মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজের আসছে ভর্তি পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁসের কোনো সুযোগ নেই বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম। পরীক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে প্রশ্নফাঁসের কোনো গুজবে কান দেবেন না। দু’বছর আগে ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। পরবর্তী তা গুজব বলে প্রমাণিত হয়। কিন্তু সাময়িক সময়ের জন্য বিভ্রান্তে পড়েন মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী এবং তাদের অভিভাবকরা। এমন অপ্রত্যাশিত অবস্থা মুক্ত থাকতেই এবার বাড়তি নতুন নতুন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। পরীক্ষা সংক্রান্ত সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠন করা হয়েছে। সে কমিটি প্রশ্ন তৈরি থেকে শুরু করে কেন্দ্রে পৌঁছানো পর্যন্ত মনিটরিং করছে।
সম্প্রতি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে মেডিকেল কলেজের ভর্তি পরীক্ষা সংক্রান্ত এক মিটিং শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী। সুষ্ঠুভাবে পরীক্ষা আয়োজন নিয়ে আয়োজিত এ বৈঠকে ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার মোঃ আছাদুজ্জামান মিয়াসহ র্যাবের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
৬ অক্টোবর সারা দেশের ২০টি কেন্দ্রে মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। রাজধানীর ৫টি কেন্দ্র ছাড়াও বিভিন্ন বিভাগীয় ও জেলা শহরের ১৫টি কেন্দ্রে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। বৈঠকে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, এবার ৮২ হাজার ৮৫৬ শিক্ষার্থী মেডিকেল কলেজগুলোর ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেয়ার জন্য আবেদন করেছেন। এদের মধ্যে ভর্তি পরীক্ষায় যোগ্য বিবেচিত ৯ হাজার ৩৪৩ জন দেশের সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন মেডিকেল কলেজে ভর্তি হতে পারবেন। এর মধ্যে ৩১টি সরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তি হতে পারবেন ৩ হাজার ৩১৮ জন এবং বেসরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তি হতে পারবেন ৬ হাজার ২৫ জন।
পরীক্ষার পদ্ধতি, প্রশ্নপত্র তৈরি এবং সেগুলো পরীক্ষা সেন্টারে পাঠানোর বিভিন্ন দিক তুলে ধরে স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডাঃ আবুল কালাম আজাদ বলেন, প্রশ্নপত্র ফাঁসের কোনো সুযোগ নেই। প্রশ্নপত্র তৈরি থেকে শুরু করে পরীক্ষা কেন্দ্রে পরীক্ষার্থীদের হাতে পৌছা পর্যন্ত বিভিন্ন স্তরে শক্তিশালী নিরাপত্তাবয় থাকে। কেন্দ্রীয়ভাবে একটি ছাড়াও বিভিন্ন স্তরে বেশ কয়েকটি কমিটির সদস্যরা দায়িত্ব পালন করেন।
প্রশ্নপত্র তৈরির কাজে পাঁচজন প্রখ্যাত শিক্ষক থাকেন, যাদের পরিচয় বাইরের কেউ জানতে পারেন না। তারা পরীক্ষা সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত বাইরের কারও সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন না। আর সেখানে কর্মরত ৪ থেকে ৫ জন কর্মচারীকেও একই পরিবেশে থাকতে হয়। তারা যেখানে থাকেন, কাজ করেন, সেই কক্ষটি সিসিসি ক্যামেরা দ্বারা নিয়ন্ত্রিত থাকে। এমন পরিবেশ থেকে প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়ার কথা ভাবাই যায় না।