কত কথা, কত স্মৃতি, কত সুখ-দুঃখ, আঘাত-প্রতিঘাত নিয়ে চলে ঘটনাবহুল জীবন। পরিবারে যখন কোন দুর্ঘটনা কিংবা আঘাত আসে, তখন যারা আঘাতপ্রাপ্ত হয়, তারাই আত্মার ভিতরের অনুভ‚তি অনুধাবন করতে পারেন।
৭ মে ২০২২ সালে সিলেটের হাফিজ পরিবারে সেই আত্মার উপর আসে প্রচন্ড আঘাত। শুধু হাফিজ পরিবারে বললে ভুল বলা হবে; এ আঘাত, দুঃখ-বেদনায় জর্জরিত হয় বন্ধুবান্ধব, পরিচিত ও অপরিচিত সর্বস্তরের প্রিয় দেশবাসী এবং দেশের বাহিরে বসবাসরত হাজার হাজার গণ্যমান্য ও সম্মানিত ব্যক্তিবর্গ। পরিবারের প্রবীন সদস্য হিসেবে তাদের প্রত্যেকের কাছে আমি জাতীয় অধ্যাপক ডাঃ শাহ্লা খাতুন, কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি এবং ধন্যবাদ দিচ্ছি।
কখনো কখনো মানুষের জীবনে আসে সুনামীর মতো ভয়ঙ্কর তান্ডব। সেই ঘটনার তাৎপর্য বা after effect অনুধাবন করতে সময় লাগে। জীবন, মৃত্যু আল্লাহর হাতে এবং জীবনের সব ধরনের কার্য্যকলাপ আল্লাহ তায়ালার হুকুমে হয়।
মুহিতের জন্ম হয়েছিল সিলেটের আবু আহমদ আবদুল হাকিম, এম.এ, এল.এল.বি (এখনকার হাফিজ কমপ্লেক্স) এর তৎকালীন বাংলোটাইপের বাড়ীতে। এ বাড়ীটির চারদিকে ফুলের বাগান, খোলামেলা পরিবেশ, প্রচুর জায়গা আর অসংখ্য ফল-ফসল ও গাছ-গাছালিতে ভরা অনিন্দ্য সুন্দর বাড়ি। তিনদিকে রাস্তা আর বড় রাস্তাটি শহরের বন্দর বাজার Main commercial area থেকে আমাদের বাড়ীর সামনে দিয়ে গিয়ে সিলেট-ডাউকি-তামাবিল হয়ে শিলং আসামের দিকে চলে গিয়েছে। বড় রাস্তার ওপারে ছিল স্বচ্ছ টলটল পানি ভর্তি বড় একটি পুকুর- নাম ধূপাদিঘীর পুকুর। পুকুরের ওপারে ছিল তখনকার কয়েদীখানা।
মনেপড়ে এক সকালে ঐ পুকুরে সাতার কাটতে নেমেছিলো দুই শিশু; যারা সম্পর্কে একে অপরের ভাই-বোন। ভাই নতুন সাঁতারু এবং বোন কেবল মাত্র সাঁতার শিখছে। পুকুরে নেমে সাঁতার কাটতে গিয়ে দুজনই যখন প্রায় ডুবতে বসেছিল, তখন রাস্তা দিয়ে এক স্কুল ছাত্র (মুহিত ভাইয়ের স্কুলের) যাচ্ছিলো। সে হৈ চৈ করে লোক জড়ো করে শলীল সমাধি হতে উদ্ধার করে ছোট দুই শিশুকে। এদের একজন হলেন মুহিত, শিশু নামেই যে ছিল সমাধিক পরিচিত। অন্যজন আমি শাহলা খাতুন, শীলা নামে পরিচিত। কত বছর, যুগ চলে গেল, হঠাৎ ১৫/২০ বৎসর আগে সাতার কাটতে গিয়েছিলাম (তখন regular যেতাম) সোনারগাঁও swimming pool-এ। সেখানে গিয়ে দেখি মুহিত ভাই পানিতে সাতার কাটছেন। আমাকে দেখেই স্বভাব সুলভ মৃদু হেসে বললেন, তোর কি মনে আছে, তোর জন্য পানিতে ডুবে মরতে বসেছিলাম? পরে দুজনে মিলে সাতার শেষে বসে চা-কফি খেলাম আর অনেক গল্প, হাসি ঠাট্টায় মেতে উঠলাম।
