যেকোনো মানুষের গুণগত মান-মননের কিংবা তার সামগ্রিক উৎকর্ষতার প্রথম পরীক্ষা-পর্বই হচ্ছে সততা। তাই সততার বহ্নিশিখায় প্রজ্জ্বলিত জীবনই হচ্ছে উন্নত-মহৎ জীবন। উন্নত বিশেষ মানুষরূপে কাউকে পরিমাপের প্রথম প্যারামিটার হচ্ছে তার মধ্যে থাকা সততা ও ন্যায়নিষ্ঠা। অন্যকথায় যে মানুষের সততা যত কম, সে মানুষ ততটাই নিকৃষ্ট।
মানবজীবনে সততার রয়েছে নানা মহল, নানা অন্দর, নানা ক্ষেত্র। তন্মধ্যে সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রটি হচ্ছে হালাল আয়-রোজগার। অসৎ পথে অর্থ উপার্জন করা মানে তার আহার, নিবাস, ঘর-সংসার, পরিধেয়সহ সকল ভোগ-বিলাস এবং দান-সদকাসহ যাবতীয় ব্যয় -এমনকি জীবনযাপনও হয়ে যায় দূষিত, পাপ-পঙ্কিলময়।
আমাদের সকল উপার্জন হতে হবে সৎপথে ও হালাল আয়ে। সংসারে আয়ের কিছু অংশ হালাল আর কিছু অংশ হারাম হলে সেই হালাল অংশটুকুও হয়ে যায় দূষণীয়, সেখানে রহমত-বরকত টিকে থাকে না। এক বালতি দুধের উপরিভাগে এক ফোঁটা গোচনা পড়ে গেলে ঐ সম্পূর্ণ দুধ যেমনি খাওয়ার অযোগ্য হয়ে যায়, সংসারে হারাম ও হালাল আয়ের মিশ্র উপার্জনও তেমনি রহমতের স্থলে ধ্বংস ডেকে আনে।
আমার প্রত্যক্ষ জানামতে তেমনি ধ্বংস হওয়া একটি পরিবারের সকরুণ কাহিনী এখানে তুলে ধরছি, যা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের সতর্ক-সাবধানতায় শিক্ষণীয় দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে বলে বিশ্বাস।
উচ্চশিক্ষিত দম্পতি ড. শাফায়েত ও ড. নাইমা। দীর্ঘ ২৪ বছর বিবাহিত জীবন কাটানোর পরও শেষতক টিকে থাকেনি তাদের সংসার। এ সংসার টিকে না থাকার অন্যতম কারণ হচ্ছে স্ত্রী ড. নাইমার হারাম উপার্জন। ড. নাইমা সরকারি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা হিসেবে মাসশেষে নিয়মিত উচ্চহারে বেতন পায়। এটি তার হালাল উপার্জন। এই উপার্জনকে বৈধ করার জন্য তাকে প্রতি কর্মদিবসে ৯টা থেকে ৫টা অবধি অফিস-কার্যক্রমে নিবিষ্ট থাকা উচিৎ এবং সততা ও নিষ্ঠার সাথে অফিসের সকল দায়-দায়িত্ব পালন করা অত্যাবশ্যক। অর্থাৎ এই ৯টা-৫টা অফিস টাইমে শুধুমাত্র উক্ত বেতন সংক্রান্ত কাজগুলোই তাকে করতে হবে এবং ঐ বেতন-সময়ের মধ্যে অন্য কোনো কাজ ও আয় হারাম বলে গণ্য। কারণ উক্ত বেতনের বিনিময়ে তার এই ৯টা-৫টার সময় ও শ্রম ক্রয় করে নিয়েছে সরকারের ঐ দপ্তর। অথচ ড. নাইমা এবং তার মতো কিছু কর্মকর্তা ঐ সময়ের মধ্যে এই বেতন-সম্পৃক্ত কাজের বাইরে অন্যকাজ করে যেই টাকা কামায়, সেই টাকা অবৈধ উপার্জন তথা হারাম আয় নয় কি?
