এবার উচ্চশিক্ষার পচন রোগ নিরাময়ে রাষ্ট্রের নির্বাহী প্রধান নিজেই উদ্যোগী হয়েছেন। যা নিঃসন্দেহে জাতির জন্য একটা ভালো সংবাদ। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর এই আন্তরিক সদিচ্ছাকে আমরা স্বাগত জানাই। তিনি কোনো উদ্যোগ নিলে তা দ্রুত বাস্তবায়ন হয় এতে কারো কোনো সন্দেহ নেই। তবে তাঁর এই উদ্যোগ, সুপারিশ, নির্দেশনা-উপদেশ ও পরামর্শসমূহ হতে হবে যৌক্তিক ও বাস্তব সম্মত। যা সার্বিক বিবেচনায় জাতির জন্য কল্যাণ বয়ে আনতে পারে।
লেখার শুরুতেই কথাগুলো এই কারণেই বলতে বাধ্য হলাম যে - ৩১ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী শিক্ষা মন্ত্রণালয় পরিদর্শনে গিয়ে হঠাৎ করেই জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে পরিচালিত সরকারি কলেজগুলো পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে নেয়ার নির্দেশনা দেন। শিক্ষার মানোন্নয়ন ও সেশনজট কমাতেই এ উদ্যোগের কথা জানান তিনি।
কাল বিলম্ব না করে প্রধানমন্ত্রীর এই নিদের্শনা তরিত বাস্তবায়নে সরকারি কলেজগুলো পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ন্যস্ত করার লক্ষ্যে ৭ ডিসেম্বর ৩৬টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসিগণকে নিয়ে সভা করে ৮ সদস্যের কমিটি গঠন করে ইউজিসি। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের দীর্ঘদিনের সেশনজট ও শিক্ষার গুণগতমান উন্নীতকরণে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনার আলোকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অনুরোধে গঠিত কমিটিকে এক মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়। গঠিত কমিটি হয়তো এরই মধ্যে প্রতিবেদনটি প্রস্তুতও করে ফেলেছে। সংশ্লিষ্টরা হয়তো স্বল্প সময়ের ব্যবধানেই তা বাস্তবায়ন করে ফেলার চেষ্টাও করবেন।
কিন্তু আমাদের কথা হলো- ‘শিক্ষা জাতির মেরুদ-’ এমন একটি জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে কোনো ধরনের গবেষণা ও ডায়ালগ না করেই তড়িঘড়ি করে প্রশাসনিকভাবে এমন সিদ্ধান্ত নেয়া এবং তা বাস্তবায়ন করা কী জাতির জন্য কল্যাণ বয়ে আনবে? না উচ্চ শিক্ষার চলমান এই সঙ্কটকে আরো জটিল করে তুলবে! এ নিয়ে অনেকের মধ্যে উদ্বেগ-উৎকন্ঠাও লক্ষ্য করা গেছে।
খোঁজ নিয়ে যতদূর জানতে পেরেছি, তাতে বর্তমানে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ২১৫৪টি স্নাতক, স্নাতক (সম্মান), স্নাতকোত্তর কলেজ ও অন্যান্য বিশেষায়িত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (৩৮২টি) এর সঙ্গে অধিভুক্ত রয়েছে। এরমধ্যে সরকারি ২৭৫টি এবং বেসরকারি ১৮৭৯টি। সবমিলে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ২১ লক্ষাধিক। এর মধ্যে সরকারি কলেজের শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১২,৯০,৯০৩ এবং বেসরকারি কলেজে ৮,১৬,৬৯৯। শিক্ষক সংখ্যা ৬০ হাজারের মতো। এই প্রতিষ্ঠান থেকে ৩৪ ধরনের ডিগ্রি প্রদান করা হয়। এজন্য বছরে প্রায় ১০০ প্রকার পরীক্ষা গ্রহণ করা হয়ে থাকে।
