পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজির আহমেদ বলেছেন, সাংবাদিকদের কাছে আমরা গঠনমূলক সমালোচনা চাই, ক্রিয়েটিভ রিপোর্ট চাই না। বস্তুনিষ্ঠ ফ্যাক্ট নির্ভর রিপোর্ট চাই, রিপোর্টে আমরা কোনো সাহিত্য রচনা প্রত্যাশা করি না।
সম্প্রতি বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স এসোসিয়েশনের (ক্র্যাব) বার্ষিক সাধারণ সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
আইজিপি বলেন, গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থাকে সুসংহত করার জন্য বিগত দিনে যে আন্দোলন-সংগ্রাম হয়েছে, সেখানে রাজনীতিবিদ ও দেশের আপামর জনগণের সঙ্গে সাংবাদিকরাও সমানতালে কাজ করেছেন। আমাদের স্বাধীনতা পূর্ব এবং স্বাধীনতা উত্তরকালে সাংবাদিকরা তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা এবং গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন।
আইজিপি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর রূপকল্প-২০৪১ বাস্তবায়নের আর ২১ বছর বাকি আছে। আমরা ২০৪১ সালে উন্নত দেশে পরিণত হবো। উন্নত দেশের উপযোগী পুলিশ গড়তে আমরা কাজ শুরু করেছি। আমরা পুলিশকে দুর্নীতিমুক্ত, মাদকমুক্ত করতে চাই। পুলিশ ব্রুটালিটি নিয়ে আমরা সংবাদপত্রে খবর হতে চাই না।
তিনি বলেন, আমরা ভালো কাজে আপনাদের উৎসাহ চাই, সহযোগিতা চাই। কোনো পুলিশ সদস্য খারাপ কাজ করলে বস্তুনিষ্ঠ ফ্যাক্ট তুলে ধরুন। ওই সদস্যকে আমরা কোনো ছাড় দিব না।
আগামীতে দেশ, রাষ্ট্র, গণমানুষের প্রয়োজনে ও পরবর্তী প্রজন্মের জন্য সুবর্ণ সময় রেখে যাওয়ার লক্ষ্যে পুলিশ এবং সাংবাদিক হাতে হাত ধরে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন আইজিপি।
তিনি বলেন, গণতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থায় ভিন্ন মত ও পথ থাকবে। কিন্তু জাতীয় অর্জন, রাষ্ট্র ও সমাজের ক্ষেত্রে ১৬ কোটি মানুষের ৩২ কোটি হাত একসঙ্গে থাকতে হবে।
র্যাব মহাপরিচালক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, পুলিশ এবং সাংবাদিকতা উভয় পেশাই ঝুঁকিপূর্ণ। সাংবাদিকরা ঝুঁকি নিয়ে করোনাকালে জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে তথ্য দিয়ে সম্মুখযোদ্ধা হিসেবে কাজ করেছেন।
তিনি বলেন, সাংবাদিকদের সঙ্গে র্যাবের পারস্পরিক সৌহার্দ্যপূর্ণ পেশাগত সম্পর্ক আগামীতে আরও সুদৃঢ় হবে।
ক্র্যাব সভাপতি আবুল খায়ের বলেন, পুলিশ মানবিকতার ঊর্ধ্বে উঠে করোনাকালে জনগণকে সেবা দিয়েছে। পুলিশের সঙ্গে সাংবাদিকদের সৌহার্দ্যপূর্ণ পেশাগত সম্পর্ক রয়েছে এবং ভবিষ্যতেও তা অব্যাহত থাকবে।