মডার্ণ হারবাল গ্রুপ বাংলাদেশের বহুল পরিচিত নাম; যার রয়েছে দক্ষ ও পরীক্ষিত ব্যবস্থাপনা কমিটি, গ্রহণযোগ্য ও স্বীকৃত পণ্য, অপ্রতিদ্বন্দ্বী ও স্বীকৃত কর্মপরিকল্পনা এবং যার নেতৃত্বে রয়েছেন আন্তর্জাতিক খ্যাতিমান হারবাল গবেষক ও চিকিৎসক, বহুমুখী প্রতিভায় ভাস্বর, বর্ণিল গুণাবলির কর্মযোগী এক বিরল ব্যক্তিত্ব ডাঃ আলমগীর মতি। মডার্ণ হারবাল গ্রুপ বিগত ৩৬ বছর ধরে বাংলদেশের মানুষকে নিরলসভাবে চিকিৎসাসেবা দিয়ে আসছে। এ প্রতিষ্ঠানের ৩৬তম বর্র্ষপূর্তি উৎসবের বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠান গত ২২ এপ্রিল পাবলিক লাইব্রেরির শওকত ওসমান মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক ছিলেন ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোস্তাফিজুর রহমান। বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন- ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা খান মোঃ বেলাল; বাংলাদেশ একাডেমি অব সায়েন্স এর সাবেক প্রেসিডেন্ট এবং মডার্র্ণ হারবাল গ্রুপের সম্মানিত উপদেষ্টা প্রফেসর ড. শমশের আলী; বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস পত্রিকার সম্পাদক ও ক্যাম্পাস সোস্যাল ডেভেলপমেন্ট সেন্টার এর মহাসচিব ড. এম. হেলাল; ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মোঃ বাহালুল হক চৌধুরী; একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্পের চেয়ারম্যান এবং বাংলাদেশ সরকারের সাবেক সচিব মিহির কান্তি মজুমদার; এশিয়ান গ্রুপের চেয়ারম্যান হারুন অর রশিদ; টিএমএসএস’র প্রতিষ্ঠাতা অশোকা ফেলো প্রফেসর ড. হোসনে আরা বেগম; শরীয়তপুর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান খোকা শিকদার; পিডিবি’র সাবেক চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার কেএম হাসান; সাবেক উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ খলিলুর রহমান প্রমুখ।
মডার্ণ হারবাল গ্রুপের প্রধান উপদেষ্টা এবং বাংলাদেশ মেডিকেল কলেজের চেয়ারম্যান প্রফেসর ডাঃ মোহাম্মদ আমিরুল ইসলাম এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মডার্ণ হারবাল গ্রুপের ফাউন্ডার, বিশিষ্ট হারবাল গবেষক ও চিকিৎসক রোটারিয়ান ডাঃ আলমগীর মতি, উপদেষ্টা মোঃ তারিক বিন হোসেন ছাড়াও মডার্ণ হারবাল গ্রুপের বিভিন্ন কর্মকর্তা-কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠান শুরু হয় প্রফেসর ডা. আমিরুল ইসলামের কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে। এরপর মডার্ণ হারবাল গ্রুপের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডাঃ আলমগীর মতি সবার উপস্থিতিতে কেক কেটে অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা করেন। অনুষ্ঠানে দেশের প্রতি জেলা ও উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে আগত সিপিএস (ডিস্ট্রিবিউটর) দের মধ্যে যারা বাণিজ্যিকভাবে সফলতা অর্জন করেছেন, তাদেরকে সম্মাননা ক্রেস্ট, পুষ্পমাল্য ও নগদ অর্থ দ্বারা পুরস্কৃত করা হয়। ‘বর্ষপূর্তি মেগা স্টার সার্চ অফার ২০১৭’ অর্জনকারী রফিকুল ইসলাম খানকে পুষ্পমাল্য, গাড়ির চাবি ও নগদ দশ লক্ষ টাকার চেক প্রদান করা হয়।
সম্মাননা ও উপহার সামগ্রী অর্পণের এক পর্যায়ে শুরু হয় বক্তৃতা পর্ব। প্রধান আলোচক মেজর জেনারেল মোস্তাফিজুর রহমানসহ সব বক্তাই একমত পোষণ করে বলেন, হারবাল চিকিৎসা বলতে আমরা মডার্ণ হারবালকেই বুঝি। ডাঃ আলমগীর মতি ৬০টি অর্গানাইজেশনের মাধ্যমে গরিব-এতিমদের মধ্যে নগদ অর্থ, কম্বলসহ মসজিদ-মাদ্রাসায় যে দান-অনুদান দিয়ে থাকেন, তাতে উৎসাহ দিয়ে ভবিষ্যতে এর আরও উন্নতি কামনা করেন। স্বাস্থ্য ও চিকিৎসাসেবায় ডাঃ আলমগীর মতির অবদানের ভূয়সী প্রশংসা করেন।
উপস্থিতদের বক্তৃতা ও কথামালার চুম্বক অংশ নিম্নে তুলে ধরা হলো।
ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোস্তাফিজুর রহমান
আমি সর্বপ্রথমে আমার অন্তরের অন্তঃস্থল থেকে দোয়া করছি যাতে মডার্ণ হারবাল গ্রুপের আরো উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি হয় এবং তাদের সম্মান যেন দেশ এবং বিদেশে সমহারে ছড়িয়ে পড়ে। রুট লেভেলের মানুষের প্রতি মডার্ণ হারবাল গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা ডাঃ আলমগীর মতির যে হৃদ্যতা, যে এটাচমেন্ট -তা দেখে আমার খুব ভালো লেগেছে। ৩৬ বছর ধরে ডাঃ আলমগীর মতি এই টিম তৈরি করেছেন। আপনাদের এই এটাচমেন্ট দেখে, এই টিমওয়ার্ক দেখে আমি অভিভূত। ণড়ঁ ধৎব ড়িৎশরহম াবৎু যধৎফ ভড়ৎ ঃযব ফবাবষড়ঢ়সবহঃ ড়ভ ঃযরং ড়ৎমধহরুধঃরড়হ ধহফ ভড়ৎ ঃযব ফবাবষড়ঢ়সবহঃ ড়ভ ঃযরং পড়ঁহঃৎু. আমরা বিভিন্ন সময়ে ল্যাবে টেস্ট করে দেখেছি যে, মডার্ণ হারবাল গ্রুপের প্রোডাক্ট, বাংলাদেশের এক নম্বর প্রোডাক্ট। কারণ যে সমস্ত জিনিস দিয়ে তারা ওষুধটা তৈরি করে ওং ধ াবৎু হধঃঁৎধষ ঃযরহমং. যেমন- মধু, কালোজিরা, আদা ইত্যাদি। এছাড়া রসুনের যে প্রোডাক্ট তারা তৈরি করেছে, আমি প্রায়ই বাসায় ব্যবহার করি। এটা খুব টেস্টি এবং ভালো।
সারা বাংলাদেশে আয়ুর্বেদী, ইউনানী, হারবাল এবং হোমিওপ্যাথে ৫৬৫টি ইন্ডাস্ট্রিজ আছে এবং এগুলোর মধ্যে ভালো করার একটা প্রতিযোগিতা আছে। তবে সব কোম্পানির মধ্যে এই ভালো করার প্রতিযোগিতা বা চেষ্টা সমহারে নাই। মানুষের প্রতি সব কোম্পানির দৃষ্টিভঙ্গিও তেমন ভালো না। অনেক কোম্পানি আছে যারা আসলেই মানুষকে ঠকাচ্ছে এবং মানুষকে প্রতারিত করছে বিভিন্নভাবে। হারবাল ওষুধের সাথে তারা স্টেরয়েড বা এই জাতীয় উপাদান মিশিয়ে মানুষের স্বাস্থ্যের ক্ষতি করছে। এগুলোর বিরুদ্ধেও একশান নেয়া হচ্ছে। বিভিন্ন কোম্পানির লাইসেন্সও আমরা বাতিল করেছি। এছাড়া বিভিন্ন সময়ে আমরা বিভিন্ন প্রোডাক্টও বাতিল করেছি। আমার উদ্দেশ্য হলো যারা গুড ম্যানুফ্যাকচারিং প্র্যাকটিস করবে, তাদের জন্য সরকারের হাত প্রসারিত থাকবে, সরকারের সাপোর্ট সবসময় থাকবে। সেই হিসেবে মডার্ণ হারবাল গ্রুপ খুব ভালো কাজ করছে। আমাদের দেশে যাদের সামর্থ্য নাই, তাদের কাছে খুব কম মূল্যে এবং ন্যাচারাল প্রোডাক্ট পৌঁছে দিচ্ছে যার কোনো সাইড ইফেক্ট নাই বললেই চলে। তিনি যে শুধু স্বল্পমূল্যে ওষুধ দিয়েই মানুষকে সাহায্য করছেন বা বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা দিয়েই সাহায্য করছেন তা নয়, তিনি একজন অত্যন্ত সহজ-সরল মানুষ। এতবড় প্রতিষ্ঠানের মালিক, এতবড় উদ্যোক্তা অথচ তাঁর কোনো অহংকার বা গর্ব নাই।
আমার মনে হয়- কোনো অরগানাইজেশনের উন্নয়নের জন্য যে জিনিসটা প্রয়োজন হয়, তা হলো ঐ অরগানাইজেশন স্যোসাল ওয়ার্ক কতটুকু করে। মানুষের প্রতি তার দৃষ্টিভঙ্গি বা দায়বদ্ধতা কেমন। আমি দেখেছি, মডার্ণ হারবাল অনেক স্যোসাল ওয়ার্ক করে। আমিও এটার সাথে কিছু কিছু কাজে জড়িত। একবার হঠাৎ করেই তিনি আমার গ্রামে চলে গেছেন। আমি বললাম, এত কষ্ট করে কুমিল্লার এত প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে কেন এলেন? তিনি বললেন, আমার ভালো লাগে। এরপর দশটা মাদ্রাসাতে যেখানে এতিম ছেলেমেয়েরা পড়াশোনা করে, তাদের কম্বল দিয়েছেন, টাকা দিয়েছেন। এখন ওরা অনেক ভালোভাবে লেখাপড়া করছে। এতিম ছেলেরা যার জন্য দোয়া করে, সে কখনো পিছিয়ে থাকবে না ইনশাআল্লাহ।
