সম্প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনে ৪ শীর্ষ কর্মকর্তা নিয়োগ পেয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ পদ প্রো-উপাচার্য (শিক্ষা) হিসেবে পুনঃনিয়োগ লাভ করেছেন আর্থ অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্সেস অনুষদের অধ্যাপক ড. নাসরীন আহমাদ। এবার প্রো-উপাচার্য (প্রশাসন) পদে নিয়োগ পেয়েছেন ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের অধ্যাপক ড. মোঃ আখতারুজ্জামান।
অন্যদিকে, কোষাধ্যক্ষ পদে দ্বিতীয়বারের মতো নিয়োগ পেলেন ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস বিভাগের অধ্যাপক ড. মোঃ কামাল উদ্দীন। রাষ্ট্রপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর আবদুল হামিদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আদেশ, ১৯৭৩ এর ১৪(২) ধারা মোতাবেক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উক্ত তিন শীর্ষ পদে ৪ বছরের জন্যে তাঁদেরকে এই পদে নিয়োগ প্রদান করেছেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন মোঃ এনামউজ্জামান। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক তাঁকে এই দায়িত্ব প্রদান করেন। নবনিযুক্ত উর্ধ্বতনদের সাক্ষাৎকার গ্রহণ করেন ক্যাম্পাস প্রতিনিধি গিয়াস উদ্দিন আহমেদ যার উল্লেখযোগ্য অংশ মোহাম্মদ মোস্তফার অনুলিখনে সন্নিবেশিত হলো।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে দ্বিতীয় ক্যাম্পাস করার দাবি অনেকেরই; আমাদেরও অনুরূপ চিন্তা-ভাবনা আছে
ড. মোঃ আখতারুজ্জামান, প্রো-উপাচার্য (প্রশাসন), ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালন করেছি, যেখানে যে দায়িত্ব দেয়া হয় সে দায়িত্বলাভেই আমি সন্তুষ্ট। অন্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ ভিন্ন, আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুসরণ করি। তাই এখানে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের চর্চা বেশি হয়। আমরা গণতান্ত্রিক পদ্ধতি অনুসরণ করি বলে ভাইস-চ্যান্সেলর থেকে শুরু করে কোষাধ্যক্ষ, রেজিস্ট্রার, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক সবার কর্মকান্ড একসূত্রে গ্রথিত। বিশ্ববিদ্যালয়ের সামগ্রিক কর্মকান্ড আমরা পারস্পরিক সহযোগিতার ভিত্তিতে করে থাকি। এজন্য আমাদের কর্মসন্তুষ্টি এবং সফলতা দু’টোই আছে।
এসব কথা বলছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নয়া প্রো-উপাচার্য (প্রশাসন) ড. মোঃ আখতারুজ্জামান। তিনি বরগুনা জেলার পাথরঘাটা থানার কালিপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম আবুল হাশেম খান, মাতার নাম ঈরন বানু।
