বিশেষ খবর



Upcoming Event

ড. ইউনূস ও তারেক রহমানের বৈঠকে স্বস্তির বার্তা পেল জাতি ফেব্রুয়ারিতে ভোট, একমত অন্তর্বর্তী সরকার ও বিএনপি

ক্যাম্পাস ডেস্ক বিশেষ প্রতিবেদন
img

সম্প্রতি বাংলাদেশের রাজনীতিতে ঘটে গেল এক ঐতিহাসিক ঘটনা, যা দেশ ও জাতির জন্য নিঃসন্দেহে অত্যন্ত স্বস্তির। এককথায় এটি অভূতপূর্বও বটে। কারণ এদেশের রাজনীতিতে রক্তপাত-জীবনহানী ছাড়া সরকার ও রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে বৈঠকে বসে আলোচনার মাধ্যমে কোনো সমস্যার সমাধান হতে জাতি খুব কমই দেখেছে। ফলে ৫ আগস্ট পরবর্তী রাজনীতিতেও সেইরূপ পরিস্থিতি সৃষ্টির শঙ্কায় দেশবাসী ছিল উৎকন্ঠিত। বিশেষত নির্বাচনের তারিখ নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকার ও বিএনপি’র মধ্যকার দূরত্ব ক্রমেই সে শঙ্কা বাড়িয়ে তুলছিল। কিন্তু অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের লন্ডন সফরের মধ্য দিয়ে জাতীয় নির্বাচনের সময় নিয়ে রাজনৈতিক অস্বস্তি কাটতে শুরু করেছে। এপ্রিল থেকে এগিয়ে ফেব্রুয়ারির প্রথম ভাগে নির্বাচনের সময় নির্ধারণে একমত হয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার ও বিএনপি। তবে এই সময়ের মধ্যে সংস্কার ও বিচার বিষয়ে পর্যাপ্ত অগ্রগতি অর্জনের ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা। ১৩ জুন শুক্রবার লন্ডনে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মধ্যে পূর্বনির্ধারিত এক ঐতিহাসিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক শেষে যৌথ ঘোষণায় এ তথ্য জানানো হয়। বাংলাদেশ সময় দুপুর ২টায় বৈঠক শুরু হয়। প্রথম পর্বে তাঁরা নিজেদের প্রতিনিধিসহ আলোচনা করেন। পরে ড. ইউনূস ও তারেক রহমান একান্তে প্রায় এক ঘণ্টা আলোচনা করেন। বৈঠকে উপস্থিত একাধিক সূত্র জানায়, প্রথম পর্বে নির্বাচনের সময় নিয়ে আলোচনা হয়। সেখানে ২০২৬ সালের রোজার আগে নির্বাচন করার প্রস্তাব দেন তারেক রহমান। এই প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করা গেলে রোজা শুরু হওয়ার আগের সপ্তাহেও নির্বাচন আয়োজন করা যেতে পারে। দেড় ঘণ্টার বৈঠকের পর বাংলাদেশ সময় বিকেল ৪টার দিকে যৌথ প্রেস ব্রিফিং হয়। তাতে যৌথ বিবৃতি পড়ে শোনান জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান। তাঁর পাশাপাশি সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা হুমায়ুন কবীর। আরও উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। ঐতিহাসিক এ বৈঠক ছিল অত্যন্ত সৌহার্দ্যপূর্ণ লন্ডনের ডরচেস্টার হোটেলে তারেক রহমানকে স্বাগত জানান নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান ও প্রেস সচিব শফিকুল আলম। বৈঠকস্থলে পৌঁছালে তারেক রহমান ও প্রধান উপদেষ্টা পরস্পরের সঙ্গে করমর্দন করেন। এ সময় ড. ইউনূস বলেন, ‘খুব ভালো লাগছে।’ জবাবে তারেক রহমান বলেন, ‘আমারও ভীষণ ভালো লাগছে। ফিল অনার্ড (আমি সম্মানিত বোধ করছি)।’ তারেক রহমান বলেন, ‘আপনার শরীর কেমন? ভালো আছেন?’ জবাবে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘এই যাচ্ছে, কেটে যাচ্ছে।’ এ সময় তারেক রহমান তাঁর মা ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সালাম পৌঁছে দেন ড. ইউনূসকে। সালামের জবাব দিয়ে তিনি বলেন, ‘তাকেও আমার সালাম জানাবেন।’ বৈঠকের সূত্র অনুযায়ী, এ পর্যায়ের আলোচনায় তারেক রহমান আগামী বছরের রমজানের আগে নির্বাচন আয়োজনের প্রস্তাব করেন। তিনি বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াও মনে করেন এ সময় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে ভালো হয়। প্রধান উপদেষ্টা বলেন, তিনি আগামী বছরের এপ্রিলের প্রথমার্ধে নির্বাচন অনুষ্ঠানের ঘোষণা দিয়েছেন। তবে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করা গেলে ২০২৬ সালের রমজান শুরু হওয়ার আগের সপ্তাহেও নির্বাচন আয়োজন করা যেতে পারে। সেক্ষেত্রে ঐ সময়ের মধ্যে সংস্কার ও বিচারের বিষয়ে পর্যাপ্ত অগ্রগতি অর্জন করা প্রয়োজন হবে। প্রায় আধা ঘণ্টা আলোচনার পর নিরাপত্তা উপদেষ্টা, আমীর খসরুসহ প্রতিনিধিরা উঠে যান এবং ড. ইউনূস ও তারেক রহমান প্রায় এক ঘণ্টা একান্তে আলাপ করেন। বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টাকে একটি কলম ও দুটি বই উপহার দেন তারেক রহমান। বই দুটির একটি ‘নো ওয়ান ইজ টু স্মল টু মেক অ্যা ডিফারেন্স’; আরেকটি ‘নেচারস ম্যাটারস’।


বিশ্ববিদ্যালয় কম্পাস পত্রিকার সংখ্যা সমূহ

আরো সংবাদ

শিশু ক্যাম্পাস

বিশেষ সংখ্যা

img img img