এদিক থেকে উচ্চশিক্ষায় নিয়োজিত দেশের প্রায় ৭০ ভাগ শিক্ষার্থী এ প্রতিষ্ঠানের অন্তর্ভুক্ত। ২০১৪ সালে অনুষ্ঠিত শুধু স্নাতক (পাস) পরীক্ষায় ৪ লাখ ৭৬ হাজার শিক্ষার্থী অংশ নেয়। গত ১৯ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষে ১ম বর্ষ স্নাতক (সম্মান) শ্রেণির ভর্তি পরীক্ষায় ২,৬১,৪৪৬টি আসনের বিপরীতে ভর্তিচ্ছু পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ৫ লাখ ১৭ হাজার ৪ শ’ ৫৭ জন। ফলে যেভাবেই চিন্তা করা হোক না কেন; কাজটি যে বাস্তবায়ন করা ততটা সহজ হবে না তা সহজেই অনুমেয়।
শিক্ষাবিদদের বক্তব্য
এ প্রসঙ্গে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি ও পিএসসি সদস্য অধ্যাপক শরীফ এনামুল কবীর বলেন, ‘সরকারি কলেজগুলোকে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে অধিভুক্ত করার ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনাকে কেন্দ্র করে একটি গোষ্ঠীর ব্যাপক তৎপরতা রহস্যজনক। প্রধানমন্ত্রী যে বক্তব্য দিয়েছেন তা শিক্ষাবিদদের মতামত নিয়েই একটি কমিটি করে গবেষণার মাধ্যমে খতিয়ে দেখা উচিত। না হয় দীর্ঘমেয়াদি ক্ষতির সম্মুখীন হবে দেশের বৃহত্তম এ বিশ্ববিদ্যালয়টি।’
ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি চট্টগ্রামের (ইউএসটিসি) ভিসি অধ্যাপক ড. মুহম্মদ সামাদ বলেন, ‘যদি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় খ--বিখ- করা হয়, তাহলে সেটা সাধারণ মানুষ ও সরকারের জন্য ক্ষতির কারণ হবে। প্রধানমন্ত্রী প্রজ্ঞাবান। তিনি এমন সিদ্ধান্ত নেবেন না বলে বিশ্বাস করি। এই সিদ্ধান্ত পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্যও ক্ষতির কারণ হবে।’
শিক্ষানীতি প্রণয়ন কমিটির সদস্য ইতিহাসবিদ অধ্যাপক সিরাজউদ্দিন হোসেন বলেন, ‘সরকারি কলেজ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ছেড়ে দেয়ার প্রস্তাবনা একটি উদ্ভট চিন্তাধারা। প্রধানমন্ত্রীকে কেউ এমন ভুল বুঝিয়ে থাকতে পারেন। এমন সিদ্ধান্ত ২০১০ সালের জাতীয় শিক্ষানীতিতে নেই। প্রধানমন্ত্রীকে এটা অবহিত করতে হবে। এজন্য একটি কমিটি গঠন করা দরকার।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক শিক্ষাবিদ অধ্যাপক ওয়াহিদুজামান বলেন, ‘যারা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে এমন কথা বলছেন, তারা মূলত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়কে পৃষ্ঠপোষকতা করতে চাচ্ছেন। আমরা জেনেছি, ৩১ আগস্ট শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে প্রধানমন্ত্রীর বৈঠক শুরুর আগে একজন ব্যক্তি এই বিষয়টি তার (প্রধানমন্ত্রীর) নজরে নিয়েছেন। কিন্তু ওই শিক্ষাবিদ প্রকৃত চিত্র এবং পাশাপাশি সমাধানের বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীর সামনে তুলে ধরেননি। যে কারণে প্রধানমন্ত্রী উদ্বিগ্ন হয়েছেন।’
এ প্রসঙ্গে তিতুমীর কলেজের সহকারী অধ্যাপক আফরোজ বেগম বলেন, ‘আমাদের কলেজের ৫৫ হাজার শিক্ষার্থী, সেখানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কীভাবে এই শিক্ষার্থীদের দায়ভার গ্রহণ করবে, নিজেরা যেখানে একাডেমিক কার্যক্রম পরিচালনা করতে হাবুডুবু খাচ্ছে?’