ড. মোঃ আখতারুজ্জামান শিক্ষা জীবন শেষে ১৯৯০ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগে লেকচারার হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। ২০০৪ সালে অধ্যাপক হন, ২০১৪ সালে কলা অনুষদের ডিন, ২০০৮-২০১১ সময়ে বিভাগীয় চেয়ারম্যান এবং ২০১৫ সালে আরবী বিভাগের চেয়ারম্যান হন। ২০০৭-২০১০ সময়ের মধ্যে তিনি কবি জসিমউদ্দিন হলের প্রভোস্ট ছিলেন। ২০০৪, ২০০৫ ও ২০০৬ সালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক এবং ২০০৯ ও ২০১১ সালে সহ-সভাপতি ছিলেন। তিনি বিভিন্ন মেয়াদে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট, সিন্ডিকেট ও একাডেমিক কাউন্সিলের মনোনীত সদস্য, পাঠ্যপুস্তক সংকট নিরসনে জাতীয় কমিটি ২০০৮ এর আহবায়ক, ২০০৯ ও ২০১০ সালে পাঠ্যপুস্তক মুদ্রণ ও বিতরণ পর্যবেক্ষণ ও পরামর্শদান জাতীয় কমিটির আহবায়ক, জাতীয় শিক্ষানীতি ২০১০ এর বাস্তবায়ন কমিটির সদস্য, ন্যাশনাল কারিকুলাম কো-অর্ডিনেশন (এনসিসি) এর সদস্য, Journal of Sirajul Hoque Centre for Islamic Research এবং Journal of the Asiatic Society of Bangladesh (Humanities) এর সম্পাদনা পরিষদ সদস্য, বাংলাদেশ ইতিহাস পরিষদ পত্রিকা ইতিহাস-এর সম্পাদক (২০০৯-২০১৪), এশিয়াটিক সোসাইটি অব বাংলাদেশ এর কাউন্সিল মেম্বার (২০০৬-২০০৯), বাংলাদেশ ইতিহাস পরিষদের সাধারণ সম্পাদক (২০০৫-২০০৯), আলীগড় ওল্ড বয়েজ এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ এর সাধারণ সম্পাদক (২০০৭-২০০৯), ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা (৬ষ্ঠ-দশম শ্রেণি) পাঠ্য পুস্তকের সম্পাদক, বাংলাদেশ কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি (বাকবিশিস) এর সভাপতি নির্বাচিত হন। এ ছাড়াও ড. আখতারুজ্জামান বাংলা একাডেমি, Bangladesh Association for American Studies, Bangladesh Association for Fulbright Scholars ও ইন্ডিয়ান হিস্ট্রি কংগ্রেসসহ বিভিন্ন পেশাজীবী ও গঠনমূলক সংগঠন বা প্রতিষ্ঠানের সাথে জড়িত।
ড. আখতারুজ্জামান ২০০৮ সালে অনন্য সাধারণ গবেষণার জন্য বিচারপতি ইব্রাহিম স্বর্ণপদকে ভূষিত হন।
নিয়োগ লাভের পর ক্যাম্পাস পত্রিকার প্রতিনিধি গিয়াস উদ্দিন আহমেদ এর সাথে সাক্ষাৎকারে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে তিনি আরো বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় একশ বছরে পা রাখতে যাচ্ছে; এখন আমাদের কিছু বড় বড় কর্মকান্ড সম্পন্ন করতে হবে। এর মধ্যে একাডেমিক ভবন নির্মাণ এবং আবাসিক ভবন নির্মাণ বিশেষ জরুরি। আমাদের গবেষণা কর্মকান্ড পরিচালনার জন্য সরকার থেকে যে অর্থ বরাদ্দ দেয়া হয় তা খুব অপ্রতুল। সেজন্য বাজেট বরাদ্দ বৃদ্ধির জন্য আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখার পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব ফান্ড গড়ার ক্ষেত্রে বিশেষ নজর দিতে হবে। কারণ ফান্ডের অপ্রতুলতা গবেষণা কর্মে বিঘ্ন সৃষ্টি করছে, যার জন্য দেশের উন্নয়ন-অগ্রগতিতে উচ্চশিক্ষা বিশেষ ভূমিকা রাখতে পারছে না। এজন্য ফান্ড রেইজিংকে আমরা গুরুত্বপূর্ণ কর্মসূচি হিসেবে গ্রহণ করেছি। একশ বছরের দ্বারপ্রান্তে এসেও শিক্ষার উন্নত পরিবেশ ও পর্যাপ্ত আবাসিক সুযোগ-সুবিধা এখনও গড়ে তোলা যায়নি, তাই এদিকেও আমাদের নজর থাকবে। আমাদের নতুন করে ভাবতে হবে যাতে আমরা এ বিশ্ববিদ্যালয়কে জাতীয় আশা-আকাক্সক্ষার প্রতীক হিসেবে গড়ে তুলতে পারি, শিক্ষাবান্ধব নান্দনিক পরিবেশ যাতে সবসময় বজায় থাকে সে বিষয়ে আমরা বিশেষ কর্মসূচি গ্রহণ করবো।