আমার ইচ্ছা বা আশা- তিনি দেশের জন্য আরো বড় কিছু করবেন, আরো উদ্যোগ নিবেন, মানুষের জন্য আরো বড় কিছু করবেন। তিনি ৫০/৬০টা অর্গানাইজেশনের সাথে জড়িত। তাঁর কাছে যখন যে আসে, তাকেই তিনি সাধ্যমত সাহায্য করেন। আগের বক্তারা বলে গেছেন- ঐড়ি ধ ঢ়ড়ঢ়ঁষধৎ ঢ়বৎংড়হ যব রং! ঐড়ি ধ মড়ড়ফ ষবধফবৎ যব রং! কোনোকিছুতেই তিনি না করেন না। কোনো জাজমেন্ট ছাড়াই এগিয়ে যান। ওষুধপত্র থেকে শুরু করে চিকিৎসায়, এতিমদেরকে সাহায্য, মসজিদ, মাদ্রাসা বা সমাজ উন্নয়নে মানুষের কাছে পৌঁছে যাচ্ছেন। ঐব রং ধ মৎবধঃ ষবধফবৎ. আমি বলব, তাঁর লিডারশিপে মডার্ণ হারবাল একদিন সাফল্যের উচ্চশিখরে পৌঁছবেই। পাশাপাশি আরো বড় বড় কাজ আল্লাহ তাঁর হাত দিয়ে করাবেন। আমি আজকের এই ৩৬ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে মডার্ণ হারবালের উত্তরোত্তর উন্নতি ও সমৃদ্ধি কামনা করছি।
পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের চেয়ারম্যান এবং সরকারের সাবেক সচিব মিহির কান্তি মজুমদার
হারবালের দিক থেকে আমাদের দেশটা খুবই সমৃদ্ধ এবং মডার্ণ হারবাল যার ট্রেডিশনাল মেডিসিন হিসেবে কাজ করে। পৃথিবীতে কর্কট ক্রান্তি এবং মকর ক্রান্তি রেখার মধ্যবর্তী দেশসমূহকে বলা হয় মেগা বায়োডায়ভার্স কান্ট্রিস। অর্থ্যাৎ জীববৈচিত্রে সমৃদ্ধ। আমাদের বাংলাদেশও তার মধ্যে একটি। এ উন্নয়ন শুধু এখন না, প্রাচীনকাল থেকেই। এখন চীনে ট্রেডিশনাল মেডিসিন ডেভেলপ করছে। কিন্তু চীনের সাহেবরা এগুলো কোত্থেকে নিয়েছে। সপ্তম শতকে অর্থ্যাৎ আজ থেকে ১৫০০ বছর আগে একজন চীনা সন্যাসী এখানে আসে বৌদ্ধ ধর্মের জ্ঞান নিতে আর এই ট্রেডিশনাল মেডিসিন আয়ুর্বেদের জ্ঞান নিতে। তিনি এখান থেকে ৭ বছর ধরে লতা-পাতা সংগ্রহ করেন এবং কতকগুলো গরুরগাড়ি ভরে এগুলো নিয়ে যান। তারপর তারা সমৃদ্ধ হয়েছে।
এখানে ট্রেডিশনাল মেডিসিনে দু’টি জ্ঞানের সমন্বয় ঘটছে। একটা হলো আয়ুর্বেদ, আরেকটা হলো ইউনানী। ইউনানীটা আসছে গ্রীক-এ্যারাবিক মেডিসিন থেকে। এটা পারস্যের মধ্যে দিয়ে মোঘলদের হাত ধরে এখানে এসেছে। কিন্তু পারস্যের চাইতে এখন আমাদের এখানে ইউনানীর প্রাকটিস বেশি। কারণ, আমাদের এখানে ট্রেডিশনাল মেডিসিন তথা গাছপালা, প্লান্ট এগুলোতে সমৃদ্ধ। ডা. আলমগীর মতি সাহেব ট্রেডিশনাল মেডিসিনের এই যে ধারা অব্যাহত রেখেছেন এবং এটাকে মাঠ পর্যায়ে সম্প্রসারণ করেছেন, এজন্য তাঁকে অভিনন্দন জানাই।
একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্পের চেয়ারম্যান মিহির কান্তি মজুমদার বলেন- পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর একটা উদ্যোগ, যার প্রকল্প হলো একটি বাড়ি-একটি খামার। এমন কোনো গ্রাম নাই যেখানে একটি বাড়ি-একটি খামার সমিতি নাই। আমাদের সমিতির সংখ্যা এখন ৭২ হাজার। ২০২০ সালের মধ্যে হবে ১ লাখ ১০ হাজার। আমাদের পরিকল্পনা আছে, প্রতি সমিতিতে একজন করে স্বাস্থ্যকর্মী তৈরি করার এবং সেই স্বাস্থ্যকর্মীকে একই সাথে ট্রেডিশনাল মেডিসিন এবং এই আধুনিক মেডিসিনের অন্তত প্রাইমারি জ্ঞান সমৃদ্ধ দক্ষ ভলান্টিয়ার তৈরি করব; যারা অন্তত ঠিকমতো ব্লাড প্রেশার মাপতে পারবে, ব্লাড সুগার মাপতে পারবে। প্রতি সমিতিতে একজন হিসেবে ১ লক্ষ ১০ হাজার ভলান্টিয়ার/স্বাস্থ্যকর্মী তৈরি করার পরিকল্পনা আছে।
প্রথিতযশা শিক্ষাবিদ ও ভাইস-চ্যান্সেলর এবং মডার্ণ হারবাল গ্রুপের উপদেষ্টা প্রফেসর ড. শমশের আলী
স্বাস্থ্য শুধু বাংলাদেশের সমস্যা নয়, এটা গোটা পৃথিবীরই সমস্যা। আগে আমরা শরীরের বিভিন্ন অংশের সমস্যা যেমন- চলতে ফিরতে অসুবিধা, হজমের অসুবিধা ইত্যাদি নিয়েই চিন্তা করতাম; যেগুলোকে ফিজিক্যাল অসুখ বলা হয়। আর এখন অসুখ আরো কতগুলো বেড়ে গেছে, সেগুলোকে নন ফিজিক্যাল অরিজিন বলা হয়। এই নন ফিজিক্যাল অরিজিন হলো মেন্টাল রোগ। মানুষ বিভিন্ন কারণে অপরকে ফাঁকি দিচ্ছে; যার অনেক টাকা আছে, সে আরো রোজগারের চেষ্টা করছে। এভাবে মনের অশান্তি বেড়ে যাচ্ছে। আর তখন ডাক্তারের কাছে ওষুধের জন্য দৌঁড়াতে হচ্ছে। কেবল একজন ভালো ডাক্তারই বলতে পারেন, ওষুধ কতটুকু কাজ করে আর কতটুকু করে না। আমাদের একাডেমিতে আমার একজন কলিগ ছিল জাতীয় অধ্যাপক ডাঃ নুুরুল ইসলাম। আমি যখন কাউকে তাঁর কাছে পাঠাতাম- তিনি অনেক প্রেসক্রিপশনে লিখতেন, ‘নো মেডিসিন’। তারপর সেই রোগী এসে আমাকে বলত, কার কাছে পাঠালেন? এত করে বললাম, তারপরও লিখে দিলেন- নো মেডিসিন! আমি জানতে চাইলাম, তারপর কী বলেছেন? তিনি বলেছেন- যে টাকা ব্যয় করে ওষুধ কিনে খাবেন, সেই টাকাগুলো দিয়ে ভালো ভালো খাবার কিনে খান, ভালো ভালো চিন্তা করেন, দেখবেন অসুখ সেরে গেছে।
তিনি বলেন- ডা. আলমগীর মতি মানুষের স্বাস্থ্যসেবায় অনেকগুলো কাজ করছেন দীর্ঘদিন থেকে। ডাঃ আলমগীর মতি একটি বইতে লিখেছেন- ঞযবড়ৎু ড়ভ ংরমহধঃঁৎবং. ডযধঃ রং ঃযবড়ৎু ড়ভ ংরমহধঃঁৎবং? আল্লাহ তায়ালা যখন পৃথিবীতে মানুষ পাঠালেন, যখন তার জ্ঞান বিকশিত হয়নি, তখন সে প্রকৃতিতে নানান জিনিস দেখত এবং তার শরীরের যে অঙ্গের সাথে মিল বা সিমিলারিটি দেখতে পেত, তাই সে খেত এবং উপকার পেত। এটাই হলো ঞযবড়ৎু ড়ভ ংরমহধঃঁৎবং, যা অনেকাংশে সত্যি।
শাকসবজির বেলায় লক্ষ্য করলে দেখা যায়- শশা, করলা, গাজর এবং অন্যান্য জিনিসের মধ্যেও আছে এই ঞযবড়ৎু ড়ভ ংরমহধঃঁৎব। গাজর কাটলে তার মাঝখানে যে অংশটুকু দেখা যায় তার সাথে আমাদের চোখের মিল আছে, এজন্য গাজর আমাদের চোখের জন্য উপকারি। আর একটা কথা হলো ওষুধতো অনেক ডাক্তারই প্রেসক্রাইভ করেন। এখন কোথায় কখন কতটুকু কী মাত্রায় কোন্ ওষুধ খেলে উপকার হয়, তা আমাদের ডেভেলপ করতে হবে। বহুদিন যাবৎ আমাদের দেশে এই ছঁধহঃরঃধঃরাব অহধষুংরং ঝরমহরভরপধহঃষু করা হতো না। আমি অত্যন্ত আনন্দিত যে, মডার্ণ হারবাল এটা মেইনটেইন করছে। আমি খুব পরিতৃপ্ত যে, মডার্ণ হারবাল বাংলাদেশের স্বাস্থ্যসেবায় অনন্য ভূমিকা রাখতে সক্ষম হয়েছে। তাই আশা করব, ডাঃ আলমগীর মতির মডার্ণ হারবাল একটা আইডিয়াল প্রতিষ্ঠান হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করবে এবং এতে সমগ্র জাতির স্বাস্থ্যসেবা সুনিশ্চিত করার ক্ষেত্রে সরকারি-বেসরকারি সকল জায়গা থেকে পূর্ণ সহযোগিতা পাবে।
সাবেক উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ খলিলুর রহমান
মডার্ণ হারবালের ৩৬ বর্ষপূর্তি এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত আছেন সব উজ্জ্বল ব্যক্তিত্বগণ; বিশেষ করে ক্যাম্পাস পত্রিকার সম্পাদক ড. এম হেলাল- তিনি ছাত্র-যুব উন্নয়নে নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন। এছাড়াও মানুষের স্বাস্থ্য বিষয়ক, জীবনমান উন্নয়ন, প্রোএকটিভ এটিচিউডসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে লেখালেখি করেন।
খলিলুর রহমান বলেন- ডাঃ আলমগীর মতি আমার অত্যন্ত প্রিয় একজন ব্যক্তিত্ব। তাঁর সাথে আমার পরিচয় ১৯৮৮ সালে এবং তখন থেকেই লোকটিকে আমার অত্যন্ত ভালো লাগে। এটা এই কারণে যে- তিনি একজন ধার্মিক, সহজ-সরল, সৎ, ন্যায়নিষ্ঠ এবং পরোপকারী মানুষ। আমি মডার্ণ হারবাল গ্রুপের একজন ভক্ত। আমি এবং আমার স্ত্রী দু’জনই ডাঃ আলমগীর মতির ওষুধ খাই। মতি ভাই সমাজের জন্য যা কিছু করছেন, আমাদেরও তা করা উচিত। তাতেই সকলের উপকার হবে। আসলে কারো একার পক্ষে সবকিছু করা সম্ভব না। তাই যে যেখানেই থাকি না কেন, সেখানে থেকেই জনগণের জন্য কিছু করতে হবে।
