এদেশের ফাইন্যান্স, ব্যাংকিং এন্ড ইন্সুরেন্স সেক্টরের অতুলনীয় নন্দিত-ব্যক্তিত্ব ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাংকিং এন্ড ইন্সুরেন্স বিভাগের প্রফেসর এবং বিজনেস অনুষদের ডিন প্রফেসর শিবলী রুবাইয়াত উল ইসলাম দীর্ঘদিনের কঠোর পরিশ্রম, নিরলস প্রচেষ্টা, সততা আর কর্মনিষ্ঠার সঙ্গে নিজেকে হিমালয়সম অত্যুচ্চ অবস্থানে অধিষ্ঠিত করেছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজনেস স্টাডিজ অনুষদের ডিন হিসেবে টানা চতুর্থবারের মতো নির্বাচিত হয়ে সফলতার সাথে দায়িত্ব পালন করেছেন।
তাঁর হাত ধরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজনেস স্টাডিজ অনুষদ বিশ্বমানের শিক্ষা নিশ্চিত করেছে। সেইসাথে সাধারণ বীমা কর্পোরেশনের চেয়ারম্যানের গুরুদায়িত্বও তিনি পালন করেছেন। সেখানেও তাঁর নেতৃত্বের গুণে এসেছে আকাশচুম্বী সুবিশাল সফলতা। ২০১৮ সালের চূড়ান্ত হিসেব অনুযায়ী সাধারণ বীমা কর্পোরেশন ৩২৫ কোটি টাকা মুনাফা করেছে, যা সাধারণ বীমার ইতিহাসে একটি অনন্য রেকর্ড! এছাড়াও তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) কোষাধ্যক্ষ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত সাতটি কলেজের সমন্বয়ক হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন।
বাণিজ্যশিক্ষার বরপুত্র ও ঢাবি বাণিজ্য অনুষদকে বিশ্বমানে উন্নীতকরণের স্বপ্নদ্রষ্টা এবং নান্দনিক সৌন্দর্য্য সুষমামন্ডিত স্থাপত্যের রূপায়ণকারী, শিক্ষানিষ্ঠ, ছাত্রবৎসল অনিন্দ্য এক শিক্ষাপুরুষ শিবলী রুবাইয়াত উল ইসলাম।
ঢাকা শহরের নৈসর্গিক সৌন্দর্য্যে ভরপুর এলাকাগুলোর নাম নিলে প্রথমেই যে এলাকাটি চোখের সামনে ভেসে ওঠে, তাহলো প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য আর জাতীয় গৌরবের বিভিন্ন স্থাপনায় সমৃদ্ধ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস এলাকা। ‘মুক্তি ও গণতন্ত্র’ তোরণ দিয়ে প্রবেশের সাথে সাথে একরাশ সবুজ শ্যামলিমার সমারোহ যেন সবাইকে বরণ করে নেয় আপন সৌন্দর্য্যরে ভেতর! সুউচ্চ তোরণ দিয়ে প্রবেশের পর অনন্য সড়কদ্বীপের সৌন্দর্য্য উপভোগ করতে করতে সামনে এগোতে থাকলে কলাভবন ও লেকচার থিয়েটারের পর সৌন্দর্য্যরে আরেক বিস্ময় অবধারিতভাবে সবাইকে কাছে টানতেই থাকে! তা হলো- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজনেস ফ্যাকাল্টি।