ধূপাদিঘীর পাড়াতে থাকতেন সব কুলীন হিন্দু সম্প্রদায় গোষ্ঠি, আর্থিকভাবে স্বচ্ছল। উনারা প্রথম দিকে আমার আব্বা-আম্মাকে ঐ area থেকে উৎখাত করতে অনেক চেষ্টা করেছিলেন; কিন্তু পরে অত্যন্ত পরম প্রতিবেশীতে রূপান্তরিত হয়েছিলেন। আমাদেরও অত্যন্ত আদর-স্নেহ করতেন, কখনও কখনও নিজেদের সন্তান থেকেও বেশী। আমার আব্বাকে তাড়াতে পারেননি কারণ আমাদের বাড়ী ছাড়াও, আমার পিতামহ খানবাহাদুর আব্দুর রহিমের আরও ৩/৪টি ভালো সুন্দর জায়গা এবং বাড়ী ঐ এলাকাতে ছিলো। আমার পিতা খান বাহাদুর সাহেবের প্রথম সন্তান এবং যতটুকু জানি বংশের বড় সন্তান। বাবা পেশায় ছিলেন আইনজীবী; তবে বেশী সময় দিতেন সমাজ সেবাতে, শিক্ষাঙ্গনে। প্রতিটি সরকারি-বেসরকারি স্কুল-কলেজে সংশ্লিষ্ট ছিলেন। আর ছিলেন সদা জাগ্রত প্রগতীশীল politician ও ছাত্র সমাজের লিডার। তিনি কলকাতা ভার্সিটির Syndicate Member ও সবচেয়ে কম বয়সী সদস্য ছিলেন। দাদা ছিলেন খুব Loyal Govt. Officer. সেসময়কার “স্বদেশী আন্দলোন” এ যাতে ছেলেমেয়েদের পড়ার ক্ষতি না হয় সেদিকে তাঁর সুতীক্ষè দৃষ্টি ছিল। এদিকে আব্বার আপন বড় মামা মরহুম আব্দুল হামিদ ছিলেন রাজনীতিবিদ। তখন থেকে শুরু করে ৫০-৬০ বৎসর পর্যন্ত তিনি রাজনীতি করেছেন। মামার রাজনীতিতে আব্বা আকৃষ্ট হয়ে পড়েন। সমাজ সেবা, রাজনীতি ও পেশার সুবিধার কথা বিবেচনা করে “ Deputy” (প্রচলিত দাদার বাড়ীর নাম) ছেড়ে ধূপাদিঘীর পরে হাটা দূরত্ব ২০-৩০ মিঃ এবং গাড়ী কিংবা রিক্সাতে হবে কয়েক মিনিটের দূরত্বে আলাদা বাড়ী করেন।
সেই বাড়ীতে বাড়ীর ৩য় সন্তান মুহিত ভাইয়ের জন্ম । বাড়ীর ১ম সন্তান বড় বোন বুবু আয়শা খাতুন (জীবিত) ও ২য় সন্তান বড় ভাই মরহুম ডঃ আবু আহমেদ আবদুল মুহ্সি, Msc (DU), PhD, Texas A&M College, ১৯৬৪ সাল। সেসময়ে আমাদের বাড়িতে সবধরনের খেলাধূলা হতো এবং ভাইদের সাথে আমিও সব কিছুতে এক পায়ে সঙ্গী হতাম। বাড়ীর সব বই নিয়ে মুহিত ভাই পাড়াতে লাইব্রেরী বানালেন। মুকুল ফৌজ, কেন্দ্রীয় সাহিত্য সংসদ প্রতিষ্ঠাসহ নানা ধরনের সমাজসেবা ও শিক্ষার প্রসারে কত কিছু যে তিনি করতেন; যেখানে হাত দিতেন সফল হতেন, নিঃস্বার্থভাবে লেগে থাকতেন এবং বন্ধুবান্ধব, পরিচিত ও অপরিচিত লোকদের আপন করে নিতেন।
