॥ ওয়াসির হেলাল ॥
৪র্থ শ্রেণি, সহজপাঠ স্কুল
একদিন আমি বাবাকে বলেছিলাম বাবা, আমি টুইনটাওয়ার দেখতে মালয়েশিয়া যেতে চাই। বাবা তখন মুচকি হেসে বলেছিলেন- অবশ্যই যাবে; তোমার কথা কি আমি ফেলতে পারি! তার কয়েকদিন পর বাবা আমাকে সারপ্রাইজ দিয়ে বললেন তোমার মালয়েশিয়া যাবার ভিসা ও প্লেন টিকেট হয়ে গেছে। ১৪ আগস্ট (২০১৯) তোমাকে টুইনটাওয়ার দেখাতে মালয়েশিয়া বেড়াতে নিয়ে যাবো। শুনে আমার কী যে খুশি লাগছিলো!
কুয়ালালামপুর যাবার জন্য আমরা প্রথমে শাহজালাল ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্টে যাই। চেক-ইন ও ইমিগ্রেশন সেরে এয়ারপোর্টের দোতলায় একটা এক্সক্লুসিভ ভিআইপি লাউঞ্জে বসি। সেখানে বিভিন্ন কন্টিনেন্টাল ফুডে লাঞ্চ করি। তারপর প্লেনের এনাউন্সমেন্ট হলে আমরা প্লেনে উঠি।
প্লেনটা ছিল নরমাল। তারপরও আমার ভালো লেগেছে। প্লেন টেক-অফ করার আগে আমরা সিট-বেল্ট বেঁধে নিয়েছি। প্লেন যখন ঢাকার আকাশ দিয়ে উড়ে যাচ্ছিলো, তখন দেখতে পেয়েছি আমাদের ঢাকার দৃশ্য। একসময় প্লেন যখন অনেক উপরে উঠে যায়, তখন শুধু সাদা সাদা মেঘের ফাঁকে নীল আকাশ দেখা যাচ্ছিলো।
প্লেন ধীরে ধীরে আরও অনেক উপরে উঠে যাচ্ছিলো। এয়ারহোস্টেস আমাদেরকে রিফ্রেসিং টাওয়াল ও ড্রিংকস দেয় এবং তার কিছুক্ষণ পরই খাবার পরিবেশন করে। খাবার শেষ হবার কিছুক্ষণ পর এনাউন্সমেন্ট হয় যে, প্লেন ল্যান্ড করবে। তখন আমার খুব খুশি লাগছিলো যে, আমি টুইনটাওয়ারের দেশে চলে এসেছি। একসময় প্লেনটা ধীরে ধীরে ল্যান্ড করে।
কুয়ালালামপুর ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্টটা বিশাল বড়! এত বেশি বড় যে, পোর্টের ভেতরে মানুষকে এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় নিয়ে যাওয়া হয় ট্রেনে। মনে হয় যেনো অনেকগুলো শপিংমল এয়ারপোর্টের ভেতর ঢুকিয়ে দেয়া হয়েছে। বিশাল বিশাল সব শপিংমল এয়ারপোর্টের ভেতর ঝলমল করছে। আমার খুব ভালো লেগেছে সেই দারুণ এয়ারপোর্টটা।
এর পূর্বেও আমি অবশ্য মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড এবং ইটালি গিয়েছি। কিন্তু তখন আমি আরো ছোট ছিলাম বলে এয়ারপোর্টের বড়-ছোট কিছুই বুঝতাম না; শুধু বাবা আর ভাইয়ার কোলে ঘুরে বেড়িয়েছি। আর এবারে বাবা-আমি দু’বন্ধু একান্তে মজা করে ঘুরেছি। বাবা আমাকে আদর করে অনেক কিছু বুঝিয়ে বলে বলে দেখাচ্ছিলেন, তাই বেশি ভালো লাগছিল।
