প্রথমবারের মতো বাংলাদেশে আয়োজিত টেলিকম অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপার হ্যাকাথনে (টিএডিহ্যাক) বাংলাদেশ পর্বের চ্যাম্পিয়ন হয়েছে চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) কম্প-এক্স টিম। এই গৌরবময় অর্জনের জন্য চুয়েট কম্প-এক্স টিমকে অভিনন্দন জানান চুয়েটর ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোঃ জাহাঙ্গীর আলম।
চুয়েট কম্প-এক্স টিম সদস্যরা সম্প্রতি ভাইস চ্যান্সেলরের সঙ্গে তাঁর কার্যালয়ে সাক্ষাতকালে তিনি এই অভিনন্দন জানান।
এ সময় চুয়েটর কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রধান প্রফেসর ড. মোহাম্মদ মশিউল হক, ইলেকট্রনিক্স এন্ড টেলিকমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই) বিভাগের প্রধান ড. কাজী দেলোয়ার হোসেন। চুয়েট কম্প-এক্স টিম সদস্যরা হলেন সিএসই বিভাগের ১১ ব্যাচের ছাত্র মোঃ ইয়াসীন আর রহমান, মোঃ মাহতাবুল আলম সোহান, মোঃ খালিদ ইবনে জিন্নাহ, ১২ ব্যাচের ছাত্র এ এস এম সাদিকুল ইসলাম।
বেসরকারি মোবাইল ফোন অপারেটর রবি আজিয়াটা লিমিটেড এ প্রতিযোগিতার আয়োজক। রাজধানীতে রবি রিক্রিয়েশন সেন্টারে সম্প্রতি হ্যাকাথনটির আয়োজন করা হয়। প্রতিযোগিতার বাংলাদেশ পর্বে চুয়েট ছাড়াও আহছানউল্লাহ ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি (এইউএসটি), মিলিটারি ইন্সটিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি (এমআইএসটি), ক্রিয়েটিভ ডেভেলপারস লিমিটেড, ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি (ডিআইইউ) ও ই-ল্যাবস বাংলাদেশ লিমিটেডের দলগুলো অংশ নেয়। পুরস্কার হিসেবে কম্প-এক্স টিম পেয়েছে এক হাজার মার্কিন ডলার।
টিএডিহ্যাক হচ্ছে সবচেয়ে বড় আন্তর্জাতিক টেলকো অ্যাপস ডেভেলপমেন্ট হ্যাকাথন। বিশ্বজুড়ে একই সময়ে হ্যাকাথনটি অনুষ্ঠিত হয়।
এ বছর ১২টি দেশের (পর্তুগাল, আর্জেন্টিনা, বাংলাদেশ, তুরস্ক, ইসরায়েল, শ্রীলঙ্কা, ভারত, স্পেন, আয়ারল্যান্ড, ইংল্যান্ড ও যুক্তরাষ্ট্র) এক হাজার দুশর বেশি প্রতিযোগী এ প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়।
টিএডিহ্যাকের বাংলাদেশ পর্বে মোট ৩০ জন মেধাবী অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপার অংশগ্রহণের সুযোগ পেয়েছেন। বৈশ্বিক এ প্রতিযোগিতার জন্য যোগ্য অ্যাপ ডেভেলপারদের বাছাই করতে কঠোর প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হয়েছে।
প্রতিযোগিতার বাংলাদেশ পর্ব শেষে ছয়টি দলের তৈরি অ্যাপ্লিকেশনগুলো বৈশ্বিক প্রতিযোগিতার জন্য পাঠানো হয়েছে। বৈশ্বিক চ্যাম্পিয়নের পুরস্কার মূল্য ৩৫ হাজার মার্কিন ডলার।
হ্যাকাথনের নিয়ম অনুযায়ী, অংশগ্রহণকারীরা টানা ২৪ ঘণ্টা তাদের নিজস্ব অ্যাপটি তৈরির জন্য কাজ করার সুযোগ পান এবং সেই প্রতিযোগিতার স্থান ছেড়ে অন্য কোথাও যাওয়ার অনুমতি পান না। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে প্রতিযোগীরা তাদের অ্যাপের ধারণা, অ্যাপটি ডেভেলপ করা ও বিশেষজ্ঞ বিচারকদের সামনে উপস্থাপন করেন।