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেড়েছে, কোয়ালিটি শিক্ষার জন্য অভিভাবকদের প্রত্যাশা অনেক। এজন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ক্যাম্পাস করার জন্য অনেকে দাবি জানান, পরামর্শ দেন। আমাদের মাথায়ও সে চিন্তা আছে। অবস্থানগত সমস্যার কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের হাতে যে জমি আছে ভবিষ্যৎ উন্নয়নের জন্য, সম্প্রসারণের জন্য তা পর্যাপ্ত নয়। শিক্ষা Horizontal Extension হলে শিক্ষার্থীর মানসিকতার ওপর ভালো প্রভাব ফেলে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সমৃদ্ধ বাগান, বড় আকারের খেলার মাঠ প্রয়োজন। শিক্ষা-বান্ধক সুন্দর ক্যাম্পাস গড়ে তুলতে যে পরিমাণ ভূমি দরকার তা ঢাকা শহরে পাওয়া দুষ্কর। তাই শহরের আশে পাশে সুন্দর জায়গা খুঁজে যেখানে ক্যাম্পাস করা যেতে পারে, সে বিষয়ে আমরা সরকারের সাথে আলোচনা চালিয়ে যাব।
ছাত্র-ছাত্রীদের প্রতি আমার পরামর্শ হলো - প্রথমতঃ তারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। তাদের গর্ববোধ বজায় রাখতে হবে। সেই গর্বের জায়গাটিকে আরও গৌরবান্বিত করতে তাদের নিজেদেরকে প্রস্তুত করতে হবে। এ বিশ্ববিদ্যালয়কে আরও মর্যাদাপূর্ণ করতে হলে ছাত্র-ছাত্রীদেরকে মানবিক গুণাবলি সম্পন্ন মানুষ হয়ে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাঙ্গন ত্যাগ করতে হবে। বর্তমানে তারা শ্রেষ্ঠত্বের আসনে আছে, ভবিষ্যতে তারা এ আসন ধরে রাখতে পারবে, দেশে-বিদেশে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র হিসেবে আপন পরিচয় দিতে পারবে এ আমার প্রত্যাশা।
ঢাবি সেশন জটের যাঁতাকল থেকে মুক্ত-এমন সুন্দর শিক্ষাবান্ধব পরিবেশ বজায় রাখবো
ড. নাসরীন আহমাদ, প্রো-উপাচার্য (শিক্ষা), ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
দ্বিতীয় মেয়াদে প্রো-উপাচার্য (শিক্ষা) হিসেবে নিয়োগে আমি আনন্দিত। বিগত ৪ বছর এই পদে থেকে আমি কর্ম সম্পাদনে যে সাফল্য পেয়েছি তা আমার একার সাফল্য নয়, সবার সহযোগিতা আমাকে এ সাফল্য এনে দিয়েছে। আমি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এবং সরকারের আস্থা অর্জন করতে পেরেছি বলে আমাকে দ্বিতীয় মেয়াদে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। আমি আশাবাদী যে, আমার ওপর অর্পিত দায়িত্ব নিষ্ঠার সাথে পালন করতে পারবো, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা উন্নয়নে, কোয়ালিটি শিক্ষার প্রসারে অবদান রাখতে সক্ষম হব। বিগত চার বছরে আমি যেভাবে সবার সহযোগিতা পেয়েছি, আগামীতেও আমি অনুরূপ সহযোগিতা পাবো বলে আশা করি।
সম্প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবনিযুক্ত প্রো-উপাচার্য (শিক্ষা) ড. নাসরীন আহমাদ এসব কথা বলেন।