১৯৪৭ সালে মুহিত ভাই স্কুলের ছাত্র। তাকে পাঠানো হলো নানাবাড়ী সৈয়দপুর (সুনামগঞ্জে মহকুমাতে) গ্রামে। সেখানকার শিক্ষিত সমাজ undivided তথা অবিভক্ত ভারতের পক্ষে থাকতে মত প্রকাশ করেছিলেন। তিনি সেখানে গেলেন, বক্তৃতা দিলেন এবং জমিদার সাহেবের পিচকি নাতী সবার নজর ও বিবেককে জয় করে আসলেন। ফলে সবাই একমত হয়ে পাকিস্তানের সাথে যুক্ত হওয়ার পক্ষে ভোট দিলেন।
সিলেট শহরের মোট জনগোষ্ঠীর বড় একটি অংশ ছিল হিন্দু জনগোষ্ঠী। প্রায়ই সাম্প্রদায়িক হামলা, মামলা-মকদ্দমা হতো; শান্তি বিঘিœত হতো। আব্বা সব সময় ঘটনা প্রতিরোধে পুরোভাগে থাকতেন এবং মীমাংসা করতেন। বড় ভাই ও মুহিত ভাই তখন স্কুলের ছাত্র। আব্বা প্রায়ই তাদের পাড়ায় পাড়ায় পাহারার কাজে পাঠাতেন এবং এতে বিশৃঙ্খলা প্রতিরোধে অনেকটা কাজও হতো।
ভাইরা সাঁতার কাটতেন, সাইকেল চালাতেন, গাছে চড়তেন, cricket, football, badminton, (আম্মাও আমাদের সাথে খেলতেন) hockey, গোল্লাছোট, কেরামবোর্ড, দাবা খেলতেন; এদিকে সেদিকে পাড়া বেড়ানো, মুকুল ফৌজ রেলী, ছোটখাটো অনুষ্ঠানে আবৃত্তি- সব কিছুতেই পারি আর না পারি আমি আছি ভাইদের সাথে, তাদের বন্ধুদের এবং পাড়ার ভাইদের সাথে।
সব ধরনের পূজা অর্চনা কমিটিতে আব্বা থাকতেন। আর সব পূজা পার্বনে, স্বামী বিবেকান্দনের অনুষ্ঠানে আমরা হাফিজ ফ্যামিলী উপস্থিত থাকতাম অত্যন্ত আদরের সম্মানিত অতিথী হিসেবে। অনেক সময় নাটক-থিয়েটার এর কাজ করতাম, পর্দার আড়ালে দাড়িয়ে prompter ও হতাম।
সিলেটে আমাদের বাড়ীর সামনের আঙ্গিনায় মাঝে মাঝে বয়সে বড় ক্লাসমেটরা পড়তে আসতেন মুহিত ভাইয়ের কাছে। শিশুকালে যিনি আমাদের পুকুরে ডুবে মৃত্যুর হাত থেকে বাঁচিয়েছিলেন, তিনি আমাদের বাড়ির পাশের বাম দিকের রাস্তা দিয়ে যেতেন তার বাবার সরকারি বাড়ীতে। যখন যেতেন বলতেন, “দেখো দেখো বাচ্চা ছেলের বুড়ো ছাত্র”। বিষয়টি সবাই খুব উপভোগ করতো।
সিলেটের পাঠ শেষ করে ১৯৫৬ সালে ঢাকায় ফুলবাড়িয়া রেলষ্টেশন (তখনকার) এলাম; মুহিত ভাই তার কয়েকজন বন্ধু নিয়ে রিসিভ করলেন। পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজে ভর্তির সব প্রক্রিয়া শেষ করলেন।
বাড়ি থেকে আসার সময় আব্বা বলে দিয়েছিলেন, আমরা যেন তখনকার প্যাথোলজির নামজাদা প্রবীন অধ্যাপক ডাঃ আনোয়ার আলী স্যারের সাথে দেখা করি এবং আমাদের পরিচয় দেই। স্যার যখন চাকুরীর কাজে সিলেটে ছিলেন, তখন আমার পিতামহের খুব ঘনিষ্টজনে পরিনত হন এবং তিনিও আব্বাকে খুব ¯েœহ করতেন। স্যারের সাথে দেখা করতে ২ তলায় ওনার রুমে গেলে আমাদের পরিচয় পেয়ে তিনি খুব খুশী হন এবং সাানন্দে বসতে বলেন। যখন