ড. নাইমা তার সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের পদ-পদবী ও পরিচয়-সুনাম ব্যবহার করে কর্মস্থলে বসেই তথা এ প্রতিষ্ঠানের সকল লজিস্টিক্স (অফিস স্পেস, আইটি, স্টেশনারী, অধস্তন জনশক্তি, বিদ্যুৎ, পানি ইত্যাকার) ব্যবহার করে অফিস সময়ে বিভিন্ন কনসালটেন্সি করে বিপুল উপরি টাকা কামাচ্ছে বিগত দু’দশক থেকে। এরূপ কনসালটেন্সি ও অর্থ উপার্জন কি বৈধ হতে পারে? সরকারি উচ্চপদে তার স্থায়ী ও নিয়মিত চাকরির পরও এসব নানাবিধ কনসালটেন্সি ও পদ-পদবী কোনোক্রমেই বৈধ কিংবা হালাল নয়। বিশেষত ঐ একটি স্থায়ী ও নিয়মিত চাকরি কিংবা উপার্জনের বাইরে ১টি কাজ বা ১টি কনসালটেন্সি করলেও তার মূল চাকরির টাকা জায়েজে বা হালালে কম সমস্যা হতো। কিন্তু তিনি ও তার মতো কিছু অসাধু উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা মোটা বেতনে স্থায়ী ও মূল চাকরি যদি করে ১টি, তার সাথে লাগিয়ে ঐ মূল চাকরির অধিকাংশ সময় ব্যয় করে এবং অফিসের বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধার যথেচ্ছ ব্যবহারে উপরন্তু আরো বাড়তি চাকরি করে ৫/৭টি। এটি মগের মুল্লুকের মতো ক্ষমতা অপব্যবহারের চরম দুর্নীতি নয় কি?
কখনো-সখনো জনমনের কোনো কোনো প্রশ্নের মুখোমুখি হয়ে এসব কর্মকর্তা নিজের বিবেকের দিকে না গিয়ে ঊর্ধ্বতনের অনুমতির দোহাই দেখিয়ে এরূপ অর্জন জায়েজ বলে পার পেতে প্রয়াসী হয়ে থাকে। কিন্তু তাদের যেই ঊর্ধ্বতনগণ এরূপ সুযোগ-সুবিধা ও অনুমতি দেন, সেই কর্তৃপক্ষও এদের সাথে এই অন্যায়ের সংশ্লিষ্ট বলে গণ্য নন কি? কারণ এদের প্রকৃত ও মূল যে স্থায়ী চাকরি, তা কিন্তু জনগণের বিষয় তথা জনস্বার্থ সংশ্লিষ্ট। অর্থাৎ তাদের চাকরি জনগণ থেকে, জনগণের নিয়োজিত এবং জনগণের জন্য। সেই কারণে ঊর্ধ্বতন ব্যক্তি-বিশেষের অনুমোদন কিংবা কোনো ব্যক্তি-ইচ্ছার সকল অনুমোদন বিশেষত কোনোরূপ অনৈতিক-অন্যায় অনুমোদনকে জনগণের অনুমোদন বলা যাবে না এবং তা নিরপেক্ষ জ্ঞানে-যুক্তিতে-বিজ্ঞানে কিংবা ধর্মে অন্যায় বলে প্রতিভাত হওয়ায় ঐ অনুমোদনও অন্যায় বলে পরিগণ্য। এক্ষেত্রে স্রষ্টার ধর্মবিধান ও নিরপেক্ষ বিচারিক মানুষের বিবেক হচ্ছে শ্রেষ্ঠ আদালত এবং শীর্ষ বিচার। জননিয়োগকৃত এরূপ নিরপেক্ষ কোনো বিচারিক বিবেক কিংবা ৩য় নিরীক্ষক (Auditor) দ্বারা এদের আয়-ব্যয় হিসাবভুক্ত কিংবা যাচাইকৃত নয় বলে এ আয় কালো তালিকাভুক্ত, তথা অন্যায় ও অবৈধ।
স্রষ্টার হিসাব কিংবা জনগণের হিসাবের বাইরে এরূপ অস্বচ্ছ, অস্পষ্ট, অস্পৃশ্য যেকোনো অর্থ ও কর্মকান্ড হারাম বলে পরিগণ্য; ঠিক যেমনি দু’নরনারীর পারস্পরিক সম্মতিতে তাদের মধ্যকার একান্ত মিলনও আল্লাহর কাছে এবং জনগণের কাছে অবৈধ ও পাপ, যতক্ষণ না তারা তাদের ঐ মিলনকে আল্লাহর নামে ও সাক্ষীতে এবং জনপ্রতিনিধি কিংবা সমাজ প্রতিনিধির সাক্ষ্য ও স্বচ্ছতায় বৈধ না করেন।