ড. নাসরীন ১৯৪৯ সালে কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর শিক্ষাজীবনের সবকটি ধাপ সম্পন্ন হয় ঢাকায়। ১৯৬৫ সালে তিনি ভিকারুন্নেসা নুন স্কুল থেকে সিনিয়র ক্যামব্রিজ এবং ১৯৬৬ সালে হলিক্রস কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল বিভাগ থেকে ১৯৭০-৭১ সালে অনার্স ও মাস্টার্স এবং ১৯৮২ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব স্ট্যাটিসটিক রিসার্চ এন্ড ট্রেনিং থেকে মাস্টার্স অব ডেমোগ্রাফি ডিগ্রি অর্জন করেন। ড. নাসরিন তাঁর Determinants of Landlessness in Rural Bangladesh অভিসন্দর্ভের জন্য পিএইচডি ডিগ্রিতে ভূষিত হন। পপুলেশন জিওগ্রাফি, ক্লাইমেটলজি এন্ড এগ্রোক্লাইমেটলজি তাঁর পছন্দের বিষয়।
১৯৭৪ সালের এপ্রিলে ড. নাসরীনের কর্মজীবন শুরু হয় বেগম বদরুন্নেছা কলেজে ভূগোলের শিক্ষক হিসেবে। তিনি ১৯৮৪ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এসিসট্যান্ট প্রফেসর হিসেবে যোগদান করেন, ১৯৯৩ সালে এসোসিয়েট প্রফেসর পদে পদোন্নতি লাভ করেন, সর্বশেষ ২০০০ সালে ভূগোল বিভাগে প্রফেসর হিসেবে পদোন্নতি লাভ করেন। ২০১২ সালের জুনে প্রো-উপাচার্য (শিক্ষা) হিসেবে নিযুক্তির পূর্বে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন শিক্ষা ও প্রশাসনিক দায়িত্ব পালন করেন। তিনি (২০০১-২০০৫) বেগম ফজিলাতুন নেসা মুজিব হলের ফাউন্ডার প্রভোস্টের দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ২০১০-২০১২ সালের জন্য ঢাবি’র ফ্যাকাল্টি অব আর্থ এন্ড এনভায়ারনমেন্টাল সায়েন্সেস বিভাগের ডিন নিযুক্ত হন এবং ২০১১-২০১২ সময়ে ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের চেয়ারপার্সন ছিলেন। ড. নাসরিন কয়েকবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেটের সদস্য নির্বাচিত হন এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় টিচার্স এসোসিয়েশনের (উটঞঅ) সদস্য নির্বাচিত হন।
প্রফেসর নাসরীন আহমাদ প্রধানত জনসমষ্টি ও পরিবেশ বিষয়ের ওপর গবেষণায় গুরুত্ব আরোপ করেন। বিভিন্ন স্বনামধন্য জার্নালে এ পর্যন্ত তার ৩৫টি প্রবন্ধ ও গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয়েছে। ২টি গ্রন্থ রচনা ছাড়াও বিভিন্ন বই, জার্নাল এবং প্রসিডিংস এর সম্পাদন করেন। তিনি আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সেমিনার, কনফারেন্স ও ওয়ার্কশপে অংশগ্রহণ করেন এবং যুক্তরাজ্যে আয়োজিত ম্যানেজমেন্ট প্রোগ্রামে অংশগ্রহণের সুযোগ লাভ করেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন একাডেমিক ও এডমিনিস্ট্রেটিভ কমিটিতে দায়িত্ব পালন ছাড়াও প্রফেসর নাসরীন বিভিন্ন সরকারি, বেসরকারি সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানের সাথে জড়িত। প্রফেসর নাসরীন অন্য যে সব প্রতিষ্ঠানের সদস্য হিসেবে জড়িত তার মধ্যে বুয়েট’র সিন্ডিকেট সদস্য, ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির সদস্য অন্যতম। এ ছাড়া বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ফ্যাকাল্টি রিক্রুটমেন্টের জন্য গঠিত সিনেট কমিটির সদস্য- যার মধ্যে রয়েছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় এবং মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। তিনি