মুহিত ভাই জানালেন যে, আমরা আব্বার কথামতো দেখা করতে এসেছি এবং আমার ভর্তির সব কাজ সম্পন্ন করে তাঁর এখানে এসেছি, এই শুনে হাসিখুশী বৃদ্ধ মানুষটি ভীষণ ক্ষেপে গেলেন। আমি তো ভয় পেয়ে যাই। স্যার বললেন, আজকালকার ছেলেমেয়ে বড় বেয়াদব, ভর্তি হয়ে এসে জানাচ্ছে। কেন আগে এসে ওনার সাহায্য নিইনি একারণে তিনি খুব রাগ হলেন।
আরেকটি ঘটনা মনে পড়লো। ১৯৫২ সালে রাষ্ট্রভাষা আন্দোলনের সময় থেকে প্রগতীশীল ছাত্রসমাজ পাকিস্তান হতে বেরিয়ে আসার পথ খুঁজছিলো। একদিন আমি Lady’s common room এ বসে আছি। ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের জনাকতক ছাত্রী এসেই বললেন, এখানে মুহিত ভাইয়ের ছোট বোন কে? উত্তর দেবার আগেই আমাকে নির্দিষ্ট করে বললেন, তুমিই মনে হচ্ছে, কারণ খবর পেয়েছি তুমি শাড়ী পরো না, শালওয়ার কামিজ পরো। তখন ভাইরা পাকিস্তানী মনোবৃত্তি থেকে বের হয়ে আসতে বিশ^বিদ্যালয়ে আন্দোলন করছিলেন। তারা আমাকে উদ্দেশ্য করে বললেন, গেঁয়ো যোগী ভিখ পায় না।
বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে অবস্থিত নাজ সিনেমা হলে morning show movie সড়ারব দেখতে প্রায়ই যেতাম বড় ভাই অথবা মুহিত ভাইয়ের সাথে। একদিন মুভি স্ক্রীণে announce করলো, নাজ সিনেমা হলের নীচের তলাতে নতুন একটি Chinese restaurant খুলেছে, নাম Chin-chow. সেদিন ছিল এটির opening day। রেস্তোরার টেবিলে প্রথমেই Soya sauce ছিলো। Soya sauce আগে কখনও দেখিন এবং খাইনি। ভাই বললেন এটি ব্যাঙের জুস কিন্তু উনি দেখলাম ঠিকই খাচ্ছেন। আমি তো হতবাক।
মুহিত ভাই ১৯৫৬ সালে চলে যান লাহোরে ট্রেনিং করতে এবং পরবর্তীতে ১৯৫৮ সালে অক্সফোর্র্ডে। ফিরে এসে সিলেট যাওয়ার সময় সাথে যাই আমি, বড় বোন বুবু ও ছোট এক ভাগ্নি। আমরা তিন ভাইবোন ঢাকা থেকে সিলেট এই ong train journey তে সিটে বসে-শুয়ে সারারাত গল্প করে কাটিয়ে দিয়েছি। মুহিত ভাইর স্বপ্ন ছিল অক্সফোর্ডে পড়ার। প্রথম দিন থেকে শেষ দিনের রোজ নামচা ডায়েরী তিনি আমাদের দিয়েছিলেন।
মেডিকেলে পড়ার সময় ছুটি খুব কম পেতাম। তারপর ১৯৫৮ সালের অক্টোবর মাসে মিলিটারী শাসন জারী হলো। আমি তখন তৃতীয় বর্ষে পদার্পন করেছি। ক্লাস লেকচার, সকাল বিকাল কিংবা সন্ধ্যায় ওয়ার্ড ডিউটি, ইমার্জেন্সি রুম ডিউটি, স্পেশাল ক্লাস, তারপর পড়া, পরীক্ষা সবমিলিয়েstream roller চলছিল আমার উপর। ঈদের দিনেও ছুটি নেই। মুহিত ভাই তখন প্রাদেশিক সরকারের Deputy Secretary (আজম খান তখন