দেশে এখন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আছে ৮৩টি। রাজধানীসহ অন্যান্য মহানগরীর অলিগলিতে, জেলা পর্যায়ে, এমনকি উপজেলাতেও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এতগুলো বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ন্ত্রণ করতে হিমশিম খাচ্ছে সরকার। অথচ এরই মধ্যে নতুন করে অনুমোদন চেয়ে আরো শতাধিক বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের আবেদন জমা পড়েছে। যাঁরা অনুমতি চেয়েছেন তাঁদের মধ্যে আছেন আওয়ামী লীগসহ ক্ষমতাসীন জোট সরকারের শরিক দলের নেতা, সরকারপন্থী শিক্ষক নেতা, ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান ও বেসরকারি সংস্থা (এনজিও)। কোনো কোনো ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান একাধিক স্থানে একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্যও আবেদন করেছে। এক ঠিকানায় দুই বিশ্ববিদ্যালয়ের আবেদনও জমা পড়েছে। যেসব জায়গায় ইতোমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় আছে, সেসব জায়গাতেই নতুন করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার আবেদনই বেশি করা হয়েছে। এর আগেও বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদন পেয়েছেন, এমন উদ্যোক্তারাও নতুন জায়গায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদন চেয়ে আবেদন করেছেন।
শিক্ষাবিদরা বলছেন, শিক্ষার প্রসার ও মান বাড়ানোর চেয়ে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোক্তাদের নজর থাকে মূলত ব্যবসার দিকে। হাতে গোনা কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের কথা বাদ দিলে অন্যগুলোর বেশির ভাগই ঘুপচি ভবনে ক্লাসরুম পেতে বসেছে। যোগ্য শিক্ষক ও শিক্ষার পরিবেশের যথেষ্ট অভাব রয়েছে। চটকদার বিজ্ঞাপন দিয়ে শিক্ষার্থী টানছে তারা। রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট প্রভাবশালীরা নামে-বেনামে সংশ্লিষ্ট থাকায় বিশ্ববিদ্যালগুলো অনুসরণীয় রীতি-নীতির তোয়াক্কা করে না। সরকারের পক্ষ থেকেও যথাযথ নজরদারির উদ্যোগ নেই। অভিযোগ রয়েছে, প্রতিষ্ঠানগুলো মানসম্পন্ন শিক্ষার প্রতি গুরুত্ব না দিয়ে সার্টিফিকেট ব্যবসা চালাচ্ছে। কোনো কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে সার্টিফিকেট বিক্রির অভিযোগও রয়েছে। তা ছাড়া টিউশন ফি নির্ধারণের ক্ষেত্রেও কোনো অনুসরণীয় নীতিমালা নেই। ফলে শিক্ষার নামে বাণিজ্য চলছে অবাধেই। গত সপ্তাহেই রাজধানীর পান্থপথে দুটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় পরিদর্শন শেষে শিক্ষাসচিব নজরুল ইসলাম খান জানান, একটি ভালো মানের স্কুলের যেসব সুবিধা থাকে, এ দুই বিশ্ববিদ্যালয়ে তা-ও নেই।
শিক্ষাবিদরা মনে করছেন, নতুন বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের এসব আবেদনের পেছনে বাণিজ্যিক স্বার্থই কাজ করেছে। যেসব জায়গায় বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করলে আর্থিকভাবে লাভবান হওয়া যাবে কেবল সেসব জায়গাতেই স্থাপনের চেষ্টা চালানো হচ্ছে।