এভাবে সাধারণ জনগণের কষ্টার্জিত অর্থে পরিচালিত সরকারি প্রতিষ্ঠানে স্থায়ী চাকরির বিনিময়ে মাসিক নিয়মিত বেতন তোলার পরও ঐ বেতনের বহুগুণ হারে নিয়মিত কনসালটেন্সি করে তা থেকে উচ্চহারে যে অর্থ উপার্জন করে চলেছে ড. নাইমা, তা কোনোক্রমেই বৈধ নয়। সরকারি কোষাগার থেকে উত্তোলনকৃত ড. নাইমার নিয়মিত উচ্চ বেতনের উপরি এই বিপুল আয় যদি বৈধই হতো, তাহলে ডাক্তাররা সরকারি হাসপাতালে চাকরি করলেও ঐ একই কর্ম-সময় অন্যত্র বিনিয়োগে তথা প্রাইভেট চেম্বারে কিংবা আরো অনেকগুলো প্রাইভেট ক্লিনিকে আরেক পদবী হাঁকিয়ে সেখান থেকে অর্থ উপার্জন করাও কি বৈধ হতো না? একইভাবে সরকারের একজন সুযোগ্য সচিব তাঁর বহুমুখী গুণ-মর্যাদা-দক্ষতা ব্যবহার করে অন্য বহু দপ্তরে কনসালটেন্সি করে কিংবা সরকারি অফিসে বসে এবং ঐ অফিসের লজিস্টিক্স, সুনাম ও পদ-পদবী ব্যবহার করে বিপুল অর্থ উপার্জন করতে পারতেন। তাই অনুরূপ ব্যাপক ক্ষমতাবান সচিবগণের ক্ষেত্রে যদি বেতনের বাইরে কোনো টাকা উপার্জন দুর্নীতি দমন কমিশনের কাছে অবৈধ বা অন্যায় বলে গণ্য হয়Ñ তাহলে ড. নাইমা কর্তৃক তার সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের বেতনের উপরি এত বিপুল টাকা আয় করা অবৈধ ও অন্যায় নয় কি? এ অবৈধতাকে সরকারি বিধি ও আইনের ফাঁকফোকরে বৈধ বলে কিংবা নাইমার আন্তঃঅফিস-কর্তৃপক্ষীয় অনুমোদিত বলে চালিয়ে দিতে আপাত সক্ষম হলেও ধর্ম তথা ইসলামের দৃষ্টিতে, আল কোরআন অনুযায়ী তা একেবারেই অবৈধ ও হারাম।
পবিত্র কোরআনে সুরা বাকারা, আয়াত ১৭২ এ মহান আল্লাহ বলেছেন- ‘হে মুমিনরা, আহার করো আমি তোমাদের যে হালাল রিজিক দিয়েছি তা থেকে এবং আল্লাহর জন্য শোকর করো, যদি তোমরা তাঁরই ইবাদত করো।’ দৈনিক কালের কন্ঠ পত্রিকায় ৫ জুলাই ২০২০ তারিখে অবৈধ উপার্জন সম্পর্কি একটি লেখা প্রকাশিত হয়। মুফতি মুহাম্মদ মর্তুজার লেখা এ কলাম অনুযায়ী- ‘অবৈধ উপার্জনের ৮টি ক্ষতিকর দিক নিম্নরূপ-
i) দোয়া কবুল হয় না ii) বরকত কমে যায় iii) অনিবার্য ধ্বংস iv) আল্লাহর অসন্তুষ্টি v) রাসুল (সাঃ) এর অভিশাপ vi) কবরের শাস্তি vii) আখিরাতের শাস্তি viii) দান-সদকা কবুল হয় না।’
এ থেকে বোঝা যায়, হারাম উপার্জন মানুষের দুনিয়া-আখিরাত সবকিছু ধ্বংস করে দেয়। এরপরও কিছু মানুষ এই কাজটি করে যাচ্ছে। এখন অনেকেই চাকরি করার আগে সেখানে বৈধ বেতনের সঙ্গে অবৈধভাবে কত টাকা উপরি উপার্জন করতে পারবে, সে হিসাবও করে থাকে।
ড. নাইমার মতো এরূপ কিছু ভোগবাদী মানুষ লোভ-লালসায় পড়ে আপাত ক্ষমতার জোরে অবৈধ উপার্জন করার ফলে স্বাভাবিকভাবেই সমাজে ধনী-গরিব শ্রেণিবৈষম্য তৈরি হয়ে যায়। সহজ শ্রমে বিপুল আয়ের কারণে এরূপ গুটিকতক মানুষের কেনার ক্ষমতা (Buying Capacity) অত্যধিক, এমনকি মাত্রাতিরিক্ত হয়ে পড়ার প্রভাব-প্রতিক্রিয়ায় সমাজের অন্য অনেক মানুষের কেনার ক্ষমতা ও সুযোগ একেবারেই নিম্নপর্যায়ে