‘বিশ্ব পরিবেশ দিবস ২০১৫’-কে উপলক্ষ করে পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ডিবেটিং সোসাইটি (ডিএইডিএস) এর সহায়তায় শুরু হলো ‘আন্ত:বিশ্ববিদ্যালয় পরিবেশ বিতর্ক ২০১৫’। ১৬ মে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র মিলনায়তনে উক্ত বিতর্ক অনুষ্ঠানের উদ্বোধন অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক। পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোঃ রইছউল আলম মন্ডলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উদ্বোধনী পর্বে বক্তব্য প্রদান করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ডিবেটিং সোসাইটির মডারেটর ও বিশ্ববিদ্যালয় ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট এন্ড ভালনারেবিলিটি স্টাডিজ ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ড. মাহবুবা নাসরীন, পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক মুহম্মদ মউদুদউর রশীদ সরকার, ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মোঃ হারুন অর রশিদ এবং ডিইউডিএস-এর সভাপতি জি এম আরিফুজ্জামান।
উপাচার্য তাঁর প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিতার্কিকদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বাগত জানিয়ে বলেন, এ বছরের প্রতিপাদ্য বিষয় যথার্থরূপে আমাদের সচেতনতাকে উদ্বুদ্ধ করবে যদি আমরা তা গুরুত্বের সাথে উপলব্ধি করি। শতকোটি মানুষের স্বপ্ন একাধিক কিন্তু পৃথিবীর সীমিত সম্পদকে ভোগ করতে হবে সতর্ক বিবেচনার মধ্য দিয়ে।
উপাচার্য বলেন সারা পৃথিবী বিভিন্ন দেশ মহাদেশে বিভক্ত কিন্তু এই পৃথিবীর প্রকৃতি, এই পৃথিবীর পরিবেশ বিচ্ছিন্ন নয়, বিভক্ত নয়, একে অপরকে নিয়ে বিরাজমান এক বিশ্ব। জাতিসংঘ প্রকৃতি নিয়ে যে কাজ করছে একে সমন্বিত রূপ দিতে বিশ্বের সকলকে নিয়ে পরিবেশ প্রজাতন্ত্র গড়ে তুলতে উপাচার্য আহ্বান জানান। এই বিশ্ব পরিবেশ প্রজাতন্ত্র গঠনের গুরুত্ব তুলে ধরে উপাচার্য বলেন, সময় এসেছে সর্বাধিক অগ্রাধিকার দিয়ে নানা বিভাজনের মধ্য থেকে অভিন্ন এক বিশ্ব এবং পরিবেশ বাস্তবতার প্রেক্ষাপটকে বিবেচনা করে, পরিবেশ রক্ষার, পরিবেশ সম্পর্কে আলাদা যৌথ ব্যবস্থাপনার জন্য এই ঐক্যবদ্ধ প্রয়াসের প্রয়োজনে বিশ্ব নেতৃবৃন্দকে এক জায়গায় এসে কাজ করতে হবে।
“শত কোটি জনের অপার স্বপ্ন, একটি বিশ্ব, করিনা নিঃস্ব” (ঝবাবহ ইরষষরড়হ উৎবধসং; ঙহব চষধহবঃ; ঈড়হংঁসব রিঃয পধৎব) শীর্ষক প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে এই বিতর্ক প্রতিযোগিতায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ অংশগ্রহণ করছে।