বিজনেস ফ্যাকাল্টির অসাধারণ স্থাপত্যকলায় বিস্ময়ে সবাইকে বিমুগ্ধ ও বাকরুদ্ধ হতে হয়! অনুষদের রাজকীয় সৌন্দর্যমন্ডিত সেই তোরণ দিয়ে প্রবেশের পর প্রথমেই সবার চোখ অবধারিতভাবে আঁটকে যাবে অবিরল জলপ্রবাহিত ‘বিদ্যানহর’ ঝর্ণার ধারায়! অনন্য এই ঝর্ণার স্থাপনাটি দিনের একেকসময় একেকরকম অপরূপ মোহনীয় মনোমুগ্ধকর শোভা ধারণ করে, যা সত্যিই নয়নাভিরাম! ঝর্ণার সামনে আধুনিক স্থাপত্যশৈলীর বাণিজ্য অনুষদের দশতলা উঁচু দৃষ্টিনন্দন ‘এমবিএ ভবন’। দু’টি অংশে বিভক্ত ভবনটির ‘ইস্টার্ন উইং’ অংশটির নিচতলায় সমৃদ্ধ ‘ফুড কোর্ট’ ও ‘বয়েজ কমন রুম’। অনুষদের ব্যাংকিং ও ইন্স্যুরেন্স, আইবিএ, এমআইএস ও টিএইচএম এর নিজস্ব ভবন। আধুনিক স্থাপনার আরেক নান্দনিক স্থাপত্য- ‘ব্যবসায় গবেষণা ব্যুরো’, হাজার হাজার বই-জার্নালে সমৃদ্ধ ‘ই-লাইব্রেরি’, ঙঝখ নামে নতুন ডিপার্টমেন্ট, দু’টি সুবিশাল এক্সাম হল।
বিজনেস ফ্যাকাল্টির অন্যদিকে একাডেমিক ভবন, ইনফরমেশন ডেস্ক, ভার্চুয়াল ক্লাসরুম, টিচার্স লাউঞ্জ, গার্লস কমনরুম, ২৫০ আসনসমৃদ্ধ কনফারেন্স রুম, চোখধাঁধানো ই-লাইব্রেরি। প্রতিটি অংশই আধুনিকতার অনন্য ছোঁয়ায় সুশোভিত। অনুষদের প্রাঙ্গণে মৌসুমি হরেকরকম ফুল- বোগেনভিলিয়া, লাইলাক, ক্রিসেনথিমাম, গোলাপ, বেলি, জুঁই, চামেলি, জবা, শেফালী, রংবেরঙের বাগানবিলাস, পাতাবাহার, ক্যাকটাসের সমারোহ ও সুগন্ধিতে বিমোহিত চারিদিক।
সৌন্দর্য্য ও আধুনিক স্থাপনার অনবদ্য সমন্বয় এই পাখি-ডাকা, সবুজ-শ্যামলিমা ও ফুলে-ফুলে ঢাকা, নান্দনিক স্থাপত্যে সুশোভিত বিজনেস অনুষদের সৌন্দর্য্য-স্থাপত্যের স্বপ্নদ্রষ্টা ও বাস্তবে রূপায়নকারী বাণিজ্য শিক্ষার বরপুত্র যেন রূপকথার সোনারকাঠির এক রাজপুত্র! প্রাচ্যের অক্সফোর্ডখ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ততোধিক গৌরবোজ্জ্বল বিজনেস অনুষদের স্বমহিমায় সমুজ্জ্বল, শতাব্দীশ্রেষ্ঠ অত্যুজ্জ্বল ৪ বারের সর্বোচ্চ ভোটে নির্বাচিত ডিন প্রফেসর শিবলী রুবাইয়াতুল ইসলাম। যাঁর শিক্ষানিষ্ঠ মহিমান্বিত কর্মকুশলতায় ঢাবির বিজনেস অনুষদ আজ দেশের সীমানা পেরিয়ে বিশ্বদরবারে শ্রেষ্ঠত্বের মহিমায় সমাসীন। ২০১৭-১৯, ছঝ ৎধহশরহম এ বিশ্বরেটিং-এ Business Faculty হিসেবে ৩৫১তম অবস্থান (বাংলাদেশের কোন বিশ্ববিদ্যালয় বা Faculty- এর এই অর্জন নাই।)
তাঁর কর্মনিষ্ঠতার স্বীকৃতিস্বরূপ সরকার তাঁকে সম্প্রতি বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এন্ড একচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) এর গুরুদায়িত্বপূর্ণ চেয়ারম্যান পদে নিয়োগ প্রদান করেছেন। স্বমহিমায় প্রোজ্জ্বল, কর্মউদ্দীপনায় উজ্জীবিত, আজীবন শিক্ষাব্রতী, তারুণ্যময় প্রতিভাদীপ্ত, সততায় ভাস্বর, ডায়নামিক ব্যক্তিত্ব প্রফেসর শিবলী রুবাইয়াতুল ইসলাম সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস পত্রিকার সাথে একান্ত আলাপচারিতায় বিএসইসিসহ নানা প্রসঙ্গে তাঁর অনুভূতি ব্যক্ত করেন। আলাপচারিতার উল্লেখযোগ্য অংশ এখানে উপস্থাপন করা হলো।
বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসঃ বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্বলাভে আপনার অনুভূতির কথা বলবেন কি?