CEGIS এর বোর্ড অব ট্রাস্টির মেম্বার, হাউজ বিল্ডিং এন্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউট এর বোর্ড মেম্বার, সেন্ট্রাল ওম্যান ইউনিভার্সিটির একাডেমিক কাউন্সিল এর মেম্বার এবং সেন্ট্রাল ওম্যান্স কলেজের বোর্ড অব গভর্নরস এর চেয়ারম্যান। তিনি পদ্মাব্রিজ প্রজেক্ট এনজিও রিক্রুটমেন্ট ফর সেটেলমেন্ট ইমপ্লিমেন্টেশন এন্ড এনভায়ারনমেন্ট হেলথ এন্ড সেফটি এর ন্যাশনাল কমিটির সদস্য।
তিনি নদ-নদী সংক্রান্ত জি ও বি টাস্কফোর্সের সদস্য ছিলেন, যেসব প্রতিষ্ঠান পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তনের উপর বৈজ্ঞানিক গবেষণা পরিচালনা করে এর জাতীয় কমিটির সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। তিনি বাংলাদেশ জিওগ্রাফিকেল সোসাইটি, বাংলাদেশ সেন্টার ফর এডভান্সড স্টাডিস এন্ড ইন্টারন্যাশনাল জিওগ্রাফিকেল ইউনিয়ন প্রভৃতি গুরুত্বপূর্ণ সংস্থার সাথে জড়িত রয়েছেন।
বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে সক্রিয় শিক্ষার্থী হিসেবে ড. নাসরিন ১৯৭০-১৯৭১ সালে ডাকসু নির্বাচনে কমনরুম সেক্রেটারি হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন। তিনি ১৯৭১ সালে মুজিব নগরে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের সাথে সক্রিয়ভাবে যুক্ত ছিলেন যেখানে তিনি জারীন আহমদ নামে নিয়মিত ইংরেজি খবর পাঠ করতেন এবং বেতার কেন্দ্রের অন্যান্য অনুষ্ঠানেও অংশ নিতেন।
প্রো-উপাচার্য হিসেবে পুনঃনিয়োগ লাভের পর ক্যাম্পাস পত্রিকার প্রতিনিধি গিয়াস উদ্দিন আহমেদ এর সাথে সাক্ষাৎকারে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে তিনি আরো বলেন, দায়িত্ব পালনে যে সফলতার কথা বলা হয় তা’ লাভ করা যায় সবার সার্বিক সহযোগিতা থাকলে। শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারী সবারই অবদান থাকে কর্মসফলতার ক্ষেত্রে। সমন্বিত এ সহযোগিতাকে চ্যানেলাইজ করতে পারলে সাফল্য ধরা দেয়। আমরা যদি ঠিকমত সিলেবাস কমপ্লিট করতে পারি, সময়মত পরীক্ষা নিতে পারি, রেজাল্ট প্রকাশ করতে পারি, তাহলে সেশন জটের সম্ভাবনা থাকবে না। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সেশনজট দূর করে নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে সক্ষম হয়েছে। আমাদের দায়িত্ব যদি আমরা যথাযথভাবে পালন করতে পারি তাহলে কোনো সমস্যা হবার কথা নয়। ভাইস-চ্যান্সেলর মহোদয়ও এ নির্দেশনা দিয়েছেন আমাদেরকে, কোনো অবস্থায় যাতে সেশন জট আবার ফিরে না আসে সে জন্য সবাইকে সতর্ক থাকার আহবান জানিয়েছেন। সেশন জট সৃষ্টি হয় -এমন কোনো কর্মকান্ড কেউ যেন না করে এ জন্য তিনি মূল্যবান পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন।
