বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের প্রতিবাদ কর্মসূচি
প্রস্তাবিত ৮ম বেতন স্কেল বাতিল ও তা পুনঃনির্ধারণ এবং শিক্ষকদের জন্য স্বতন্ত্র বেতন স্কেল ঘোষণার দাবিতে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের ডাকে ৮ জুন পর্যন্ত একযোগে ফেডারেশনভূক্ত দেশের সকল বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকরা কর্মবিরতি ও অবস্থান ধর্মঘট পালন করে।
এ উপলক্ষ্যে আয়োজিত প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তারা বলেন, এই কর্মসূচি সরকার বিরোধী কোনো কর্মসূচি নয়, কিংবা কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে আন্দোলনও নয়। এই কর্মসূচি শুধুমাত্র শিক্ষকদের ন্যায্য সম্মান ও স্বতন্ত্র বেতন স্কেল আদায়ের জন্য। চলতি মাসের মধ্যে শিক্ষকদের স্বতন্ত্র বেতন কাঠামো প্রণয়নের জন্য ঘোষণা আসতে হবে। শিক্ষকদের জন্য নতুন বেতন কাঠামো প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের মধ্যবর্তী সময়ে ঘোষিত বেতন কাঠামো পুনঃনির্ধারণ করে সকল বৈষম্য দূরীকরণপূর্বক সিলেকশন গ্রেড অধ্যাপকদের বেতন-ভাতা সিনিয়র সচিবের সমতুল্য করা; অধ্যাপকদের বেতন-ভাতা পদায়িত সচিবের সমতুল্য করা; সহযোগী অধ্যাপক, সহকারী অধ্যাপক ও প্রভাষকদের বেতন কাঠামো ক্রমানুসারে নির্ধারণ করাসহ শিক্ষকদের যৌক্তিক বেতন স্কেল ও মর্যাদা নিশ্চিত করতে হবে।
শিক্ষকদের যৌক্তিক ও ন্যায্য দাবি আদায়ের লক্ষ্যে আগামীতে শিক্ষামন্ত্রী, অর্থমন্ত্রী, শিক্ষা মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় কমিটির সভাপতি ও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান বরাবরে স্মারকলিপি প্রদান করা হবে। শিক্ষকগণ আরও অঙ্গীকার করেন, দাবি আদায়ের লক্ষ্যে পরবর্তীতে যেকোনো কর্মসূচি সফল করতে তাঁরা দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।
ঢাবি শিক্ষক সমিতি
২৪ মে অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে বৈষম্যমূলক অষ্টম জাতীয় বেতন কাঠামো বাতিল করে শিক্ষকদের যৌক্তিক বেতন স্কেল ও মর্যাদা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির উদ্যোগে মানববন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। এ কর্মসূচিতে সহস্রাধিক শিক্ষক স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ করেন।
শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ-এর সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল-এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত উক্ত মানববন্ধন কর্মসূচিতে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোঃ আখতারুজ্জামান, অধ্যাপক মুনতাসির মামুন, অধ্যাপক মেজবাহ কামাল, অধ্যাপক এম এম আকাশ, অধ্যাপক নাজমা শাহীন ও অধ্যাপক আনোয়ার হোসেন প্রমুখ শিক্ষক নেতা বক্তব্য রাখেন।
কর্মসূচিতে বক্তারা বলেন, প্রস্তাবিত বেতন কাঠামোতে প্রতিটি ধাপে প্রায় দ্বিগুণ বেতন বৃদ্ধির প্রস্তাব করা হয়েছে।
সরকারের এ ধরনের জনমুখী বেতন কাঠামো যেখানে প্রশংসিত হওয়ার কথা সেখানে কিছুসংখ্যক উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তা নিজের ভাগ্য নিজেই নির্মাণের উদ্দেশ্য হাসিলের চেষ্টার কারণে বেতন স্কেলের বিষয়টি বিতর্কিত হয়েছে।
অষ্টম জাতীয় বেতন কাঠামোয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বেতন, সুযোগ-সুবিধা ও মর্যাদা সপ্তম জাতীয় বেতন স্কেল থেকে ২ (দুই) ধাপ কমিয়ে আনা হয়েছে।
এ ধরনের প্রচেষ্টার মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকসমাজকে সরকারের প্রতিপক্ষ হিসেবে দাঁড় করানোর অপপ্রয়াস চালিয়েছেন।
রাবি শিক্ষক সমিতি
