১. প্রথম দর্শনেই শক্তিশালী ছাপঃ আগন্তুকের সঙ্গে দেখা হওয়া মাত্র সাত সেকেন্ডের মধ্যেই আপনি তাঁর মনে স্থান করে নিতে পারেন। এর মধ্যেই আপনার সম্পর্কে ধারণা সৃষ্টি হয় তাঁর মনে। এর ওপর ভিত্তি করেই সদ্য পরিচিত আপনার সঙ্গে সম্পর্কের বাকিটুকুতে জুড়ে যাবেন। প্রথম দর্শনেই ছাপ ফেলার বিষয়টি নির্ভর করে আপনার অঙ্গভঙ্গি, প্রকাশভঙ্গি ও কণ্ঠের ওপর।
২. ভাসা ভাসা ধারণার ওপরই ঝুঁকি নিতে হবেঃ প্রথম পরিচয়ের পর কারো সঙ্গে কথা বলতে হয় তাঁর সম্পর্কে তেমন কিছু না জেনেই। কাজেই ধারণার ওপর এগিয়ে যেতে হবে। আচার-ব্যবহারে মানুষ সম্পর্কে একটা চিত্র ফুটে ওঠে মনে। এর ওপর ভিত্তি করে একটা ঝুঁকি নিতে পারেন।
৩. ভালো প্রশ্নঃ যদি অন্যজন নিজেকে মেলে ধরতে অস্বস্তি বোধ করেন, তাহলে তাঁকে উৎসাহ দিন। তাঁর মুখ খুলতে প্রশ্ন করুন। তবে ভব্যতা বজায় রেখে অর্থপূর্ণ ও ভালোমানের প্রশ্ন করুন। এমন সব প্রশ্ন করবেন, যাতে তিনি কথা বলতে অনুপ্রাণিত হন।
৪. শেখাঃ মানুষটি কী করেন বা কোন বিষয়ে দক্ষ তা জেনে নিন। এবার ওই বিষয় সম্পর্কে অনেক কিছু জেনে নিতে পারেন। এ পদ্ধতিতে ক্রমেই দুজনের মধ্যে দারুণ যোগাযোগ গড়ে উঠবে।
৫. মুখোশ খুলতে দ্বিধা নয়ঃ অনেক মানুষ আছেন যাঁরা নিজের সম্পর্কে বলতে আগ্রহ বোধ করেন না। এমন আচরণ করুন, যাতে অন্য কেউ মুখোশ পরে থাকলেও তা খুলে ফেলতে দ্বিধা না করেন। এর জন্য নিজেকে উন্মুক্ত করতে হবে। তাঁরা নিজের ভুল প্রকাশ করলে তা নৈতিকতার দিক থেকে বিচার করতে যাবেন না। তাঁদের বিশ্বাসের সঙ্গে নিজেরটা না মিললেও সহমর্মিতা প্রকাশ করবেন।
৬. ইতিবাচক দিকঃ যাঁর সঙ্গে মাত্র পরিচিত হলেন, তাঁর ব্যক্তিত্বের ভালো দিকগুলোতে দৃষ্টি দিন। এগুলো খুঁজে বের করুন এবং সে প্রসঙ্গে কথা বলুন। তাঁর প্রশংসা করুন।
৭. হাসিঃ হাসি এমন এক ওষুধ, যা নিজেকে সুখী করে এবং আশপাশের মানুষের মুখেও হাসি এনে দেয়। আলাপচারিতার মাঝে আন্তরিক হাসি দিন। কৃত্রিম হাসি স্পষ্ট বোঝা যায়।
৮. নাম ধরে ডাকাঃ প্রত্যেক মানুষ তাঁর নিজের নাম অন্যের মুখে শুনতে পছন্দ করেন। বিভিন্ন গবেষণায় তা সত্য প্রমাণিত হয়েছে। এ সুযোগটা কাজে লাগান। কথার ফাঁকে তাঁর নাম উচ্চারণ করুন। আবার নাম শুনে ভুলে গেলেও দুশ্চিন্তায় পড়বেন না। আবারও তাঁর নামটি জিজ্ঞাসা করুন। কারণ মানুষ নিজের নামটি নিজে উচ্চারণ করতেও ভালোবাসে।
৯. প্রতিযোগিতা নয়ঃ দুজন মানুষ মুখোমুখি হয়ে নিজেদের বিষয়ে কথা বলছেন। একটা পর্যায়ে যে যাঁর সফলতা বা অর্জন নিয়ে কথা বলতে শুরু করলেন। এক সময় এসব তথ্য জানান দেওয়া প্রতিযোগিতায় পরিণত হলো। কখনো এ পরিস্থিতি সৃষ্টি করবেন না। অন্যজন বলতে থাকলে তা মন দিয়ে শুনতে থাকুন।
১০. ভালো শ্রোতাঃ মানুষ সেই মানুষটিকে মনে রাখে, যে তাঁর কথা মন দিয়ে শোনেন। সাধারণত আমরা কথা বলতে থাকি এবং অন্যরা বললে অন্য কোনো চিন্তায় চলে যাই। অথবা তাঁর কথা শুধু কানে যায়, আসলে গুরুত্বের সঙ্গে শুনতে চাই না। এ স্বভাব বাদ দিতে হবে। আদর্শ শ্রোতা হয়ে ওঠার চর্চা চালিয়ে যান। অন্যের কাছে সহজে ও তাৎক্ষণিকভাবে গ্রহণযোগ্য হয়ে উঠবেন।