আমি মনে করি- মডার্ণ হারবাল গ্রুপ আজ যে পর্যায়ে এসেছে, তা নিঃসন্দেহে গর্বের বিষয়। হারবাল বলতে আমি মডার্ণ হারবালকেই বুঝি। আপনারা যারা মডার্ণ হারবালের সাথে আছেন, তারা আরও ভালোভাবে লেগে থাকেন; আপনাদের অনেক উন্নতি হবে। ডাঃ আলমগীর মতি সাহেব একজন উদার প্রকৃতির মানুষ। তিনি কখনো কারো অপকার করতে পারেন না। ডাঃ আলমগীর মতি দীর্ঘদিন বেঁচে থাকুক, হারবাল গবেষণার ইনগ্রিডিয়েন্স আরো উন্নত করুক, সকলের স্বাস্থ্যসেবায় তিনি নিয়োজিত থাকুক। আপনাদের সকলের সর্বাত্মক মঙ্গল এবং মডার্ণ হারবাল গ্রুপের উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি কামনা করছি।
টিএমএসএস’র প্রতিষ্ঠাতা অশোকা ফেলো প্রফেসর ড. হোসনে আরা বেগম
মডার্ণ হারবাল এর চিকিৎসা একটি সনাতনী চিকিৎসা, গাছ-গাছড়ার মাধ্যমে চিকিৎসা, কবিরাজি চিকিৎসা; যার কোনো পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই বললেই চলে। এই চিকিৎসা মানুষের শরীরের জন্য অত্যন্ত ফিট, যা মানবশক্তিকে বৃদ্ধি করে। আর এই চিকিৎসাশাস্ত্রের একজন স্বনামধন্য গবেষক হচ্ছেন ডাঃ আলমগীর মতি। তিনি তাঁর সারাজীবনের সাধনা দিয়ে এই শাস্ত্রকে তুলে ধরেছেন এবং বিকাশ ঘটাচ্ছেন। বাংলাদেশের গন্ডি পার হয়ে বিদেশেও এই চিকিৎসা শাস্ত্রকে পপুলার করার জন্য নিরলস চেষ্টা করে যাচ্ছেন। আমরা সবাই তাঁর জন্য দোয়া করি- আল্লাহ্তায়ালা যেন তাঁর হায়াত দারাজ করেন এবং তাঁকে সর্বদা সুস্থ রাখেন।
আমি গত ৬১ তম অধিবেশনে অর্থ্যাৎ মহিলাদের জাতীয় সংসদের একটি সেমিনারে গিয়েছিলাম সরকারি প্রতিনিধি হিসেবে। সেখানে একটি সেমিনার ছিলো সকল ধর্ম নিয়ে। যারা বিভিন্ন ধর্ম নিয়ে পড়াশুনা করে, চর্চা করে, ধর্মের উপকার-অপকার নিয়ে গবেষণা করে তারা ধর্ম দিয়ে কীভাবে মানুষের উন্নয়ন করা যায়, কীভাবে মানুষের মূল্যবোধ বৃদ্ধি করা যায় -এসব নিয়ে আলোচনা করছিলো। খুবই প্রাণবন্ত ছিলো সেই সেমিনারটা। তারা বলছিলো যে, উপমহাদেশের অর্থাৎ এশিয়ার মুসলমান এবং হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকদের যে ধর্মচর্চা, তা দিয়ে মানবতার খুব বেশি উপকার হচ্ছে না; বরং মানুষের ভেতরে অন্ধতা বৃদ্ধি পাচ্ছে, যার ফলে উন্নয়ন অগ্রসর না হয়ে অনগ্রসর হচ্ছে। আমি তাদেরকে এর কারণ জিজ্ঞাসা করলে তারা উত্তরে বললেন, দেখো তোমাদের ইসলাম ধর্ম মোতাবেক ফরজে আইন (যেটা অবধারিতভাবে প্রতিপালন করতেই হবে) দুই ভাগে বিভক্ত। একটা হলো হক্কুল ইবাদ এবং অপরটি হলো হক্কুল্লাহ। হিন্দু সম্প্রদায় এবং তোমরা কেবল ঈশ্বরভিত্তিক ইবাদত করো, আল্লাহভিত্তিক ইবাদত করো অর্থ্যাৎ হক্কুল্লাহ করো। কিন্তু হক্কুল ইবাদ করো না। হক্কুল্লাহ্’র ব্যত্যয় ঘটলে সেটা কাজা তোলা যায়। এক্ষেত্রে আল্লাহ বলেছেন, আমি মাফ করে দিতে পারি যদি তোমরা মাফ চাও, মাফ নাও। কিন্তু মানুষের প্রতি দায়িত্ব, মানুষের প্রতি ভালোবাসা, মানুষের উপকার করা, মানুষের কল্যাণ করা, মানুষের সেবা করা -এটাই হলো ফরজে আইনের হক্কুল ইবাদ অংশ। সেইটা তোমরা কম করছ। এটার কাজা তোলা যায় না, এটার মাফ চাওয়া যায় না, আল্লাহ মাফ করতে পারেন না। এটা আল্লাহ্রই ঘোষণা। তোমরা সেটা করছ না। যার ফলে তোমাদের ধর্ম দ্বারা গরিবী হঠাতে পারছ না, অপরের উন্নয়ন সাধন করতে পারছ না; বরং পেছনের দিকে যাচ্ছো তোমরা। তারা বললো- দেখো, আমাদের চার্চের মধ্যে উন্নয়ন নিয়ে আলোচনা-পর্যালোচনা করা হয়। আর তোমাদের মসজিদে শুধুমাত্র হক্কুল্লাহ’র কথা হয়। হক্কুল ইবাদের কথা হয় না, হক্কুল ইবাদ নিয়ে মানুষের জবাবদিহি করা হয় না।
আমি বলতে চাই- আমরা মডার্ণ হারবাল গ্রুপের মাধ্যমে যে দায়িত্ব পালন করছি তার পুরোটাই হচ্ছে হক্কুল ইবাদ। কারণ, এতে মানুষের কল্যাণ হচ্ছে। এটা দ্বারা আমরা দুঃখী মানুষকে, কম পয়সার মানুষকে চিকিৎসাসেবা, স্বাস্থ্যসেবা দিচ্ছি এবং এক্ষেত্রে দেশের গাছ-গাছড়া ব্যবহার করে ওষুধ তৈরি করা হয়। কোনো বিদেশি ইনগ্রিডিয়েন্স আমদানী করা হয় না। সুতরাং এটি একটি বহুবিধ উন্নয়ন কার্যক্রম, মানবতার উন্নয়ন কার্যক্রম। আর এই উন্নয়নের যিনি প্রাণপুরুষ এবং মধ্যমণি, তিনি হচ্ছেন ডাঃ আলমগীর মতি। আমি তাঁর দীর্ঘায়ু কামনা করি। আমি এই প্রতিষ্ঠানের উত্তরোত্তর উন্নতি কামনা করি। বিশ্বব্যাপী এই প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম বা সেবা ছড়িয়ে পড়–ক এবং মানবতার কল্যাণ হোক।
বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস পত্রিকার সম্পাদক এবং ক্যাম্পাস সোস্যাল ডেভেলপমেন্ট সেন্টার এর মহাসচিব ড. এম হেলাল
মডার্ণ হারবাল গ্রুপের ৩৬ বছর পূর্তি আমাদের জাতীয় স্বাস্থ্য উন্নয়নে একটি মাইলফলক। কারণ বাংলাদেশে গণমানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিয়ে যে সিন্ডিকেট ও রমরমা বাণিজ্য চলছে -সেখানে প্রাকৃতিক চিকিৎসা ও চর্চায় নিবেদিতপ্রাণ, হারবাল গবেষক ডাঃ আলমগীর মতি এবং মডার্ণ হারবাল গ্রুপ এর ন্যায় প্রতিষ্ঠানের বিকাশ ও উত্তরণ খুব প্রয়োজন।
আমরা কেমিক্যাল ঔষধ কুইনাইন সম্পর্কে ছোটবেলা থেকেই একটা কথা শুনে আসছি, কুইনাইন জ্বর সারাবে কিন্তু কুইনাইন সারাবে কে? কুইনাইন তথা কেমিক্যাল যে ঔষধ মানুষের শরীরে ঢোকানো হয়, তা শরীরকে আপাত সাময়িক নিরাময় করলেও স্থায়ীভাবে রোগ নির্মূল করে না। অথচ প্রাকৃতিক গাছগাছালীর মাধ্যমে স্থায়ীভাবে মানুষের রোগমুক্তি সম্ভব। সেটা ডাঃ আলমগীর মতি আজ থেকে ৩৬ বছর আগে জানান দেয়া শুরু করেন। গণমানুষের প্রতি তাঁর আহ্বান ছিল- আপনার বাড়ির আশেপাশে অযতেœ-অবহেলায় বেড়ে ওঠা গাছ-গাছড়া বা বনলতার মাধ্যমে, আপনার ঘরে কিংবা হাতের নাগালে পড়ে থাকা প্রাকৃতিক বিভিন্ন উপাদান দিয়ে আপনি নিজেই আপনার স্বাস্থ্যচর্চা, রোগমুক্তি করতে পারেন; এভাবে আপনি নিজেই নিজের ডাক্তার হতে পারেন। প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় রাখুন আদা- মধু- কালিজিরা-রসুন; বহুল পরিচিত ও জনপ্রিয় এ সেøাগানের শুরুও ডাঃ আলমগীর মতির হাতে। আমার প্রতিষ্ঠান বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস পত্রিকা এবং ক্যাম্পাস স্যোসাল ডেভেলপমেন্ট সেন্টার তাঁর সাথে সায় দিয়ে স্বাস্থ্যসেবার নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে এবং বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-যুবকদের মাধ্যমে আমরা সারাদেশে এ বিষয়ে ক্যাম্পেইন করে থাকি।
আমাদের সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদ হলো শরীর বা দেহ। কিন্তু কেমিক্যাল ওষুধ গ্রহণ করে আমরা সেই শরীরের ক্ষতি করে থাকি। কথায় কথায় মুঠোভর্তি ওষুধ, কথায় কথায় কাটাছেড়া। অপারেশন হয়ে গেছে ডাল-ভাতের মতো। আমরা ৭ ভাই-বোন; কারোর জন্মের সময় আল্লাহর রহমতে আমার মায়ের পেট কাটতে হয়নি। আর আজকাল এক বা দুই সন্তানের ক্ষেত্রেও পেট কেটে সন্তান বের করতে হয়। সেটা ছাড়া নাকি উপায় নাই। অর্থাৎ এটা এখন কালচার, একটা সিন্ডিকেট, রমরমা বাণিজ্য। এভাবে বাংলার মা-বোনদের ধ্বংস করে দেয়া হচ্ছে। আমাদের দেহের যে মেরিডিয়ান লাইন বা এনার্জি লাইন -সেটা একবার কাটার পর যতই জোড়া দেয়া হোক না কেন, সে এনার্জি লাইন পরিপূর্ণভাবে আর কাজ করে না; অনেক ক্ষেত্রে মানুষ পঙ্গুও হয়ে যায়।
এরূপ অবস্থার মধ্যেও ডাঃ আলমগীর মতি মডার্ণ হারবাল এর কার্যক্রম শুরু করে তা বিকাশের চেষ্টা করে যাচ্ছেন। ফার্মাসিউটিক্যাল বা কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ কোটি কোটি টাকা ব্যয় করে, অথচ মডার্ণ হারবাল গ্রুপের মতো প্রতিষ্ঠান যারা নিরলসভাবে গণমানুষের জন্য কাজ করে যাচ্ছে, তাদের কোনো পেট্রোনাইজেশন নাই। মডার্ণ হারবালের মতো প্রতিষ্ঠানগুলোর যথাযথ পৃষ্ঠপোষকতা করা হলে এদেশের জাতীয় বাজেটে স্বাস্থ্যখাতে ব্যয় কমবে। সরকার যদি মডার্ণ হারবাল গ্রুপের মতো এইসব প্রতিষ্ঠানকে ব্যাপকভাবে কাজ করার সুযোগ দেয় এবং এদের যে ইনোভেশন বা সৃজনশীল কাজ অথবা এদের যে প্রোডাকশন, এদের যে গবেষণা -এগুলোকে এক্সপিডাইট করে এবং জাতীয়ভাবে ইনস্টিটিউশনালাইজ করে, তাহলে স্বাস্থ্যখাতে আমাদের দ্রুত উন্নতি হবে এবং গড় আয়ু অনেক বেড়ে যাবে।