সিকিউরিটি চেকিং শেষ করে আমরা এয়ারপোর্টের বাইরে চলে যাই। বাবা আগে থেকেই গাড়ি বুকিং করে রেখেছিলেন। সেই গাড়িতে করে আমরা হোটেলে চলে যাই। হোটেলটাও ছিল অনেক বড়। বিশাল বড় লাউঞ্জ ছিল সেখানে। বাবা হোটেলের রিসিপশনে চেক-ইন সেরে আমাকে নিয়ে যান একটা স্যুটে, যেটি প্রেসিডেন্সিয়াল স্যুটের মতো বিশাল বড়! বাথরুমটাও নরমাল বাথরুমের চেয়ে ৩ গুণ বড়। সেই বিশাল স্যুটে একটা কিং সাইজ বেড ছিল; আর ছিল একটা ফুল ফাংশনিং কিচেন। লিভিং রুমে সোফা এবং ফাঁকা অনেক জায়গা ছিল; তাতে আমার দৌড়াদৌড়ি ও হাঁটাহাঁটির অনেক সুযোগ হয়েছে। সবমিলিয়ে হোটেলের ঐ স্যুটটা আমার খুব ভালো লেগেছে।
রুমে লাগেজ রেখে বাবা আর আমি ফ্রেশ হয়ে হোটেলের টপফ্লোরে গিয়েছি সুইমিংপুল দেখতে। পুলসাইডে কিছুক্ষণ বসে থেকে তারপর স্যুটে ফিরে আসি এবং রেস্ট নিয়ে হোটেলের বাইরে যাই ম্যাকডোনাল্ডসে খাওয়ার জন্য। কারণ বাংলাদেশের বাইরে গেলে আমি কেবল ম্যাকডোনাল্ডসই পছন্দ করি। কিছুক্ষণ খোঁজ করার পরে হোটেল থেকে বেশ খানিকটা দূরে আমরা একটা ম্যাকডোনাল্ডস খুঁজে পেয়েছি। ম্যাকডোনাল্ডসে আমি খুব মজা করে অনেক কিছু খেয়েছি। এরপর বাবা আমাকে নিয়ে ঘুরতে বেড়িয়েছেন; কুয়ালালামপুরের কিছু জিনিস আমাকে দেখিয়েছেন।
বাবা একটা জায়গা খুঁজছিলেন, সেটার নাম ছিল ‘বুকিত বিংতাং’। ওখানে অনেককিছুই ছিল, কিন্তু আমি শুধু খেলনা খুঁজছিলাম। তাই সেখান থেকে বাবা আমাকে অত্যাধুনিক একটা শপিংমলে নিয়ে যান, যেখানে অনেক বড় একটা খেলনার দোকান ছিল; যার নাম ‘টয়েস-আর আস’। দোকানটি খেলনা আর খেলনায় ভর্তি! লেটেস্ট অনেক অনেক আকর্ষণীয় খেলনা। ওখানে বাবা আমাকে একটা বড় লেগো কিনে দেন।
এরপরে আমরা বিশাল একটা লেগো মলে গিয়েছি। লেগো মলে শুধু লেগো আর লেগো। পৃথিবীর নামিদামি কোম্পানির সব লেগো সেখানে ছিল! বাবা ওখান থেকে আমাকে আরেকটি দারুণ সুন্দর লেগো কিনে দিয়েছেন। আরও মজার কথা হলো, আমি ট্যুরিস্ট জানতে পেরে লেগো মল থেকে আমাকে একটা লেগো ফ্রি দিয়ে দিয়েছে। সেই লেগোটা ছোটো, কিন্তু খুবই সুন্দর!
