আনন্দঘন ও জাঁকজমকপূর্ণ পরিবেশের মধ্য দিয়ে সম্প্রতি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত হয়েছে। দিবসটি পালন উপলক্ষে রং-বেরঙ এর পতাকা দিয়ে সাজানো হয়েছিল পুরো ক্যাম্পাস।
শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী আর ছাত্র-ছাত্রীদের উৎসাহ-উদ্দীপনায় ক্যাম্পাস হয়ে উঠে মুখরিত। পরিণত হয় মিলনমেলায়।
কর্মসূচির অংশ হিসেবে প্রশাসন ভবন চত্বরে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. আবদুল হাকিম সরকার এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের পতাকা উত্তোলন করেন প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোঃ শাহিনুর রহমান। এ সময় প্রভোস্টগণ নিজ নিজ হলে জাতীয় পতাকা ও হলের পতাকা উত্তোলন করেন।
সম্প্রতি প্রশাসন ভবন চত্বরে শান্তির প্রতীক পায়রা ও ফেস্টুনসহ বেলুন উড়িয়ে কর্মসূচির শুভ উদ্বোধন করেন ভাইস চ্যান্সেলর ও প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর। এরপর ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. আবদুল হাকিম সরকারের নেতৃত্বে প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোঃ শাহিনুর রহমান, ট্রেজারার প্রফেসর ড. মোঃ আফজাল হোসেনসহ সকল পর্যায়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও ছাত্র-ছাত্রীদের সমন্বয়ে এক বর্ণাঢ্য আনন্দ শোভাযাত্রা ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে প্রশাসন ভবন চত্বরে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে সমবেত হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. আবদুল হাকিম সরকার বলেন, দেশের মধ্যে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় একটি ব্যতিক্রমধর্মী বিশ্ববিদ্যালয়। প্রতিষ্ঠার দিক দিয়ে এর স্থান সপ্তম। এখানে ২২টি বিভাগ ছিল এ বছর আরো তিনটি বিভাগ যুক্ত করা হয়েছে। ভবিষ্যতে আরো নতুন নতুন বিভাগ খোলা হবে।
১৯৮১ সালের ৩১ জানুয়ারি তৎকালীন প্রকল্প পরিচালক ড. মমতাজ উদ্দিন চৌধুরীকে প্রথম ভিসি নিয়োগ করে দু’টি অনুষদের অধীনে চারটি বিভাগে মোট ৩০০ জন ছাত্র নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের যাত্রা শুরু হয়। বর্তমানে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ১২তম ভিসি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন অধ্যাপক ড. আবদুল হাকিম সরকার।
বর্তমানে এ বিশ্ববিদ্যালয়ে ৫টি অনুষদের অধীনে ২৫টি বিভাগে শিক্ষা কার্যক্রম চলছে। ইনস্টিটিউট অব ইসলামিক এডুকেশন এ্যান্ড রিসার্চ নামে রয়েছে একটি ইনস্টিটিউট।
বিশ্ববিদ্যালয়ে আবাসিক হল সাতটি। এর মধ্যে ছাত্র হল চারটি ও ছাত্রী হল তিনটি। কিন্তু এই আবাসন সুবিধা প্রয়োজনের তুলনায় খুবই কম। শুরুতে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় একটি আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয় হওয়ার কথা থাকলেও বর্তমানে মাত্র ২৪ শতাংশ শিক্ষার্থী এখানে আবাসিক সুবিধা পায়।
ইবি থেকে দেওয়া ডিগ্রির মধ্যে রয়েছে- অনার্স: বিএ, বিটিআইএস, বিবিএ, বিবিএস, এলএলবি, বিএসএস, বিএসসি, মাস্টার্স: এমএ, এমটিআইএস, এমবিএস, এমবিএ, এমএসএস, এলএলএম, এমএসসি। উচ্চতর ডিগ্রি: এমফিল/ পিএইচডি। এ পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমফিল ডিগ্রি নিয়েছে ৪৩৪ জন এবং পিএইচডি অর্জন করেছে ২৬৮ জন শিক্ষার্থী। বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমানে ৩৫৯ জন শিক্ষক কর্মরত। শিক্ষার্থী রয়েছে ১০ সহস্রাধিক। পাশাপাশি প্রায় এক হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারী কর্মরত রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়টিতে।