২০১৬ সালের মাধ্যমিক ও সমমানের পরীক্ষায় ভালো ফলাফল করায় তিন হাজার ৩৭ জন দরিদ্র ও মেধাবী শিক্ষার্থীকে বৃত্তি দিচ্ছে ডাচ-বাংলা ব্যাংক। এসব শিক্ষার্থীকে দুই বছর প্রতিমাসে দুই হাজার টাকা ও বছরে পাঠ্য উপকরণের জন্য ২হাজার ৫শ ও পোশাকের জন্য এক হাজার টাকা প্রদান করবে। সম্প্রতি রাজধানীর মিরপুরের ইনডোর স্টেডিয়ামে ডাচ-বাংলা ব্যাংকের শিক্ষাবৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। অর্থমন্ত্রী বলেন, উচ্চ আশার একমাত্র উপায় হলো জ্ঞান আহরণ। লেখাপড়ার প্রতি আকর্ষণ যেন কোনো দিন শেষ না হয়। জ্ঞান আহরণে ভিডিও অত্যন্ত চুম্বকভাবে জ্ঞান দান করে জানিয়ে মুহিত বলেন, সেখানে অনেক ভুলও থাকে। গুগলে এজন্য লেখা থাকে ভুল হলে আমাকে শুদ্ধ করুন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, মেয়েদের শিক্ষার সুযোগ দিয়ে ১৮ বছরের আগে বিয়ে না দিতে অভিভাবকদের প্রতি আহবান জানান। তিনি বলেন, সরকার শিক্ষাকে দারিদ্র্য মুক্তির হাতিয়ার হিসেবে বেছে নিয়েছে। এজন্য শিক্ষানীতি প্রণয়ন করা হয়েছে। কোচিং-বাণিজ্য বন্ধে নীতিমালা করা হয়েছে।
কানাডার রাষ্ট্রদূত বেনওয়ার পিয়ের লাঘামে বলেন, শিক্ষা সকল শিশুর জন্য গুরুত্বপূর্ণ। সামাজিক দায়বদ্ধতা কর্মসূচির আওতায় ডাচ-বাংলা ব্যাংকের এই উদ্যোগকে আমি অভিনন্দন জানাই।
অনুষ্ঠানে বৃত্তি পাওয়ার অনুভূতি ব্যক্ত করেন বেগম বদরুন্নেছা সরকারি মহিলা কলেজের শিক্ষার্থী ডালিয়া আক্তার, শারমীন আক্তার, নটরডেম কলেজের রাহাত রানা ও পঞ্চগড়ের কমলাপুর হাইস্কুলের দৃষ্টি প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী রাইসুল ইসলাম।
২০১৬ সালের মাধ্যমিক ও সমমানের পরীক্ষায় ভালো ফলাফল করায় তিন হাজার ৩৭ জন দরিদ্র ও মেধাবী শিক্ষার্থীকে বৃত্তি দিচ্ছে ডাচ-বাংলা ব্যাংক। এসব শিক্ষার্থীকে দুই বছর প্রতিমাসে দুই হাজার টাকা ও বছরে পাঠ্য উপকরণের জন্য ২হাজার ৫শ ও পোশাকের জন্য এক হাজার টাকা প্রদান করবে। ডাচ-বাংলা ব্যাংকের চেয়ারম্যান সায়েম আহমেদ এতে সভাপতিত্ব করেন। সমাপনী বক্তব্য দেন ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কে এস তাবরেজ।