চলে যায়। অন্যদিকে ক্রয়-ক্ষমতা ও অর্থ-ক্ষমতা হারিয়ে ফকির-ভিক্ষুকে পরিণত হয়ে যায় বহু মানুষ। ঐ শোষিত-বঞ্চিত-নিপীড়িত-নিষ্পেষিত মজলুম জনতার রুদ্ররোষে কিংবা রাজনীতি-প্রশাসনের কোনো দেশপ্রেমী নীতিবানের জিজ্ঞাসার চাপে পড়ে অথবা দায়িত্বশীল ও মানবতাবাদী কোনো বিচারপতির বিচারে পড়ে কোনো না কোনো সময়ে এদেরকে অতীতের সব কামাই ফেরত দিতে হয় শাস্তিসহ। বিষয়টি অনেকটা এক বোদ্ধা কবির এমনই সতর্ক বার্তার মতো-
রক্তচোষা ওরে মশা, শুনে রাখ ভাই
এক থাপ্পড়ে খেয়ে দেবো জীবনের কামাই।
অতিরিক্ত অর্থের এমনই বৈভবে ও প্রভাব-প্রতিপত্তিতে উদভ্রান্ত হয়ে লাগামহীন দিগি¦দিক ছোটাছুটি শুরু করে দিয়ে নীতিভ্রষ্ট ও মতিভ্রম ড. নাইমা তার বর্তমান এ উত্থানের নেপথ্যে উৎসর্গীকৃত একনিষ্ঠ পৃষ্ঠপোষক স্বামীকে ঘর থেকে বের করে রাস্তায় ফেলে দিয়েছে নিষ্ঠুর ঔদ্ধত্যে ও বেআইনী-স্বেচ্ছাচারী-অন্যায় ডিভোর্সে এবং ঐ পুরুষের সাধনার সংসার-পরিবার ধ্বংস করে দেয় এক নিমিষে।
অসহায় ও নিরীহ স্বামীকে তার থাকার ঘর কিংবা খাবারের কোনো বিকল্প ব্যবস্থা করার সুযোগটুকুন না দিয়ে তাকে আচমকা উদ্বাস্তু বানিয়ে মানবেতর জীবনযাপনে বাধ্য করতে আপাত সফল হবার একমাত্র কারণ এ ক‚টবুদ্ধি নারীর বেহিসেবী আয় ও অর্থবিত্তের ঔদ্ধত্য।
স্বামীর কোনোরূপ দোষ-ত্রæটি স্বামীকে না জানিয়ে, সংশোধনের সময়-সুযোগ না দিয়ে, এমনকি কোনোরূপ পূর্ব-নোটিশ ছাড়া স্বামীরই ঘর-সংসার-ফ্ল্যাট থেকে হঠাৎ স্বামীকে রাস্তায় ফেলে দেয় এ স্বৈরিণী নারী। এমনকি থানা-পুলিশেও ডাহা মিথ্যা তথ্যের দরখাস্তে নিজের অবৈধ অর্থ-অর্জনের বাহাদুরিতে ক্ষমতাবান পুলিশকেও অসহায় করে তোলে তথা পুলিশ এবং র্যাবকে তার উচ্চ ক্ষমতার চাকরিতে ও অবৈধ অর্থে প্রভাবিত করে নিরীহ স্বামীর প্রতি পুলিশ-র্যাব ভীতি সঞ্চার করে ত্রাসের রাজত্বের চেষ্টা চালায়। পুলিশের কাছে হলফ করে লিখিতভাবে ও সরাসরি বলে যেÑ অর্থনীতিবিদ হিসেবে আমার আয় অনেক...।
অর্থাৎ ড. নাইমার ভাবসাব এমন যে, আয় অনেক হলেই যা খুশী তাই করা যায়! নিজের অঢেল আয়ে ধরাকে সরাজ্ঞান করে যেই অমানবিক পাশবিক কর্মকান্ড সে করেছে গোবেচারা স্বামীর সাথে, তাতে এখন অন্য কোনো ধনাঢ্য ঠিকাদার বা ব্যবসায়ী যদি অঢেল টাকার দাপটে তার সাথে এরূপ অন্যায় বা অমানবিক কিছু করে -তাহলে সেটি চলে যাবে নারী নির্যাতন মামলার অপরাধে, এমনকি যখন-তখন পুলিশী এরেস্টে। অর্থাৎ একই কাজ স্বামী করলেই অপরাধ, আর স্ত্রী করলে সাতখুন মাফ। একই দেশে একই কর্মকান্ডে নারী-পুরুষভেদে দু’রকম আইন!! অথচ যেকোনো সুস্থ বিবেকই বলবে যে- আইন ও বিচার হওয়া উচিত অপরাধের, নারী কিংবা পুরুষের নয়।
