॥ মাহীর হেলাল ॥
৯ম শ্রেণি, উইল্স লিটল ফ্লাওয়ার স্কুল
অনেকেই লেখালেখি শুরু করেন বুড়ো বয়সে। আমি ৭ বছর থেকেই বিভিন্ন বিষয়ে লিখছি। প্রথম প্রথম আমার লেখায় অনেক ভুল থাকতো। বাবা-মা আমাকে সেসব ভুল ধরিয়ে দিতেন এবং পরামর্শ দিতেন।
এভাবে ধীরে ধীরে আমার লেখার মান বাড়তে থাকল এবং একসময় আমার লেখা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস পত্রিকার শিশু ক্যাম্পাস কলামে স্থান পেল। বেশকিছু লেখা ছাপার পর বাবা বললেন, আমার এসব লেখা নিয়ে বই বের করলে কেমন হয়! বাবার কথায় আমি খুব খুশি হয়ে যাই, অবাকও হই। কেননা আমি জানতাম কেবল বড়রাই নিজের লেখা নিয়ে বই বের করেন, ছোটরা বই প্রকাশ করতে পারে না। বাবা এই প্রস্তাব দেয়ার পর থেকে যখনই ভাবতাম নিজের বই হবে, বইয়ের মলাটে আমার নাম লেখা থাকবে- তখন মনে কী যে ঊীপরঃবসবহঃ জাগতো!
অবশেষে ২০১৪ সালের ডিসেম্বর মাসে আমার বই প্রকাশ হয়। বইয়ের নাম ‘চলো অনেক বড় হই -ছোটদের জন্য ছোটদের লেখা বই’। নিজের বই হাতে পেয়ে আমিতো মহাখুশি। আমার কাছে বিষয়টি স্বপ্নের মত মনে হচ্ছিল। বন্ধুদের যখন দেখালাম বইটি, তারা বিশ্বাসই করতে চাইল না। তবে আমার বইটা পড়ে তারা অনেক মজা পেল, তাদের কথাবার্তা থেকে তা বুঝলাম।
এই বইয়ে আমার জীবনের বিশেষ কিছু ঘটনা এবং আমার স্বপ্ন সম্পর্কে লিখেছি। আমি চাই আমার বই পড়ে যাতে সবাই নিজের মধ্যে প্রোএকটিভ ও পজিটিভ এটিচিউড গড়ে তুলতে পারে এবং নিজের প্রতি বিশ্বাস জাগিয়ে তুলতে পারে। আমার বইয়ে অন্তর্ভুক্ত বিভিন্ন বিষয়ের মধ্যে উল্লেখ্যযোগ্য হল- প্রোএকটিভ হওয়ার উপায়, ইতালীর রাজধানী রোম ভ্রমণের অভিজ্ঞতা, আত্মোন্নয়নের বিভিন্ন বিষয়ে আমার পারিবারিক শিক্ষা, মালয়েশিয়া ও সিঙ্গাপুর ভ্রমণের অভিজ্ঞতা, ক্যাম্পাস সমাজ উন্নয়ন কেন্দ্র এর মেডিটেশন কোর্স এ অংশ নিয়ে আমার অনুভূতি, ক্যাম্পাস’র বার্ষিক ক্যাম্পেইনে অংশ নিয়ে মজার অভিজ্ঞতা, গবেষণার মাঠকর্মী হিসেবে আমি, অন্যের সেবায় আমার বৈশাখ উদযাপন প্রভৃতি।
ঢাকার ৩৩ তোপখানা রোডে মেহেরবা প্লাজায় অবস্থিত ক্যাম্পাস কার্যালয় থেকে বইটি সংগ্রহ করা যাবে। বন্ধুরা, আশাকরি তোমরা আমার বইটি পড়বে এবং কেমন লাগল তা ই-মেইল এ জানাবে।