প্রফেসর শিবলী রুবাইয়াতুল ইসলামঃ দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের ভূমিকা অপরিসীম। সঠিকভাবে নেতৃত্ব দিলে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে সক্ষম। সেজন্য অনেক প্রতিকূলতা ও চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করার মানসিকতা থাকতে হবে। প্রতিকূলতা ও চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করার জন্য সাহস, বুদ্ধিমত্তা, দক্ষতা ও যোগ্যতার প্রয়োজন।
সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের চেয়ারম্যান হিসেবে এই প্রতিকূল ও চ্যালেঞ্জিং অভিযাত্রা আমার জন্য অত্যন্ত রোমাঞ্চকর। তাই চেয়ারম্যান হিসেবে এই দায়িত্বলাভে আমি রোমাঞ্চিত ও আনন্দিত।
বি ক্যাঃ দায়িত্বলাভের পর কমিশনে কি ধরনের অগ্রগতি হচ্ছে বলে আপনি মনে করেন?
প্রফেসর শিবলীঃ দায়িত্বলাভের পর প্রথমেই আমি গভর্ন্যান্স ইস্যুতে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছি। আগের কমিশন চেয়ারম্যান শ্রদ্ধেয় খায়রুল স্যার যে নিয়ম কানুনগুলো ইতিবাচক হিসেবে চিহ্নিত করেছেন, সেগুলো আমরা প্রতিপালনের চেষ্টা করছি। এপ্লাই করার চেষ্টা করছি।
সেই সাথে আশা করছি- এই নিয়মকানুন ও এপ্লিকেশনগুলো যদি আমরা সঠিকভাবে প্রতিপালন করতে পারি, সবাই যদি আইন-কানুন নিয়মমাফিক মেনে চলি, তাহলে এই সেক্টরে একটা অভাবনীয় ডেভেলপমেন্ট হবে। এই সেক্টরের ডেভেলপমেন্টের সাথে সাথে ক্যাপিটাল মার্কেট, মানি মার্কেট উভয়েই যদি রোল প্লে করতে পারে, তাহলে দেশের অভূতপূর্ব অর্থনৈতিক অগ্রগতি সাধিত হবে। এছাড়াও আমরা নতুন নতুন ইনোভেটিভ প্রডাক্ট নিয়ে আসছি, যেমন- আগে ইক্যুইটি বেইজড ইকোনমি ছিলো, এখন আমরা ক্যাপিটাল মার্কেটে আরও বেশি বন্ডসহ অন্যান্য ডেরিভেটিভসহ অনেক নতুন নতুন প্রডাক্ট নিয়ে আসছি। যে প্রডাক্টগুলো আসার পরেই মার্কেটের সাইজ অনেক বড় হবে। জিডিপিতে কন্ট্রিবিউশান অনেক বেশি হবে বলে আমার দৃঢ় বিশ্বাস।
বি ক্যাঃ বর্তমানে কমিশনে কি কি সমস্যা আছে বলে আপনি মনে করেন? সমস্যার সমাধানে আপনি কি পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন?
প্রফেসর শিবলীঃ কমিশনে এখন সমস্যা তেমন কিছু নেই। কিছু ডিসিপ্লিনারি ইস্যুজ আছে, সেগুলো আমি এখন ঠিক করছি। আর এখানে আস্থার যে কিছুটা সংকট দেখা গিয়েছিলো, সেই সমস্যা আমরা সমাধানের চেষ্টা করছি। সেজন্য প্রয়োজনীয় সবরকমের ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি- এসব পদক্ষেপের মাধ্যমে আমরা খুব শিগগিরই একটি স্টেবল ক্যাপিটাল মার্কেট অর্জনে সক্ষম হবো।
বি ক্যাঃ বিএসইসি-কে ঘিরে আপনার ভবিষ্যত পরিকল্পনা কি?
প্রফেসর শিবলীঃ ভবিষ্যতে আমাদের প্রত্যাশা হচ্ছে- ক্যাপিটাল মার্কেটের এই বাজারটি অনেক বড় হবে। এই বাজারে যারা পার্টিসিপেন্ট, তারা এই বাজারের মাধ্যমে তাদের বিভিন্ন ধরনের কর্ম-উদ্দীপনা; ব্যবসায়িক সুযোগসুবিধা এবং সর্বপরি তাদের অর্থনৈতিক অবদান রাখার ক্ষেত্র আরও বৃদ্ধি করতে সক্ষম হবে। এভাবে তাদের সাথে নিয়ে আমরা কাজ করতে চাই। আমরা বিনিয়োগকারীদের সুযোগসুবিধা বৃদ্ধি এবং আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে চাই। বিনিয়োগকারীদের সার্বিকভাবে সহযোগিতা করে তাদের আর্থিক অবস্থার পরিবর্তন করতে চাই। তাদের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ঘটাতে চাই। যাতে বিনিয়োগকারীরা তাদের পরিবার-পরিজন নিয়ে অর্থনৈতিকভাবে সুখী ও সমৃদ্ধশালী জীবন কাটাতে পারে।
বি ক্যাঃ বিএসইসি-কে নিয়ে আপনার কোনো দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা আছে কি?
