শিক্ষামন্ত্রী নূরুল ইসলাম নাহিদ বলেছেন, আমাদের ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য বিশ্বমান সম্পন্ন বিজ্ঞান ভিত্তিক একটি শিক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তোলাই আমাদের লক্ষ্য। একই সঙ্গে আমাদের নতুন প্রজন্মকে উন্নত নৈতিক চরিত্র ও দেশপ্রেমিক হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। সে লক্ষ্যে মানসম্পন্ন উচ্চ শিক্ষার উন্নয়নে আমরা চেষ্টা করছি।
২ ডিসেম্বর গাজীপুরের বোর্ডবাজারে অবস্থিত ওআইসি পরিচালিত ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির ২৯ তম সমাবর্তন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তৃতাকালে এসব কথা বলেন তিনি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এম. ইমতিয়াজ হোসেইন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। ওআইসি মহাসচিব ও বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর ইয়াদ আমিন মাদানীর পক্ষে তার বক্তব্য উপস্থাপন করেন ওআইসি’র সহকারী সেক্রেটারী জেনারেল এ্যাম্বাসেডর মোহাম্মদ নাঈম খান। অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন, শিক্ষা সচিব এস এ মাহমুদ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার আহসান হাবিব।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, বর্তমানে দেশে ৩৭টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়, ৮৫টি প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় এবং আইইউটিসহ ২টি আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। এসবের মধ্যে ওআইসি পরিচালিত আইইউটি সর্বোচ্চ র্যাংকের একটি বিশ্ববিদ্যালয়। ওআইসি’র সদস্য দেশগুলির শিক্ষার্থীদেরকে মানবসম্পদে পরিণত করতে এটি কাজ করে যাচ্ছে। এখানকার শিক্ষার্থীরা মুসলিম উম্মাহর দেশ সমূহের বিজ্ঞান ও প্রকৌশল ক্ষেত্রে এবং আর্থসামাজিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
তিনি বলেন, অদূর ভবিষ্যতে এটি একটি গবেষণা ভিত্তিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিণত হবে। বাংলাদেশ সরকারের ভিশন ২০২১ অনুযায়ী, আমাদের প্রধানমন্ত্রী নারীর ক্ষমতায়নে তাদের উচ্চ-শিক্ষা নিশ্চিতে গুরুত্বারোপ করেছেন। এ লক্ষ্যে বাংলাদেশ সরকার এ বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি ১০তলা বিশিষ্ট মহিলা হোস্টেল নির্মাণ এবং ১০তলা বিশিষ্ট আরো একটি ভবন নির্মাণে ১৬০ মিলিয়ন টাকা অনুমোদন দিয়েছেন। এতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাদের পরিকল্পনা অনুযায়ী উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের সুযোগ পাবে। তিনি শিক্ষা ক্ষেত্রে বর্তমান সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করে বলেন, প্রধানমন্ত্রীর বলিষ্ঠ নেতৃত্বে আমাদের জাতীয় শিক্ষা ব্যবস্থায় ব্যাপক উন্নয়ন ও পুনর্গঠন কাজ সম্পন্ন হয়েছে। বর্তমানে ৯৯ ভাগেরও বেশি শিশু প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা ব্যবস্থায় সমান সংখ্যক ছেলে-মেয়ে শিক্ষার সুযোগ পাচ্ছে। সব ক্ষেত্রেই গুণগত মান সম্পন্ন শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নতি হচ্ছে। আমরা প্রকৌশল ও কারিগরি শিক্ষায় সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছি ।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বাংলাদেশসহ ওআইসি’র অন্তর্ভুক্ত বিভিন্ন দেশের গ্রাজুয়েট সম্পন্ন ৩৩২ জন শিক্ষার্থীর মাঝে সনদপত্র বিতরণ করেন।