সামাজিক দায়বদ্ধতা কর্মসূচির অংশ হিসেবে ডাচ্-বাংলা ব্যাংক ২০১৪ সালের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়/কলেজে স্নাতক পর্যায়ে অধ্যয়নরত চার হাজার ১০০ জন ছাত্রছাত্রীকে বৃত্তি দিয়েছে। এ নিয়ে বর্তমানে ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের বৃত্তির সুযোগ পাচ্ছে ২০ হাজার ৪৯৫ জন। ঢাকার মিরপুরে শহীদ সোহরাওয়ার্দী ইনডোর স্টেডিয়ামে আনুষ্ঠানিকভাবে বৃত্তিপ্রাপ্ত ছাত্রছাত্রীদের মাঝে বৃত্তিপত্র বিতরণ করেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত নেদারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত গার্বেন ডি জং বিশেষ অতিথি হিসেবে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের চেয়ারম্যান সায়েম আহমেদ। ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কে এস তাবরেজ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
আবুল মাল আবদুল মুহিত ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের বৃত্তি প্রদান কার্যক্রমের প্রশংসা করে বলেন, এ বৃত্তি প্রকল্প দেশের দরিদ্র ও মেধাবী ছাত্রছাত্রীদের কল্যাণে আর্থিক খাতের অনন্য দৃষ্টান্ত। দেশের অন্য করপোরেট প্রতিষ্ঠানগুলো সমাজের কল্যাণে এ ধরনের কর্মসূচি গ্রহণ করবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
আনিসুল হক বলেন, ডাচ্-বাংলা ব্যাংক স্বপ্রচেষ্টা ও নিজ আন্তরিকতায় সুবিধাবঞ্চিত অসচ্ছল ছাত্রছাত্রীদের পাশে দাঁড়িয়ে দেশ ও জাতি গঠনে যে বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখছে তা সর্বমহলে প্রশংসার দাবিদার। তিনি বৃত্তিপ্রাপ্ত ছাত্রছাত্রীদের অভিনন্দন জানান এবং তারা প্রকৃত শিক্ষায় আলোকিত হয়ে দেশ গঠনে নিজেদের উৎসর্গ করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
সায়েম আহমেদ বলেন, ডাচ্-বাংলা ব্যাংক জন্মলগ্ন থেকে করপোরেট প্রতিষ্ঠান হিসেবে সামাজিক দায়বদ্ধতা পরিপালনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে। বিশেষ করে শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীর পুনর্বাসনে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কাজ করে আসছে। তিনি আরো বলেন, ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের মোট বৃত্তির শতকরা ৯০ ভাগ দেয়া হয় দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের ছাত্রছাত্রীদের মাঝে, তন্মধ্যে ৫০ ভাগই দেয়া হয় ছাত্রীদের।