প্রস্তাবিত অষ্টম বেতন-কাঠামো পুনঃনির্ধারণের দাবিতে মানববন্ধন করেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) শিক্ষক সমিতি। বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনের সামনে প্যারিস রোডে তারা এই মানববন্ধনের আয়োজন করে। বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রফেসর আনন্দ কুমার সাহা’র সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর ড. রেজাউল করিম বাদলের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বিভিন্ন বিভাগের প্রায় দুই শতাধিক শিক্ষক মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন। বক্তারা বলেন, পে-স্কেল তৈরির সাথে জড়িত সচিবগণ অপকৌশল করে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের মর্যাদার অবনমন করার চেষ্টা করেছেন।
চবি শিক্ষক সমিতি
প্রস্তাবিত ৮ম জাতীয় বেতন কাঠামোতে টাইম স্কেল ও সিলেকশান গ্রেড বাদ দেয়া ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বেতন দুই ধাপ নামিয়ে আনাসহ বৈষম্যমূলক বেতন স্কেলের সুপারিশ করায় প্রতিবাদ সভা ও মানববন্ধন করেছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি। সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির কার্যালয় ও প্রশাসনিক ভবনের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. আবুল মনসুর’র সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক ড. কাজী এস এম খসরুল আলম কুদ্দুসী’র সঞ্চালনায় প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখেন একাউন্টিং বিভাগের অধ্যাপক ড. সুলতান আহমেদ, অধ্যাপক মাহফুজুল হক চৌধুরী, অধ্যাপক বেনু কুমার দে, অধ্যাপক ড. জিনবোধি ভিক্ষু, অধ্যাপক ড. মহিউদ্দিন ও অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমান প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, যে জাতি শিক্ষকদের সম্মান দিতে জানে না সে জাতি উন্নতির শিখরে পৌঁছাতে পারে না। বাড়তি দুটি গ্রেডিং সিস্টেম প্রস্তাব করে সচিবদেরকে শিক্ষকদের তুলনায় মর্যাদা বৃদ্ধি করে শিক্ষকদের অপমানিত করার চেষ্টা করা হয়েছে। পাশাপাশি শিক্ষক সমাজকে বর্তমান সরকারের মুখোমুখি অবস্থান করানোর অপচেষ্টা চলছে। বক্তারা অবিলম্বে সিলেকশন গ্রেড প্রাপ্ত অধ্যাপকদের বেতন-ভাতা সিনিয়র সচিবের সমতুল্য করা, সহযোগী অধ্যাপক, সহকারী অধ্যাপক ও প্রভাষকদের বেতন কাঠামো ক্রমানুসারে নির্ধারণ নিশ্চিতকরণের দাবি জানান।
বাকৃবি শিক্ষক সমিতি
প্রস্তাবিত অষ্টম জাতীয় পে-স্কেলে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের অবমূল্যায়ন করা হয়েছে দাবি করে ক্ষোভ ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি) শিক্ষক সমিতি।
১৬ মে শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. খন্দকার শরীফুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. রফিকুল ইসলাম সরদার স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি জানানো হয়েছে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, প্রস্তাবিত ৮ম জাতীয় পে-স্কেলে মন্ত্রিপরিষদ/মুখ্য সচিব ও সিনিয়র সচিবদের বেতন স্কেল আলাদা আলাদা করে বাড়িয়ে দ্বিগুণ করা হয়েছে। পদায়িত সচিবদের জন্য নতুন একটি বেতন স্কেল করা হয়েছে। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনিয়র অধ্যাপকদের (সিলেকশন গ্রেড) বেতন স্কেল সচিবদের থেকে একধাপ নামানো হয়েছে।
প্রস্তাবিত বেতন স্কেলটি বৈষম্যমূলক উল্লেখ করে অধ্যাপকদের বেতন স্কেলটি সিনিয়র ও পদায়িত সচিবদের বেতনের সমান করার দাবি জানায় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি।
একই সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক, সহকারী অধ্যাপক এবং লেকচারারদের বেতন কাঠামো অধ্যাপকদের বেতনের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ করে সরকারি কর্মকর্তাদের জন্য নির্ধারিত সুযোগ-সুবিধা প্রদানের দাবি জানানো হয় সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে।
