হাজারো জল্পনা-কল্পনা আর দোটানা পরিস্থিতিকে উপেক্ষা করে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) আসন্ন গ্রীষ্মকালীন ছুটি বাতিল করা হয়েছে। উপাচার্য অধ্যাপক ড. আবদুল হাকিম সরকার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এদিকে দীর্ঘ দিনের প্রত্যাশা পূরণ হওয়ায় শিক্ষার্থীদের মাঝে বিরাজ করছে স্বস্তির বাতাস।
জানা যায়, উপাচার্য অধ্যাপক ড. আবদুল হাকিম সরকার আসন্ন গ্রীষ্মকালীন ছুটি বাতিলের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। এর আগে গ্রীষ্মকালীন ছুটি বাতিল ও রমজানের ছুটির বিষয়ে দিকনির্দেশনা চেয়ে সকল অনুষদ ও বিভাগকে ৯ মে’র মধ্যে সিদ্ধান্ত জানানোর জন্য বলে প্রশাসন।
প্রশাসনের দিকনির্দেশনা বিবেচনা করে সকল অনুষদীয় ডিন ও বিভাগের একাডেমিক কমিটি গ্রীষ্মকালীন ছুটি বাতিলের পক্ষে সুপারিশ করেন। সকলের সুপারিশের উপর ভিত্তি করে আসন্ন গ্রীষ্মকালীন ছুটি বাতিল করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. আবদুল হাকিম সরকার।
এদিকে বিভিন্ন কারণে ক্যাম্পাস প্রায় সাড়ে চারমাস বন্ধ থাকায় গ্রীষ্মকালীন ছুটি বাতিল ও রমজানের ছুটিতে চূড়ান্ত পরীক্ষা গ্রহণের দাবি জানিয়ে আসছিল সাধারণ শিক্ষার্থীরা। অনেক জল্পনা-কল্পনা আর দোটানা পরিস্থিতি শেষে শিক্ষার্থীদের প্রত্যাশা অনেকটা পূরণ হওয়ার পথে।
এ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র নিয়ামুল হাসান বলেন-‘নানা কারণে বিশ্ববিদ্যালয় প্রায় সাড়ে চারমাস বন্ধ ছিল। ফলে আমাদের পড়াশুনার ব্যাপক ক্ষতি হওয়ায় গ্রীষ্মকালীন ছুটি বাতিল ও রমজানের ছুটিতে পরীক্ষা গ্রহণের দাবি জানিয়ে আসছিলাম। আমি মনেকরি দলমত নির্বিশেষে সকল শিক্ষার্থী এই দাবিতে একমত। গ্রীষ্মকালীন ছুটি বাতিলের সিদ্ধান্তে প্রশাসনকে অসংখ্য ধন্যবাদ।’
ইংরেজি বিভাগের প্রথমবর্ষের ছাত্রী জান্নাতুত তাজরী বলেন-‘গ্রীষ্মকালীন ছুটি বাতিল করায় আমরা অত্যন্ত আনন্দিত। প্রশাসনকে কৃতজ্ঞতা জানাই। তবে আসন্ন রমজানের ছুটিতে ক্যাম্পাস বন্ধ না করে পরীক্ষাগুলো নেয়ার ব্যবস্থা করলে আমরা আরো বেশি খুশি হবো। আশা করি প্রশাসন আমাদের এই দাবিও বিবেচনা করবেন।’
উপাচার্য অধ্যাপক ড. আবদুল হাকিম সরকার বলেন-‘গ্রীষ্মকালীন ছুটি বাতিল করা শিক্ষার্থীদের অনেক দিনের দাবি। ছাত্র-ছাত্রীদের দাবির প্রেক্ষিতে অনুষদীয় ডিন ও বিভাগগুলোকে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত জানানোর জন্য নিকনির্দেশনা দেয়া হয়েছিল। একাডেমিক কমিটি ও সকল অনুষদীয় ডিনের পরামর্শক্রমে গ্রীষ্মকালীন ছুটি বাতিল করা হয়েছে। রমজানের ছুটির ব্যাপারে এখনো কোন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি।’