॥ ওয়াসির হেলাল ॥
৪র্থ শ্রেণি, সহজপাঠ স্কুল
আমি আমার বাবার কাছে যেটাই চাই, সেটাই দিয়ে থাকেন। তবুও আমি ভাবতে পারিনি যে, দুবাই যাবার কথা বললেই বাবা আমাকে নিয়ে যাবেন। কারণ বাবা বহুদেশ ঘুরলেও তখনো দুবাই ভ্রমণ করেননি। তবে এমিরেটস এয়ারলাইন্সের ট্রান্সজিট প্যাসেঞ্জার হিসেবে তাকে অনেকবারই দুবাইয়ের হোটেলে থাকতে হয়েছে। তন্মধ্যে একবার আমার আপিকে নিয়ে লন্ডন যাওয়ার পথে দুবাই ট্রানজিটে একটি হোটেলে এক রাত ছিলেন, তখন আপি ছোট্ট শিশু ছিল। এছাড়া আমাদের পরিবারের অন্যকেউ দুবাই যায়নি। সে হিসেবে আমাকে নিয়েই বাবার প্রথম দুবাই সফর। এটি আমার নিকট খুবই গর্বের।
আমার অনুরোধে বাবা আমাকে দুবাই নিয়ে যাবে, এটা শোনার পর থেকে ঠিকমতো ঘুমই হচ্ছিলো না আমার। কবে যাবো, কখন যাবো, এসব ভেবে যখন আমি অস্থির হয়ে দিন কাটাচ্ছিলাম, ঠিক তখনই এসে গেল সেই আনন্দময় দিন। ব্যাগ গুছিয়ে আমি রেডি হয়ে নিলাম। প্রথমে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে গেলাম। সেখানে বাবা আর আমি চেক-ইন করি এবং ইমিগ্রেশন পার হই।
বাবার সাথে বিভিন্ন ক্রেডিট কার্ড থাকে। যেমন এমেক্স প্লাটিনাম কার্ড, ব্র্যাক ব্যাংক সিগনেচার কার্ড প্রভৃতি। সেই কার্ড দিয়ে বিভিন্ন এয়ারপোর্টের ভিআইপি লাউঞ্জে বাবার সাথে ৫/৬ জন নানান সুবিধা উপভোগ করতে পারে। যেখানে থাকে কন্টিনেন্টাল বিভিন্ন ফুডসহ অনেকগুলো সুবিধা। তাছাড়া বাবার কাছে এমন একটা Priority Pass আছে, যা দিয়ে বাংলাদেশের বাইরেও ইন্টারন্যাশনাল সব এয়ারপোর্টে বিভিন্ন প্রায়োরিটি সুবিধা ভোগ করা যায়। বাবার সাথে আমি বিদেশে গেলে সেই Priority Pass এর নানা সুবিধা, মজা ও সম্মান উপভোগ করি। এয়ারপোর্টে গেলে চেক-ইন ও ইমিগ্রেশন সেরেই বাবা আমাদের নিয়ে VIP Lounge এ চলে যান; সেখানে বহু দেশের মজার মজার খাবার-দাবার (Continental food)সহ অনেক কিছু এনজয় করা যায়।
সেইরূপ দুবাই যাওয়াকালীনও ঢাকা এয়ারপোর্টে চেক-ইন এর পর আমরা ভিআইপি লাউঞ্জে চলে গেলাম। সেই লাউঞ্জের সবই ছিল চমৎকার। কিন্তু আমার মতো ছোটদের সুবিধাজনক খাবারের টেবিল নেই, শুধু বিভিন্ন রাজকীয় সোফা আছে। যেখানে বসে পাশে প্লেট রেখে খেতে হয়, যা ছোটদের জন্যে অসুবিধা।
