শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) উপাচার্যকে তার বিশ্ববিদ্যালয়ে রুটিন দায়িত্ব পালন ছাড়া নতুন কোনো নিয়োগ ব্যবস্থা চালু বা কাউকে কোনো নতুন দায়িত্ব না দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ ২৩ জুলাই এ সিদ্ধান্ত দিয়ে আন্দোলনরত শিক্ষকদের আন্দোলনের গতি-প্রকৃতি শোভন করার পাশাপাশি একাডেমিক ও প্রশাসনিক কাজে আত্মনিয়োগ করার পরামর্শ দেন।
শিগগিরই বিশ্ববিদ্যালয় পরিস্থিতি সম্পর্কে বিস্তারিত জানানোর জন্য উপাচার্যকে ডাকা হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপ সচিব সুবোধ চন্দ্র ঢালী।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের অসদাচরণ, নিয়োগ দুর্নীতিসহ বিভিন্ন রকম অভিযোগ বিষয়ে শিক্ষকরা গত ৩২ দিন ধরে অব্যাহত আন্দোলন করে আসছেন।
শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের আট সদস্যবিশিষ্ট শিক্ষক প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠককালে এ সিদ্ধান্ত দেন শিক্ষামন্ত্রী।] সুবোধ চন্দ্র জানান, শিক্ষামন্ত্রী পৌনে তিন ঘণ্টা ধরে শিক্ষক প্রতিনিধিদলের বিভিন্ন বক্তব্য শোনেন।
মন্ত্রী শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়কে গুণে-মানে, শিক্ষায়-গবেষণায় দেশের শ্রেষ্ঠ বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়ে শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আরও দক্ষ, যোগ্য, আন্তরিক ও নিষ্ঠাবান হওয়ার পরামর্শ দেন। মন্ত্রী বলেন, এ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে হতে হবে আদর্শবান, নীতি-নৈতিকতায় আপসহীন ও দক্ষ প্রশাসক। সবার আচার-আচরণ হবে অনুকরণীয়।