ড. নাইমা এরূপ অর্থ-বিত্তের আস্ফালন করে এবং পদবী ও ক্ষমতার অপব্যবহার করে আমাদের চৌকস এলিট ফোর্স র্যাব এর সুনাম ও মর্যাদা নষ্ট করে অসহায় স্বামীর অফিসে র্যাবকে দিয়ে ফোন করায় এবং স্বামীকে ও তার অফিসকে বেআইনীভাবে নিপীড়িত করার চেষ্টা চালায় কোনো অভিযোগপত্র র্যাব কার্যালয়ে না দিয়েই। তার এরূপ আস্ফালন-ঔদ্ধত্যের পর স্বামীর অফিস-স্টাফরা উপায়ান্তর না দেখে এবং সত্য ও ন্যায়ের অনুসন্ধানে র্যাবকে এ কুচক্রী নারীর অন্যায় ও অবৈধ তদবিরের বিষয়ে লিখিতভাবে চিঠি দিয়ে অবগত করলে র্যাবের চৌকস ও বিজ্ঞ নেতৃত্ব বিষয়টি বুঝতে পেরে এ বিভ্রান্তকারী নারীর কথায় শেষতক আর কর্ণপাত করেনি।
স্বামী নিরুপায় হয়ে তার হৃত সংসার-পরিবার পুনরুদ্ধারের জন্য পারিবারিক জজ আদালতে মামলা করলে এ নারী তার অঢেল টাকা ও ক্ষমতার প্রভাবে আইনজীবী দিয়ে সেই মামলা এমনভাবে মোকাবেলা করে, যার প্রেক্ষিতে ঐ মামলা সংক্রান্ত কোর্টের বহু নোটিশ পেয়েও কোনো তারিখেই স্বশরীরে কোর্টে হাজির হয়নি সে। এমনকি তার নিজেরই দেয়া ডিভোর্স লেটারের প্রেক্ষিতে সিটি কর্পোরেশন সেই কেইস সংক্রান্তে বার বার শুনানী-সভার নোটিশ তার কাছে পৌঁছালেও গুরুত্বপূর্ণ এ দপ্তরের কোনো নোটিশের তোয়াক্কা করেনি এবং সিটি কর্পোরেশন আয়োজিত কোনো সভায়ই সে যায়নি। প্রত্যেক তারিখেই সংশ্লিষ্ট সরকারি কর্মকর্তাগণ ও নিরুপায় বিবাদী স্বামী দিনমান অপেক্ষা করে থেকেও দেখা পাননি মহাপরাক্রমশালী এ মহামক্ষী নারীর। জজকোর্ট এবং সিটি কর্পোরেশনের এত্ত নোটিশের প্রেক্ষিতেও কোনো তারিখেই শুনানী-আদালতে হাজির হয়নি তার অতীত কাহিনী ফাঁস হয়ে যাবার ভয়ে। এরূপ প্রেক্ষাপটে মানুষ বলাবলি করছিল- এ নারী হয়ত তৃতীয় কোনো আবেগে কিংবা তৃতীয় পুরুষের সাথে কমিটমেন্টে আছে, তাই তার দৃষ্টিতে এখানে এসে তার কোনো লাভ নেই...।
তার নিজের আবেদনপত্রের প্রেক্ষিতে আহŸানকৃত এবং সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন পক্ষের উপস্থিতিতে আয়োজিত সভাসমূহের কোনোটিতেই তার না যাওয়া কিংবা সাড়া না দেয়ার মানে এসব সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত দপ্তরকে ও প্রজাতন্ত্রের নির্বাহীদের কিংবা জন-প্রতিনিধিদের দায়িত্ব ও ক্ষমতাকে ঔদ্ধত্য ও বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন এবং সংশ্লিষ্ট আইন ও অর্ডারকে অমান্য করা। ড. নাইমার চিন্তায় ও আচার-আচরণে এরূপ অস্বচ্ছতা, অন্যায় ও অমানবিক ঔদ্ধত্য তৈরি হয়েছে কিন্তু অঢেল অবৈধ অর্থের ঔদ্ধত্য ও বাহাদুরিতে।
স্বামীর সাথে যৌথ বিনিয়োগের ফ্ল্যাট থেকে স্বামীকে উচ্ছেদ ও বিতাড়িত করে এখন সেই ফ্ল্যাট ভাড়া দেয়া অর্থও এ নারী একাই ভোগ করে যাচ্ছে। স্বামীর অনুমতি ছাড়া তার শিশু-সন্তানদেরকে নিয়ে স্বামীর সংশ্লিষ্ট বাসা থেকে দূরে চলে যায়, মাসিক লক্ষ টাকার ভাড়া বাসায়। যাতে সন্তানদের প্রতি তার অবহেলা-অনাচারের কথা কিংবা তার অসৎ কর্মকান্ডের কথা তাদের বাবা কিংবা স্বামী কিছুতেই বুঝতে বা জানতে না পারে, বিশেষত শিশু-সন্তানকে একা ঘরে ফেলে রেখে দেশে-বিদেশে ঘোরাঘুরির বিষয়টি যাতে স্বামী তথা ঐ অবোধ শিশুটির অসহায় পিতা জানতে-শুনতে-বুঝতে না পারে।