ওখানে যে বুফে ছিল, তা দিয়ে আমরা ব্রেকফাস্ট করি। বুফে-রাজ্যের খাবার থেকে যেগুলো আমার খুব পছন্দের, বেছে বেছে শুধু সেগুলো মজা করে খেয়েছি।
দুপুরে আমাদের ফ্লাইট ছিল, কিন্তু জার্নিটা শুরু থেকেই এনজয় করতে আমরা সকালেই এয়ারপোর্টে যাই। ফ্লাইটের অনেক দেরি হওয়ায় লাউঞ্জে আমরা অনেকক্ষণ ছিলাম। ভিআইপি লাউঞ্জে অনেকরকম মানুষের নানান কর্মকা- দেখতে দেখতে সময়টা কেটে যাচ্ছিলো। এভাবে লাউঞ্জে সময় কাটাতে কাটাতে কখন যে দুপুর পেরিয়ে গেছে, টেরই পাইনি।
প্রায় বিকেলের দিকে এনাউন্সমেন্টের পর আমরা প্লেনে ওঠার জন্য বোর্ডিংয়ে দাঁড়ালাম। বেশিক্ষণ দেরি না করেই প্লেনে উঠে গেলাম। এখানে একটা কথা বলে রাখি, বোর্ডিংয়ের সময়ে সবাই যেখানে দ্রুত প্লেনে ওঠার জন্য ব্যস্ত হয়ে যায়, সেখানে আমার বাবা তার উল্টোটা করেন। তিনি লাইন থেকে একটু দূরে ধীর-স্থির অপেক্ষা করেন এবং সবার ভিড় শেষ হলে বোর্ডিংয়ে পাসপোর্ট ও টিকিট দেখিয়ে দ্রুত প্লেনে ওঠেন। এতে দীর্ঘসময় ধরে লাইনে দাঁড়িয়ে ধীরে ধীরে এগুতে হয় না, শিশুদের নিয়ে কষ্ট করতে হয় না। তাছাড়া যারা তাড়াহুড়ো করে আগে উঠেছে, তাদের নিয়ে প্লেনতো আর আগে দুবাই যাবে না। এই টেকনিকটা সেইদিন প্লেনে ওঠার আগে বাবা আমাকে বুঝিয়ে বললেন এবং বাবার এরূপ টেকনিকের কারণে সব এয়ারপোর্টেই বোর্ডিংয়ে আমার কষ্ট কম হয়েছে। বাবার সাথে কোথাও ঘুরতে গেলে এরূপ অনেক নতুন নতুন কিছু জানা যায়, শেখা যায়।
আমাদের প্লেনটা ছিল বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। ঢুকে দেখলাম, প্লেনটা অনেক বড়। সিটের সামনের স্ক্রিণে অনেক কিছু করা যায়, গেমও খেলা যায়। আমি মজার মজার সব গাড়ির গেম খেলেছি। একটু পরে প্লেনটা টেকঅফ করলো। প্লেন কিছুক্ষণ রানওয়ের ওপর দিয়ে ছুটে তারপর আকাশে উড়লো। কিছুক্ষণের জন্য ঢাকার আকাশ দেখতে পেলাম। তারপর প্লেন আমাদের নিয়ে গেল অনেক উপরে, যেখানে আকাশ ও মেঘ ছাড়া কিছুই দেখা যায় না। তখন আমি সিটের সামনের স্ক্রিণে একটা মুভির অর্ধেকটা দেখেছি, আরও অন্য কয়েকটা গেম খেলেছি। কিছুক্ষণ পর আমাদেরকে রিফ্রেসমেন্ট এবং তারও কিছুক্ষণ পর রাতের খাবার দিল। তবে আমার এ লেখা যারা পড়বেন, তাদেরকে কানে কানে বলে রাখছি, বাংলাদেশ বিমান এর খাবারটা খুব বেশি মজার ছিল না। যেরূপ মজার খাবার অন্যান্য ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সে ভালো লেগেছিলো। আমার বাবা খাবারের একবিন্দুও অপচয় করা পছন্দ করেন না। তাই তিনি খাবারটা শেষ করার চেষ্টা করেছিলেন। গেম খেলতে খেলতে, মুভি দেখতে দেখতে আর বাবার সাথে গল্প করতে করতে কখন যে আমার ঘুম এসে গিয়েছিলো, তা টেরই পাইনি।
