ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় জ্ঞান ও বুদ্ধি দিয়ে ভরিয়ে তুলেছে ব্যক্তি মানুষ, জ্ঞান বৃদ্ধির কাজে এই বিশ্ববিদ্যালয় অতীতে এবং বর্তমানে যে কাজ করছে তা উল্লেখযোগ্য। যুবকদের যে স্বপ্ন রয়েছে, উন্নয়ন বিকাশে তারুণ্যের যে ভাবনা তাকে শিক্ষার সাথে যুক্ত করতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূমিকা অগ্রগামী। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে সমুদ্র বিজ্ঞান বিষয়ে যে সমঝোতা হয়েছে, তার মাধ্যমে নতুন প্রজন্মকে উদ্বুদ্ধ করে ব্লু-ইকোনমির মাধ্যমে সামুদ্রিক শক্তির রূপায়ণ ঘটাতে হবে।
ঢাবি’র আয়োজনে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ৭ জুন শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও বিভিন্ন শ্রেণির নাগরিকদের উদ্দেশ্যে এক বিশেষ গণবক্তৃতা প্রদানকালে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশ ভারতের সম্পর্কের ক্ষেত্রে তারুণ্যের শক্তি আর উন্নয়ন বিকাশের প্রণোদনার কথা উল্লেখ করে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশের সাথে একই সাথে থাকার, একই সাথে এগিয়ে চলার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘একটি বাক্যে আমাকে যদি বলতে হয়, তাহলে বলব, লোকেরা মনে করত আমরা খুব আশে-পাশে রয়েছি, এখন বিশ্ববাসীকে বিশ্বাস করতে হবে আমরা আশ-পাশে রয়েছি, একসাথেও রয়েছি।’
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি তুলে ধরে তিনি বলেন, আমার জীবনে রাজনীতির পথ প্রদর্শন করেছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময়ে গ্রাম থেকে এক সাধারণ কর্মী হিসেবে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে সত্যাগ্রহে অংশগ্রহণের জন্য ছুটে এসেছিলাম সেই রাজধানী দিল্লীতে। তিনি আরও বলেন, জঙ্গীবাদ, সন্ত্রাসবাদের কোনো সীমা নেই, কোনো ভূগোল নেই, কোনো আদর্শ নেই, এরা মানবতার শত্রু। মানবতায় বিশ্বাসী শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে জঙ্গীবাদকে নির্মূল করতে হবে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এ-বিষয়ে দৃঢ় অবস্থানকে আমি অভিনন্দন জানাই।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক তাঁর স্বাগত বক্তব্যে ইন্দিরা মুজিব-চুক্তি বাস্তবায়নে ভারতের সংসদে সীমান্ত চুক্তি পাস করায় ভারতীয় জনগণ, সংসদ ও প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ৩টি বিভাগের উন্নয়নে ভারতীয় সহযোগিতার জন্য ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উদ্দেশ্যে উপাচার্য বলেন, বাংলাদেশের সাথে একসঙ্গে কাজ করলে দু’দেশ এগিয়ে যাবে।
উপাচার্য বক্তৃতা অনুষ্ঠানের পূর্বে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে স্মারক হিসাবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি ক্রেস্ট উপহার দেন।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ ও ভারতের প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে গণভবনে পারস্পরিক সহযোগিতার বিভিন্ন ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট যেসব চুক্তি, প্রটোকল ও সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে তন্মধ্যে বঙ্গোপসাগর সমুদ্র গবেষণার বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও ভারতের সাইন্টিফিক এন্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিসার্চের মধ্যে এক সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়।
৭ জুন ভারতীয় হাই কমিশনে চ্যান্সেরী কলপ্লেক্স উদ্বোধনের পর বাংলাদেশের ছ’টি প্রকল্পের উদ্বোধনের সাথে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউটের হিন্দী বিভাগ, সংগীত বিভগের রেকডিং স্টুডিও এবং নৃত্যকলা বিভাগের ভারতীয় সহযোগিতা প্রকল্পের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।