একদিকে শিশু-সন্তানদেরকে আয়া-বুয়ার কাছে নির্দয়ভাবে বাসায় ফেলে রেখে একাই ঢাকার বাইরে ২/৩ দিন কিংবা বিদেশে সপ্তাহের পর সপ্তাহের জন্য চলে যায়, আরেকদিকে এ বিষয়ে তাদের জন্মদাতা পিতাকে কিছুই জানায় না কিংবা কোনোরূপ অনুমতিরও তোয়াক্কা করে না। এমনকি করোনা মহামারীর মধ্যেও ২০২০ সালের ১৪ থেকে ১৬ ফেব্রæয়ারি ভ্যালেন্টাইন-ডে পালন এবং বসন্তের বাসন্তী-বাসর করতে একাকী চলে যায় গোপন অভিসারে। তিন সন্তানের মা’র এরূপ অমনুষ্যচিত নির্দয়-নিষ্ঠুর ঔদ্ধত্য আচরণ একজন বিদগ্ধ-নিপীড়িত পিতার প্রতি কত বড় আঘাত, যা এ স্বেচ্ছাচারী নারী বিনা চ্যালেঞ্জে নিরাপদে করতে পারছে একমাত্র তার অতিরিক্ত ক্ষমতা ও অর্থ-বাহাদুরির উদভ্রান্তিতে।
স্বামীর অফিস-সন্নিকটে তৈরি নিজেদের ফ্ল্যাট ফেলে রেখে অতিরিক্ত অঢেল অর্থের জোরে ড. নাইমা এখন মাসিক ১ লক্ষ টাকা ব্যয়ের ভাড়া বাসায় বিলাসী জীবনযাপন করছে। অন্যদিকে সহজ-সরল-নিরুপায়-হতভাগা স্বামীকে ৬ বছর থেকে গৃহহীন, সংসারহীন, সন্তানহীন, সঙ্গীহীন করে ইতিহাসের এক জঘন্য মানবেতর জীবনযাপনে বাধ্য করেছে। এটি আমাদের সবার কাক্সিক্ষত নারী ক্ষমতায়নের ক্ষেত্রে নেতিবাচক বাস্তব উদাহরণের এক বিরাট হুমকিস্বরূপ।
উচ্চ ডিগ্রিধারী এ নারীর মধ্যে অমনুষ্যচিত অমানবিকতা এমনই দানা বেঁধেছে যে- স্বামীর অফিসের পার্শ্ববর্তী নিজেদের ফ্ল্যাটটি টাকার বিনিময়ে স্বামীর কাছে ভাড়া দিয়ে হলেও স্বামীর আপাত থাকার সুরাহা করার ন্যূনতম সহানুভ‚তি কিংবা সামান্য মানবিকতাও তার বিবেকে কিংবা মনের কলুষিত মন্দিরে স্থান পায়নি কিছুতেই।
কিশোরী বয়সেই চরিত্রহীনা হয়ে ছাত্রদের হলে-হোস্টেলে-যুবালয়ে গিয়ে, তাদের সাথে প্রতারণা করে তারপর গ্রামের সহজ-সরলমনা ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী আরেক ছেলেকে বাগিয়ে নিয়ে, এই একই ব্যক্তিকে দু’কাবিননামায় বিয়ে করে তারপর নিজ নামে স্বামীর প্লট-জমি রেজিস্ট্রি করিয়ে নিয়ে, পেটে দ্রæত সন্তান নিয়ে, স্বামীর ঘাড়ে এসব সন্তান রেখে বছরের পর বছর বিদেশে পড়ে থেকে নানান বেলেল্লাপনা করেছে।
অর্থ-বিত্তের অহঙ্কারে তার মাস্তানী, সন্ত্রাসী এটিচিউড এমনই হয়ে দাঁড়ায় যে- ৩টি সন্তানের ভবিষ্যৎ কল্যাণ বিষয়াদিতে বিশেষত অবোধ শিশু-সন্তানের কোনো বিষয়েও স্বামীর সাথে তথা তাদের বৈধ অভিভাবক ও জন্মদাতা পিতার সাথে কখনোই কোনোরূপ আলাপ বা যোগাযোগ করে না সে। এমনকি কঠোর নারী নির্যাতন আইনের আতঙ্ক ও ভয়ের খড়গ দেখিয়ে স্বামীকে তারই ঘর থেকে অকস্মাৎ বের করে দেয়ার পূর্বে কিংবা পরে এমনকি গত ৪ বছরেও কোনোদিন স্বামীর সাথে কোনোরূপ আলাপ-আলোচনা করেনি।
