করোনা মহামারির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে মাত্র ১০ শতাংশ ধনকুবের। ভ্যাকসিন উদ্ভাবনে অর্থায়ন কিংবা স্বাস্থ্য সুরক্ষা পণ্য দিয়ে তারা সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে দরিদ্র দেশগুলো ও সাধারণ মানুষের প্রতি। সম্পদ গবেষণা প্রতিষ্ঠান ওয়েলথএক্সের এক জরিপে বলা হয়, বছরের প্রথম ভাগে করোনায় মাত্র ১০ শতাংশ বিলিয়নেয়ার দান করেছে।
জ্যাক ডরসে
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটারের সিইও জ্যাক ডরসে বিশ্বের বিলিয়নেয়ারের তালিকায় অনেক পিছিয়ে। কিন্তু করোনা মহামারিতে দানের ক্ষেত্রে তিনিই সবচেয়ে এগিয়ে। তিনি এ পর্যন্ত ১০০ কোটি ডলারের ওপরে দান করেছেন। যার বেশির ভাগ অর্থ খরচ হচ্ছে করোনার ভ্যাকসিন উদ্ভাবনের গবেষণায়।
বিল গেটস
বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহৎ ধনী ও মাইক্রোসফটের প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস শুরু থেকেই করোনার বিরুদ্ধে লড়ে যাচ্ছেন। সঙ্গে রয়েছেন তাঁর স্ত্রী মেলিন্ডা গেটস। তাঁরা উভয়ে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে চিকিৎসা সরঞ্জাম ও ভ্যাকসিন উদ্ভাবনে ৫০ কোটি ডলার দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। এসব অর্থায়ন হচ্ছে বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে।
আজিম প্রেমজি
করোনায় দানের ক্ষেত্রে বিশ্বে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছেন ভারতের সবচেয়ে বড় দানবীর আজিম প্রেমজি। তিনি ভারতীয় প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান উইপ্রোর চেয়ারম্যান। দানের ক্ষেত্রে আগে থেকেই খ্যাত আজিম প্রেমজি করোনায় দরিদ্র মানুষের পাশে দাঁড়াতে দিয়েছেন ১৩ কোটি ২০ লাখ ডলার। এশিয়ায় তিনিই সবচেয়ে বেশি দান করেছেন।
জ্যাক মা
শুরু থেকেই সামনের সারিতে লড়ছেন আলিবাবার প্রতিষ্ঠাতা জ্যাক মা। তিনি আফ্রিকা থেকে শুরু করে এশিয়া, আমেরিকা ও ইউরোপের দেড় শতাধিক দেশে করোনা চিকিৎসাসামগ্রী পাঠিয়ে অনন্য নজির স্থাপন করেছেন। যার মধ্যে রয়েছে মাস্ক, কিট, ভেন্টিলেটর ইত্যাদি। এছাড়া ভ্যাকসিন উদ্ভাবন গবেষণাতেও দান করেছেন কয়েক কোটি ডলার।
জর্জ সরোস
বিনিয়োগকারী ও মানবহিতৈষী হিসেবে পরিচিত জর্জ সরোস করোনায় দান করেছেন ১৩ কোটি ডলার, যা তাঁর নিট সম্পদের ১.৫৭ শতাংশ। ৮০০ কোটি ডলারের মালিক এই বিলিয়নেয়ার মানবসেবায় এ পর্যন্ত দান করেছেন তিন হাজার ২০০ কোটি ডলার। তিনি সাধারণত শেয়ারবাজার ও ইউনিকর্ন স্টার্টআপে বিনিয়োগ করে আয় করেন।
অ্যান্ডু ফরেস্ট
খনি ব্যবসায় জড়িত অস্ট্রেলিয়ান ধনকুবের অ্যান্ডু ফরেস্ট করোনা মহামারির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে দান করেছেন ১০ কোটি ডলারের বেশি, যা তাঁর নিট সম্পদের ১.২৩ শতাংশ। অস্ট্রেলিয়ার শীর্ষ দশ ধনীর অন্যতম তিনি। তাঁর নিট সম্পদের পরিমাণ ৬৮৪ কোটি অস্ট্রেলিয়ান ডলার।
জেফ বেজস
বিশ্বের শীর্ষ ধনী জেফ বেজস করোনা মহামারিতে দান করেছেন ১০ কোটি ডলারের মতো, যা তাঁর নিট সম্পদের মাত্র ০.০৭ শতাংশ।
বর্তমানে তাঁর নিট সম্পদ ২০ হাজার কোটি ডলারের কাছাকাছি।
মাইকেল ডেল
দুই হাজার ৭০০ কোটি ডলারের মালিক মাইকেল ডেল করোনায় দান করেছেন ১০ কোটি ডলারের মতো, যা তাঁর নিট সম্পদের ০.৩৭ শতাংশ। তাঁর নিট সম্পদ ৩৭.১ বিলিয়ন ডলার।