বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজগুলোতে আসন সংখ্যা বাড়ছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে এ সম্পর্কিত এক সভায় আসন বৃদ্ধির বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করা হয়।
২০১৫-২০১৬ শিক্ষাবর্ষের জন্যে বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজসমূহের আসন সংখ্যা বৃদ্ধি সংক্রান্ত এই সভায় সভাপতিত্ব করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম।
জানা যায়, বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজে আসন বাড়ানো হচ্ছে। সে ব্যাপারেই আলোচনা হয় বৈঠকে।
এ সময় বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজের আসন বাড়াতে সরেজমিনে পরিদর্শনের মাধ্যমে বিদ্যমান নীতিমালা অনুসরণ হচ্ছে কি না তা দেখতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
সভায় স্বাস্থ্য সচিব সৈয়দ মঞ্জুরুল ইসলাম, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডাঃ দীন মোঃ নুরুল হক, বিএমএ মহাসচিব অধ্যাপক ডাঃ এম. ইকবাল আর্সলানসহ মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন, বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল-এর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
পরে অনুষ্ঠিত অপর এক সভায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হাসপাতাল স্থাপনা নির্মাণ ও রক্ষণাবেক্ষণে স্বচ্ছতার সাথে কাজ করতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন। তিনি বলেন, সাধারণ মানুষের চিকিৎসা নিশ্চিত করতে হাসপাতাল স্থাপনা ও পরিবেশকে কর্ম উপযোগী এবং স্বাস্থ্যসম্মত রাখতে হবে। এজন্য হাসপাতাল ভবন নির্মাণ ও রক্ষণাবেক্ষণে কোনো গাফিলতি বা অনিয়ম মেনে নেয়া হবে না।
সভায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের হাসপাতালের নির্মাণ ও রক্ষণাবেক্ষণে মন্ত্রণালয়, অধিদপ্তর, স্বাস্থ্য প্রকৌশল ও পূর্ত বিভাগের মধ্যে সমন্বয়ের উপর গুরুত্বারোপ করেন। এছাড়া বাথরুম, সুয়ারেজ লাইন, হাসপাতাল সংলগ্ন ড্রেন ও বৈদ্যুতিক সংযোগ নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণে মনিটরিং জোরদার করতে নির্দেশ দেন তিনি।
সভায় জেলার সিভিল সার্জন ও জেলা পর্যায়ের হাসপাতাল পরিচালককে ছোটখাটো সংস্কারের লক্ষ্যে আর্থিক ক্ষমতা প্রদানের বিষয়ে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
সভায় পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোঃ নূর হোসেন তালুকদার, স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহমেদুল কবীরসহ মন্ত্রণালয়, অধিদপ্তর, পূর্ত বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।