শিক্ষা সচিব মোঃ সোহরাব হোসাইন বলেছেন, কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষার গুরুত্ব দিন দিন বাড়ছে।
তিনি বলেন, সরকার কারিগরি শিক্ষার এনরোলমেন্ট ২০২০ সালের মধ্যে ২০% এবং ২০৩০ সালের মধ্যে ৩০% এ উন্নীত করার লক্ষ্যমাত্রা ঘোষণা করেছে। বর্তমানে এনরোলমেন্ট ১৩%।
সম্প্রতি টেকনিক্যাল টিচার্স ট্রেনিং কলেজের সভাকক্ষে দক্ষতা ও পেডাগজি প্রোগ্রামের ওপর ১৫ দিনব্যাপী মাষ্টার ট্রেইনারদের বিস্তুরণ প্রশিক্ষণ কমর্সচির সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ও কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অশোক কুমার বিশ্বাসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে স্কিলস এন্ড ট্রেনিং এনহ্যান্সমেন্ট প্রজেক্ট (স্টেপ) এর প্রকল্প পরিচালক মোঃ ইমরান, সিঙ্গাপুরস্থ আইটিই এডুকেশন সার্ভিসেস এর লিম বুন টিওয়ং, টিমাসেক ফাউন্ডেশনের সিনিয়র পরিচালক ইও টেং হেন জেরাল্ড, অধিদপ্তরের পরিচালক ড. শেখ আবু রেজা প্রমুখ বক্তৃতা করেন।
শিক্ষাসচিব বলেন, কারিগরি শিক্ষার গ্রহণযোগ্যতা বাড়ছে। আগে একে হেলা ফেলা করা হতো। প্রধানমন্ত্রীর ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশ এবং ২০৪১ সালের মধ্যে সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় বাস্তবায়নে মূল ভূমিকা পালন করবে এ শিক্ষা।
তিনি বলেন, সরকার তাই কারিগরি শিক্ষাকে অগ্রাধিকার দিয়ে এর অবকাঠামো, এনরোলমেন্ট, কারিকুলাম প্রশিক্ষণসহ সবই ঢেলে সাজাচ্ছেন।
শিক্ষা সচিব বলেন, বিএ বা এমএ পাস করে হাজার হাজার শিক্ষার্থী বেকার থাকলেও কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষা নিয়ে কেউ বেকার থাকে না। পৃথিবীর কোনো দেশেই উচ্চশিক্ষা এমন খোলামেলা নয় উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, অল্প সংখ্যক মেধাবি শিক্ষার্থীরাই তা গ্রহণ করতে পারে। আমাদেরকেও দক্ষতা অর্জনের ওপর অধিক জোর দিতে হবে।
সিঙ্গাপুরের টিমাসেক ফাউন্ডেশনের এর আর্থিক সহায়তায় আইটিই এডুকেশন সার্ভিসেস গত দু’বছরে বাংলাদেশের ৯০ জন কারিগরি শিক্ষককে উচ্চতর দক্ষতা ও পেডাগজি বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রদান করেছে। প্রশিক্ষণের শর্ত মোতাবেক এ ৯০ জনের প্রত্যেককে দেশের ৩ জন করে শিক্ষককে ঐ বিষয়ে প্রশিক্ষিত করার কথা।