প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে লেখাপড়ার পাশাপাশি ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক চর্চায় সমান গুরুত্ব প্রদানের আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, প্রতিযোগিতার মধ্য দিয়ে আমাদের শিশুদের মেধা ও মননের বিকাশ ঘটে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, খেলাধুলা, সঙ্গীতচর্চা, সাংস্কৃৃতিক প্রতিযোগিতা- লেখাপড়ার পাশাপাশি বিভিন্ন রচনা, হস্তলেখাসহ বিভিন্ন প্রতিযোগিতার মধ্য দিয়ে আমাদের শিশুদের মেধা ও মনন বিকাশের সুযোগ হয়।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্প্রতি বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে মাধ্যমিক এবং উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর আয়োজিত ৪৬তম শীতকালীন জাতীয় স্কুল ও মাদ্রাসা ক্রীড়া প্রতিযোগিতার সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে এ কথা বলেন।
ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনে যুক্ত থাকলে শিক্ষার্থীরা জঙ্গী ও সন্ত্রাসবাদ থেকে দূরে থাকবে বলেও এ সময় ভাষণে উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মোঃ সোহরাব হোসাইন, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা বিভাগের ভারপ্রাপ্ত সচিব মোঃ আলমগীর ও মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. এস এম ওয়াহিদুজ্জামান অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন। মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান স্বাগত বক্তৃতা করেন।
অনুষ্ঠানে মন্ত্রিপরিষদ সদস্যবৃন্দ, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টাবৃন্দ, সরকারের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাবৃন্দ, বিভিন্ন ফেডারেশন ও ক্রীড়া সংস্থার প্রধানগণ এবং অংশগ্রহণকারী বিভিন্ন স্কুল, কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং মাদ্রাসার শিক্ষার্থীবৃন্দ, শিক্ষক ও অভিভাবকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
তিনি বলেন, আজকে ছাত্রছাত্রীকে একটা কথা বলতে চাই এ দেশটা আমাদের। আমরাই এ দেশটাকে স্বাধীন করেছি- আমাদের মহান নেতা সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে।
সরকার প্রধান বলেন, আজকে এখানে যে খেলাধুলা হলো তাতে ১৬ হাজার ১০১টি বিদ্যালয়, ৭ হাজার ৬১১টি মাদ্রাসা থেকে ৭টি ইভেন্টে প্রায় ২ লাখ ৫০ হাজার শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেছে। যার মধ্যে ১৮৪টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ৮০৮ জন প্রতিযোগী জাতীয় পর্যায়ে অংশগ্রহণ করেছে। তিনি বলেন, আমি সত্যিই অনেক আনন্দিত, কারণ এই প্রতিযোগিতার মধ্য দিয়ে অনেক মেধাবী ক্রীড়াবিদ উঠে আসবে, যারা পর্যায়ক্রমে আন্তর্জাতিক পর্যায়েও তাদের সাফল্যের স্বাক্ষর রাখতে পারবে। উল্লেখ্য, সারাদেশের ষষ্ঠ থেকে ১০ শ্রেণি পর্যায়ের স্কুল, মাদ্রাসা ও কারিগরি সম্পর্কিত ১৮৪টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ৮০৮ জন ক্রীড়াবিদ নিয়ে ১৬ জানুয়ারি মোহাম্মদপুরের শারীরিক শিক্ষা কলেজে এই প্রতিযোগিতা শুরু হয়।