দেশে বর্তমানে ১২২টি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। এর মধ্যে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ৮৩টি। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় আছে ৩৭টি, আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয় আছে দুটি। আরো একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রস্তাব চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে রয়েছে। গত বছরের ৩০ জুন ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ঃ সুশাসনের চ্যালেঞ্জ ও উত্তরণের উপায় শীর্ষক একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। এতে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় অনুমোদনের জন্য ক্ষেত্রবিশেষে এক থেকে তিন কোটি পর্যন্ত আর্থিক লেনদেন হয়ে থাকে বলে অভিযোগ করা হয়। প্রতিবেদনে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় অনুমোদনের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা আনার দাবি জানানো হয়।
এরই মধ্যে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) সূত্র জানাচ্ছে, নতুন করে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদন চেয়ে ১০৮টি আবেদন জমা আছে। এর মধ্যে ৮৫টির পরিদর্শন রিপোর্ট মন্ত্রণালয়ে জমা দিয়েছে ইউজিসি। পাঁচটি পরিদর্শন রিপোর্টের অপেক্ষায় আছে। আবেদনের সঙ্গে প্রকল্প প্রস্তাব (পিপি) জমা না দেয়ায় পরিদর্শন স্থগিত রয়েছে ছয়টির। আবেদন করার পর উদ্যোক্তারা আর উৎসাহ না দেখানোয় পরিদর্শন হয়নি, এমন ঘটনা ঘটেছে তিনটি। নতুন বিশ্ববিদ্যালয় অনুমোদনের ব্যাপারে চূড়ান্ত গোপনীয়তা অবলম্বন করা হয়।
বর্তমানে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন-২০১০-এর অধীনে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদন দেয়া হয়। অনুমোদনের জন্য উদ্যোক্তাদের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে আবেদন জমা দিতে হয়। আবেদনের ভিত্তিতে ইউজিসি পরিদর্শন রিপোর্ট জমা দিলে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়া হয়।
ঢালাওভাবে নতুন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদন প্রসঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় একটি চলমান প্রক্রিয়া। উচ্চশিক্ষা খাতে বেসরকারি বিনিয়োগের দ্বার আমরা উন্মুক্ত রেখেছি। সেবার মনোভাব নিয়ে যাঁরা আসবেন তাঁদের আমরা স্বাগত জানাব। আগের সরকারের আমলে (বিএনপি) রাজধানীর অলিগলিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদন দেয়া হয়েছে। আমরা আর রাজধানীতে কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমতি দিচ্ছি না। আমরা নতুন বিশ্ববিদ্যালয় অনুমোদনের ক্ষেত্রে দুটি বিষয় অগ্রাধিকার দিচ্ছি, যেসব স্থানে বিশ্ববিদ্যালয় নেই সেখানে এবং তথ্যপ্রযুক্তি ও কারিগরিকে প্রাধান্য দেয়া হচ্ছে।
দেশে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় যাত্রা শুরু করে ১৯৯২ সালে। বিএনপি নেতৃত্বাধীন সরকারের দুই মেয়াদে (১৯৯১-৯৬ ও ২০০১-২০০৬) ৫১টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদন দেয়া হয়েছে। আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকার সব মেয়াদ মিলিয়ে দিয়েছে ৩২টি বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমতি। সব সরকারের আমলেই মূলত ক্ষমতাসীন দলের রাজনৈতিক নেতারাই এসব বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদন পেয়েছেন কিংবা পেছনে থেকে কলকাঠি নেড়েছেন। এর বাইরে কিছু বড় এনজিও প্রতিষ্ঠান বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদন পেয়েছে।
বর্তমানের ৮৩টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ৪৯টিই রাজধানীতে। চট্টগ্রামে আছে আটটি, সিলেটে চারটি, রাজশাহীতে দুটি ও খুলনায় আছে একটি। অন্য ১৯টি রয়েছে ১৪টি জেলায়।
নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদন চেয়ে যেসব আবেদন করা হয়েছে তার মধ্যে ৮২টি সম্পর্কে প্রাথমিক তথ্য জানা গেছে। এর মধ্যে রাজধানী ও বিভাগীয় শহর মিলিয়ে ২০টি জেলায়তেই সবগুলো বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করতে চাচ্ছেন উদ্যোক্তারা। এই ২০ জেলার মধ্যে ১০ জেলায় ইতোমধ্যে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। অথচ সেখানে আরো ৫২টি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার অনুমোদন চাওয়া হয়েছে।
রাজধানীতে ৪৯টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থাকলেও নতুন করে অনুমোদন চেয়ে আরো ১৮টি আবেদন জমা পড়েছে। নারায়ণগঞ্জে দুটি বিশ্ববিদ্যালয় আছে, সেখানে নতুন করে পাঁচটি বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদন চাওয়া হয়েছে। রাজশাহীতে আছে দুটি বিশ্ববিদ্যালয়, সেখানকার জন্য নতুন আবেদন জমা পড়েছে ৯টি। গাজীপুরে আছে একটি, নতুন আবেদন পড়েছে চারটি। খুলনায় আছে একটি, নতুন আবেদন পড়েছে আরো সাতটির। চট্টগ্রামে আছে আটটি, আবেদন পড়েছে আরো চারটির। সিলেটে আছে চারটি, আবেদন পড়েছে আরো তিনটির। সিরাজগঞ্জে আছে একটি, আরো একটির জন্য আবেদন জমা পড়েছে। কুমিল্লায় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আছে তিনটি, তা সত্ত্বেও নতুন অনুমোদন চেয়ে একটি আবেদন করা হয়েছে। যেসব স্থানে বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করলে শিক্ষার্থী পাওয়া যাবে, ব্যবসা ভালো হবে, সেসব স্থানের জন্যই আবেদন জমা পড়েছে।
বেশির ভাগ নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের আবেদনের নেপথ্যে রয়েছেন কোনো না কোনো রাজনৈতিক নেতা। এদের মধ্যে জাতীয় পার্টির নেতা রুহুল আমিন হাওলাদার রুহুল আমিন ইউনিভার্সিটি অব সাউথ বেঙ্গল নামে বরিশালে বিশ্ববিদ্যালয় চেয়েছেন।
বরিশালের জন্য রেডব্রিক ইউনিভার্সিটির আবেদন পড়েছে প্রয়াত মেয়র ও আওয়ামী লীগ নেতা শওকত হোসেন হিরনের নামে। রাজশাহী সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র ও আওয়ামী লীগ নেতা এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন চেয়েছেন রাজশাহী সিটি বিশ্ববিদ্যালয়।
নর্দান বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে একই নামে খুলনা ও রাজশাহীতে আরো দুটি বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদন চাওয়া হয়েছে। খুলনায় যে ঠিকানায় নর্দান বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদন চাওয়া হয়েছে একই ঠিকানায় চাওয়া হয়েছে খান জাহান আলী ইউনিভার্সিটি নামের আরেকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদন। একইভাবে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রামের পক্ষ থেকে ঢাকায় চাওয়া হয়েছে ইন্টারন্যাশনাল ইসলামিক ইউনিভার্সিটি, ঢাকা নামে বিশ্ববিদ্যালয়।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক প্রো-ভিসি ড. মোঃ ওয়াজেদ আলীকে উপাচার্য প্রস্তাব করে তিনটি স্থানে তিনটি বিশ্ববিদ্যালয়ের আবেদন করা হয়েছে। এগুলো হলো রাজশাহীর জন্য কিংস ইউনিভার্সিটি, রাজশাহী মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটি এবং রংপুরের জন্য রংপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়েরই উদ্যোক্তা আলাদা। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অনারারি প্রফেসর ড. মুহাম্মদ শমশের আলীকে উপাচার্য প্রস্তাব করে আবেদন পড়েছে তিনটি বিশ্ববিদ্যালয়ের। এর মধ্যে টাইমস ইউনিভার্সিটি অনুমোদন পেয়েছে। কুষ্টিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক সায়েনউদ্দিন আহমদকে উপাচার্য প্রস্তাব করে জমা পড়েছে দুটি আবেদন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন অধ্যাপককে উপাচার্য করার প্রস্তাব করে ঢাকায় হক সন্স ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির অনুমোদন চাওয়া হয়েছে। বিশিষ্ট নাগরিকদের মধ্যে জাতীয় অধ্যাপক ডাঃ এম আর খান ঢাকার জন্য চেয়েছেন সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি নামের বিশ্ববিদ্যালয়।
