বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক (সম্মান) ১ম বর্ষের ছয়টি ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা শেষ হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় ভেন্যুসহ নগরীর মোট ২০টি ভেন্যুতে (শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে) এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ভর্তি পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বনের দায়ে চার পরীক্ষার্থীর বিভিন্ন মেয়াদে কারাদ- দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
এরমধ্যে সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত ‘বি’ ইউনিটে প্রক্সি পরীক্ষা দিতে এসে দু’জনের কারাদ- হয়েছে। তারা হলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা বিভাগের ১ম বর্ষের ছাত্র মোঃ হাবিবুর রহমান। তাকে পাবলিক পরীক্ষা আইন ১৯৮০ এক বছর বিনাশ্রম কারাদ- দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। সে কুড়িগ্রাম জেলার উলিপুর থানার মোজাম্মেল হকের পুত্র মাহফুজ ইসলামের হয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস ভেন্যুতে প্রক্সি পরীক্ষা দিতে এসে কক্ষ পরিদর্শকের হাতে ধরা পড়ে। পরে ভর্তি পরীক্ষা উপলক্ষে চলমান ভ্রাম্যমাণ আদালত এ রায় দেন।
অপরদিকে একই ইউনিটে প্রক্সি পরীক্ষা দিতে এসে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ১ম বর্ষের ছাত্র আরিফুল ইসলাম কক্ষ পরিদর্শকের হাতে ধরা পড়ে। সে লাবিব নামে এক ভর্তিচ্ছুর হয়ে রংপুর শিশু নিকেতন উচ্চ বিদ্যালয় ভেন্যুতে প্রক্সি দিতে এসেছিলো। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত তাকে ৫ দিনের কারাদ- দেন। বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত ‘ডি’ ইউনিটে অসদুপায় অবলম্বনের দায়ে কারমাইকেল কলেজ এর প্রাণী বিদ্যা বিভাগের ১ম বর্ষের ছাত্র সাদ্দাম হোসেনকে দ-বিধির ১৮৮ ধারা অনুযায়ী ১০ দিনের বিনাশ্রম কারাদ- দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। সে রংপুর নগরীর লালবাগ এলাকার মোজাম্মেল হোসেন এর পুত্র। রংপুর সরকারি কলেজ ভেন্যুতে পরীক্ষা হলে মোবাইলে এসএমএস এর মাধ্যমে বাইরে থেকে উত্তর নিয়ে পরীক্ষা দিচ্ছিলেন। কক্ষ পরিদর্শকের নজরে আসলে তিনি ধরা পড়েন। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত তাকে এ দ-াদেশ প্রদান করেন। প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদভুক্ত ‘ই’ ইউনিটের পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বনের দায়ে ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস এগ্রিকালচারাল এন্ড টেকনোলজি (আইইউবিএটি) এর ছাত্র আব্দুল আওয়ালকে দ-বিধির ১৮৮ ধারা অনুযায়ী ১৫ দিনের কারাদ- দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। সে চাঁদপুর জেলার কচুয়া থানার পালগিরি গ্রামের মোঃ কামরুজ্জামানের পুত্র। সে মোবাইল ফোনে উত্তর সংগ্রহকালে কক্ষ পরিদর্শকের হাতে ধরা পড়ে।