স্বামীর চোখে চোখ রেখে স্বচ্ছ-স্পষ্ট আলোচনাতো দূরেই থাক, এ ধূর্ত-ধূরন্ধর ও বিশ্বাসঘাতক নারী তার কিশোরী বয়সের সতীত্ব হারানোর পাপাচার কিংবা তৎপরবর্তীতে বহুগামীতার মুখোশ উন্মোচনের ভয়ে স্বামীর সাথে কোথাও কোনোভাবে মুখোমুখি হওয়া কিংবা আলাপ বা কোনোরূপ যোগাযোগ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করে রেখেছে। সে নিশ্চিত জানে, স্বামীর সাথে সম্মুখ আলোচনায় বসলেই কিংবা চোখে চোখ রাখলেই নিজের সমস্ত মিথ্যে বাহাদুরী-ছলচাতুরি-জোচ্চুরির পর্দা ফেটে তার অতীতের সবকিছু ফাঁস হয়ে যাবে। তার এসব দু’নম্বরীগুলো আড়ালে রাখার অভিপ্রায়ে স্বামীকে ঘর থেকে বের করে দিয়েই বলে দিয়েছে যে- তার সাথে যোগাযোগ করলেই ‘তাকে ডিস্টার্ব করছে’ বলে নারী নির্যাতন আইনের গ্যাঁড়াকলে ফাঁসিয়ে দেবে স্বামীকে।
অঢেল টাকার দম্ভে এ নারী তার স্বামীকে কেবল ডিভোর্স দিয়েই ক্ষান্ত হয়নি; উপরন্তু স্বামীর প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধেও চরম শত্রæতা শুরু করে দেয়। নিজ পদ-পরিচয় ও চেহারার প্রভাব খাটিয়ে, ঐ অঢেল টাকা ব্যয় করে, তদবির করে স্বামীর পত্রিকা ও প্রতিষ্ঠানের হুবহু অবৈধ প্রতিযোগী পত্রিকা রাতারাতি দাঁড় করিয়ে ফেলে তার চাচাতো ভাই ও বৌকে হাত করে। তাদের ভাড়া করা আবাসিক বাসা থেকে টাকা ও ক্ষমতার জোরে বেআইনিভাবে প্রকাশিত ঐ পত্রিকায় এ কুচক্রী নারী নিজ নাম-ছবি ও লেখা ছাপিয়ে জানান দেয় যে, আমি ক্ষমতাধর এ নতুন পত্রিকার সাথে আছি।
এভাবেই এ নারী তার সাথে থাকা নিজ পেটের ৩টি অসহায় সন্তানের পিতার পত্রিকা-প্রতিষ্ঠান তথা উত্তরসূরী হিসেবে সন্তানদের প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করার জন্য উঠেপড়ে লেগে আছে তার অঢেল উপরি টাকার গরম তেলেসমাতিতে।
হাতাকাটা বøাউজে, কপালে লাল টিপ আর মুখস্ত বিদ্যার টকশোর বাহানায় এ নারী রান্নাবান্না করে না কখনো। ২০ বছরের দীর্ঘ সংসার-দাম্পত্যের কোনোদিনই স্বামী ডাইনিং টেবিলে বসে স্ত্রীর খাবার খেতে পায়নি। স্বামীর খাবার কিংবা কোনোরূপ দেখভালেও অনিচ্ছুক-অমনযোগী ছিল এ নারী। রান্নাঘরে যাবার বিষয়ে তার ভ্রæক্ষেপও ছিল না কখনোই। তাই তার অবৈধ ও অঢেল টাকার কারণে এবং বিনাশ্রমের বেসামাল টাকার প্রতি মায়া না থাকায় বেশিরভাগ সময়ে খাবার অনলাইনে অর্ডার দিয়ে বাইরের ফাস্টফুড-রেস্টুরেন্ট থেকে সরবরাহ নেয়। এভাবে অবোধ সন্তানদেরকেও অস্বাস্থ্যকর খাদ্যচর্চার বদভ্যাসে অভ্যস্ত করে তুলছে কেবলই তার উপরি-বাড়তি টাকার জোরে।
উদার-উজাড়ের মহৎপ্রাণ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১নং রোলধারী মেধাবী ও সরলপ্রাণ সেই স্বামী নিজ পেশা ও ক্যারিয়ারের কথা না ভেবে যেই স্ত্রীকে নিশ্চিন্ত নির্ভাবনায় বিদেশে পড়াশুনা করতে দিয়ে ৩ সন্তানকে পিতৃস্নেহের পাশাপাশি মাতৃস্নেহের সম্মিলনে লালন-পালন করেছেন, সেই স্ত্রীই দীর্ঘসময় পর বিদেশ থেকে ফিরে দেখে যে, সন্তানরাতো বাবাভক্ত! সেই ঈর্ষায় বাবাভক্ত সন্তানদেরকে বাবার প্রতি বিষিয়ে তুলতে