ড. এম হেলাল আরও বলেন- আমি যখন ঢাকা ইউনিভার্সিটির ছাত্র-সংসদে নির্বাচিত হয়েছিলাম, তখন থেকে ডাঃ আলমগীর মতির সাথে আমার পরিচয়। একদিন কয়েকজন ছাত্রবন্ধুকে নিয়ে তাঁর সাথে দেখা করতে গিয়েছিলাম। সেখানে আমি কিছু গাছ-গাছালির রসের সাথে প্রথম পরিচিত হই এবং আমি খেয়ে দেখলাম যে এর মধ্যে এমন কিছু উপাদান আছে, যা শরীরের জন্য সত্যিই উপকারী। তারপর আমি খুলনার তৎকালীন মেয়র তৈয়বুর রহমান, জাপানে বাংলাদেশের এম্বাসেডর রাশেদ আহমেদ চৌধুরীসহ অনেককে মতি ভাইয়ের কথা বলি। এরপর তাঁরা এসব খাদ্যচর্চা শুরু করে বললেন যে, আসলেই আমরা গাছ-গাছালির মাধ্যমে রোগমুক্ত থাকতে পারি। সেই থেকেই ডাঃ মতি ভাইয়ের সাথে আমার আত্মার আত্মীয়তা। তাঁর সাথে পরিচয় হওয়ার পর থেকে আমি বিভিন্ন সময়ে, বিভিন্নভাবে, বিভিন্ন এঙ্গেলে তাঁকে দেখেছি। আমার সাংবাদিক বন্ধুরা যখন ডাঃ আলমগীর মতির সাক্ষাৎকার নিতে গেছেন, ফিরে এসে তারা বলেছেন- স্যার, আপনিতো ডাঃ আলমগীর মতিকে শিক্ষা ও স্বাস্থ্য বিষয়ে কথা বলতে বলেছেন; তিনিতো কেবল দু’একটা বিষয়ে নয়, অনেক বিষয়ে অনেক এক্সপার্ট; তিনি অনেক জানেন। তাঁর ব্যাপারে লিখতে গেলে অনেক পাতা লাগবে। আমিও আজকে সেই সাংবাদিক বন্ধুদের সাথে গলা মিলিয়ে বলতে চাই- ডাঃ আলমগীর মতি ও মডার্ণ হারবাল গ্রুপ সম্পর্কে বলতে গেলে অল্প সময়ে বলা সম্ভব না।
ডাঃ আলমগীর মতি এ দেশের জাতীয় প্রতিভা। যদি কেউ তাঁকে কাছে থেকে দেখে থাকেন -তাহলে এর প্রমাণ পাবেন, বুঝতে পারবেন। কোনো জিনিস সম্পর্কে কমেন্ট বা জাজমেন্ট করতে হলে তাকে কাছ থেকে দেখতে হয়। ডাঃ আলমগীর মতি সম্পর্কে যদি জাজমেন্ট দিতে হয়, তাঁর ভিতরে কী আগুন আছে, কী বারুদ আছে -তা বুঝতে হলে তাঁর কাছাকাছি যেতে হবে।
ডাঃ আলমগীর মতি সম্পর্কে কেউ কেউ দূর থেকে বলেন, তিনি বিজনেস করেন। বিজনেস বা ব্যবসা করাকে আমাদের ধর্মগ্রন্থেও নিষেধ করা হয়নি। ব্যবসাতো খারাপ না। দেখতে হবে ব্যবসার উদ্দেশ্য কী? বেশিরভাগ মানুষই প্রথমত ব্যবসা করেন বড়লোক হবার জন্য কিংবা নিজের জীবিকা নির্বাহের জন্য। আর ডাঃ আলমগীর মতির মতো গুটিকতক মানুষ আছে, যারা ব্যবসা করেন সমাজসেবা করার জন্য। ব্যবসা না করলে সমাজসেবার টাকা আসবে কোথা থেকে? ব্যবসা থেকে যে মুনাফা, সেই মুনাফা তিনি ব্যয় করেন কী উদ্দেশ্যে -সেটাও দেখার বিষয়। ডাঃ আলমগীর মতির সমাজসেবা অতুলনীয় ও অবিস্মরণীয়। তাঁর কাছে সাহায্য চেয়ে কেউ খালি হাতে ফিরে যায় না; তাঁর অকৃপণ সাহায্যদানের জন্য সবাই তাঁকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করে।
ডাঃ মতি নিবীড় মানবসেবার পাশাপাশি স্রষ্টার বিভিন্ন সৃষ্টিরও সেবা করেন। তিনি সর্বদাই প্রকৃতির সান্নিধ্য-সেবায় নিবেদিত থাকেন, এমনকি পশু-পাখির সাথেও সম্বন্ধ রাখেন নিয়মিত। সর্বক্ষেত্রেই রয়েছে তাঁর বিচরণ। চষধরহ খরারহম ্ ঐরময ঞযড়ঁমযঃ এর এই বিশেষ মানুষটির জীবন ও দর্শন সত্যিকারভাবেই ব্যতিক্রম।
ডাঃ মতি আমাদের এক অনন্য জাতীয় প্রতিভা। সেই ৩৬ বছর আগে তাঁর সাথে আমার দেখা, সেই সময়ের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে সবশেষে আমি বলতে চাই- ডাঃ আলমগীর মতি অসম্ভব সৃজনশীল একজন ব্যক্তিত্ব। তিনি এই দেশের মানুষের কাছে একজন ঔড়ুভঁষষ, ইবধঁঃরভঁষষ, ঋধরঃযভঁষষ, ঝঁপপবংংভঁষষ ব্যক্তিত্ব। সব মিলিয়ে তিনি ডড়হফবৎভঁষষ, ডড়হফবৎভঁষষ, ডড়হফবৎভঁষষ; অসংখ্য ভঁষষ এ ভরা তিনি একজন নির্ভরশীল বিশ্বস্ত মানুষ।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মোঃ বাহালুল হক চৌধুরী
আমি দীর্ঘ ১০/১২ বছর ধরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছি। আসলে হারবাল সম্পর্কে আমার তেমন ভালো জ্ঞান নেই। তবে একটা জিনিস বুঝি যে, মডার্ণ হারবালের পরিধি দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। আগে ছিল একটা প্রোডাক্ট, আর এখন ৪০০ রকমের বিভিন্ন ধরনের প্রোডাক্ট রয়েছে। আগে দেখতাম, ৩০/৪০ জন হেকিম আসতেন। আর এখন অনুষ্ঠানের জন্য জায়গা পাওয়া যায় না। আলমগীর মতি সাহেবের কোনো প্রচার নাই, অথচ সরাসরি ১ কোটি লোক ডাঃ আলমগীর মতির দ্বারা উপকৃত হচ্ছে। রাষ্ট্রীয়ভাবে এটা দেখা উচিৎ যে, আলমগীর মতি সাহেব কী কাজ করছেন, কারা কারা উপকৃত হচ্ছে, কোন কোন সেক্টরে কী কী ডেভেলপ হচ্ছে এবং সেই হিসেবে তাঁকে পেট্রোনাইজ করা উচিত।
শরীয়তপুর জেলা পরিষদের ডায়নামিক চেয়ারম্যান খোকা শিকদার
মডার্ণ হারবাল গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা ডাঃ আলমগীর মতি সারা বাংলার লক্ষ লক্ষ মানুষের কর্মসংস্থান থেকে শুরু করে গোটা জাতিকে তাঁর চিন্তা-চেতনা ও গবেষণায় তৈরি ভেজালমুক্ত ও নকলমুক্ত প্রোডাক্ট পৌঁছে দিয়েছেন। ডাঃ আলমগীর মতি শরীয়তপুরের সন্তান হিসেবে আমি অত্যন্ত গর্বিত। ডাঃ আলমগীর মতির সাথে আমার অনেক দিনের বন্ধুত্ব। আমি মডার্ণ হারবালের দীর্ঘদিনের ভক্ত এবং আমার স্ত্রী ডাঃ আলমগীর মতির পেসেন্ট। আমি বিভিন্ন সময় বিভিন্ন অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করি। সেখানে ইদানিং দেখি মহিলাদের উপস্থিতি অনেক বেশি। আমি ডাঃ মতি সাহেবকে অনুরোধ করব, আপনি যদি আপনার সিপিএস, ডিপিএস ও অন্যান্য কর্মকর্তাদের মাধ্যমে বাংলাদেশে মহিলা কর্মী সৃষ্টি করেন, তাহলে আপনার কোম্পানির জন্য অনেক উপকার হবে।
খোকা শিকদার আরও বলেন- সততার প্রতীক মডার্ণ হারবাল। মডার্ণ হারবাল যেমন সত্যকে প্রতিষ্ঠিত করেছে, ভেজালকে ভেজালমুক্ত করেছে; তেমনি আজ এখানে যারা উপস্থিত আছি, তারাও যেন এই চিন্তা-চেতনা ধারণ করি। আমরা মিথ্যা কথা বলব না, আমরা আমাদের বৃদ্ধ মা-বাবার সেবা করব, তাঁদের মনে কোনো কষ্ট দেব না। বাড়ি বা পাড়া-প্রতিবেশী, ময়-মুরুব্বীদের কখনো অশ্রদ্ধা করব না। তাহলে আজকের এই অনুষ্ঠান সার্থক হবে, সফল হবে।
এখানে সিপিএস বন্ধুরা অনেক সুন্দর সুন্দর কথা বলেছেন, অল্প কথায় অনেক কিছু বুঝিয়েছেন। আমরা যদি তা নিজের মধ্যে ধারণ করতে পারি, তবে অনেক উপকৃত হবো। আমি চাই আগামীতে এই পরিষদে নয়, বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এই মডার্ণ হারবালের অনুষ্ঠান হবে। আমি সরকারের একজন নগণ্য কর্মী হিসেবে বলতে চাই, সরকারের হাজার হাজার কোটি টাকা বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন কর্মকান্ডে অপচয় হচ্ছে; যেগুলোর কথা আমরা জেনে, শুনে, বুঝেও বলতে পারি না। আর বললেও কোনো কাজ হয় না। তাই আমি বলতে চাই- মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আপনি যদি মডার্ণ হারবাল গ্রুপকে পেট্রোনাইজ করেন, তাকে যদি সাপোর্ট দেন, তাহলে বাংলাদেশের কোটি কোটি মানুষ ভেজালমুক্ত চিকিৎসা পাবে।
তিনি বলেন- মতি ভাই যে বইগুলো লিখেছেন তা কত সুন্দর! পেঁয়াজ-রসুন থেকে শুরু করে বিভিন্ন ফল-মূলের কথা, তাদের গুণাগুণের কথা বলা হয়েছে। আমরা যদি সাধারণ মানুষ এগুলো পড়ি, তাহলে যে পণ্যগুলো নিয়ে বই লিখেছেন তার প্রতি আকৃষ্ট হয়ে আমরা তাঁর চিকিৎসা নিতে পারব। চিকিৎসার পাশাপাশি আমি মডার্ণ হারবালের জ্যাম, জেলী, আচার ইত্যাদি খেয়েছি -যা পুষ্টিগুণে ভরপুর। আমি ডাঃ আলমগীর মতির দীর্ঘায়ু কামনা করি। তিনি যেন আগামীতে আরো বেশি মানুষের সেবা করতে পারেন।