ছাত্র-ছাত্রীদের উদ্দেশ্যে আমার পরামর্শ হলো -তারা তাদের প্রধান লক্ষ্য পড়ালেখা নিয়মিত চালিয়ে যাবে। নিজেদের ক্যারিয়ার গড়ে তুলতে সচেষ্ট হবে। তারা অবশ্য খোঁজ রাখবে সিলেবাস যেন নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে শেষ করে সময়মত পরীক্ষা নেয়া হয়, কালক্ষেপণ না করে রেজাল্ট পেতে পারে সে জন্য তারা কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ রেখে সহযোগিতা করবে এটাই প্রত্যাশা। কোনো অজুহাতে, কারণে অকারণে পরীক্ষা পিছিয়ে দেয়ার দাবি, পরীক্ষার তারিখ পরিবর্তনের দাবি যেন ছাত্রদের পক্ষ থেকে না করা হয়। দীর্ঘদিন এসব দাবি তোলা হয়নি বলে যথাসময়ে সিলেবাস শেষ হয়েছে। সময়মত পরীক্ষা নেয়া সম্ভব হয়েছে, শিক্ষার্থীরা রেজাল্ট পেয়ে খুশি হয়েছে। শিক্ষার্থীকে সেশন জটের যাঁতাকলে পড়তে হয়নি-এমন সুন্দর, শিক্ষা বান্ধব পরিবেশ ভবিষ্যতেও বজায় থাকবে, এটি আমার প্রত্যাশা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা কার্যক্রম জোরদার করতে পর্যাপ্ত তহবিল প্রয়োজন; এজন্য ফান্ড গঠনের উদ্যোগ নেব
ড. মোঃ কামাল উদ্দীন, ট্রেজারার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
দ্বিতীয় মেয়াদে ট্রেজারার হিসেবে নিয়োগ দেয়ায় মাননীয় রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী এবং ভাইস-চ্যান্সেলর মহোদয়কে ধন্যবাদ জানাই। অতীতেও আমি সবার সহযোগিতা নিয়ে কাজ করেছি। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারী আমাকে নিঃস্বার্থভাবে সহযোগিতা করেছেন বলে আমি দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে সফলতা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছি। আমার লক্ষ্য থাকবে এ বিশ্ববিদ্যালয় যাতে জ্ঞান-বিজ্ঞানের চর্চা ও উন্নত মানের শিক্ষার প্রসার ঘটাতে পারে সে লক্ষ্যে কাজ করা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার হিসেবে নিয়োগ লাভের পর ক্যাম্পাস পত্রিকার প্রতিনিধি গিয়াস উদ্দিন আহমেদ এর সাথে সাক্ষাৎকারে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় এসব কথা বলেন অধ্যাপক ড. মোঃ কামাল উদ্দীন।
ড. কামাল উদ্দীন ১৯৬৭ সালের ৮ ডিসেম্বর ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মার্কেটিং বিভাগ থেকে বি. কম (সম্মান) পরীক্ষায় ১ম শ্রেণিতে ১ম স্থান এবং এম. কম পরীক্ষায় ১ম শ্রেণিতে ১ম স্থান অর্জন করেন। তিনি ১৯৯৩ সালে একই বিশ্ববিদ্যালয়ে লেকচারার হিসেবে যোগদান করেন। তিনি ২০০২ সালে সহকারী অধ্যাপক, ২০০৫ সালে সহযোগী অধ্যাপক এবং ২০১০ সালে অধ্যাপক হিসেবে পদোন্নতি লাভ করেন। অধ্যাপক মোঃ কামাল উদ্দীন ২০০২ সালে জাপানের ওসাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির কোষাধ্যক্ষ, একাডেমিক কাউন্সিলের সদস্য, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল এবং শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলের হাউজ টিউটর, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্লাবের কোষাধ্যক্ষ ও সেক্রেটারি এবং প্রক্টরিয়াল বডির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। অধ্যাপক মোঃ কামাল উদ্দীন কুমিল্লা বোর্ডের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় কৃতিত্বপূর্ণ ফলাফলের জন্য মেধাবৃত্তি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বিজনেস স্টাডিজ অনুষদ থেকে বিকম (সম্মান) পরীক্ষায় সর্বোচ্চ নম্বর পাওয়ায় ‘ইউনিভার্সিটি গ্র্যান্টস কমিশন পদক’, ওসাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ‘বেস্ট পিএইচডি থিসিস এ্যাওয়ার্ড’ এবং বিজনেস অনুষদ থেকে ‘ডিনস এ্যাওয়ার্ড’ লাভ করেন।