থাকে নিজ মজ্জাগত নানান কুমন্ত্রণায় অর্থাৎ সন্তানদেরকে তাদের বাবা-বিরোধী করে তুলে কেবলমাত্র নিজের গ্রীবায়, নিজের একক সুবিধার ব্যবহারে আনতে নানা ক‚টকৌশল গ্রহণ করে। ঐ নারীর লক্ষ্য হয়ে উঠে, যেই কোনো মূল্যে বাবা থেকে সন্তানদেরকে বিচ্ছিন্ন করতেই হবে। হোক সেটা তাদের শিশু-কিশোর মনের লোভনীয় চাহিদা পূরণ করে কিংবা অন্য যেইকোনো কুটকৌশলে। বাবার অনেক ত্যাগ ও সাধনায় গড়ে তোলা লেখক, কলামিস্ট, সমাজসেবী সুসন্তানদেরকে মহৎ-চর্চায় বাধা প্রদানের ক্ষেত্রে এটি এক কালিমাদীপ্ত ঐতিহাসিক নজির।
অর্থ যে অনর্থের মূল এবং অতিরিক্ত অর্থ মানুষকে যে মাতাল-বেসামাল করে ফেলে, তা এ কুচক্রিণী নারীর বিভিন্ন কর্মকান্ডে স্পষ্ট প্রতীয়মান হয়। তাইতো তার কর্তৃক নিষ্ঠুর নির্দয়ভাবে পরিবার ভেঙে দেয়া, পৃষ্ঠপোষক স্বামীর প্রতি অমনুষ্যচিত বহুমুখী নির্যাতন, তার অবৈধ অর্থে অবুঝ-অবোধ সন্তানদেরকে লেটেস্ট ফোন, ল্যাপটপ, ট্যাব, ফ্রি ওয়াইফাই, ডিএসএলআর ক্যামেরাসহ শিশু-কিশোর মনের লোভনীয় ইত্যাকার চিত্তাকর্ষক বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধার প্রাচুর্যে তাদেরকে করে তোলে বাবা-বিরোধী। এমনকি জন্মদাতা পিতার বিরুদ্ধাচরণেও বাধ্য করাসহ বহু অরাজক কর্মকান্ড চালাতে থাকে। তার এসব নারকীয় কর্মকান্ড সুস্পষ্টভাবে প্রতীয়মান হয়ে এখন মহাকালের ইতিহাসে স্ত্রী কর্তৃক স্বামী নির্যাতনের জ্বলন্ত স্বাক্ষীতে পরিগণিত হয়ে রয়েছে।
যে কারুরই অতিরিক্ত ও অবৈধ উপার্জন কিংবা অতিরিক্ত আয়-রোজগারের বাহুল্য তাকে ও তার পরিবারকে বিপথে-কুমতলবে, অনিবার্য ধ্বংসে ও আখেরাতের শাস্তিতে নিয়ে যায়। এ বিশ্বাসে নিগুঢ়তম আস্থা থাকা বেচারা স্বামী তার স্ত্রী থাকাকালীন ড. নাইমার এরূপ নিত্যবাসনা ও চিত্তঅহমিকার অনৈতিক কর্মকান্ডে তাকে সচেতন-সংশোধনের প্রাণান্তকর চেষ্টা করেছে- স্বামীর নিগুঢ়তম সততা ও নীতি-নৈতিকতার তাগিদে এবং স্ত্রীর প্রতি ভালোবাসাবশে। অর্থবিত্তে ও বাইরের চালচলনে উচ্ছৃঙ্খলপ্রিয় না হয়ে স্ত্রীকে শান্তিপ্রিয় ও সংসারপ্রিয় হতে সনির্বন্ধ অনুরোধ আবেদন-নিবেদন মৌখিকভাবে ও লিখিতভাবে কতভাবে যে ন্যায়নিষ্ঠ স্বামী করেছে; কিন্তু-
চোরে না শোনে ধর্মের কাহিনী,
চরিত্রহীনা না শোনে স্বামীর মর্মবাণী
কিশোরী বয়সে সতীত্বহারা চরিত্রহীনাকে করলে বিয়ে
সংসার ধ্বংসের মাশুল দিতে হয় জীবন দিয়ে
স্ত্রীকে অর্থ-বিত্ত-ক্ষমতায়
স্বামী যদি তার মাথার উপর উঠায়;
তাহলে কোনো কোনো স্ত্রী বেসামাল-মাতাল হয়ে
স্বামী-সন্তান-পরিবারকে ফেলে দেয় রসাতলে
যে যাকে মন দিয়ে চায়,
সে তাকে ঠিকই খুঁজে পায়
মদ্যপ-মাতাল খোঁজে তার পানশালা,
আর নামাজী খোঁজে মসজিদ-ধ্যানশালা
লেখকঃ
বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস পত্রিকার সম্পাদক
ফোনঃ ০২-৪৭১২২৪৬৩, ০২-৯৫১৫০৯৯
web: www.helal.net.bd
e-mail: m7helal@yahoo.com