পিডিবি’র সাবেক চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার কে এম হাসান
মডার্ণ হারবালের প্রতিষ্ঠাতা ডাঃ আলমগীর মতি আমার অত্যন্ত প্রিয় একজন মানুষ। তাঁর সাথে আমার অনেক দিনের বন্ধুত্ব। ১৯৮৩ সালে তিনি প্রথমে আমাকে আইডিয়া দিলেন যে, আমরা কিছু ফুডের উপর কাজ করতে চাই। আপনার সায়েন্স ল্যাবরেটরি থেকে কিছু কিছু ছোট প্রকল্প দিচ্ছে। এই প্রকল্পগুলো নিয়ে আমি কাজ করতে চাই। এরপর প্রথমেই তিনি শুরু করলেন চুইং জিনজার দিয়ে। এই চুইং জিনজারই হলো মডার্ণ হারবালের সূচনা। সায়েন্টিফিক ধ্যান-ধারণা নিয়েই মডার্ণ হারবালের জন্ম। কারণ হচ্ছে তিনি এই জিনিসটা শুরু করেছিলেন সায়েন্স ল্যাবরেটরী থেকে। এরপরে পর্যায়ক্রমে মাশরুম এবং অন্যান্য ছোট ছোট জিনিস শুরু করা হলো। এছাড়াও জ্যাম, জেলী এবং অন্যান্য জিনিস সবকিছুর প্যাটার্নই ছিল সায়েন্টিফিক। আস্তে আস্তে আজকের এই পর্যায়ে এসে পৌঁছেছে মডার্ণ হারবাল।
তিনি বলেন- ডাঃ আলমগীর মতি শুরুতে ছিলেন হোমিওপ্যাথি ডাক্তার। এরপর হোমিওপ্যাথির পাশাপাশি হারবালে সুইচওভার করেন। হারবালের উপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গ্রাজুয়েশন ডিগ্রি অর্জন করেন। সেই থেকে খাদ্য এবং পথ্য এই দু’টি পাশাপাশি শুরু করলেন। এখন মডার্ণ হারবাল গ্রুপের প্রায় ৪০০ আইটেম আছে। এগুলো তিনটি ভাগে বিভক্ত- খাদ্য, ঔষধ এবং প্রাণিজ ঔষধ। এই তিনটা পার্ট হচ্ছে ডাঃ মতির চিন্তা-চেতনা ও একনিষ্ঠ শ্রমের ফসল। আমি মনে করি- আপনারা যারা তাঁর সাথে জড়িত আছেন, তারা অত্যন্ত ভাগ্যবান। আপনারা এমন একজন গবেষক, এমন একজন সাধকের সাথে আছেন -যার সাধনা এবং শ্রম এই দেশের ১৬ কোটি মানুষের উপকারে আসবে। শুধু বাংলাদেশে নয়, দেশের বাইরেও মডার্ণ হারবাল গ্রুপের ঔষধ ও খাদ্যপণ্যের সুনাম রয়েছে। একবার সিঙ্গাপুরে এক রেস্টুরেন্টে ডাঃ আলমগীর মতিসহ আমরা খাচ্ছিলাম। তখন অনেকেই এসে ডাঃ আলমগীর মতিকে বলেছে, আমরাতো আপনার তৈরি প্রোডাক্ট খাই, আপনার বক্তৃতা টেলিভিশনে শুনি। আমরা অনেক উপকৃত হচ্ছি। এটা আমাদের জন্য একটা গর্বের বিষয়।
কে এম হাসান আরও বলেন- আমাদের ধর্মে আছে, মানুষকে এমন কিছু করে যেতে হবে, যা তার জীবদ্দশায় এবং মৃত্যুর পরও তার নাজাতের ফয়সালা করে। ডাঃ আলমগীর মতি তাঁর জীবদ্দশায় যে প্রোডাক্টগুলো রেখে যাচ্ছেন, আমাদের দায়িত্ব হলো আজীবন তা মানুষের সেবায় নিয়োজিত করা বা কাজে লাগানো। আর এটা যদি আমরা ঠিকমতো করতে পারি, তাহলে তাঁর শ্রম সার্থক হবে।
এশিয়ান গ্রুপের চেয়ারম্যান হারুন অর রশিদ
মডার্ণ হারবাল গ্রুপের চেয়ারম্যান ডাঃ আলমগীর মতি আমার বড় ভাই, আমার মুরুব্বী। আমি প্রথমেই আল্লাহর কাছে দোয়া করি যেন তাঁর মতো মানুষ আমরা সবাই হতে পারি। সবাই যেন তাঁর মতো দিল, দান, সেবা এবং সর্বগুণে গুণান্বিত হতে পারি। মানুষের সেবা কীভাবে করতে হয়, তা তিনি পুরোপুরিই জানেন এবং করেন। এজন্য আমি তাঁকে আমার বড় ভাই হিসেবে খুবই শ্রদ্ধা করি। মডার্ণ হারবাল ৩৬ বছর পার করেছে; সারা বাংলাদেশে বিশেষ পরিচিতি লাভ করেছে। আমি দোয়া করি- শুধু বাংলাদেশে নয়, সারাবিশ্বে যেন এর পরিচিতি থাকে। মডার্ণ হারবাল কোনো ধোঁকাবাজি ছাড়াই অল্প পয়সায় সকলকে চিকিৎসাসেবা দেয়। এটা সম্পূর্ণভাবে গাছ-গাছড়ার ওষুধ। তাই এই ওষুধ কখনোই মিথ্যা হতে পারে না। বিভিন্ন ওষুধ কোম্পানি বিভিন্ন ধরনের ভূয়া ওষুধ বানায়, ভূয়া কেমিক্যাল মিশিয়ে নকল ওষুধ বানায়। কিন্তু এখানে নকলের কোনো স্থান নেই। যে গাছ যে কথা বলে, যে গাছে যে উপকার হয়, তিনি সেভাবেই ওষুধ তৈরি করেন। একজন ব্যক্তি ছিলেন, যার নাম লোকমান হেকিম। তিনি গাছের সাথে কথা বলতেন। কোন্ গাছের কী উপকার বা গুণাগুণ, তার কাছে বলতেন। আমি মনে করি, আমাদের আলমগীর মতি ভাই তার চেয়ে কিছু কম নন। মহান আল্লাহর কাছে দোয়া করি, মডার্ণ হারবাল গ্রুপ সারাবিশ্বে যেন নাম করতে পারে। মডার্ণ হারবালের পেছনে মতি ভাইয়ের যে পরিশ্রম, যে অবদান -তা যেন সফল হয় এবং বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশের মুখ উজ্জ্বল করতে পারে।
মডার্ণ হারবাল গ্রুপের সিনিয়র উপদেষ্টা তারিক বিন হোসেন
সেনাবাহিনীর কৃতী নায়ক, ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের ডিজি মেজর জেনারেল মোস্তাফিজুর রহমান স্বাস্থ্যসেবার প্রতি নজর দিয়ে যেভাবে ঔষধ প্রশাসনকে চালাচ্ছেন, তাতে আগামীতে স্বাস্থ্যখাতে কোনো ভেজাল ঔষধ-প্রতিষ্ঠান থাকবে না। তিনি নিজের অধীনে মডার্ণ হারবালের বেশ কিছু ওষুধ পরীক্ষা করেছেন। আল্লাহর রহমতে আমাদের প্রত্যেকটির রেজাল্ট ভালো পেয়েছেন। তাঁকে কথা দিচ্ছি- বাংলাদেশে হারবাল ঔষধের জনক ডাঃ আলমগীর মতি নিজেস্ব গবেষণায় প্রস্তুতকৃত ঔষধ আগামীতেও সম্পূর্ণ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া মুক্ত ও ভেজালমুক্ত থাকবে ইন্শাল্লাহ।
আজ ব্যাঙের ছাতার মতো হারবাল প্রতিষ্ঠান ছড়িয়ে পড়েছে। কিন্তু তাদের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগও আছে। তবে আমরা সঠিক আছি, আমরা ভালো আছি। তাই আমরা আজ এই পর্যায়ে এসে পৌঁছেছি।
দৈনিক বঙ্গজননীর সম্পাদক ও ক্যাট’র সভাপতি আলী নিয়ামত
আমি যদি বদলে যাই, বদলে যাবে তোমরা সবাই। এভাবে একদিন বদলে যাবে গোটা পৃথিবীটাই। আমাদের প্রিয় নবী হযরত মোহাম্মদ (সাঃ) কে একবার প্রশ্ন করা হয়েছিল, পৃথিবীতে সবচেয়ে বড় কাজ বা মহৎ কাজ কোনটি? তিনি বলেছিলেন- সমাজসেবা। ১৯৮৬ সালে একটি সমাজসেবামূলক কাজের সুবাদে আমার বড় ভাই ডাঃ আলমগীর মতির সাথে আমার পরিচয় জাতীয় অধ্যাপক ডাঃ নূরুল ইসলামের মাধ্যমে। আমরা তাঁর নেতৃত্বে ‘আধুনিক’ অর্থাৎ ‘আমরা ধুমপান নিবারণ করি’ নামক একটি সংগঠন প্রতিষ্ঠা করেছিলাম। মতি ভাই সেই আধুনিক’র একজন শুভাকাঙ্খী এবং উপদেষ্টা হিসেবে আছেন একেবারে শুরু থেকেই।
মডার্ণ হারবাল গ্রুপের ফাউন্ডার, আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন হারবাল গবেষক ও চিকিৎসক রোটারিয়ান ডাঃ আলমগীর মতি
আমাদের কোম্পানির আদর্শ হলো- সেবা সেবা এবং সেবা। এদেশের ৬৮ হাজার গ্রামে আল্লাহর দেয়া ঔষধি গাছ যেটা দিয়ে হাজার হাজার বছর মানুষের চিকিৎসা হয়েছে এবং সঠিক চিকিৎসা হয়েছে, অর্গানিক চিকিৎসা হয়েছে -সেটাই আমাদের মূল উপাদান।
মডার্ণ হারবাল গ্রুপের সদস্যদের উদ্দেশ্যে ডাঃ আলমগীর মতি বলেন- আমরা আপনাদেরকে দীর্ঘদিন ধরে যে কথা বলে আসছি, আজকে আবার বলছি- আমরা আজ থেকে প্রতিবছর এই শপথটা করব, আগামীকাল থেকে আমাদের হাত দু’টি থাকবে; তিনটি থাকবে না। একটা ডান হাত, একটা বাম হাত। কিন্তু আর একটা হাত আপনাদের কারো নাই, আমার আছে। আমি খারাপ মানুষ, পাগল মানুষ। এজন্য আমার হাত তিনটা। আর একটার নাম হলো- অযুহাত। এটা ঢাকা শহরে খুব ভালো চলে, এটার বিক্রিও ভালো। সেই হাতটা দিয়ে কি করে মানুষ? বলে- আমি তো এখন গুলিস্তানে, আসলে সে আছে নারায়ণগঞ্জে। আবার বলে- আমি আধাঘন্টার মধ্যে আসতেছি, আসলে সে আসে ছয় ঘন্টা পরে। এটা কি ব্যবসায় চলে? চলে না। কারণ, মহানবী (সাঃ) নিজে ব্যবসা করেছেন। ব্যবসায় সততা থাকতে হবে। এই ৩৬ বছরে আমি আপনাদের কাছ থেকে শিখতে পেরেছি, জানতে পেরেছি যে, এই অযুহাতটা আমাদের কেটে ফেলতেই হবে। আজ থেকে শপথ করি যেন আগামীদিন থেকে আমার আর অযুহাত না থাকে। আমার যেন আর মিথ্যা কথা বলতে না হয়। কারণ, আমাদের সকলের রিযিক আল্লাহ তায়ালার হাতে। হায়াত, মউত, রিযিক, দৌলত -এগুলো আল্লাহতায়ালার হাতে। একটি হাতি প্রতিদিন একশো মানুষের খাবার খায়, আবার একটি তিমিমাছ প্রতিদিন এক হাজার মানুষের খাবার খায়। আল্লাহ কি তাদের রিযিক বন্ধ করে দিয়েছেন? আল্লাহ তায়ালা কারোরই খাবার বন্ধ করেন নাই। আমরা কিন্তু খাবার খাচ্ছি। মাছ, পশু-পাখি কেউ কিন্তু কোনো মিথ্যা কথা বলে না, তাল-বাহানা করে না, অন্যায় কাজ করে না। কিন্তু আমরা করছি। অতএব আপনারা আমার ভাই, আপনারা মডার্ণ হারবাল গ্রুপের সদস্য। আগামীদিন থেকে আমরা যেন আমাদের শপথে বলীয়ান থাকি। আমাদের যেন হাত দুটোই থাকে, অযুহাতটাকে যেন আমরা কোনোক্রমেই ব্যবহার না করি। আপনারা যারা আজ পুরস্কৃত হয়েছেন, আমি এত আনন্দিত হয়েছি যে, আল্লাহ যেন আপনাদেরকে আরো পুরস্কার দেয়ার ক্ষমতা দেন। এর আগেও আপনারা কেউ মাইক্রো পেয়েছেন, কেউ প্রাইভেটকার পেয়েছেন, আবার কেউ কেউ মোটর সাইকেল পেয়েছেন।