শিক্ষা ব্যবসায়ীরাও চেয়েছেন নতুন বিশ্ববিদ্যালয়। জালিয়াতির মাধ্যমে প্রাইম ইউনিভার্সিটির শাখা খুলে ব্যবসা চালিয়ে যাওয়া আবুল হোসেন চেয়েছেন খাজা মঈনুদ্দীন ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি। ক্যামব্রিয়ান ইউনিভার্সিটি চেয়েছেন মোঃ খায়রুল বাসার বাহার।
ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের মধ্যে পিএইচ গ্রুপ চট্টগ্রামের জন্য নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের আবেদন করেছে। বেস্টওয়ে গ্রুপ চেয়েছে নারায়ণগঞ্জে বেস্টওয়ে ইউনিভার্সিটি।
এনজিওর মধ্যে বগুড়া ঠেঙ্গামাড়ার টিএমএসএস সংগঠনের নামেই ওই এলাকার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় চাওয়া হয়েছে। একইভাবে রংপুরের আরডিআরএসও সংগঠনের নামেই ওই এলাকার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য আবেদন করেছে। আহছানিয়া মিশন ঢাকায় একটি বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনা করছে। নতুন করে খুলনার জন্য খুলনা আহছান উল্লাহ বিশ্ববিদ্যালয় এবং রাজশাহীর জন্য আহছানিয়া মিশন বিশ্ববিদ্যালয় চেয়ে আবেদন করেছে। কমিউনিটি হাসপাতালের পক্ষ থেকে ঢাকা ও পাবনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের আবেদন করা হয়েছে। ইউসেপ বিশ্ববিদ্যালয় চেয়েছে ঢাকায়। মুসলিম এডুকেশন সোসাইটি (এমইএস) বিশ্ববিদ্যালয় চেয়েছে চট্টগ্রামে।
বরিশালে এখনো কোনো বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় নেই। চূড়ান্ত অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে ট্রাস্ট ইউনিভার্সিটি। এটির উদ্যোক্তা কাজী শফিকুল আলম। উপাচার্য হচ্ছেন অধ্যাপক ড. এম আব্দুস সামাদ। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের নেপথ্যে বরিশাল-২ আসনের এমপি তালুকদার মোঃ ইউনুস রয়েছেন বলে জানা গেছে।
যেসব নতুন জেলা ও বিভাগীয় শহরে বিশ্ববিদ্যালয় চেয়ে আবেদন পড়েছে তার মধ্যে বরিশালে চারটি, রংপুরে পাঁচটি, ময়মনসিংহে পড়েছে পাঁচটি, বগুড়ায় চারটি, কুষ্টিয়ায় চারটি, পাবনা ও জয়পুরহাটে দুটি করে এবং টাঙ্গাইল, যশোর, দিনাজপুর ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় একটি করে আবেদন পড়েছে।
শিক্ষাবিদরা বলছেন, কোন এলাকায় কী ধরনের বিশ্ববিদ্যালয় প্রয়োজন তার কোনো জরিপ নেই শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কাছে। সেসব এলাকায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানানোরও কোনো উদ্যোগ নেই। বিষয়টি স্বীকার করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (বিশ্ববিদ্যালয়) হেলাল উদ্দিন জানান, এ ব্যাপারে উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ অধ্যাপক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম বলেন, দেশে যে ৮৩টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে তার মধ্যে ২০টির বেশি বিশ্ববিদ্যালয় পাওয়া যাবে না, যারা শিক্ষার মান রক্ষা করে চলেছে। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় অনুমোদন দেওয়ার ক্ষেত্রে দেশের বিশিষ্ট শিক্ষাবিদদের সমন্বয়ে একটি জাতীয় কমিটি গঠন করা যেতে পারে, যাদের পরামর্শের ভিত্তিতে নতুন বিশ্ববিদ্যালয় অনুমোদন দেয়া যেতে পারে।