নিজ কর্মের দায়ভার নিজের কাঁধেই নিতে হবে। এটা এড়িয়ে যাওয়া দৃঢ়চিত্তের বৈশিষ্ট্য নয়। অহং নয় বরং কাজের ফলটাই আপনার কাছে বেশি জরুরি।