রোডম্যাপ ঘোষণা করে অবিলম্বে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলাসহ তিন দফা দাবিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয় অভিমুখে প্রগতিশীল ছাত্রসংগঠনগুলোর মিছিলে বাধা দিয়েছে পুলিশ।
সম্প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্য থেকে মিছিল নিয়ে শিক্ষার্থীরা শহীদ মিনার, দোয়েল চত্বর, হাইকোর্ট, প্রেস ক্লাব অতিক্রম করে সচিবালয় গেটে গেলে পুলিশ বেরিক্যাড দিয়ে অবস্থান নেয়। এসময় প্রগতিশীল ছাত্রসংগঠনগুলোর নেতা-কর্মীরা বেরিক্যাড ভেঙে সামনে এগুতে চাইলে তাদের বাধা দেয় পুলিশ।
মিছিলে ভোট চলে, সংসদ চলে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে করোনা ধরে, অচল ক্যাম্পাস সচল কর, শিক্ষাজীবন রক্ষা করো ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন নেতা-কর্মীরা।
বাধা পেয়ে সচিবালয় গেটে তারা সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে কর্মসূচি শেষ করেন। সমাবেশে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট (মার্ক্সবাদ) সভাপতি মাসুদ রানা বলেন, আমরা শুরু থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার রোডম্যাপ ঘোষণা করার আহবান করছি, কিন্তু শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে এখন পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার পরিকল্পনা সমন্বিত কোনও রোডম্যাপ ঘোষণা করা হয়নি। আজ দেড় কোটি শিক্ষার্থীর শিক্ষাজীবন একটা ভয়াবহ বিপর্যয়ের মধ্যে আছে। অথচ শিক্ষামন্ত্রী যখনি প্রেস ব্রিফিংয়ে আসছেন, তখনি তিনি বলেন, অনলাইন শিক্ষা ভালোভাবে চলছে। অথচ শুধু প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়া কোনও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অনলাইনভিত্তিক শিক্ষা কার্যকর চলছে না।
সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের (বাসদ) সভাপতি আল কাদেরি জয় বলেন, শিক্ষামন্ত্রী মাঝে মাঝে অনলাইন ব্রিফিংয়ে আসেন আর বলেন, ১০ দিন পর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলবে, অমুক দিন খুলবে। আমরা দেখছি, শিক্ষামন্ত্রী একের পর এক তারিখ ঘোষণা করে আর মানুষ হাসে। আসলে এটা কোনও শিক্ষামন্ত্রী না, এই শিক্ষামন্ত্রীকে বলা উচিৎ সার্কাস মন্ত্রী। সার্কাস মন্ত্রী হিসেবে দীপু মনি জনগণের যে শিক্ষার অধিকার, ছাত্রদের যে শিক্ষার অধিকার তা নিয়ে সার্কাস খেলছেন।
এসময় তিনি আরও বলেন, ৬ লাখ কোটি টাকার বাজেটে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ করে দিয়েছে কিন্তু এই বাজেটে জনগণের শিক্ষার অধিকার, স্বাস্থ্যের অধিকারের দিকে নজর না দিয়ে কিভাবে জনগণকে আরও ঋণনির্ভর করা যায়, সে ব্যবস্থা করা হয়েছে। তিনি বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কর আরোপের নামে ব্যবসায়ীদের ব্যবসা করার যে চক্রান্ত, সে চক্রান্তকে হালাল করা হচ্ছে। আর ঐ ব্যবসায়ীদেরকে টিউশন ফি বাড়িয়ে দেয়ার সুযোগ করে দেয়া হচ্ছে।
সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন- গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিলের সভাপতি আরিফ মাইনুদ্দীন, বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন (একাংশ) সভাপতি মিতু সরকার, পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের সভাপতি সুনায়ন চাকমা, ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি দীপক শীলসহ অনেকে।