তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার দুর্নীতি কমানোর একটি হাতিয়ার হতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার করতে পারলে দুর্নীতি অনেক কমে আসবে।
সম্প্রতি রাজধানীর একটি হোটেলে ১১তম গভর্মেন্ট ডিসকাস ফোরাম ফর ইলেক্ট্রনিক আইডেনটিটি-২০১৫ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ আশা প্রকাশ করেন। সরকারের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগ ও এশিয়া প্যাসিফিক স্মার্ট কার্ড এ্যাসোসিয়েশন (এপিএসসিএ) যৌথভাবে এ ফোরামের আয়োজন করেছে। দুই দিনের এই ফোরামে আটটি সেমিনার হবে। বাংলাদেশের জন্য দু’টিসহ মোট ২৭টি টেকনিক্যাল সেশন হবে। আইসিটি মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী জোনায়েদ আহমেদ পলকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় কমিটির সভাপতি ইমরান আহমেদ, এপিএসসিএ চেয়ারম্যান গ্রেগ পোট প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রী নিজের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে বলেন, আমি একটি নামকরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং কমিটিতে ছিলাম। অনেক শিক্ষার্থী আছে সেখানে। কিন্তু শিক্ষকদের বেতন দিতে পারে না। এরপর ভর্তি প্রক্রিয়া ডিজিটাল করে দিলাম। ভর্তি বাবদ ওই প্রতিষ্ঠানের আয় ৮০ হাজার থেকে ৮ লাখে চলে গেল।
তিনি বলেন, সম্প্রতি আইসিটি যুগে আমরা প্রবেশ করেছি। আমাদের একটু দেরি হয়েছে। তবে অনেক ক্ষেত্রেই ডিজিটাল কার্যক্রমের চেষ্টা করছি। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ কোন্ প্রেক্ষিতে কীভাবে স্মার্ট আইডি কার্ড ব্যবহার করছে ও নাগরিকদের সরকারি-বেসরকারি সেবা নিশ্চিত করছে সেগুলো জানতে হবে।
সরকার নির্বাচন কমিশনের মাধ্যমে দেশের ৯ কোটি ৬২ লাখ জাতীয় পরিচয়পত্রকে স্মার্ট এনআইডিতে রূপান্তরের কাজ হাতে নিয়েছে। ইতোমধ্যে এই প্রকল্পের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। তথ্যপ্রযুক্তি বাংলাদেশের সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখছে- একথা জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী পলক বলেন, অনেক ক্ষেত্রে খরচ কমানোর পাশাপাশি দক্ষতাও বাড়াচ্ছে তথ্যপ্রযুক্তি। ২০০৮ সালে জাতীয় পরিচয়পত্র করার কাজ হাতে নেয়া হয়। যেটাকে এখন স্মার্ট আইডি কার্ড করা হচ্ছে। এসব কার্ডে নাগরিকদের গুরুত্বপূর্ণ ২৫টি তথ্য থাকবে। এই কার্ড হবে আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন ও কমপ্লায়েন্স।