বিশেষ খবর



Upcoming Event

সৃজনশীলতা ও চিন্তাশক্তি বৃদ্ধি এবং সাফল্যের শীর্ষ পথে বই থেকে যা শিখলাম

ক্যাম্পাস ডেস্ক শিশু ক্যাম্পাস
img

॥ রাইসা হেলাল ॥
১ম বর্ষ (অনার্স), ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
লেখক, কলামিষ্ট এবং বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস পত্রিকার সম্পাদক এম হেলাল রচিত ‘সৃজনশীলতা ও চিন্তাশক্তি বৃদ্ধি এবং সাফল্যের শীর্ষ পথে’ বইটি পড়লাম সম্প্রতি। বইটি পড়ার পর থেকে মনে হচ্ছিল- এ বই পড়ে যা শিখলাম তা শিশু ক্যাম্পাস এর পাঠকদের জানানো দরকার। কিন্তু বইটিতে এত্তসব গুরুত্বপূর্ণ বিষয় পর্যালোচনা করা হয়েছে যে, একটি মাত্র পর্বে সেসবের মর্মার্থ লিখে শেষ করা যাবে না। তাই আজ বইটির প্রথম অধ্যায় নিয়ে লিখছি।
বইটির প্রথম আলোচ্য বিষয় হলো, সৃজনশীলতা বৃদ্ধি ও বিশেষ মানুষ হওয়ার উপায়। শুরুতেই প্রয়াত পপসঙ্গীত তারকা মাইকেল জ্যাকসনের জনপ্রিয়তার উদাহরণ দিয়ে ব্যাপারটি বোঝানো হয়েছে। মাইকেল জ্যাকসন তরুণদের কাছেতো বটেই, বিভিন্ন বয়সিদের কাছেও ব্যাপক জনপ্রিয় তাঁর বিখ্যাত ‘মুন ওয়াক’ এর জন্য। তাঁর নিজের আবিষ্কৃত এ বিশেষ ধরনের নাচ তাঁকে বিশ্বব্যাপী ব্যাপক জনপ্রিয়তা এনে দিয়েছিল। মৃত্যুর পর লাখ লাখ ভক্ত তাঁর জন্য কেঁদেছে। বিশ্ববাসী এখনও তাঁকে প্রাণভরে ভালোবাসে। তিনি মানুষের মনে ঠাঁই করে নিয়েছিলেন তাঁর ব্যতিক্রমী সৃজনশীল চিন্তার জন্য। মাইকেল জ্যাকসনের জনপ্রিয়তা সম্পর্কিত আলোচনার প্রেক্ষাপটে লেখক এম হেলাল বিস্তারিত ব্যাখ্যা করেছেন, কীভাবে জনপ্রিয় হওয়া যায় বা জনপ্রিয় হওয়ার উপায় কী ইত্যাদি।
জনপ্রিয় হওয়ার মূলমন্ত্র হলো, চিন্তাশক্তি বৃদ্ধি এবং সৃজনশীলতার উন্মেষ ঘটানো। বইটিতে চিন্তাশক্তি ও সৃজনশীলতা বাড়ানোর উপায় খুব সুন্দরভাবে বর্ণনা করা হয়েছে, যা অনুসরণ করে যেকোনো ব্যক্তি নিজেকে আকর্ষণীয় ও জনপ্রিয় করে তুলতে পারে। এর মধ্যে একটি উপায় আমাকে বিশেষভাবে আকৃষ্ট করেছে। সেটি হলোÑ নিজের ওপর প্রবল আস্থা রাখা এবং মনে মনে বার বার বলা, ‘আমি অবশ্যই ক্রিয়েটিভ হচ্ছি, ডায়নামিক হচ্ছি, বিশেষ মানুষ হচ্ছি’। আমরা যারা ছাত্র-তরুণ, তারা এরূপ অটো সাজেশনের মাধ্যমে সৃজনশীলতা বাড়িয়ে ব্যক্তি ও কর্মজীবনে অবশ্যই সফল হতে পারি।
বইটিতে চিন্তাশক্তি ও সৃজনশীলতা বৃদ্ধির সবচেয়ে কার্যকরি যে বিশেষ পদ্ধতির কথা বলা হয়েছে তা হলো, নিয়মিত মেডিটেশন। ধ্যানচর্চা বা মেডিটেশন করেই আমাদের পূর্ব-পুরুষ তথা নবী-রাসুলগণ আল্লাহর নৈকট্য লাভ করেছিলেন। তাঁরা আধ্যাত্মিক শক্তি বৃদ্ধির জন্য ধ্যানচর্চা করতেন। এই ধ্যানচর্চার মাধ্যমে স্রষ্টার সাথে সংযোগ স্থাপন করতে সক্ষম হয়েছেন যাঁরা, তাঁরাই মাল্টি-ডায়নামিক মানুষ বা উন্নততর বিশেষ মানুষ। ধ্যানচর্চার রকম এবং বহুমুখী উপকারের কথা সহজ-সরলভাবে উপস্থাপন করে শেষ হয়েছে এ অধ্যায়।
এই ছিল বইটির প্রথম অধ্যায়ের আলোচ্য বিষয়। এছাড়াও বইটিতে আরও অনেকগুলো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের বিস্তারিত আলোচনা রয়েছে; সেগুলোর মধ্য থেকে আমার পছন্দের আরও কয়েকটি বিষয় নিয়ে লিখব আগামী পর্বে।
আপনারা চাইলে নিজেরাও বইটি পড়ে নিতে পারেন। ৩৩ তোপখানা রোডে ১৩ তলায় অবস্থিত ক্যাম্পাস অফিস থেকে বইটি সংগ্রহ করতে পারেন।


বিশ্ববিদ্যালয় কম্পাস পত্রিকার সংখ্যা সমূহ

আরো সংবাদ

শিশু ক্যাম্পাস

বিশেষ সংখ্যা

img img img