খুবি শিক্ষক সমিতি
প্রস্তাবিত পে-স্কেল পুননির্ধারণের দাবিতে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির উদ্যোগে ক্যাম্পাসে এক মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি প্রফেসর ড. সরদার শফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে ক্যাম্পাসের হাদী চত্ত্বরে অনুষ্ঠিত এ মানববন্ধনে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ফায়েক উজ্জামান শিক্ষকদের দাবির সাথে একাত্মতা প্রকাশ করে বলেন, সুপারিশকৃত পে-স্কেলে আর্থিক দিকের চেয়ে শিক্ষকদের মর্যাদার বিষয়টা বেশি জড়িত। তিনি বলেন, প্রস্তাবিত বেতন কাঠামোতে সিনিয়র প্রফেসরদের অবস্থান দেখে আমরা হতাশ হয়েছি, অপমান বোধ করছি। এ সুপারিশে শিক্ষকদের মর্যাদার ওপর আঘাত করা হয়েছে। তিনি বলেন, আমি বিশ্বাস করি শিক্ষা ও শিক্ষকবান্ধব এ সরকার শিক্ষকদের অমর্যাদা হয় এমন কিছু করবে না। তিনি এই বেতন কাঠামোর সুপারিশ কেবিনেটে যাওয়ার আগে তা সংশোধন করে পেশ করার জন্য আহবান জানান।
ইবি শিক্ষক সমিতি
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ৮ম জাতীয় পে-স্কেল বাতিল, সিলেকশন গ্রেড পুনর্বহাল এবং সকল বৈষম্য নিরসনের দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে ।
ইবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. আবুল আহসান চৌধুরীর সভাপতিত্বে এবং অধ্যাপক ড. সাইদুর রহমানের পরিচালনায় মানববন্ধনে সহ-সভাপতি অধ্যপক ড. আ ন ম রেজাউল করিম, সাধারন সম্পাদক অধ্যাপক ড. রাশিদ আসকারী, সাবেক সাধারন সম্পাদক অধাপক ড. ইকবাল হোসাইন, অধ্যাকপ ড. রুহুল কে এম সালেহ, অধ্যাপক ড. মাহবুবর রহমান, অধ্যাপক ড. আব্দুল লতিফ, অধ্যাপক কামাল উদ্দিনসহ দুই শতাধিক শিক্ষক মানববন্ধনে অংশ গ্রহন করেন।
মানববন্ধনে বক্তারা ৮ম বেতন স্কেল বাতিলের জোর দাবি জানান। যদি দাবি না মানা হলে কঠোর আন্দোলনের হুমকি দেন।
কুয়েট শিক্ষক সমিতি
বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশন এর সিদ্ধান্ত মোতাবেক প্রস্তাবিত ৮ম জাতীয় বেতন স্কেল বাতিল ও পুনঃনির্ধারণ এবং শিক্ষকদের জন্য স্বতন্ত্র বেতন স্কেল ঘোষণার দাবীতে ৮ জুন কুয়েটের শিক্ষকবৃন্দ ২ ঘন্টার কর্মবিরতি ও প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান ধর্মঘট পালন করেছে। এসময় কুয়েট শিক্ষক সমিতির নেতৃব"ন্দসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকগণ উপস্থিত ছিলেন। কর্মসূচী চলাকালীন সময়ে শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রফেসর গোলাম কাদের, সাধারণ সম্পাদক ড. শেখ শরিফুল আলম, তওইকৌশল অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মোঃ নুরুন্নবী মোল্লাসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকবৃন্দ বক্তৃতা করেন।
চুয়েট শিক্ষক সমিতি
প্রস্তাবিত বেতন কাঠামোতে বিভিন্ন বৈষম্য এবং টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেড বাতিলের প্রতিবাদে চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট)-এর শিক্ষক সমিতির উদ্যোগে এক মানববন্ধন ২৮ মে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনের
সময় বক্তাগণ বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের
শিক্ষকগণ যেখানে সমাজ গড়ার
কারিগর বলে বিবেচিত, সেখানে
শিক্ষক সমাজের অবস্থান নিয়ে
ধোয়াশাঁ সৃষ্টি করে প্রস্তাবিত
বেতন স্কেল এই সমাজকে
মেধাশূন্য করার চেষ্টা চালাবে
বলে আমাদের বিশ্বাস, যা
বর্তমান প্রধানমন্ত্রী এর উন্নয়ন ধারায়
নীতি বিরোধী।
হাবিপ্রবি শিক্ষক সমিতি