আপনারা জানেন, আমরা ব্যাংক-লোন নিয়ে ব্যবসা করতে পারি না। আমার মায়ের ওছিহত করা আছে, নিষেধ আছে- ব্যাংক-লোন নিয়ে কোনো ব্যবসা করতে পারব না। আমরা তেলাপোকার তেল বের করে চলি, ন্যায়নিষ্ঠভাবে চলি। বাজারে যখন ঘি ৭০০ টাকা কেজি, আমরা তখন ৯৫০ টাকা করে কিনি। আমি সবসময় আসল জিনিস কেনার চেষ্টা করি। যখন বাজারে ২ নম্বর ষরিসার তেল চলে আমরা ১০০% খাটি তেল আপনাদের কাছে তুলে দিতে চেষ্টা করি। আমরা ১০০% খাটি নারকেল তেল আপনাদের দেয়ার চেষ্টা করি। আর এই খাটি জিনিসটা আপনাদের কাছে পৌঁছানোর জন্য যে এটার পেছনে কত শ্রম দিতে হয়, তা আল্লাহতায়ালা ছাড়া কেউ জানে না। যদি নকল দেয়া যেত, তাহলে এত শ্রম দিতে হতো না। একটা নারকেল তেলের পেছনে সারাবছর দশটা মানুষকে খাটতে হয়। খাটি নারকেল আনা, সেগুলোকে ১০০% শুকানো এবং সঠিকভাবে ভেঙ্গে প্রসেসিং করা ইত্যাদি সবগুলো কষ্ট করতে হয়। আমি দেখেছি, দেশি-বিদেশি নারকেল তেলের ভেতরে শুধু হোয়াইট অয়েল লাইট এবং হোয়াইট অয়েল থিক ছাড়া আর কিছুই থাকে না। এটা প্রমাণ করার জন্য আপনারা তেলটাকে ডিপফ্রিজে রাখবেন ২/৩ ঘন্টা। এরপর যদি দেখেন যে তা জমে গেছে, তাহলে তা খাঁটি। না জমলে তা কখনোই খাঁটি না। আবার সয়াবিন তেল ফ্রিজে রাখলে জমবে না। কিন্তু পামঅয়েল ফ্রিজে রাখলে জমে যাবে। এটা আপনি দশ মিনিটেই বুঝতে পারবেন।
ডাঃ আলমগীর মতি বলেন- আমার ভেতরে আত্মপোলব্ধি যদি ঠিক থাকে, তাহলে একবিন্দুও নকল হতে পারবে না। আমার ছোট ভাই ফ্যাক্টরী দেখাশোনা করে। ও ওখান থেকে চেষ্টা করছে, আমি এখান থেকে চেষ্টা করছি। আমার এখানে ফরাসি কোম্পানির ডিএম সাহেব আছেন। তাঁরা আমার প্রতিটা প্রোডাক্টকেই উন্নয়ন করতেছেন। আমরা তাঁদের সাথে দেশ-বিদেশে যাচ্ছি। তিনি একজন সিনিয়র কেমিস্ট। তাঁর অফিসটা আমাদের অফিসের ৭ তলায়। সেজন্য আমি একটু বেশি সুবিধা পাই। আমি ঘন্টায় ঘন্টায় লোক পাঠাই আমার কাজ করে দেয়ার জন্য। আপনাদের জিনিসটাকে ঠিক রাখার জন্য আমি ৯৯% চেষ্টা করে যাচ্ছি। ১% হয়তো কোথাও ত্রুটি হলে আপনারা ক্ষমা করবেন। আমি চেষ্টা করছি, আগামীতে আপনারা ১০০% খাঁটি জিনিস পাবেন ইনশাআল্লাহ।
অনুষ্ঠানের সভাপতি, মডার্ণ হারবাল গ্রুপের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ডাঃ মোহাম্মদ আমিরুল ইসলাম
আমার একটা বিরাট গর্ব যে, ডাঃ আলমগীর মতি একজন চিকিৎসা বিজ্ঞানী। আমি ১৯৭৩ সালে সরকারের পক্ষ থেকে মস্কোতে ৭ বছর পিএইচডি বা গবেষণা করার জন্য ছিলাম। এরপরে বাংলাদেশে এসে গবেষণা করে পেয়েছি বাংলার মানুষের নয়নের মণি ডাঃ আলমগীর মতিকে। আমার প্রতি তাঁর স্নেহ, মমতা, শ্রদ্ধা এবং ভালোবাসা দীর্ঘদিন থেকে। আর আমাকে মডার্ণ হারবাল গ্রুপের প্রধান উপদেষ্টাও করা হয়েছে দীর্ঘদিন থেকে। আমি দোয়া করি- মডার্ণ হারবাল শুধু বাংলাদেশ নয়, সারা পৃথিবীর প্রতিটি দেশে যেন এই মডার্ণ হারবাল মানুষের সেবা করতে পারে। পবিত্র হাদিসে বলা হয়েছে, সৃষ্টির সেবাই স্রষ্টার সেবা। হক্কুল ইবাদ এবং হক্কুল্লাহ্ -এই দু’টোই এখানে আছে।
আল্লাহ্র কাছে আমার প্রার্থনা- তিনি যেন ডাঃ আলমগীর মতিকে দীর্ঘায়ু দান করেন, সুস্বাস্থ্য দান করেন।
সিপিএস মোঃ রফিকুল ইসলাম খান (সম্মানিত লিডার, বর্ষপূর্তি গাড়ি বিজয়ী)
যদি আপনি পেছনের দিকে দৌঁড়ান, তাহলে আপনার ছায়াটা পর্যন্ত আপনাকে রেখে পালিয়ে যায়। আর যদি সূর্যের পেছনে দৌঁড়ান, তাহলে ছায়া আপনার পেছনে দৌঁড়াবে। টাকা, পয়সা, গাড়ি, বাড়ি, সফলতা -এগুলো হচ্ছে একটা ছায়া। আর এই টাকা-পয়সা যার মাধ্যমে অর্জন করবেন, সেটা একটা প্রতিষ্ঠিত প্রতিষ্ঠান। আর সেই প্রতিষ্ঠান হচ্ছে এমএক্সএন মডার্ণ হারবাল ফুড লিমিটেড। আমি এমন একটি সূর্যের পেছনে দৌঁড়িয়েছি, যার কারণে ছায়া আমার পেছনে দৌঁড়াচ্ছে। দ্ইু বছরের গাড়ির অফার অর্জন করেছি এক বছরে। কারণ, আমি পেছনের দিকে দৌড়াইনি, দৌঁড়িয়েছি সূর্যের দিকে।
মোঃ রুহুল কুদ্দুস, এজিএম
আল্লাহর অশেষ রহমতে মডার্ণ হারবাল গ্রুপ আজ হাটি হাটি পা পা করে ৩৬ বছর অতিক্রম করতে যাচ্ছে। অনেক ব্যর্থতার মাঝেও আমরা আজ সফলতার দিকে এগিয়ে যাচ্ছি। এই সফলতার মূল নেতৃত্বে আছেন আমাদের প্রাণপুরুষ, আমাদের পিতা, আমাদের গবেষক, আমাদের পরিচালক ডাঃ আলমগীর মতি স্যার এবং তাঁর সহযোদ্ধা হিসেবে আছেন সম্মানিত সিপিএস থেকে শুরু করে সকল ডিস্ট্রিবিউটরগণ, যারা ডাঃ আলমগীর মতির সাথে নিবেদিতপ্রাণ। আমি এজিএম হলেও এখনো ডিস্ট্রিবিউটর হিসেবে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি, যাতে তাঁর আশা-আখাঙ্খার প্রতিফলন ঘটাতে পারি। আসুন, সবাই মিলে প্রতিজ্ঞা করি যেন আমরা মডার্ণ হারবাল গ্রুপকে বাংলাদেশের শ্রেষ্ঠ কোম্পানি হিসেবে গড়ে তুলতে পারি। আমি স্রষ্টার কাছে প্রার্থনা করি, যেন আমাদের স্যার দীর্ঘজীবী হন এবং আমাদের স্বপ্নপূরণে তিনি একজন উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হয়ে থাকেন।
সিপিএস মোঃ খালেদ আক্তার (অন্যতম এডভাইজার, লিডার)
আমরা যারা মডার্ণ পরিবারের সদস্য, তাদেরকে একটি লক্ষ্য নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। তা হলো আগামীদিনে আমরা যেন প্রত্যেকেই বিজয়ী হতে পারি। আমরা অনেক সৌভাগ্যবান যে, ডাঃ আলমগীর মতি স্যার এই বয়সেও আমাদেরকে সামনে এগিয়ে চলার অনুপ্রেরণা দিয়ে যাচ্ছেন। তিনি সকলের জন্যই অনুপ্রেরণা; কারণ- তিনি গরিব, দুখি, অসুস্থ ও চিকিৎসাবঞ্চিত মানুষদের নিয়ে চিন্তা করেন। তাই আমাদেরকেও থেমে থাকলে চলবে না, তাঁর আবিষ্কার ও গবেষণালব্ধ প্রোডাক্ট বাংলার প্রতিটি ঘরে পৌঁছে দেয়ার জন্য আমাদের নিরলসভাবে কাজ করে যেতে হবে।
সিপিএস কে এম আজিজুল ইসলাম ফয়সাল (অন্যতম এডভাইজার)
আজকে যারা এখানে কষ্ট করে উপস্থিত হয়েছেন, তারা হলো আমাদের প্রাণের স্পন্দন; আজকে যারা ডায়াসে উপস্থিত আছেন, তাঁরা হচ্ছেন আমাদের অনুপ্রেরণা, আমাদের আদর্শ। কীভাবে সামনে এগিয়ে যাওয়া যায়, আমরা তাঁদের কাছ থেকে শিক্ষা গ্রহণ করি। মডার্ণ হারবালে প্রায় ৯ লক্ষ ডিস্ট্রিবিউটর, তারমধ্যে মাত্র ৩৭ জন আজকে পুরস্কৃত হচ্ছেন। তারা আপনাদের চেয়ে একটু এগিয়ে। তাদের মধ্যে ১১ জন আবার আরেকটু এগিয়ে আছে, এই ১১ জনের মধ্যে আরো ৭/৮ জন আর একটু এগিয়ে আছে। তার মধ্যে ১ জন আবার আরো একধাপ এগিয়ে আছে। আর এই এগিয়ে থাকার প্রত্যয় যদি আপনার ভেতরেও থাকে, তবে আপনিও এগিয়ে যেতে পারবেন এবং কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারবেন। সবার জন্যই কোম্পানি সমান সুযোগ দিয়েছে। এটাকে সঠিকভাবে কাজে লাগাতে হবে। আমাদের মিশনটাকে ভিশনে পরিণত করে কাজ করে যেতে হবে। তাহলেই আমরা সফল হতে পারব, ইনশাআল্ল্াহ।
সিপিএস মোঃ রুহুল আমিন (ফোরাম এডভাইজার)
