এখন থেকে চাকরির আবেদনে কোনো ধরনের ফি না নিতে সরকারি-বেসরকারি সব ব্যাংকের প্রতি নির্দেশ দিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্ণর ড. আতিউর রহমান। কোনো প্রতিষ্ঠান এমনটি করলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে বাংলাদেশ ব্যাংক। সম্প্রতি বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্ট ও কনজুমারস এ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ আয়োজিত ব্যাংক ও আর্থিক খাতের গ্রাহক অধিকার সংরক্ষণবিষয়ক আলোচনা সভায় এ কথা বলেন গভর্ণর।
চাকরি প্রত্যাশীদের উদ্দেশে ড. আতিউর বলেন, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে চাকরি প্রত্যাশীদের বেশিরভাগই দরিদ্র পরিবার থেকে আসে। সদ্য পড়া-লেখা শেষ করে অনেকেই বেকার থাকে। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ পরীক্ষায় আবেদনকারীর কাছে ব্যাংক ড্রাফট বা পে-অর্ডার না চাইতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। কোনো প্রতিষ্ঠান চাইলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
গ্রাহকদের পছন্দ ও চাহিদা অনুযায়ী সেবা দিতে নানামুখী সুযোগ সৃষ্টি করা হচ্ছে বলে জানান আতিউর রহমান। তিনি বলেন, গ্রাহকদের দুর্ভোগ কমাতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে ‘এফআইসিএসডি’ নামের আলাদা একটি বিভাগ খোলা হয়েছে। যেখানে ‘১৬২৩৬’ নম্বরে কল দিয়ে তার সমস্যার কথা জানাতে পারে। কোনো ব্যাংক জালিয়াতি, অনিয়ম, আত্মসাৎ বা নিয়মবহির্ভূত কোনো কাজ করলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এরই মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক বিভিন্ন অভিযোগের ভিত্তিতে ১৬ কোটি টাকা আদায় করে তা গ্রাহককে ফেরত দিয়েছে। গভর্ণর বলেন, ২০১৩ সালে বাংলাদেশ ব্যাংকের জমাপড়া মোট অভিযোগের ৬৮ দশমিক ৫ শতাংশ নিষ্পন্ন হয়েছে। ২০১৪ সালে এর পরিমাণ বেড়ে দাঁড়ায় ৯৫ দশমিক ৯ শতাংশ। আর ২০১৫ সালে নিষ্পন্ন হয়েছে শতভাগ। এখন ব্যাংকের প্রতি মানুষের আস্থা বাড়ছে। এর প্রভাবে দেশের রেমিটেন্স ও রিজার্ভ বাড়ছে।
গ্রাহককে তাঁর প্রাপ্য সেবা সম্পর্কে সচেতন করতে ফেসবুক, ওয়েবসাইটসহ নানা মাধ্যমে প্রচার চালানো হচ্ছে বলে জানান গভর্ণর। তিনি বলেন, এরই মধ্যে ব্যাংকগুলোর সার্ভিস চার্জ যাতে গোপন না থাকে তার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। কোনো ব্যাংক যাতে এমনটি না করতে পারে সেদিকে মনিটরিং করছে। বর্তমান তথ্য-প্রযুক্তির যুগে গ্রাহকদের ব্যাংকিং সেবা সহজ করতে ব্যাংকগুলো ডিজিটালাইজড করা হচ্ছে।