দেশের সাড়ে ছয় হাজারের বেশি ডিজিটাল সেন্টার থেকে প্রতি মাসে গড়ে ৬০ লাখ নাগরিক সেবা পাচ্ছে। দেশজুড়ে এসব ডিজিটাল সেন্টারে কাজ করছেন প্রায় ১৩ হাজার তরুণ উদ্যোক্তা। ডিজিটাল সেন্টার চালুর ১০ বছর পূর্তিতে এমনই তথ্য জানিয়েছে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) এবং স্থানীয় সরকার বিভাগ।
সম্প্রতি ডিজিটাল সেন্টার চালুর ১০ বছর পূর্তি উপলক্ষে এক অনলাইন সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী তাজুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আইসিটি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহেমদ পলক। সভায় বাংলাদেশে ইউএনডিপি’র আবাসিক প্রতিনিধি সুদীপ্ত মুখার্জীসহ এলজিআরডি মন্ত্রণালয় এবং আইসিটি বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বক্তব্য দেন।
তাজুল ইসলাম বলেন, আমরা একসময় ফিজিক্যাল কানেকটিভিটির দিকে বেশি গুরুত্ব দিতাম। এটা আমাদের জন্য সহজ বাছাই ছিল। যেখানে ফিজিক্যাল কানেকটিভিটি পৌঁছে দেয়া হতো, যেমন চট্টগ্রাম, সিলেট, খুলনা সেসব জায়গায় বেশ উন্নতিও আমরা দেখতাম। কিন্তু সময়ের ব্যবধানে এখন ডিজিটাল কানেকটিভিটি গুরুত্বপূর্ণ। আমরা সৌভাগ্যবান যে আমাদের প্রধানমন্ত্রী সেটি অনুধাবন করেছেন এবং আমাদের সেভাবে নির্দেশনা দিয়েছেন।
জুনাইদ আহেমদ পলক বলেন, বঙ্গবন্ধু বলতেন ঢাকা মানেই বাংলাদেশ নয়। ঢাকার বাইরে যে হাজার হাজার গ্রাম আছে, তার উন্নয়ন হলেই বাংলাদেশের উন্নয়ন হবে। এর থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা শেখ হাসিনা তৃণমূল পর্যায়ে উন্নয়নকে নিয়ে গেছেন।