একসময়ে বাবা আমাকে আদর করে কানের কাছে বলছিলেন ওয়াসির, তোমার দুবাই এসে গেছে। জেগে দেখি, আমাদের প্লেন দুবাই এয়ারপোর্টে ল্যান্ড করেছে। তখন অনেক রাত। আমরা প্লেন থেকে নামলাম।
টারমার্ক পেরিয়ে দুবাই এয়ারপোর্ট টার্মিনালের অভ্যন্তরে চলে এলাম। ভিতরে প্রবেশ করেই আমি হতবাক হয়ে গেলাম দুবাই এয়ারপোর্টের সৌন্দর্য দেখে। আলিশান কাঁচঘেরা টার্মিনালের অনেক ওপরে উঠে গেছে মোটা মোটা সুবিশাল পিলার! যেনো ওগুলো কাঁচের তৈরি! কী দারুণ ঝকমক করছে! ওখানে ইমিগ্রেশন পার হয়ে Airport Train এবং People Mover Escalator এ করে বাইরে এসে দেখলাম, রাতের অপূর্ব দুবাই নগরীর আলো ঝলমলে সৌন্দর্য!
ঢাকা থেকেই বাবা আমাদের জন্য ট্রান্সপোর্ট ঠিক করে গিয়েছিলেন। সেই গাড়িতেই আমরা হোটেলে যাচ্ছিলাম। গাড়িটা ছিল অনেক লাক্সারিয়াস, লেটেস্ট মডেলের; যেখানে আমাদের দেশের এয়ারপোর্ট ট্যাক্সিগুলো থাকে পুরোনো। এয়ারপোর্ট থেকে হোটেলে যেতে যেতে আমি অনেকগুলো স্পোর্টস কার দেখেছি। ওগুলো দেখে আমি অনেক এক্সসাইটেড হচ্ছিলাম। হোটেল এরিয়ায় এসে গাড়ি থেকে নামার পরও বেশকিছু স্পোর্টস কার দেখেছি। বাবা হোটেলে চেক-ইন করার জন্য যতই ব্যস্ত হয়ে উঠছিলেন, আমি স্পোর্টস কারের প্রতি ততটা এক্সসাইটেড হয়ে বাবাকে ডেকে বললাম বাবা, তাড়াতাড়ি আসো; দেখো, কী সুন্দর গাড়ি! আমার কথামতো বাবা চেক-ইন বাদ দিয়ে গাড়ির কাছে যান এবং গাড়িগুলোর সাথে বিভিন্ন এঙ্গেলে আমাকে দাঁড় করিয়ে সুন্দর সুন্দর ছবি তুলে দেন।
তারপর হোটেলে গিয়ে আমরা চেক-ইন করি। রুমে গিয়ে দেখি, বিশাল বড় একটা রুম। বাবার একটা অভ্যাস হচ্ছে, কম জিনিস কিনতে পারেন না এবং ছোট রুমে থাকতে চান না। তাই তিনি সব জায়গায়ই বড় রুম কিংবা স্যুট বুকিং দিয়ে রাখেন। এর আগে বাবার সাথে কুয়ালালামপুর গিয়ে সেখানেও আমরা মাত্র দু’জন একটা ফাইভ স্টার হোটেলের বিশাল ফ্যামিলি স্যুটে ছিলাম। যেখানে বিরাট কিচেন, ফোর বার্নার চুলা, ২টি ফ্রিজ, ডাইনিং রুম, লিভিং রুম ছিল; এমনকি ওয়াশরুমটাই ছিল একটা বড় বেডরুমের সমান।