ক্যাম্পাস প্রতিনিধির সাথে সাক্ষাৎকালে তিনি আরো বলেন, এ বিশ্ববিদ্যালয় সরকার তথা জনগণের টাকায় চলে, এর প্রতিটি খরচের ক্ষেত্রে যাতে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি থাকে আমরা সে ব্যাপারে অত্যন্ত সচেতন রয়েছি। কোনো অপচয় বা অপ্রয়োজনীয় খরচ না হয়, আমরা সেদিকে নজর রাখি। আমরা আশা করি সরকার এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে বা বাহিরে বিভিন্ন মহলের সহযোগিতা আমাদেরকে আগামীতেও সাফল্যের পথে এগিয়ে নিয়ে যাবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা কার্যক্রম তেমন উল্লেখযোগ্য নয়। উপমহাদেশের অন্যতম শ্রেষ্ঠ বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে এর গবেষণা কার্যক্রম যে রকম হওয়া উচিত তা হচ্ছে না। মূলত, প্রয়োজনীয় ফান্ডের অভাবই কারণ।
আমরা এ ব্যাপারে সচেতন রয়েছি। ইতোমধ্যে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নজরে আনা হয়েছে বিষয়টি। তারাও এ সমস্যা উপলব্দি করেছেন। আশা করি, ভবিষ্যতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা কার্যক্রম জোরদার হবে, গবেষণা ক্ষেত্রে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় রেকর্ড স্থাপন করতে সক্ষম হবে। গবেষণার ভালো ফলাফল দেশকে এগিয়ে নিয়ে যায়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় গবেষণার সেই মূল্যবান কাজটিই করতে চায়। সরকারের সহযোগিতায় এ সমস্যার সমাধান হবে বলে মনে করি। অবশ্য গত বছর থেকে আমাদের গবেষণা বাজেট বাড়ানো হয়েছে। এর আগে মাসে ৫শ টাকা বাজেট ছিল, সে ক্ষেত্রে এখন ৫ হাজার করা হয়েছে। এটা আশাব্যঞ্জক, তবে আমরা মনে করি বাজেট বরাদ্দ আরও বাড়ানো প্রয়োজন। সরকারের সাথে আমাদের আলাপ-আলোচনা চলছে, আশা করি গবেষণা ক্ষেত্রে আরও বেশি বরাদ্দ পাবো।
বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক ছাত্র সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত, তারা ডোনেশন সংগ্রহের মাধ্যমে গবেষণা ফান্ডকে সমৃদ্ধ করতে পারেন। আমাদের এলামনাই এসোসিয়েশন আছে- তারা ফান্ড সংগ্রহে ভূমিকা রাখতে পারেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সাথে দেখা করার সময় তিনি এ সমস্যা সম্পর্কে মতামত ব্যক্ত করে বলেছিলেন যে, প্রয়োজনে আমিও আপনাদের সাথে দাঁড়াবো এ ফান্ড গড়ে তুলতে। প্রধানমন্ত্রীর এ বক্তব্যে আমরা উৎসাহবোধ করেছি। আমাদের মাথায় এ কর্মসূচি আছে যে, আমাদের প্রাক্তন ছাত্রদের কাছ থেকে প্রয়োজনীয় টাকা পাবো, তারা তাদের সার্কেল থেকে ফান্ড তুলবে। এভাবে আমাদের গবেষণা কার্যক্রম জোরদার হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশি সংখ্যক শিক্ষককে গবেষণা কাজে উদ্বুদ্ধ করা সম্ভব হবে।