শিক্ষাবিদদের এমন আশঙ্কা একেবারেই অমূলক নয়। উপরে উল্লেখিত বক্তব্য-বিতর্ক থেকে এ কথা সুস্পষ্ট যে, খোদ সরকার সমর্থক শিক্ষাবিদরাই এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা বাস্তবায়নে একমত হতে পারছেন না। এক্ষেত্রে অন্যদের মতামতের বিষয়টি বাদই দিলাম।
এক্ষেত্রে আমার মনে হয় প্রফেসর ড. হারুন অর রশিদ স্যার জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি না হয়ে অন্য কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে ভিসি হলে কিংবা সাধারণ শিক্ষক হলেও হয়তো তিনি এই প্রস্তাবকেই সমর্থন করতেন।
এত কিছুর পরও আমাদের বেশ কিছু সংখ্যক বিবেকবান ব্যক্তি তথা যারা প্রকৃত অর্থেই শিক্ষাবিদের ভূমিকায় রয়েছেন তারা দেশ-জাতির স্বার্থেই বাস্তব কথাগুলোকে তুলে ধরার চেষ্টা করছেন। তাদের মতামতের প্রতি রইলো আমার অগাধ শ্রদ্ধা।
সব কিছুতেই গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় বিতর্ক থাকা বা হওয়া ভালো। কারণ এতে প্রকৃত ভালো বিষয়টি বেরিয়ে আসে। তবে বিতর্কে জড়ানোর মতো আমার সেই যোগ্যতা কিংবা জ্ঞান নেই। তবে সরকারি কলেজগুলো নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা বাস্তবায়ন প্রসঙ্গে যে বির্তকের সৃষ্টি হয়েছে তা থেকে সম্ভাব্য উত্তরণের বিষয়ে আমার কিছু মতামত নিম্নে তুলে ধরলাম, যদিও সচেতন পাঠক সমাজ বা দেশের শিক্ষাবিদ ও নীতিনির্ধারণের সঙ্গে জড়িত সম্মানিত ব্যক্তিবর্গ আমার সঙ্গে একমত নাও হতে পারেন।
প্রথমতঃ বিশ্বের যে কোনো সমাজে সমস্যা দেখা দিলে তা নিয়ে গবেষণা হয় এবং তা সমাধানের পথ খুঁজে বের করার চেষ্টা করা হয়। সেই আলোকে আমি মনে করি, ব্যবস্থাপনাগত ত্রুটির কারণেই আমাদের দেশে উচ্চশিক্ষায় সেশনজট ও গুণগতমানসহ নানাবিধ সমস্যা দেখা দিয়েছে। ফলে নির্বাহী নির্দেশনা বলে নয়, প্রকৃত সমস্যা খুঁজে বের করে তা স্থায়ী সমাধানের লক্ষ্যে একটি উচ্চমানের গবেষণা হওয়া প্রয়োজন। ওই গবেষণায় যদি এ ধরনের সাজেশন আসে তবে তাই হবে। এতে তখন কারো কোনো প্রশ্ন থাকবে না। অন্যথায় নির্বাহী আদেশের বলে যদি এটি বাস্তবায়ন করা হয় তবে উচ্চশিক্ষায় বিশৃঙ্খলা আরো বাড়তে পারে এমন আশঙ্কা একেবারে অমূলক নয়। তখন এর দায়ভার কে নেবে?
দ্বিতীয়তঃ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সেশনজট দ্রুত নিরসন ও শিক্ষার গুণগত মান উন্নয়নে যে সব প্রস্তাবনা দিয়েছেন, তা বাস্তবায়নের সুযোগ দিয়ে আরো কয়েক বছর সময় দেয়া যেতে পারে। সেই সঙ্গে ব্যবস্থাপনার গবেষণার কাজটিও এগিয়ে যেতে পারে।
তৃতীয়তঃ সবাই সামনে এগিয়ে যাচ্ছে- আমরাও সামনে যাবো, পেছনে নয়। যেহেতু এর বিপক্ষে অনেক যুক্তি দাঁড় করানো হয়েছে। সেহেতু এই প্রক্রিয়ার বাইরে অন্য কোনো বিকল্প প্রক্রিয়ায় এই সমস্যার সমাধান করা যায় কি না তা নিয়েও আলোচনা হতে পারে। যেহেতু পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো নিজেরাই সঙ্কটে রয়েছে, সেহেতু এর বিকল্প কোনো প্রক্রিয়া গ্রহণ করা হলে সবার কাছে সহজেই গ্রহণযোগ্য হতে পারে।
চতুর্থতঃ আর প্রধানমন্ত্রীর এই দিক নির্দেশনার পেছনে বিশেষ কোনো ব্যক্তি বা বিশেষ কোনো স্বার্থান্বেষী মহলের হাত থাকার প্রতি যে প্রশ্ন উঠেছে এই বিষয়টিও প্রধানমন্ত্রীকে বিবেচনায় নিয়ে আরেকবার ভেবে-চিন্তে বাস্তবায়নের পথে অগ্রসর হওয়া দরকার। কারণ আমাদের সমাজে এরূপ বুদ্ধিদাতার অভাব নেই। প্রকৃত সমস্যা সমাধান এবং কাজের লোক খুবই কম।