তবে দুবাইয়ের এ হোটেল-রুমটা কুয়ালালামপুরের মতো অত বিশাল ছিল না, কিন্তু সুন্দর ছিল। জার্নি করে আমরা খুব ক্লান্ত ছিলাম। তাছাড়া রাতের ডিনারতো আমরা প্লেনেই খেয়ে নিয়েছি, তাই দাঁত ব্রাশ করে আমি শুয়ে পড়লাম। যদিও বাবার লাগেজ গোছানোর অনেক কাজ ছিল; তবুও আমাকে আদরে ঘুম পাড়ানোর জন্য বাবা লাইট অফ করে আমার পাশে শুয়ে গেলেন আর আমি বাবার গলা জড়িয়ে ধরেই ঘুমিয়ে গেলাম।
সকালে ঘুম থেকে উঠে বুফে ব্রেকফাস্টে যাই। বেছে বেছে কিছু মজার আইটেম খেয়েছি। তারপর আমাদের দুবাই দেখার এক্সাইটিং পর্বের শুরু। ঢাকা থেকেই বুকিংকৃত ট্যুর-বাসে করে দুবাই সিটি ঘুরে দেখেছি। প্রথমে গিয়েছি বুর্জ আল আরবে। বুর্জ আল আরব দেখতে ঠিক পালতোলা নৌকার মতো। সাগরের মাঝখানে যেনো একটা পালতোলা নৌকা ভেসে আছে। বুর্জ আল আরব সমুদ্রের ভেতরে কৃত্রিম একটি দ্বীপের উপর নির্মাণ করা হয়েছে। বুর্জ আল আরব দেখা শেষে কাছেই একটা বীচে গেলাম। বীচটা ছোট হলেও বেশ সুন্দর ছিল।
বীচে ঘুরে দেখার পর আমাদের খিদে পেয়েছিল। বিদেশে গেলেই আমি যেহেতু শুধু ম্যাকডোনাল্ডস খেতে বেশি পছন্দ করি; তাই বাবা অনেককে জিজ্ঞাসা করেছেন, কাছাকাছি ম্যাকডোনাল্ডস কোথায়? কেউ বলে এদিকে, আবার কেউ বলে ওদিকে। ম্যাকডোনাল্ডস খুঁজতে গিয়ে আমাদের হোটেলের কাছেই আরেকটা হোটেল পেয়েছি, ওটার নাম ফরচুন গ্র্যান্ড হোটেল। আর আমরা যে হোটেলে ছিলাম সেটার নাম ফরচুন পার্ক হোটেল, এটিও ফোর স্টার হোটেল। ফরচুন গ্র্যান্ড হোটেলটাও চমৎকার ফোর স্টার হোটেল। সেখানে জিজ্ঞাস করে আমরা ম্যাকডোনাল্ডসের খোঁজ পেলাম।
ম্যাকডোনাল্ডসে লাঞ্চ করে কাছেই একটা শপিং মলে যাই খেলনা কেনার জন্য। কিন্তু সেখানে আমার পছন্দের ভালো খেলনা না থাকায় বাবা আমাকে জামা-কাপড়সহ বিভিন্ন জিনিস কিনে দিয়েছেন। এরপর আমি কীভাবে যে সেই মার্কেটের ভেতর হারিয়ে গেলাম! ওয়াসির ওয়াসির বলে চিৎকার করে বাবা আমাকে ডাকছিলেন। পরে খোঁজাখুঁজি করে আমাকে পেয়েছেন। তারপর আমরা হোটেলে ফিরে আসি।
পরদিন সকালে ব্রেকফাস্ট করে আমরা দুবাই শপিং মলে গেলাম। দুবাই মলটা অনেক বড়। আমার কাছে মনে হলো, সেটাও একটা বিশাল শহরের মতো; সফেসটিকেটেড অনেক দোকান। তন্মধ্যে খেলনার একটা বিশাল দোকান পেলাম। সেই দোকানটা এতই বড় যে, আমাদের দেশের বসুন্ধরা শপিং মলের প্রায় পুরো এক তলার সমান। বাবা আমাকে পুরো শপটা ঘুরেঘুরে দেখালেন এবং সেখান থেকে আমার পছন্দমতো ২টি এক্সক্লুসিভ খেলনা কিনে দিলেন। তাছাড়া সেখানে বিভিন্ন বড় বড় খেলনার সাথে ছবি তুলে দিলেন।