আমরা একটা কথা বলি- অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যত। আজ যদি আমি কাজ ভালো না করি, তাহলে আগামীকাল বলব- আমার অতীত ভালো ছিলো না। আগামীকাল যদি কাজ ভালো না করি, তাহলে বলব- আমার বর্তমান ভালো না, তাই আমার ভবিষ্যতও ভালো হবে না। তাই আমাদের আজ থেকেই ভালোভাবে কাজ শুরু করে দিতে হবে। প্রতিটি সেকেন্ড, প্রতিটি মিনিটকে কাজে লাগাতে হবে, কোনো অযুহাত দেয়া যাবে না। আজ আমি আপনাদের সামনে মঞ্চে দাঁড়িয়ে কথা বলছি। আমাকে এই সুযোগ করে দিয়েছেন মডার্ণ হারবাল গ্রুপের চেয়ারম্যান, আমাদের প্রাণপ্রিয় ডাঃ আলমগীর মতি স্যার। আমি চাই আগামীতে আপনারা সবাই এখানে এসে কথা বলবেন। আমি আগে এভাবে কথা বলতে পারতাম না। এক্ষেত্রে প্রত্যেকটা লিডার আমাকে কোনো না কোনোভাবে সহযোগিতা করেছেন। আমরা এখানকার প্রত্যেকটা লিডার একে অন্যের পরিপূরক। আমরা প্রত্যেকে এভাবেই কাজ করে যেতে চাই।
সিপিএস মোঃ দুরুল হুদা (ফোরাম এডভাইজার)
আজ সারা বাংলাদেশে দ্রব্যমূল্য দিন দিন বেড়েই চলেছে। আর তার সাথে পাল্লা দিয়ে গড়ে উঠছে ব্যাঙের ছাতার মতো অসংখ্য কোম্পানি। তারা জনগণের সাথে বিভিন্নভাবে প্রতারণা করছে। আজকে চমক, কালকে নেই। এই অবস্থার মধ্যে পড়ে মানুষ নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। অসংখ্য ব্যাঙের ছাতার মতো কোম্পানির পেছনে ছুটে ছুটে মূল্যবান সময় নষ্ট করছি। কিন্তু এমএক্সএন এ কেউ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে না, কেউ প্রতারিত হচ্ছে না। এমএক্সএন কখনো দাম বৃদ্ধির কথা বলে না, পণ্যের গুণগত মান বৃদ্ধির কথা বলে। নতুন নতুন প্রোডাক্ট আপনার কাছে নিয়ে আসে। আপনি যাতে ব্যক্তি জীবনে, সমাজ জীবনে এবং রাষ্ট্রীয় জীবনে একটি সুন্দর ও আদর্শবান নাগরিক হিসেবে গর্ব করে বেঁচে থাকতে পারেন -এজন্য ডাঃ আলমগীর মতি আপনাকে তৈরি করতে চায়। আমাদের সাফল্য বা ব্যর্থতা যাই থাকুক না কেন আগামীদিনে পজিটিভ চিন্তা চেতনা ও মানসিকতা নিয়ে যদি আমরা এগিয়ে যেতে পারি, তাহলে আগামী অনুষ্ঠান কোনো বড় জায়গায় হবে -এ বিশ্বাস আমার রয়েছে।
সিপিএস মোঃ নিয়ামুল বাশার (প্রথম সিপিএস)
সকাল হলেই ছোট ছোট শিশুরা যেমন পাঠশালায় যায়, আমরাও যারা কর্ম নিয়ে চিন্তা করি এবং জীবন পরিবর্তনে অঙ্গীকারবদ্ধ, সেই ছোট ছোট বাচ্চাদের মতো অবুঝ ছাত্র। আমাদের শিখতে হয় আমাদের পরিবার থেকে, আমাদের সমাজ থেকে, আমাদের আশেপাশের অসংখ্য মানুষ এবং প্রকৃতির কাছ থেকে। প্রকৃতি আমাদের নিশ্চয়তা দেয় সুস্থ থাকার। প্রকৃতি শক্তি, প্রকৃতিই মুক্তি। আর এই কথাটিকে সুপ্রতিষ্ঠিত করার জন্যই আজ ৩৬ বছর ধরে যিনি নিরলসভাবে কাজ করে চলেছেন, তিনি হলেন ডাঃ আলমগীর মতি। আমি তাঁকে অনেক কাছে থেকে দেখেছি। একজন অসুস্থ মানুষ যখন তাঁর সামনে এসে তার কষ্টের কথা, অসুস্থতার কথা শেয়ার করছে -তখন তাঁর চোখ বেয়ে পানি পড়ছে। তিনি আমাদের বারবার একটা কথাই শেখান, মানুষের একমাত্র লক্ষ্য হওয়া উচিৎ মানুষের সেবা করা। আল্লাহ কাউকে দুটি হাত দিয়েছেন, কাউকে একটা, আবার কাউকে একটাও দেননি। যারা দুটি হাত পেয়েছেন, তারা নিঃসন্দেহে সৌভাগ্যবান। তাই এর শুকরিয়া আদায় করতে হবে মানুষের সেবা করার মাধ্যমে। আগামীদিনে বাংলাদেশে প্রকৃতির সেবা দিয়ে, গাছ-গাছড়া, লতা-পাতা, গুল্ম-শিকড়ের সেবা দিয়ে যদি কোনো ইতিহাস রচিত হয় -তবে তা হবে ডাঃ আলমগীর মতি এবং মডার্ণ হারবাল গ্রুপের।
সিপিএস ডাঃ মোঃ শাহজাহান সাজু
যাকে বলা যায়- লাল, নীল, সাদা হাজারো গোলাপের পাপড়িতে ভেসে ওঠা উর্ধ্বমূখী সৌন্দর্য্য। যাকে বলা যায়- পৃথিবীর একটি নক্ষত্র। যাকে বলা যায়- বাংলাদেশের অকৃত্রিম বন্ধু। তিনি ডাঃ আলমগীর মতি। আজকে মডার্ণ হারবাল গ্রুপ-এমএক্সএন বাংলার আকাশে উজ্জ্বল নক্ষত্রের মতো জ্বল জ্বল করছে। হারবালকে আজ রয়েল সোসাইটির কাছে পৌঁছে দেয়ার দায়িত্বও নিয়েছে মডার্ণ হারবাল। বাংলাদেশের ৮৬ হাজার গ্রামে গ্রামে চলছে আমাদের অভিযান। এই অভিযান ততদিন চলবে, যতদিন না এদেশের প্রতিটি মানুষ স্বাস্থ্যসেবায় স্বয়ংসম্পূর্ণতা লাভ করবে। কেমিক্যালযুক্ত ওষুধ এবং খাবার খেয়ে যেখানে আমাদের পেটটাকে এক একটি ফার্মেসী বানিয়ে ফেলেছি; সেখানে হারবালই আমাদের একমাত্র আশার পথ, একমাত্র বাঁচার পথ। তাই, এই হারবালকে আমাদের এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। আমাদের প্রত্যেকের বাড়িতেই আদা, রসুন, তেজপাতা, তেতুল ইত্যাদি আছে -যা দিয়ে আমরা নিজেরাই বিভিন্ন রোগের চিকিৎসা করতে পারি। তাই আমাদের প্রত্যেকের ঘরকে হারবালের এক একটি চিকিৎসাকেন্দ্র, এক একটি ফার্মেসী হিসেবে গড়ে তুলতে হবে।
সিপিএস মোঃ রেজাউল করিম (ফোরাম এডভাইজার)
এখন ২০১৮ সাল। আমাদের বয়স ১৮, কোম্পানির বয়স ৩৬ আর আমাদের এমডি স্যারের বয়স প্রায় ৭২ বছর। দারুণ মিল! এই তিন জেনারেশন একত্র হয়ে কীভাবে কাজ করলে কোম্পানির উন্নতি করা যায়, তা আমরা কোম্পানিকে দেখিয়ে দিতে চাই। আমাদের কথা কম, কাজ বেশি; এমএক্সএন’কে ভালোবাসি। আমি আর একটি কথা বলতে চাই, আর নয় আমাদের কোনো ক্ষতি এবার হলো ডাঃ আলমগীর মতি। ডাঃ আলমগীর মতির নেতৃত্বে এমএক্সএন কে আমরা সফলতার শীর্ষে নিয়ে যেতে চাই।
ডাঃ আলমগীর মতির গতিশীল নেতৃত্ব ও সুযোগ্য পরিচালনায় মডার্ণ হারবাল গ্রুপ দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলেও ব্যাপক পরিচিত লাভ করেছে। গবেষণা, উদ্ভাবন, উন্নয়ন, পুনরুদ্ধার, ভেষজ উদ্ভিদ চাষাবাদ, হারবাল মেডিসিন, আয়ুর্বেদিক মেডিসিন, হোমিওপ্যাথি মেডিসিন, টয়েলেট্রিজ কনজুমার ফুড, হারবাল ফুড, সাপ্লিমেন্ট উৎপাদন ও ডিস্ট্রিবিউশনে মডার্ণ হারবাল গ্রুপ গুণগত মানসম্পন্ন বিভিন্ন রকমের হারবাল পণ্যের মাধ্যমে দেশের বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্য সেবায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে। মডার্ণ গ্রুপে রয়েছে ১,০০০ এর অধিক দক্ষ ও নিবেদিতপ্রাণ কর্মকর্তা-কর্মচারী। এখানে ১০০ জন এর অধিক উচ্চশিক্ষিত চিকিৎসক বিনা ফি’তে দুস্থ এবং গরিব রোগীদের হারবাল ঔষধ, হারবাল খাদ্য ও পণ্যের মাধ্যমে স্বাস্থ্যসেবা দিয়ে আসছেন।
মডার্ণ হারবালের গবেষণা প্রতিষ্ঠান এবিসি ফাউন্ডেশন অব এশিয়া। এটি একটি অলাভজনক গবেষণা প্রতিষ্ঠান -যা এইডস, হেপাটাইটিস-বি ও ক্যান্সার রোগের হারবাল ঔষধ আবিষ্কারের লক্ষ্যে নিরলস গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে গরিব ও হতদরিদ্র রোগীদের বিনামূল্যে থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থাসহ চিকিৎসা করা হচ্ছে। বাংলাদেশের অবহেলিত গাছপালার ঔষধিগুণ বের করে এগুলোর মাধ্যমে আপামর জনসাধারণের সর্বাঙ্গীণ চিকিৎসা নিশ্চিত করাই এবিসি ফাউন্ডেশন অব এশিয়ার মূল লক্ষ্য।
মডার্ণ হারবাল পণ্যভিত্তিক আদর্শ নেটওয়ার্ক মার্কেটিং কোম্পানী। জনবহুল বাংলাদেশে কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে এ সংস্থা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। তীব্র বেকারত্বের কারণে জনমনে রয়েছে হতাশা, দেখা যায় সামাজিক অবক্ষয়। এ হতাশাগ্রস্ত মানুষদের এমএলএম (গঁষঃর খবাবষ গধৎশবঃরহম) এর মাধ্যমে জনসম্পদে পরিণত করা যায়। হারবাল বিশেষজ্ঞ ডাঃ আলমগীর মতি এমএক্সএন মডার্ণ হারবাল ফুডকে জনপ্রিয় ও গ্রহণযোগ্য করে তুলেছেন। মাত্র ১৫ বছরে এ কোম্পানীর ডিস্ট্রিবিউটর ৯,০০,০০০ এর অধিক এবং স্টকিস্ট ৩০,০০০ এর উপর দাঁড়িয়েছে। হারবাল বিশেষজ্ঞ ডাঃ আলমগীর মতির দূরদর্শী নেতৃত্বে মডার্ণ হারবাল এগিয়ে চলেছে আপন গতিতে, স্থাপন করে চলেছে একের পর এক সাফল্যের মাইল ফলক।