তারপর একজন ট্যাক্সি ড্রাইভারের সাথে বাবা কথা বলেছিলেন, তার নাম ছিল ‘মান্তে’। আমরা মুসলিম ধর্মের এবং ঢাকা থেকে বাবা-ছেলে গিয়েছি জেনে মি. মান্তে খুশি হয়ে বললেন আমরা যতদিন থাকব, তিনিই আমাদেরকে সব জায়গায় নিয়ে যাবেন; পরদিন থেকে আমাদেরকে সবকিছু ঘুরিয়ে দেখাবেন।
এরপর আমরা হোটেল স্যুটে ফিরে এসে দাঁত ব্রাশ করে ঘুমিয়ে পড়ি। পরদিন সকালে উঠে আমরা ব্রেকফাস্ট করে হোটেলের বাইরে এসে দেখি, মান্তে তার গাড়ি নিয়ে আমাদের জন্য অপেক্ষা করছেন। গাড়িতে ওঠার পরে মান্তে আমাদেরকে সানওয়ে সিটি লেগুনে নিয়ে যান, যা ছিল আমাদের হোটেল থেকে অনেক অনেক দূরে। সেখানে অনেক বড় একটা পার্ক ছিল। পার্কের ভেতরে চিড়িয়াখানা ছিল, আরও ছিল ওয়াটারপার্কসহ অনেক কিছু। ওয়াটারপার্কটা ছিল অনেক অনেক বড়। আমি প্রথমে চিড়িয়াখানা দেখেছি। চিড়িয়াখানায় একটা হোয়াইট লায়ন ছিল, লায়নটা বারবার কেমন জানি আমাকে ফলো করছিলো। আমি যেদিকেই যাচ্ছিলাম, সেদিকেই লায়নটা আমাকে ফলো করছিলো। তখন আমি সেখান থেকে সরে বানরদের কান্ডকারখানা দেখতে থাকি, পাখিদের কিচিরমিচির শুনতে এবং উড়াউড়ি দেখতে থাকি।
তারপর আমরা ওয়াটারপার্কে যাই। ওখানে আমি অনেক সুইমিং করেছি, ওয়াটারসøাইড করেছি। ওয়াটারপার্ক থেকে বেরিয়ে একটা বিশাল ট্রেন পেয়ে যাই; কিন্তু সেটা আসল ট্রেন ছিল না, সেটা ছিল অনেক বড় একটা মজার টয়-ট্রেন! সেই টয়-ট্রেনে আমরা অনেক ঘুরেছি। তারপর একটা স্টপেজে নেমেছি। সেখানে একটা সাবওয়ে পেয়েছি, সেটা ছিল একটা স্যান্ডউইচ শপ। অনেক রকমের এক্সক্লুসিভ স্যান্ডউইচ পাওয়া যায় সেখানে। বাবা আমাকে একটা এক্সক্লুসিভ স্যান্ডউইচ কিনে দেন এবং সেটি ছিল ডেলিসিয়াস।
সানওয়ে লেগুন থেকে বের হয়ে আমরা মান্তে এর জন্যে অপেক্ষা করি। কিছুক্ষণ পর মান্তে আসেন তার স্ত্রীসহ। কারণ তার আগেই মান্তের সাথে আমাদের একটা বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক তৈরি হয়েছে। আমি আর বাবা পেছনের দু’সিটে বসি। তারা আমাদেরকে একটি দারুণ সুন্দর এক্যুরিয়ামে নিয়ে যান। এক্যুরিয়ামটা ছিল অনেক বড়। সেখানে ‘স্টারবাক্স’ ইন্টারন্যাশনাল চেইন কফিশপ ছিল; কফি খেয়ে আমরা এক্যুরিয়াম দেখা শুরু করি।
