সাম্প্রতিককালের আলোচিত খবরগুলোর অন্যতম হলো ব্লগার অভিজিৎ রায় হত্যাকান্ড। বাংলা একাডেমির বইমেলায় নিজ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন উপলক্ষে সস্ত্রীক যুক্তরাষ্ট্র থেকে বাংলাদেশে এসে অন্ধকারে আততায়ীর অতর্কিত নৃশংস হামলায় নিহত হন অভিজিৎ। তাঁর স্ত্রী রাফিদা আহমেদ মারাত্মক আহত হন। বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় এ হামলার মর্মান্তিক ছবি দেখে আমি মর্মাহত, ক্ষুব্ধ। আমার মনে কিছু প্রশ্নই বারবার ঘুরপাক খাচ্ছে, অভিজিৎ কী এমন দোষ করেছিলেন, যার পরিণতি এরূপ নৃশংস হত্যাকা-, করুণ মৃত্যু? মানুষের কী স্বাধীন মত প্রকাশের অধিকার নেই? অভিজিৎ যদি কোনো দোষ করে থাকেন, দেশের আইন কি তাকে শাস্তি দিতে পারতো না?
অভিজিৎ রায় ছিলেন লেখক ও ব্লগার । স¦াধীন মত প্রকাশের আধুনিক প্ল্যাটফরম হলো ব্লগ। বিভিন্ন বিষয়ে বিভিন্ন ব্যক্তির মতের অমিল হতেই পারে; তখন ব্লগে চলতে থাকে যুক্তি এবং পাল্টা যুক্তির যুদ্ধ। অভিজিৎ রায়ও নানা বিষয়ে তাঁর মতের স্বপক্ষে যুক্তি দিয়ে যাচ্ছিলেন ব্লগে। স্বাধীন বিশ্বের নাগরিক হিসেবে মতামত প্রকাশের যে স্বাধীনতা আছে সেটুকুরই চর্চা করছিলেন তিনি। কিন্তু তাঁর মতের সাথে অন্য কারো কারো মতের মিল না হওয়ার পরিণতিতে তাঁকে মৃত্যুবরণ করতে হবে কেন?
যার যার বিশ্বাস তার নিজের একান্ত ব্যক্তিগত। কথা দিয়ে অন্যের বিশ্বাস নষ্ট করা যায় না। কারও কথায় যদি বিশ্বাস নষ্ট হয়, তবে বুঝতে হবে সে বিশ্বাসের ভিত্তি বড় দুর্বল, নগণ্য। আমি আমার নিজের বিশ্বাসে অটুট থাকলে অভিজিৎ রায়ের মত শত ব্লগারের মতামতে এতে কোনো নড়চড় হবে না। ফলে অভিজিৎ রায়দের হত্যা করে নিজের বিশ্বাসের পরিচয় কোনোভাবেই দেয়া যায় না।
অভিজিতের কলম থেকে যে মত বেরিয়েছে তার বিরুদ্ধাচরণ যদি করতেই হয়, তবে সে অস্ত্র হওয়া দরকার ছিল পাল্টা যুক্তিনির্ভর ব্লগ-প্রবন্ধসহ যেকোন রকম লেখনি; অতর্কিত কাপুরোষোচিত নৃশংস হামলা নয়। তিনি যদি এমন কিছু লিখে থাকেন, যা শাস্তিযোগ্য অপরাধ- তবে তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করা যেতো। কিন্তু আইন নিজের হাতে তুলে নিয়ে কেন এ বর্বরতা?
যারা কলমের বিরুদ্ধে কলম না চালিয়ে অন্ধকারে মানুষ হত্যা করে, তাদের বিশ্বাস ও দর্শন কতটুকু সত্য? তারা এ কাজ করে কি সাহসিকতার পরিচয় দিয়েছেন? বরং এটি ভীতু অমানুষদের কাজ। তারা অন্ধকারের জীব। কলমের বিরুদ্ধে কলম তথা জ্ঞানযুদ্ধে এগুতে পারেননি বলেই কি এরূপ নৃশংস ও বর্বর কাজ করেছেন?
আসুন, আমরা সোচ্চার হই- অভিজিৎ রায়ের হত্যাকান্ডই স্বাধীন মত প্রকাশের কারণে শেষ হত্যাকান্ড হোক। যেকোন বিষয়ে ভিন্নমত পোষণ করলে প্রতিবাদ হোক কলমের কালিতে, যুক্তির তলোয়ারে; কিন্তু অস্ত্র দিয়ে নয়, নৃশংসতা দিয়ে নয়।
খুব ভালো একটি স্কুলে আমি পড়ি; স্কুলের নাম সহজপাঠ। আমাদের এই স্কুলটি অন্যসব স্কুল থেকে একেবারেই আলাদা। পুরোপুরি ভিন্ন ধরনের এবং চমৎকার ও সহজ লেখাপড়ার একটি স্কুল এটি। পড়াশোনার পাশাপাশি আমাদের স্কুলে ...
বাবার সঙ্গে কিছুদিন আগে আমি ফারস হোটেলে গিয়েছিলাম। এ হোটেলটি বাবার অফিসের খুব কাছে। আমার বাবার অফিস হচ্ছে জাতীয় প্রেসক্লাবের কাছে, বাংলাদেশ সচিবালয়ের বিপরীতে, ৩৩ তোপখানা রোড তেরো তলায়। এটি বাবার নিজস্ব অফিস।...
আমি আমার বাবার কাছে যেটাই চাই, সেটাই দিয়ে থাকেন। তবুও আমি ভাবতে পারিনি যে, দুবাই যাবার কথা বললেই বাবা আমাকে নিয়ে যাবেন। কারণ বাবা বহুদেশ ঘুরলেও তখনো দুবাই ভ্রমণ করেননি। তবে এমিরেটস এয়ারলাইন্সের ট্রান্সজিট...
লা মেরিডিয়ান, আমার দেখা বাংলাদেশের সবচেয়ে সুন্দর হোটেল। অন্য ফাইভস্টার হোটেলগুলোর চেয়ে শিল্প-সুন্দরে এটি একেবারেই আলাদা; লেটেস্ট এবং ইউনিক। বাবার সাথে আমি দু’বার এ হোটেলে থেকেছি।...
ইউরোপের উচ্চশিক্ষার একটি অবিছেদ্য শর্ত হলো আপনি আর্থিক সাবলম্বী কি না। আপনি আপনার পড়াশুনা চালিয়ে যেতে পারবেন কি না। ভিসা আবেদনের আগে আপনাকে একটা নির্দিষ্ট পরিমান টাকার ব্যাঙ্ক সলভেনসি সার্টিফিকেট ...
সমাজের সার্বিক অবস্থা প্রত্যক্ষ করলে প্রতিভাবান অনেক ফুটন্ত গোলাপ অঙ্কুরেই ঝরে যেতে দেখা যায়। যথেষ্ট মেধা এবং দক্ষতা থাকা সত্ত্বেও সঠিক দিক নির্দেশনার অভাবে এখনকার তরুন-তরণীদের অনেকের ক্যারিয়ার হয় অন্ধকারচ্ছন্ন।...
প্রতিটি মানুষের জীবনেই কখনো না কখনো খারাপ সময় আসে। সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতি দাঁড়ায় তখনই, যখন মানুষ ভুল বোঝাবুঝির শিকার হয়, দোষ না করেও হতে হয় দোষী। তখন না যায় কাউকে বোঝানো...