১. বাজেট তৈরি
বাজেট ছাড়া আপনার টাকা কোনদিক থেকে আসবে আর কোনদিক থেকে খরচ হবে, তা আপনি বুঝতে পারবেন না। আর তাই অল্প বয়স থেকেই আর্থিক আয় ও ব্যয়ের একটি সম্ভাব্য হিসাব তৈরির অভ্যাস করতে হবে। স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা এ ক্ষেত্রে বড় কোনো আর্থিক লেনদেন নয়, বরং টিফিনের টাকা, নোটবুক, বই ইত্যাদি কেনার খরচ এসব বিষয় অন্তর্ভুক্ত করলেই চলবে।
২. সঞ্চয়
বেশির ভাগ তরুণই হাতের সব টাকা খরচ করতে আগ্রহী থাকেন। কিন্তু এ অভ্যাস বাদ দিয়ে কিছু সঞ্চয়ের অভ্যাস করতে হবে। এ ক্ষেত্রে বড় কোনো অঙ্ক নয়, বরং অতি সামান্য টাকার মাধ্যমেও এ সঞ্চয় শুরু করা যায়। এ সঞ্চয়ের মূল উদ্দেশ্য হবে ভবিষ্যতের জন্য সঞ্চয়ের অভ্যাস গঠন।
৩. বিনিয়োগ
অল্প বয়সে আপনি নিশ্চয়ই বিনিয়োগের মতো সিদ্ধান্ত নেওয়ার মতো মানসিক শক্তি অর্জন করবেন না। কিন্তু তরুণ বয়সে ক্ষুদ্র আকারে হলেও কিছু বিনিয়োগ আপনার এ মানসিক শক্তি অর্জনে সহায়ক হবে।
৪. জরুরি তহবিল গড়–ন
বিপদে পড়লে তা থেকে উদ্ধার পাওয়ার খরচ মেটানোর জন্য জরুরি তহবিল গড়তে হয়। অল্প বয়সে এ খরচ হয়তো অভিভাবকরাই মিটিয়ে দেন। কিন্তু ছোটখাটো বিপদ থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য নিজেই এ তহবিল গড়া শুরু করতে পারেন। ছোট এ অভ্যাসই ধীরে ধীরে আর্থিক সচেতনতা গড়ে তুলবে, যা পরবর্তী জীবনে কাজে লাগবে।
৫. আর্থিক নমনীয়তা
ব্যক্তিগত আর্থিক বিষয়ে সবক্ষেত্রে কঠোর নিয়ম মেনে চলা সম্ভব হয় না। নিজের বিনোদনের জন্যও কিছু অর্থ খরচ করতে হয়। তাই অল্প বয়সেও কোথায় কত টাকা খরচ করতে হবে, তার একটি সহনশীল পরিকল্পনা করা উচিত। এ ক্ষেত্রে সঞ্চয়ের জন্য যেমন সামান্য কিছু টাকা রাখতে হবে, তেমনি মজার কোনো খাবার কেনার জন্যও যথাযথ পরিকল্পনা করতে হবে।