পঞ্চমতঃ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ভিসিদেরও বিষয়টি ভেবে দেখা দরকার। কারণ নিজেরাই যেখানে সমস্যায় হাবুডুবু খাচ্ছেন সেখানে আরো ২/৩ লাখ করে অতিরিক্ত শিক্ষার্থীর চাপ নেওয়া কতটা মঙ্গলজনক হবে বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য। কারণ এ বিষয়ে মাত্র ৩টি বিশ্ববিদ্যালয়ের অতীত অভিজ্ঞতা রয়েছে। বাকিদের এ বিষয়ে ব্যবস্থাপনার অভিজ্ঞতা একেবারেই নতুন।
ষষ্ঠতঃ নির্বাহী নির্দেশনা বলে যদি এটি এভাবেই করা হয়, তবে সরকারি-বেসরকারি সব কলেজকেই যেন একই প্রশাসনিক ব্যবস্থাপনা কাঠামোর মধ্যে রাখা হয়। অর্থাৎ জাতীয় বিশ্ববিদ্যারয়কে অন্য সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো করে দিয়ে সরকারি- বেসরকারি সব কলেজ এবং অন্য সব অধিভুক্ত প্রতিষ্ঠানকে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন ছেড়ে দিতে হবে। এক্ষেত্রে হাতেগোনা কয়েকটি ইউনিভার্সিটির অধীন কলেজগুলো ছেড়ে না দিয়ে সবকটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়কে নিজ নিজ এলাকার কলেজগুলোকে অধিভুক্ত করতে হবে। অন্যথায় বৈষম্যের যে কথা উঠেছে তা বাস্তবেই ঘটবে। বৈষম্য প্রকট হলে তখন বেসরকারি কলেজের শিক্ষার্থী সংকটও প্রকট আকারে দেখা দিতে পারে।
এ কথা আজ কারো অস্বীকার করার উপায় নেই যে-আমাদের উচ্চ শিক্ষার ‘সংকট’ একটি জাতীয় সমস্যা হিসেবে দেখা দিয়েছে। আজ থেকে ৫০ বছর আগে পৃথিবীর বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে র্যাংকিং করা হলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় একটা সম্মানজনক অবস্থানে থাকত।
কিন্তু বর্তমান বিশ্বের সেরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর তালিকায় বাংলাদেশের কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম নেই। এতেই বোঝা যায় আমাদের উচ্চশিক্ষায় পচন রোগ কতটা জটিল আকার ধারণ করেছে। ফলে শুধু কলেজগুলোকে নিয়ে নয় আমাদের ভাবতে হবে সার্বিক উচ্চশিক্ষা নিয়ে। একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ সফলভাবে মোকাবিলা করার জন্য উন্নয়নশীল দেশগুলোকে যে বিশ্বমানের বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি করতে হবে, সে কথা কিন্তু বিশ্বখ্যাত শিক্ষাবিদেরা সাংহাইয়ে অনুষ্ঠিত প্রতিটি ওয়ার্ল্ড ক্লাস ইউনিভার্সিটি কনফারেন্সেই মনে করিয়ে দিয়ে আসছেন।
তাই আমি প্রধানমন্ত্রীসহ শিক্ষা সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান রাখবো- উচ্চশিক্ষার এই সংকট অন্য কোনো ছোটখাটো সমস্যার মতো নয়, এটা এখন জাতীয় সমস্যা হিসেবে দেখা দিয়েছে। ফলে এ বিষয়ে তাড়াহুড়া না করে কিছুটা সময় নিয়ে হলেও এর একটা দীর্ঘস্থায়ী সমাধানের পথ খুঁজে বের করতে হবে। এক্ষেত্রে উচ্চশিক্ষার সংকট ও উত্তরণ এবং ব্যবস্থাপনা নিয়ে একটি উচ্চমানের গবেষণা এবং শিক্ষাবিদদের নিয়ে সেমিনার ও সংলাপ করা যেতে পারে। সেই সঙ্গে বিশ্বে শিক্ষায় উন্নত দেশগুলোর উচ্চশিক্ষার ব্যবস্থাপনার সিস্টেমগুলো খতিয়ে দেখাও যেতে পারে।
সবশেষে বলবো, আমরা যদি এই সংকট থেকে দীর্ঘস্থায়ী কোনো সমাধানে পৌঁছতে না পারি তাহলে ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন স্বপ্নই থেকে যাবে।