॥ মাহীর হেলাল ॥
৯ম শ্রেণি, উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুল
আমরা সকলেই বড় হতে চাই, প্রতিষ্ঠিত হতে চাই। আর জীবনে সফল হওয়ার পেছনে বড় ভূমিকা পালন করে পরিবার। কীভাবে শিশু-কিশোরদের গড়ে তোলা উচিত, যাতে তারা জীবনে সফল হতে পারে সে বিষয়ে ক্যাম্পাস সমাজ উন্নয়ন কেন্দ্র প্রকাশিত চমৎকার বই `অসীম সাহসী ও বলিষ্ঠ ব্যক্তিত্বের রাষ্ট্রনায়কোচিত নেতারূপে শিশু-কিশোরদের গড়ে তুলবেন যেভাবে।` বইটির লেখক বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস পত্রিকার সম্পাদক ড. এম হেলাল। সম্প্রতি বইটি পড়লাম; তাই এ বই সম্পর্কে আজকের লেখা।
বইটি মূলত মা-বাবা কিংবা অভিভাবকদের জন্য। কিন্তু আমি বইটি পড়ে বুঝলাম যে, এতে আমার মতো কিশোরদের বোঝার অনেক বিষয় রয়েছে। বইটিতে এমন কিছু কথা আছে, যাতে আমি অনেক উপকৃত হয়েছি। শিশুকে কীভাবে সৃজনশীল করে গড়ে তোলা যায় সে সম্পর্কে বইটিতে ৫০টিরও অধিক পরামর্শ রয়েছে। সে পরামর্শগুলোর বেশ ক`টি পড়ে আমার জীবনে অনেক কজে এসেছে। তেমন ক`টি বিষয় নিম্নরূপ-
১। শিশু-কিশোরদের ভালো কাজে উৎসাহিত ও অনুপ্রাণিত করা। আমার বাবা-মা আমাকে সবসময় ভালো কাজে উদ্বুদ্ধ করেন, উৎসাহ দেন। এতে আমার মধ্যে ভালো কাজ করার অভ্যাস গড়ে উঠছে। আমার খুব ভালো লাগে, যখন তারা আমার কাজের প্রশংসা করেন। তখন মনে হয়, ঐ ভালো কাজটি আরও বেশি বেশি করি।
২। নিজের ভুল-ত্রুটি বুঝতে পারা ও ভুল স্বীকার করা এবং অন্যের ওপর দোষ না চাপানোর অভ্যাস তৈরি করা। কখনো কোনো ভুল করলে বাবা-মা আমাকে ভুলটি Assess করতে বলেন। এতে আমি নিজের ভুলটি বুঝতে পারি এবং ভবিষ্যতে একই ভুল করার প্রবণতা কমে যায়। তাছাড়া এর ফলে অন্যের ওপর দোষ চাপানো বন্ধ হয়। এই অভ্যাসের কারণে কোনো ভুল হলে অন্যের ওপর আমি দোষ চাপাই না, বরং নিজকে সংশোধনের চেষ্টা করি।
৩। শিশু-কিশোরদের রুমে ভালো ভালো কথার স্টিকার লাগানো। আমার রুমে আমি বিভিন্ন ভালো কথার স্টিকার লাগিয়েছি। যেমন- What you do today, determines where you`ll be tomorrow অথবা It`s nice to be important, but it is very important to be nice.
৪। ভবিষ্যতে বড় কিছু হবার জন্য শিশু-কিশোরদের স্বপ্ন দেখানো এবং তার নিজ থেকেও অনুরূপ স্বপ্ন দেখতে বা বড় চিন্তা করতে উদ্বুদ্ধ করা। আমার বাবা-মা সবসময়ই বলেন, উৎবধস ইরম. আবার বলেন, যত বড় স্বপ্ন দেখবে ততই জীবনে সফল হতে পারবে। আমি এখন অনেক সফলতার স্বপ্ন দেখতে পারি। সেসব স্বপ্ন দেখতে অনেক ভালো লাগে।
এরকমই আরও অনেক বিষয় রয়েছে এই বইটিতে, যা আমার দৈনন্দিন জীবনে অনেক কাজে আসছে। এছাড়া বইটিতে আরও আছে শিশু-বিকাশে ভালোবাসাময় পারিবারিক শিক্ষা, সৃজনশীলতা বাড়ানোর উপায়, কোচিং নির্ভরশীল না করে সন্তানের নিজ প্রচেষ্টায় সৃজনশীল করে তোলা -ইত্যাকার বিভিন্ন জরুরি ও গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
আমি মনে করি, সকল বাবা-মা এবং অভিভাবক এ বইটি পড়লে আর সে অনুযায়ী কাজ করলে তাদের সন্তানরাও ভালো কাজে উৎসাহিত হবে, অনেক বড় বড় স্বপ্ন দেখবে। আমি এ বইটি পড়ে জানতে পেরেছি সাফল্য অর্জন করার জন্য আমাকে কীভাবে চলতে হবে। আশা করি, বইটি পড়ে সকলের ভালো লাগবে। ক্যাম্পাস সমাজ উন্নয়ন কেন্দ্র থেকে আজই বইটি সংগ্রহ করতে পারেন।
সংগ্রহের ঠিকানাঃ
৩৩, তোপখানা রোড, ঢাকা - ১০০০। মূল্য ৫০ টাকা।