ছাত্র-ছাত্রীদের উদ্দেশ্যে আমার পরামর্শ হলো- তারা লেখাপড়ায় একনিষ্ঠ থাকবে, তাদের জন্য যে শিক্ষা কর্মসূচি রয়েছে তা তারা ভালভাবে অনুসরণ করবে। আমরা সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে শিক্ষাপদ্ধতি প্রণয়ন করেছি, কারিকুলাম করেছি- তারা ঠিকমত বিদ্যাচর্চা করলে জীবন গড়ে তুলতে পারবে, বিশ্ববিদ্যালয়ে আসা তাদের সার্থক হবে। তারা যেন সামাজিক দায়বদ্ধতার কথা মনে রাখে। তারা নিষ্ঠার সাথে জ্ঞানচর্চা করলে বিশ্ববিদ্যালয় তাদের অনেক দূর নিয়ে যাবে।
ঢাবি’র সুনাম অক্ষত রাখতে শিক্ষা কার্যক্রম যাতে ব্যাহত না হয় সে ব্যাপারে শিক্ষার্থীদের সতর্ক থাকতে হবে
মোঃ এনামউজ্জামান, রেজিস্ট্রার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
ঢাকা ইউনিভার্সিটির রেজিস্ট্রারের দায়িত্ব খুব কঠিন। দায়িত্ব লাভের চেয়ে দায়িত্ব পালন আরও কঠিন। এ দায়িত্ব অস্থায়ীভাবে আমাকে দেয়া হলেও সেটি সুষ্ঠুভাবে যাতে পালন করতে পারি সে জন্য সবার দোয়া চাই। আমার বিশ্বাস সবার আশীর্বাদ এবং সংশ্লিষ্টদের সহযোগিতা পেলে আমি সফল হবো। আমি শতভাগ সততা নিয়ে কাজ করবো বলে এই গুরুত্বপূর্ণ ও চ্যালেঞ্জিং দায়িত্ব সুন্দর সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে পারবো ইনশাল্লাহ।
সম্প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রারের দায়িত্ব গ্রহণের পর এসব কথা বলেন নয়া রেজিস্ট্রার মোঃ এনামউজ্জামান।
এর আগে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার দফতরে উপ-রেজিস্ট্রার (শিক্ষা-১) হিসেবে কর্মরত ছিলেন। মোঃ এনামউজ্জামান ইতিপূর্বে শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ছিলেন। প্রেসিডেন্ট অর্ডার নং -১১, আর্টিকেল ১৫ এ বলা হয়েছে- রেজিস্ট্রার সিনেট, সিন্ডিকেট এবং একাডেমিক কাউন্সিলের সেক্রেটারির দায়িত্ব পালন করবেন। তিনি বিধিবদ্ধ আইন অনুসারে সকল রেজিস্ট্রার্ড গ্রাজুয়েটের জন্য একটি রেজিস্টার মেইনটেন করবেন এবং বিধিবদ্ধ আইন এবং বিশ্ববিদ্যালয় অর্ডিন্যান্স অনুযায়ী তার ক্ষমতা প্রয়োগ করবেন।
তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় তিনি আরো বলেন, আমার অধঃস্তনদের কাছ থেকে আমার প্রত্যাশা হলো সবাই সহযোগিতার মনোভাব নিয়ে নিয়মানুবর্তিতার সাথে কাজ করবেন। সবার একটা অঙ্গীকার থাকতে হবে। যারা শিক্ষার্থী তাদের একটা কনফিডেন্স থাকে, আর আমরা যারা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে থেকে কর্মকর্তা হিসেবে এসেছি তাদেরও একটি অঙ্গীকার বা কমিটমেন্ট থাকতে হবে। কনফিডেন্স এবং কমিটমেন্ট না থাকলে ভাল ফল আশা করা যায় না। বিশ্ববিদ্যালয়ের যে মিশন আছে তার বাস্তবায়নে সবাইকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিতে হবে। ছাত্র-ছাত্রীদের প্রতি আমার উপদেশ হলো, তারা একনিষ্ঠভাবে পড়ালেখায় মনোনিবেশ করবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সেশনজটমুক্ত একটি বিশ্ববিদ্যালয়। এর সুনাম রক্ষা করতে হলে পাঠদান ও অন্যান্য কার্যক্রম যাতে ব্যাহত না হয় ছাত্র সমাজকেই এ ব্যাপারে সচেতন থাকতে হবে। আমার তরফ থেকে প্রশাসনিক সাহায্য-সহযোগিতা যত রকম দরকার আমরা তা দেব ইনশাল্লাহ।