সবার জন্য উচ্চশিক্ষার সুযোগ নিশ্চিত করতে দেশের প্রত্যেক উপজেলায় একটি করে সাধারণ বা বিশেষায়িত বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের পরিকল্পনা সরকারের রয়েছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী নূরুল ইসলাম নাহিদ। তিনি বলেন, বর্তমানে দেশে ১৩৪টি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। এর মধ্যে ৩৯টি সরকারি ও ৯৫টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়। এসব বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক (সন্মান) পর্যায়ে ভর্তির জন্য রয়েছে মোট ছয় লাখ ২৬ হাজার ৩৫৮টি আসন। সম্প্রতি জাতীয় সংসদ অধিবেশনে এ কথা বলেন শিক্ষামন্ত্রী।
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশনে এ সংক্রান্ত প্রশ্নটি উত্থাপন করেন সংরক্ষিত নারী আসনের সদস্য বেগম পিনু খান। জবাবে মন্ত্রী আরো বলেন, প্রতিটি উপজেলায় একটি করে সাধারণ ও বিশেষায়িত বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের পরিকল্পনার অংশ হিসেবে বর্তমান সরকার ২০০৯ সাল থেকে এ পর্যন্ত আটটি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করেছে। আর ৪২টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন ও একাডেমিক কার্যক্রম পরিচালনার অনুমতি দেয়া হয়েছে।
সরকারি দলের সদস্য দিদারুল আলমের প্রশ্নের লিখিত জবাবে নূরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয় নামে আরো দুটি নতুন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের লক্ষ্যে মন্ত্রিপরিষদ কর্তৃক আইনের খসড়া অনুমোদিত হয়েছে। বর্তমানে বিলটি রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের জন্য অর্থ বিভাগে পাঠানো হয়েছে।
তরিকত ফেডারেশনের সদস্য এম এ আওয়ালের লিখিত প্রশ্নের জবাবে প্রতিটি উপজেলায় বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের কথা পুনর্ব্যক্ত করে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, যেসব জেলায় সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় নেই সেসব জেলায় বেসরকারি উদ্যোগকে বিশেষ বিবেচনায় নেয়া হবে।
আওয়ামী লীগের সদস্য মাহফুজুর রহমান ও এম আবদুল লতিফের প্রশ্নের জবাবে নূরুল ইসলাম নাহিদ জানান, দেশের মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোতে বিষয়ভিত্তিক প্রায় দুই হাজার শিক্ষকের পদ শুন্য রয়েছে। সহকারী শিক্ষকের পদটি দ্বিতীয় শ্রেণির গেজেটভুক্ত করায় এসব পদে নিয়োগের জন্য প্রার্থী বাছাইয়ের বিষয়টি বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশনের এখতিয়ারাধীন। এ লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট নিয়োগ বিধি সংশোধন করা হয়েছে। এরপর শুন্য পদের বিপরীতে নিয়োগের কার্যক্রমও শুরু হয়েছে।
জাতীয় পার্টির নূরুল ইসলাম ওমরের প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী জানান, আধুনিক প্রযুক্তি জ্ঞানসম্পন্ন দক্ষ মানবসম্পদ গড়ার লক্ষ্যে কর্মমুখী ও কারিগরি শিক্ষাকে আরো গতিশীল করতে প্রতিটি ইউনিয়নে একটি করে সরকারিভাবে কারিগরি বিদ্যালয় ও মহাবিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা রয়েছে। এ পরিকল্পনা বাস্তবায়িত না হলেও ইউনিয়নপর্যায়ে এমপিওভুক্ত কারিগরি বিদ্যালয় ও মহাবিদ্যালয় রয়েছে।
বিরোধীদলীয় সদস্য নাসরিন রত্না্র প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যেসব উপজেলায় সরকারি কলেজ ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় নেই সেসব উপজেলায় একটি করে কলেজ ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় সরকারিকরণ করা হবে।