তারপর বুর্জ খলিফা দেখতে যাই। বুর্জ খলিফাও অনেক বড়! দুবাই সিটির সবচেয়ে উঁচু বিল্ডিং এটি। এমনকি বুর্জ আরব আর দুবাই শপিং মলের চেয়েও অনেক বড়। বুর্জ খলিফায় আমি ঢুকতে চেয়েছিলাম, কিন্তু ঢুকতে পারিনি। কারণ বুর্জ খলিফার টিকেট আগেই কাটতে হয়, আর টিকেট কাটতে গেলে অনেক বড় লাইনে দাঁড়াতে হবে। ওদিকে আমাদের আবার সেইদিনই দুবাই ছেড়ে চলে আসার কথা। সেখানে একটা দারুণ একুরিয়াম দেখেছি। একুরিয়াম দেখার পর একটা চমৎকার রেস্টুরেন্টে গিয়েছি। রেস্টুরেন্টে ছিল জাংগল থিম। সেখানে অনেক বনজঙ্গলের দৃশ্য ছিল। সেগুলো আমি খুব উপভোগ করেছি। রেস্টুরেন্টে নাস্তা খেয়ে আমরা আবার পুরো শপিং মলটা ঘুরেঘুরে দেখেছি এবং অনেক শপিং করেছি। তারপর মেট্রোরেলে করে আমরা হোটেলে ফিরে আসি। ফিরে আসার পথে এবং দুবাইয়ের বিভিন্ন জায়গায় ঘোরাঘুরির সময়েও দেখেছি, সেখানে অনেক স্পোর্টস কার ও সুপার কার রয়েছে; আরও দেখেছি অনেকগুলো ফেরারি কার।
হোটেলে ফিরে ব্যাগ গুছিয়ে আমরা এয়ারপোর্টে যাই। চেক-ইন ও ইমিগ্রেশনের পর বাবা আমাকে অনেক বড় একটা ঠওচ লাউঞ্জে নিয়ে গেলেন। সেখানে অনেক স্পেস; দৌড়াদৌড়ি করার অনেক সুবিধা ছিল। অনেকগুলো সিট ছিল সেখানে। মনে হয়, একশ’রও বেশি মানুষ বসতে পারবে। সেখানেও একটা বিরাট বুফে ছিল। বুফেতে আমি অনেক রকমের স্ন্যাকস খেয়ে নিয়েছি। সেই ঠওচ লাউঞ্জে আমরা দুই তিন ঘন্টার মতো ছিলাম। তারপর আমাদের প্লেনের এনাউন্সমেন্ট হয়। বাবা আর আমি বোর্ডিং হয়ে প্লেনে উঠি। প্লেনে বসে নিজ সিটের সামনের স্ক্রিণে অনেকগুলো মজার গেম খেলেছি। এরই মধ্যে রিফ্রেসমেন্ট ও খাবার দিয়ে গেল এয়ারহোস্টেস। অল্প খাওয়ার পর আমি কখন যে ঘুমিয়ে পড়েছি, একটুও টের পাইনি। ঘুম যখন ভাঙলো, তখন জেগে দেখি- আমরা ঢাকায় পৌঁছে গেছি!
দুবাইয়ের এই ট্যুরটা আমার খু-উ-ব ভালো লেগেছে। মনে হয়েছে, আহ! এতো তাড়াতাড়ি শেষ হয়ে গেল দুবাইয়ের এই ট্যুর! শুধু আমার ইচ্ছা পূরণের জন্য বাবা আমাকে দুবাই ট্যুরে নিয়ে যাওয়ায় বাবাকে অনেক অনেক ভালোবাসা জানাই।