রংপুর নার্সিং কলেজের তিন প্রশিক্ষকের অপসারণসহ ছয় শিক্ষার্থীর বদলির আদেশ প্রত্যাহারের দাবিতে চলমান আন্দোলন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
নিয়মবহির্ভূতভাবে বিভিন্ন খাত দেখিয়ে রসিদ ছাড়াই অতিরিক্ত ফি আদায়ের চেষ্টা, শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত না করা ও তাঁদের ভয়ভীতি প্রদর্শনের অভিযোগ এনে তিন প্রশিক্ষককে অপসারণের দাবিতে আন্দোলন করে আসছিলেন শিক্ষার্থীরা। পরে এ ঘটনায় তদন্ত শেষে ছয় শিক্ষার্থীকে বদলির আদেশ দেওয়া হয়। ওই আদেশ প্রত্যাহারের দাবিতে নতুন করে আন্দোলন শুরু করেন তাঁরা।
বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা কলেজের অধ্যক্ষকে তাঁর কক্ষে অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন। তখন পরিস্থিতি উত্তেজনাকর হয়ে উঠলে সেখানে গিয়ে হাজির হন রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অধ্যক্ষ জাকির হোসেন ও স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক নূরুন্নবী লাইজুসহ অন্য চিকিৎসকেরা। তাঁদের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হলে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন থেকে সড়ে দাঁড়ান।
আন্দোলনরত সংগ্রাম কমিটির আহ্বায়ক ও শিক্ষার্থী সুমি আক্তার বলেন, আমরা পুনরায় সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করছি। কলেজের অধ্যক্ষ লুৎফুন্নেছা বলেন, বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।
শিক্ষার্থীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা থেকে উচ্চপর্যায়ের তদন্ত শেষে সেবা অধিদপ্তরের পরিচালক নিলুফার ফরহাদ কলেজের দুজন প্রশিক্ষক সরদার আবুল কাশেম ও একরামুল হকের প্রেষণে চাকরি প্রত্যাহারের আদেশ দেন। পাশাপাশি গাড়িচালক আইয়ুব হোসেনকে অন্যত্র বদলি এবং ছয় শিক্ষার্থী সুমী আক্তার, লাভলী ইয়াসমিন, তমা রায়, মোস্তফা মনোয়ার, রাকিবুল ইসলাম ও সিহাব হোসেনকে রাজশাহী নার্সিং কলেজে প্রেষণে বদলির নির্দেশ দেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, এই আদেশের প্রতিবাদে শিক্ষার্থীরা সকাল নয়টা থেকে বেলা দুইটা পর্যন্ত অধ্যক্ষকে তাঁর কার্যালয়ে অবরুদ্ধ করে রাখেন। এ ছাড়া তারা ক্যাম্পাসে মানববন্ধন, সংবাদ সম্মেলন ও আমরণ অনশন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। শিক্ষার্থীদের আন্দোলন সংগ্রাম কমিটির আহ্বায়ক সুমী আক্তার বলেন, এর আগে আমরা অভিযোগের সুষ্ঠু তদন্ত চেয়েছি। কিন্তু আমাদের দাবিকে উপেক্ষা করে উল্টো ছয় শিক্ষার্থীকে রাজশাহী নার্সিং কলেজে বদলি করা হয়েছে। এ আদেশ প্রত্যাহার না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে।
কলেজের অধ্যক্ষ লুৎফুন্নেছা বলেন, তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের বাইরে আমার কিছু করণীয় নেই। বিষয়টি শিক্ষার্থীদের জানিয়ে দেয়া হয়েছে।