সুন্দর সেই এক্যুরিয়ামে ছিল দারুণ বিচিত্র সব মাছ আর সি-এনিমেল। নাম না জানা কতো যে কালারফুল ফিশ, স্কুইড, অক্টোপাস আরও কত্ত কী! এমনকি ওখানে শার্কও ছিল। ভয়ংকর কিছু স্নেকও ছিল। স্নেকগুলো দেখে আমি খুবই ভয় পেয়েছিলাম। তারপরও আমি এক্যুরিয়ামের পুরোটা ঘুরে ঘুরে দেখেছি। এক্যুরিয়াম দেখা শেষ করে তার পাশের স্যুভেনির শপে যাই। সেখানে আমার পছন্দ মতো কিছু স্যুভেনির কিনে দেন বাবা।
তারপর ট্যাক্সিতে করে হোটেল-স্যুটে ফিরে আসি। হোটেলে ফিরে এসে রেস্ট নেই বেশ কিছুক্ষণ। এরমধ্যে সন্ধ্যা হয়ে গেলে আমরা ডিনার করার জন্য ম্যাকডোনাল্ডসে যাই।
ডিনার সেরে আশপাশ ঘুরে আবার হোটেলে ফিরে আসি। বাবা আর আমি কিছুক্ষণ গল্প করে শুয়ে পড়ি। কিন্তু ঘুমানোর পরপরই আমি জেগে যাই এবং চিৎকার দিয়ে কেঁদে বলতে থাকি, আমারতো টুইন টাওয়ার দেখা হলো না! তখন বাবা আমাকে জড়িয়ে ধরে বললেন, কেন দেখা হবে না! আমি বলালাম সকাল হয়ে গেছে, আমি কখন যাব। বাবা বললেন, না সকাল হয়নি; তুমি না কেবল ঘুমালে, মাত্র আধাঘন্টা হলো; এখন ১১টা বাজে। তখন বাবা আমাকে বুঝিয়ে বলেছেন, এসব তুমি স্বপ্ন দেখেছো। বাবা আমাকে আদর করে জড়িয়ে ধরে আবার ঘুম পাড়িয়ে দেন। টুইনটাওয়ার যাবার জন্য আমি আবারও জেগে যাই এবং কাঁদতে থাকি। বাবা আমাকে বলেন, এখনতো রাত ২টা, টুইনটাওয়ার বন্ধ; আরেকটু পর ভোর হবে এবং তখনই আমরা টুইনটাওয়ারে যাবো। বাবা আমাকে জড়িয়ে ধরে মাথায়-পিঠে হাত বুলাতে থাকলে আমি আবার ঘুমিয়ে পড়ি।
এরপর আমরা খুব ভোরে উঠে পড়ি। তখনও সূর্য ওঠেনি। আমরা একটা গাড়ি নিয়ে টুইনটাওয়ারে চলে যাই। টুইনটাওয়ার অনেক অনেক বড় টাওয়ার। এটা পৃথিবীর মধ্যে খুব বড় টাওয়ার। টুইনটাওয়ারের ইনসাইডও অনেক বড়। এরমধ্যে আছে বহু অফিস, শপিংমল, ক্যাফে, রেস্টুরেন্ট, জিমসহ অনেক অনেক কিছু। ওখানে রেসিংকারও আছে। আমি একটা এফ-ওয়ান রেসিংকার দেখেছি ওখানে।
আমরা খুব ভোরে যখন গিয়েছিলাম, তখন টুইনটাওয়ার বন্ধ ছিল। কয়েকঘন্টা পরে খুলেছে। ততক্ষণ টিকেটের জন্যে বাবা একদিকে অন্য ট্যুরিস্টদের সাথে লাইন ধরেন, আর অন্যদিকে আমাকে ঘুম পাড়ানোর চেষ্টাও করছিলেন। এক পর্যায়ে বাবা ফ্লোরে বসে পড়ে আমাকে তার কোলে ঘুম পাড়ানোর চেষ্টা করলে আমি একটুখানি ঘুমিয়ে আবার উঠে যাই। অন্য ট্যুরিস্টরাও আমাকে ঘুম পাড়াতে তাদের ব্যাগ-চাদর দিয়ে বাবাকে হেল্প করার চেষ্টা করে। তারা বার বার আমাদের দিকে তাকাচ্ছিলো, আমরা বাবা-ছেলে দু’জন বন্ধুর মতো কীভাবে গলাগলি করে বেড়াতে গিয়েছি...।
