উচ্চ গতির ইন্টারনেটের জন্য দেশের সাড়ে ৪ হাজার ইউনিয়নকে ফাইবার অপটিক কেবল নেটওয়ার্কে আনার পরিকল্পনার কথাও বলেছেন তিনি।
সম্প্রতি ‘নাগরিক সেবায় ৫০০ মোবাইল অ্যাপ’-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জয় বলেন, সাতটি বিভাগে একটি করে আইটি ভোকেশনাল ট্রেনিং ইন্সটিটিউট করার পরিকল্পনা রয়েছে। এ কর্মসূচি আমরা নিয়েছি; সরকারের চলতি মেয়াদে আওয়ামী লীগ সরকার তা বাস্তবায়ন করবে।
তিনি জানান, বিটিসিএল এক হাজার ইউনিয়ন পরিষদে ফাইবার অপটিক কেবল স্থাপনের কাজ করছে। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় আরও এক হাজার ইউনিয়ন পরিষদে ফাইবার অপটিক কেবল স্থাপনের উদ্যেগ নিয়েছে।
বাকি ইউনিয়নগুলোতে ফাইবার অপটিক কেবল স্থাপনের কাজ প্রাইভেট সেক্টরকে দেয়া হবে। সরকারের এ মেয়াদেই দেশের সাড়ে ৪ হাজার ইউনিয়নে উচ্চ গতির ইন্টারনেটের জন্য ফাইবার অপটিক কেবল পৌঁছে দেয়ার পরিকল্পনা রয়েছে।
তরুণ অ্যাপ নির্মাতাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, এখানে ৫০০টি মোবাইল অ্যাপ উদ্বোধন করেছি। সরকারি ব্যবস্থায় যেটা করে, আমাদের অ্যাপ প্রয়োজন হলে আমরা টেন্ডার করে কোনো কোম্পানি থেকে কয়েকশ অ্যাপ বানিয়ে নিতে পারতাম। এতে সরকারের লাভ হত, অ্যাপ তৈরি হলে কাজ শেষ।
আমাদের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ সে কাজ করেনি, তারা কর্মসূচি নিয়েছে সাড়ে তিন হাজার তরুণকে অ্যাপ তৈরির প্রশিক্ষণ দেয়ার। তাতে আমাদের সরকারের লাভ হয়েছে, অ্যাপগুলো হয়ে গেছে এবং আপনাদের একটি ট্রেনিংও হল। সারা দেশে ১৮ মাসে এই ট্রেনিং দেয়া হয়েছে জানিয়ে জয় বলেন, এই ট্রেনিং নিয়ে আপনাদের কর্মসংস্থানের একটা ব্যবস্থা হয়ে গেল, যা দিয়ে আপনারা এগিয়ে যেতে পারেন। সারা জীবন আপনারা লাভবান হবেন, এটা ছিল আমাদের সরকারের উদ্দেশ্য।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ এবং এর প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের প্রশংসা করে প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা বলেন, এই বিভাগ হয়েছে মাত্র ১৮ মাস, এই সময়ে প্রতিমন্ত্রী পলক যেভাবে এগিয়েছে, তা আমিও কল্পনা করতে পারিনি।
বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল মিলনায়তনে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব শ্যাম সুন্দর সিকদারের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বিটিআরসি চেয়ারম্যান সুনীল কান্তি বোস, কর্মসূচি পরিচালক ও সিসিএ’র নিয়ন্ত্রক জি ফকরুদ্দিন আহমেদ চৌধুরী, ইএটিএএল-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ মুবিন খান অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।