প্রফেসর শিবলীঃ বিএসইসি-কে নিয়ে আমি যেসব দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নিয়েছি, সেসবের একটি হচ্ছে- বন্ড মার্কেটের উন্নয়ন। আমাদের ফিউচার ডেরিভেটিভসমূহে বিভিন্ন রকম ফরেন একচেঞ্জসহ নতুন নতুন ভেরিয়েশন নিয়ে আসা। এগুলো হচ্ছে আমাদের দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা। সেই সাথে আমাদের টোটাল ক্যাপিটাল মার্কেটকে আইটি বেইজে নিয়ে আসতে চাই আমরা। যাতে আইটির ওপর ভরসা করে মানুষ ডিজিটাল ইকোনমিতে কাজ করতে পারে। কোভিড জাতীয় অন্য বড় কোনো সমস্যা সামনে এলেও ডিজিটাল ইকোনমিতে তারা কাজ করে যেন জীবিকা নির্বাহ করতে পারে, স্বচ্ছন্দে বেঁচে থাকতে পারে।
বি ক্যাঃ বিএসইসি-তে লোকবল সংকট আছে কি?
প্রফেসর শিবলীঃ অবশ্যই আমাদের লোকবল সংকট আছে। আমাদের জনবল খুবই কম। তবে সরকার আমাদের সাহায্য করছে। আমরা আশা করছি যে, খুব শিগগিরই দুইশো জনের ওপরে লোকবল আমরা পাবো। জনবল পেলে আমাদের কর্মস্পৃহা ও কর্মদ্যোম অনেক বেড়ে যাবে নিঃসন্দেহে।
বি ক্যাঃ নতুন আইপিও নিয়ে আপনার পরিকল্পনার কথা বলবেন কি?
প্রফেসর শিবলীঃ নতুন নতুন যে আইপিওগুলো আসবে সামনে, সেই কোম্পানিগুলো অবশ্যই ভালো হবে। তাদের অর্থনৈতিক অবস্থা, তাদের অর্থনৈতিক মেরুদন্ড অনেক বেশি শক্ত হবে। আমরা দুর্বল কোনো কোম্পানিকে সামনে আর আইপিও নিয়ে আসতে দেব না। তাই আমি আশা করি এবং দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি- আমাদের যারা বিনিয়োগকারী, তারা আর আগামীতে প্রতারিত হবেন না।
বি ক্যাঃ কাজের ক্ষেত্রে আপনি সরকারি সাহায্য-সহযোগিতা পাচ্ছেন কি?
প্রফেসর শিবলীঃ আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, অর্থমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট সকল ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে আমরা অনেক সাহায্য-সহযোগিতা পাচ্ছি। সে কারণেই আমরা একটি টিম সুন্দরভাবে কাজ করে এগিয়ে যাচ্ছি। এই সরকারকে এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী ও মন্ত্রণালয়ে যারা কাজ করেন, সকলকে আমরা এজন্য আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই।
বি ক্যাঃ বিএসইসি’র আইনের কিছুক্ষেত্রে পরিবর্তনের কোনো প্রয়োজন আছে বলে মনে করেন কি?
প্রফেসর শিবলীঃ কিছু আইন আমাদের পরিবর্তন, পরিবর্ধন ও পরিমার্জন করার প্রয়োজন আছে। প্রয়োজন আছে যুগোপযোগী করার। আইটি এপ্লিকেশন পরিবর্তন এখন সময়ের দাবি। অনেক ক্ষেত্রে আমরা বেশ কিছু পরিবর্তনও করেছি। আরও কিছু পরিবর্তন সামনের দিনগুলোতে আসবে বলে আমরা মনে করি। সেগুলো নিয়ে আমরা এখন কাজ করছি। সামনের দিনগুলোতে অনেক কিছুর ইতিবাচক পরিবর্তন হবে বলে আমি মনে করি।
বি ক্যাঃ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাণিজ্য অনুষদের উন্নয়নে আপনি অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। বিএসইসি’র গুণগত উন্নয়নে কি ভূমিকা রাখতে চান?