গভর্নর)। তিনি অনেক সময় হেলিকপ্টারে করে সিলেট যেতেন। আমি ২-৩ বার ঈদের ছুটিতেও এক্সট্রা ডিউটি থাকায় ১/২ দিনের জন্যে বাড়ী যেতে পারিনি। বাড়ীতে সবাই মন খারাপ করতেন। বড় বোনের মেয়ে ডাক্তার হতে চেয়েছিল; ডিসিশন নিল ঈদে খালামনি বাড়ী যেতে পারে না তাই সাইন্স পড়বে না। আম্মা মুহিত ভাইকে বলতেন, তুমি এলে বোনটিকে কেন আনলেনা? মায়ের কষ্টে মুহিত ভাইও খুব কষ্ট পেতেন। যখন আমি বিলাতে উচ্চ-শিক্ষা ডিগ্রী নিতে গিয়েছি, আমার বোন নাজিয়া খাতুন (এম.এ, ইতিহাস; স্বামী প্রয়াত অধ্যাপক ডঃ আতিকুল হাই শীবলী) সিলেট এমসি কলেজ থেকে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে এইচএসসি পাস করে । কথাছিল সেও মেডিকেলে ভর্তি হবে। কিন্তু ভাইয়েরা বিশেষত মুহিত ভাই গররাজী ছিলেন আমার অবস্থা দেখে। তাকে শেষে D.U. তে ভর্তি করনো হয়।
১৯৬১ সালের নভেম্বর মাসে সরকারী চাকরিতে যোগদান করেছিলাম। ২০০২ সালে অবসরে যাই এবং যোগদান করি বাংলাদেশ মেডিকেল কলেজে। ২০১১ সাল পর্যন্ত ছিলাম চাকুরীতে। পরবর্তীতে জাতীয় অধ্যাপক হওয়াতে চাকুরী ছেড়ে দেই। কর্মজীবনে দেশবিদেশে ডজন ডজন প্রতিষ্ঠানের সাথে জড়িত ছিলাম, এখনও অনেক গুলোতে বাধ্য হয়ে থাকতে হচ্ছে। ঢাকা মেডিকেল কলেজে আমার ব্যাচ কে-১৫। আমার প্রতি ব্যাচম্যাট ও তাদের spouses এবং তাদের অনেকের ছেলে মেয়েকেও personally মুহিত ভাই চিনতেন এবং নাম জানতেন। আপন বড় ভাইয়ের মতো ওদের সাথে ব্যবহার করতেন, ওরাও তাঁকে ভাই মনে করতো এবং এখনও করে আসছে। আমি বা আমার বন্ধু, জানাশুনা মানুষ, মেডিকেল কলেজ, ওজিএসবি, বাংলাদেশ মেনোপজ সোসাইটি, South Asian Federation of Menopause, Osteoporosis Society, DMC Alumni, Shishu Hospital আমাদের ব্যাচ এর DMC 1956 Club, Green Life Medical College & Hospital, International Medicare Limited, International Medical College & Hospital, প্রতিটি প্রতিষ্ঠানে উৎসাহ আগ্রহ সহকারে তিনি appreciate করতেন। সবার কাজকে attend করতেন, উৎসাহ-উপদেশ দিতেন।
কষ্টের এই সময়টিতে আমার অসংখ্য বন্ধু-বান্ধব, প্রতিষ্ঠান, চেনা-অচেনা সকলেই আমাদের পরিবারের প্রতিটি সদস্যের কাছে খবর নিচ্ছেন। সমবেদনা, সহানুভ‚তি ও কষ্টের কথা বলছেন, আমাদের মনোবল বাড়াতে সাহায্য করছেন। আল্লাহ তায়ালার কাছে মুহিত ভাইয়ের আত্মার মাগফেরাত জন্য দোয়া মাহফিল করছেন। তাদের প্রতি আমার পরিবারের পক্ষ থেকে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।