অনেক প্রসেস পার হয়ে আমরা টুইনটাওয়ারের ভিতরে যাবার জন্যে টিকেট পাই। ঐ সময়ে অনেক দামেও টিকেট পাওয়া যাচ্ছিল না। এমনকি বিদেশি ট্যুরিস্টরাও দিনের পর দিন অপেক্ষা করে তারপর টুইন টাওয়ারের ভিতরে যেতে পেরেছে। এর কারণ তখন কুয়ালালামপুরের স্কুল-কলেজ ছুটি ছিল বলে টাওয়ার ভিজিটে অনেক ভিড় ছিল। আমার দেখার খুব ইচ্ছার কারণে বাবা অনেক ঝামেলা করে বেশি দামে টিকেট নেন।
টিকেট হাতে পেয়ে তারপর আমরা খুশিতে টুইনটাওয়ারের ভেতরে একটা বড় ম্যাকডোনাল্ডসে ব্রেকফাস্ট করি। এরপর সবকিছু ঘুরে ঘুরে দেখছিলাম। ঘুরে দেখার জন্য জায়গায় জায়গায় টুইনটাওয়ারের সুন্দর ম্যাপ দেয়া আছে। সে ম্যাপ দেখেই বোঝা যায় কোনদিক দিয়ে কোথায় যেতে হবে, কীভাবে যেতে হবে।
টুইনটাওয়ার খোলার পর বিভিন্ন চেকপোস্ট পার হয়ে আমরা উপরে যাই। প্রথমে আমাদেরকে নেয়া হয় ৮৬ তলায়; সেখানে কিছু জিনিস দেখার পর আমরা ৪১ তলায় যাই, যেখানে দুই টাওয়ারের মাঝে একটা স্কাইব্রিজ আছে। সেই ব্রিজটা অনেক বড়। ঐ ব্রিজ দেখেই বোঝা যায় যে, টুইনটাওয়ার আসলে কত্ত বড়! মজার ব্যাপার হলো, সেখানে টুইনটাওয়ারের অনেক মিনিয়েচার রেপ্লিকা ছিল। সেই রেপ্লিকাগুলো কাঁচের বক্সের ভেতর রাখা, যাতে কেউ হাত দিতে না পারে। শপিংমলে টুইনটাওয়ারের একটা রেপ্লিকা ছিল, কিন্তু সেই রেপ্লিকাটা ছিল খুব এক্সপেন্সিভ, তাই ওটা আমি কিনিনি।
টুইনটাওয়ারে একটা গ্লোবের মতো সুন্দর বক্স ছিল, বাবা আমাকে বলেছিলেন তুমি কী এটা কিনতে চাও? আমি বলেছিলাম- হ্যাঁ, আমি ওটা কিনতে চাই। তখন ওটার মধ্যে বাবা আর আমার ছবি রাখার সুন্দর সিস্টেম করে দেয় তারা। তবে ছোটো একটা এফ-ওয়ান রেসিংকার আমার খুব পছন্দ হয়েছিলো, যা খুবই এক্সপেন্সিভ। বড় রেসিংকারও ছিল। কিন্তু ছোটো রেসিংকারই এতো এক্সপেন্সিভ। বড় রেসিংকারতো আরও এক্সপেন্সিভ হবে। তাই আর কেনা হয়নি। আমি কিন্তু মন খারাপ করিনি। আমি টুইনটাওয়ার দেখতে পেরেছি এবং উপরে উঠেছি, এতেই আমি অনেক খুশি।
টাওয়ারের বাইরে এসেও ব্যস্ত রাস্তায় আমাকে দাঁড় করিয়ে টাওয়ারের সাথে বেশ কিছু ছবি তুলে দেন বাবা। এরপর খুব কাছে দাঁড়িয়ে বাইরের দিক থেকে টুইনটাওয়ার আরও ভালো করে ঘুরে দেখে আমরা হোটেলে ফিরে আসি। তারপরের ফ্লাইটে ঢাকা ফিরে আসি।
ঢাকা ফিরে এসেও বার বার মনে হচ্ছিলো টুইনটাওয়ার আর কুয়ালালামপুর এর মজার ট্যুরটার কথা। মনে হচ্ছিলো, আবার যদি বাবার সাথে মালয়েশিয়া ট্যুরে যেতে পারতাম! মালয়েশিয়া ট্যুরে নিয়ে গিয়ে আমার ছোট্ট মনের আবদার পূরণের জন্য প্রিয় বাবার প্রতি অনেক অনেক ভালোবাসা।