প্রফেসর শিবলীঃ বিএসইসি’র আগের কমিশন আমাদেরকে অবকাঠামো এবং নিয়ম-নীতি দিয়ে গেছেন। আমি চাই, গভর্ন্যান্সটা এনসিওর করতে। নিয়ম-নীতিগুলো সঠিকভাবে মেনে চলার ব্যবস্থা করতে। নিয়ম-নীতির কিছু কিছু জায়গায় কিছু এমেন্ডমেন্ট আনতে। আমি চাই, শেয়ার বাজারে মানুষের আস্থা ফিরিয়ে আনতে। ভালো ভালো ইকোনমিক প্রডাক্ট দিয়ে বিনিয়োগকারী ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমূহকে ক্যাপিটাল মার্কেটে অন্তর্ভুক্ত করতে। এসব নিয়েই আমি এখন কাজ করছি।
বি ক্যাঃ একজন শিক্ষাবিদ হিসেবে করোনাকালীন এবং পরবর্তী সময়ে শিক্ষার্থীদের করণীয় কি বলে আপনি মনে করেন?
প্রফেসর শিবলীঃ আমি মনে করি যে, করোনা মহামারির এই মহাদূর্যোগে শিক্ষার্থীরা ঘরে বসে সময় নষ্ট না করে তারা ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে লেখাপড়া অব্যাহত রাখবে। পড়াশোনার মাধ্যমে এই সময়টাকে পরিপূর্ণভাবে কাজে লাগাবে।
তবে আশা করা যাচ্ছে- করোনা পরবর্তী সময়ে আমরা ছুটিছাঁটা কমিয়ে বিভিন্নভাবে সময়ের আরও বেশি ব্যবহার করে যেটুকু ক্ষতি হয়েছে, সেটুকু পুষিয়ে নিতে পারবো এবং শিক্ষার্থীদের সবাই নিজেদের স্বার্থেই এ ব্যাপারে সরকার এবং নিজ নিজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে সহযোগিতা করবে।
বি ক্যাঃ ছাত্র-যুবকদের উদ্দেশ্যে আপনার মূল্যবান পরামর্শ বলবেন কি?
প্রফেসর শিবলীঃ ছাত্র-যুবকদের উদ্দেশ্যে আমার পরামর্শ হচ্ছে- তারা দেশকে ভালোবাসবে। আর যখন যেটা করবে, মন দিয়ে করবে। ভালো উদ্দেশ্য নিয়ে করবে। ভালো নিয়ত নিয়ে করবে। নিজের কাজকে ভালোবাসবে। নিজেকে ভালোবাসবে। নিজের পরিবারকে ভালোবাসবে। সর্বপরি এই দেশকে ভালবাসবে। উন্নয়নের যে অগ্রযাত্রায় এদেশ সুন্দরভাবে এগিয়ে চলেছে, সে অগ্রযাত্রাকে বেগবান করতে নিজেদের ভূমিকা রাখবে।
বি ক্যাঃ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস পত্রিকা সম্পর্কে আপনার মূল্যায়ন বলবেন কি?
প্রফেসর শিবলীঃ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস একটি খুবই স্বনামধন্য পত্রিকা। আমি এক যুগ আগে থেকেই বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস পত্রিকাটি পড়ি। ক্যাম্পাস পত্রিকার সুনাম সারা দেশজুড়ে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে যাত্রা শুরু করে এই পত্রিকাটি আজ সারাদেশ ও বিশ্বব্যাপী পরিব্যাপ্ত এবং জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস পত্রিকার লেখাগুলো খুবই শিক্ষামূলক, গঠনমূলক ও সমৃদ্ধ। এর প্রকাশ খুবই পরিচ্ছন্ন ও পরিশীলিত। এই পত্রিকার পেছনে যাঁরা কাজ করছেন, তাঁরা খুবই সমাজসচেতন, নিষ্ঠাবান ও নিবেদিতপ্রাণ দেশপ্রেমিক মানুষ। আমি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস পত্রিকার সুযোগ্য সম্পাদক ড. এম হেলাল ও সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানাই এবং বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস পত্রিকার উত্তরোত্তর আরও উৎকর্ষ কামনা করি।