জাতীয় বেতন স্কেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনিয়র অধ্যাপকদের সিলেকশন গ্রেড বাদ দেয়ার পরিকল্পনাকে শিক্ষক সমিতি হাবিপ্রবি তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তারা বলেন, যেখানে এশিয়ার প্রায় দেশেই বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের জন্য স্বতন্ত্র বেতন স্কেল চালু আছে। ঠিক সেই মুহুর্তে বাংলাদেশে বিশ্ববিদ্যালয় সিনিয়র অধ্যাপকদের সিলেকশন গ্রেড বাদ দিয়ে জাতীয় বেতন স্কেল ঘোষণা নিতান্তই অযৌক্তিক এবং বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমাজের জন্য অপমানজনক।
পবিপ্রবি শিক্ষক সমিতি
প্রস্তাবিত ৮ম বেতন স্কেলে বৈষম্য দূরীকরণ ও সিলেকশন গ্রেড পুনর্বহাল করাসহ বেতন স্কেল পুনঃ নির্ধারণের দাবি জানিয়েছে পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি। ২৬ মে বিশ্ববিদ্যালয় সম্মেলন কক্ষে শিক্ষক সমিতির এক সভায় গৃহীত সিদ্ধান্ত মোতাবেক শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রফেসর মোহাম্মদ আলী ও সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর জেহাদ পারভেজ স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ দাবি জানানো হয়।
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি
বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের স্বতন্ত্র পে-স্কেলের দাবি ও প্রস্তাবিত পে-স্কেলে সিলেকশেন গ্রেড বাতিলের প্রতিবাদ জানিয়েছেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা।
সম্প্রতি নিজেদের ক্যাম্পাসে এক মানববন্ধন কর্মসূচিতে এই দাবি জানান তারা।
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোঃ তোফায়েল হোসেন মজুমদারের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন সমিতির সভাপতি দুলাল চন্দ্র নন্দী, কাজী নজরুল ইসলাম হলের প্রভোস্ট মেহেদী হাসান, বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি ও প্রক্টর মোঃ আইনুল হক।
বক্তারা বলেন, ‘৮ম পে-কমিশনের প্রস্তাবিত পে-স্কেলে বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাপকদের সিলেকশেন গ্রেড বাতিলের ফলে তাদের অবমূল্যায়ন করা হয়েছে। আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।’
তারা বলেন, পার্শবর্তী দেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বেতন শুরু হয় দেড় লাখ টাকা থেকে, আর বাংলাদেশে মাত্র ১১ হাজার টাকা।
বেতন বৈষম্য দূরীকরণ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের যুগোপযোগী বেতন কাঠামো ঠিক করার জন্য তারা স্বতন্ত্র পে-স্কেলের দাবি জানান।
মানববন্ধনে আরও উপস্থিত ছিলেন সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন মাসুদা কামাল, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা আহসান উল্লাহ, নওয়াব ফয়জুন্নেছা হলের প্রভোস্ট বদরুন্নাহার, শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন বিভাগের চেয়ারম্যানরা।
নোবিপ্রবি শিক্ষক সমিতি
সরকারের প্রস্তাবিত পে স্কেলে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক জন্য বেতন স্কেলে বৈষম্য থাকায় তার প্রতিবাদ জানিয়েছে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়য় (নোবিপ্রবি) শিক্ষক সমিতি। বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও ইংরেজী বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোঃ মুশফিকুর রহমান জানান, এই বেতন স্কেল কোন ভাবে মেনে যায় না। আমি এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। তিনি শীঘ্রই এই পে স্কেলের সুপারিশ পরিবর্তনের জানান।
এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়টির একাধিক শিক্ষকের সাথে যোগাযোগ করলে তারা বলেন, এই বেতন স্কেলের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদেরকে আর্থিকভাবে ও সামাজিকভাবে অপমান করা হয়েছে। এটা কোনভাবে মেনে নেয়া যায় না।
তাই নোবিপ্রবি শিক্ষক সমিতির নেতারা বিষয়টি পূর্ণবিবেচনায় নেয়ার জন্য সচিব কমিটির কাছে দাবি জানান।