এমএক্সএন বলতে কী বোঝায়
এমএক্সএন বলতে বোঝায় মাল্টিলেভেল নেটওয়ার্ক। এটি মডার্ণ হারবাল গ্রুপের একটি অঙ্গ প্রতিষ্ঠান, যা মার্কেটিং কোম্পানি হিসেবে কাজ করে এবং মডার্ণ হারবাল গ্রুপের প্রোডাক্টগুলো বাজারজাত করে থাকে।
এমএক্সএন মডার্ণ হারবাল ফুড লিঃ এ যোগদান করার নিয়ম
প্রাপ্তবয়স্ক যে কেউ এখানে ডিস্ট্রিবিউটর হিসেবে যোগদান করতে পারেন। এক্ষেত্রে দুুই কপি ছবি, জাতীয় পরিচয়পত্র, মোবাইল নম্বর এবং বর্তমানে মডার্ণ হারবাল গ্রুপের ডিস্ট্রিবিউটর এমন একজন পরিচয় দানকারী বা স্পন্সরের মাধ্যমে যোগদান করা যায়।
এমএক্সএন মডার্ণ হারবাল ফুড লিঃ এ কেন যোগদান করবে (কীভাবে লাভবান হবে)
এখানে যোগদান করলে সুলভমূল্যে পণ্য ক্রয় করা যায় এবং লাইফটাইম এই সুবিধা পাওয়া যায়। এছাড়া অন্য ক্রেতা বা ভোক্তা তৈরি করতে পারলে ক্রেতা বা ভোক্তার ক্রয়ের উপর অর্থনৈতিক সুবিধা পাওয়া যায়। যতবেশি ক্রেতা বা ভোক্তাসারি তৈরি হবে, ততবেশি অর্থনৈতিক সুবিধা বৃদ্ধি পাবে।
হারবাল চিকিৎসা ও গবেষণা কার্যক্রমের পথিকৃৎ, আন্তর্জাতিক খ্যাতিমান হারবাল গবেষক ও চিকিৎসক ডাঃ আলমগীর মতি এক বর্ণাঢ্য কর্মজীবনের অধিকারী। যুগে যুগে পৃথিবীতে এমন কিছু ক্ষণজন্মা কীর্তিমানের জন্ম হয় -যাঁরা স্বীয় মেধা, অধ্যবসায়, প্রচেষ্টা, আত্মত্যাগ, মানবপ্রেম, প্রকৃতিপ্রেম ও মহানুভবতার দ্বারা দেশ, জাতি ও মানুষের কল্যাণ সাধন করে পৃথিবীতে অমর হয়ে থাকেন। ডাঃ আলমগীর মতি সেই ক্ষণজন্মা পুরুষদেরই একজন। তিনি একদিকে যেমন সফল হারবাল চিকৎসক ও হারবাল গবেষক; অন্যদিকে তেমনি সফল শিল্পপতি, ব্যবসায়ী, উদ্যোক্তা, শিক্ষানুরাগী এবং সমাজসেবকও বটে।
হারবাল বিজ্ঞানী ও গবেষক ডাঃ আলমগীর মতি ১৯৭৫ সাল থেকে মডার্ণ হারবাল গ্রুপ অব কোম্পানীজ এর চেয়ারম্যান, ১৯৯৬ সাল থেকে মডার্ণ হারবাল ফুড লিঃ এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক, ২০০২ সাল থেকে এমএক্সএন মডার্ণ হারবাল ফুড লিঃ (২০০৫ সালে আইএসও ৯০০১:২০০০ সনদ প্রাপ্ত) এর এমডি, ২০০০ সাল থেকে মারকো ইউনানি ফার্মার এমডি, ১৯৭০ সাল থেকে ইউনাইটেড বিজনেস লিঃ এর এমডি, ১৯৭৭ সাল থেকে মডার্ণ হারবাল রিসার্চ গার্ডেন আয়ুর্বেদিক এর এমডি, ২০০৪ সাল থেকে এমএক্সএন হোমিও ল্যাবরেটরি এর এমডি, ২০০১ সাল থেকে মডার্ণ পাবলিকেশন এর এমডি, ২০০৪ সাল থেকে মডার্ণ হারবাল টয়লেট্রিজ (কসমেটিক) লিঃ এর এমডি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। হারবাল ওষুধ শিল্পখাতের নিবেদিত প্রাণ এই ভেষজ চিকিৎসক ১৯৭৯ সাল থেকে বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল এসোসিয়েশন (বিএইচএমএ) এর সভাপতি, ২০০৫ সাল থেকে বাংলাদেশ হারবাল প্রোডাক্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স এসোসিয়েশন এর ভাইস চেয়ারম্যান।
তিনি হারবাল চিকিৎসায় নবতর উদ্ভাবন ও হারবাল মেডিসিনে গবেষণার বিশেষ স্বীকৃতিস্বরূপ ১৯৯৩ সালে ইন্ডিয়ান বোর্ড অব অল্টারনেটিভ মেডিসিন সেন্টার কর্তৃক স্বর্ণপদক লাভ করেন। হোমিওপ্যাথি ও নতুন হারবাল পণ্য উদ্ভাবন ও ব্যাপক গবেষণার জন্য বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি কতৃক স্বর্ণপদক, ওয়ার্ল্ড ইন্টেলেক্চুয়াল রিসার্চ কাউন্সিল কর্তৃক মেডেল ও সম্মাননা লাভ করেন। ২০০৭ সালে কবি আবু জাফর ওবায়দুল্লাহ মেমোরি অ্যাওয়ার্ড, জার্মানি থেকে স্টিভি ফাইন্যালিস্ট অ্যাওয়ার্ড ২০০৭, স্পেনের মাদ্রিদ থেকে ট্রেড লিডার্স ক্লাব কর্তৃক ‘দ্য ইন্টারন্যাশনাল অ্যাওয়ার্ড ফর এক্সেলেন্স ইন প্রোডাক্টস এন্ড সার্ভিসেস’, শ্রীজ্ঞান অতীশ দীপংকর অ্যাওয়ার্ড ২০০৭, ফ্রান্সের প্যারিসের ট্রেড লিডার্স ক্লাব কর্তৃক গোল্ডেন ট্রফি ফর কোয়ালিটি (নিউ মিলেনিয়াম অ্যাওয়ার্ড) ২০০৭, ২০০৩ সালে ভারতের মুম্বাইয়ের জুরিস্টিচ্ছান কলেজ কর্তৃক সম্মানসূচক বিশেষ পুরস্কার, নিউ দিল্লীর ওয়ার্ল্ড এসোসিয়েশন অব ইন্টিগ্রেটেড মেডিসিন কর্তৃক ইন্টিগ্রেটেড মেডিসিন অ্যাওয়ার্ড-২০০১ লাভ করেন। ডাঃ মতি মানবতাবাদীর স্বীকৃতি স্বরূপ মাদার তেরেসা পুরস্কার এবং হারবাল চিকিৎসায় আন্তর্জাতিক অঙ্গনে কৃতিত্বপূর্ণ অবদান রাখার স্বীকৃতি স্বরূপ ১৯৯৮ সালে আমেরিকার বায়োগ্রাফিক্যাল ইনস্টিটিউট কর্তৃক ‘ম্যান অব দ্যা ইয়ার’ সম্মানে ভূষিত হয়ে দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করেছেন। ২০০৩ সালে তিনি জেনেভার বিজনেস ইনিসিয়েটিভ ডিরেকশনের আন্তর্জাতিক নির্বাচক কমিটি প্রদত্ত ‘ইন্টারন্যাশনাল স্টার অ্যাওয়ার্ড ফর কোয়ালিটি এন্ড এক্সেলেন্স’ সার্টিফিকেট ও স্বর্ণপদকে ভূষিত হন। স্বাস্থ্যসেবায় বিশেষ অবদান রাখার জন্য তাকে বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক বোর্ডের পক্ষ থেকে হ্যানিম্যান পদক দেয়া হয়েছে। ১৯৯২-৯৩ সালে তিনি সিআইপি মনোনীত হন।
ডাঃ মতি ১৯৭৮ সাল থেকে বাংলাদেশ রুরাল মেডিকেল এসোসিয়েশন (বিআরএমএ) এর প্রেসিডেন্ট, বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল এসোসিয়েশন, ২০০৩ সাল থেকে লায়নস ক্লাব ইন্টারন্যাশনাল ডিস্ট্রিক্ট ৩১৫/বি-২ বাংলাদেশ রিজিয়ন’র ডিস্ট্রিক্ট চেয়ারপার্সন, ১৯৯০ সাল থেকে এবিসি ফাউন্ডেশন অব এশিয়ার চেয়ারম্যান এবং আন্তর্জাতিক ফেডারেশন অব হোমিওপ্যাথিক ফিজিশিয়ান’র সভাপতি। তিনি এনভায়রনমেন্ট কাউন্সিল ও ১৯৭০ সাল থেকে ন্যাশনাল সোসাইটি ফর প্রিভেনশন অব স্মোকিং (এনএসপিএস) সংগঠনের জেনারেল সেক্রেটারি। ১৯৮০ সাল থেকে বাংলাদেশ এপিকালচারাল এসোসিয়েশন (বিএএ) এর প্রেসিডেন্ট, ২০০৪ সাল থেকে ইটালি-বাংলাদেশ ট্রেড প্রমোশন সেন্টার এর নির্বাহী কমিটির সদস্য, ১৯৭৮ সাল থেকে ইন্টারন্যাশনাল ফিজিশিয়ান এসোসিয়েশন (আইপিএ) এর ভাইস-প্রেসিডেন্ট, কমিউনিটি হেলথ রিসার্চ এসোসিয়েশন (সিএইচআরএ) এর সদস্য, ২০০২ সাল থেকে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির আজীবন সদস্য, ১৯৭৯ সাল থেকে ‘বাংলাদেশ ২০০০’ নামক এনজিওর চেয়ারম্যান, ১৯৮২ সাল থেকে বাংলাদেশ ইনভেন্টরস এসোসিয়েশন (বিআইএ) এর জেনারেল সেক্রেটারি। তিনি হারবাল চিকিৎসাকে বিশ্ববাসীর কাছে পৌঁছে দেবার মানসে যুক্তরাষ্ট্র, চীন, পাকিস্তান, ভারত, অস্ট্রেলিয়াসহ প্রায় ৩০টি দেশ সফর করেছেন। দেশীয় প্রযুক্তিতে তিনিই প্রথম বুলেট প্রুফ জ্যাকেট ও হেলমেট দেশীয় প্রযুক্তিতে প্রস্তুত করেন, যা সামরিক বাহিনীর সদস্যরা ব্যবহার করেছেন। বিশিষ্ট হারবালিষ্ট ও দেশপ্রেমিক এই প্রতিভাবান মানুষটি ভেষজ গুণাবলি সমৃদ্ধ ওষুধ ও খাদ্যসামগ্রী নিয়ে গবেষণা ও দেশের চিকিৎসা সেবাখাত উন্নয়নে কাজ করছেন। তিনি হাপানী, জন্ডিস, আমাশয়, অর্শ, ডায়াবেটিস, ক্যান্সার, খোস-পাচড়া, সাধারণ জ্বর, বাত ব্যথা, উচ্চ রক্তচাপ, ব্রণ, একজিমা, দাঁদ, সর্দি-কাশি-গলা-ব্যথা, কান ব্যথা প্রভৃতি অসুখের ওষুধ আবিষ্কার করেছেন এবং এসব রোগবালাই থেকে প্রাকৃতিক উপাদানের সাহায্যে ওষুধ তৈরি করে মানব জীবনের প্রভূত উন্নয়ন সাধনে মগ্ন। তিনি ১০০টির অধিক হারবাল পথ্য আবিষ্কার করেছেন এবং এ পর্যন্ত ৩০টি’র বেশি ঔষধি খাদ্য আবিষ্কার করেছেন
ডাঃ আলমগীর মতি ১৯৫১ সালে ১ জানুয়ারি শরিয়তপুর জেলার নড়িয়া উপজেলার কলুকাঠি গ্রামে সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেন। শৈশব-কৈশোর বেলা কেটেছে কলুকাঠি গ্রামে। ছোটবেলা থেকেই তিনি ছিলেন উচ্চ মেধাসম্পন্ন ও প্রকৃতিমনা। তার পিতা মরহুম মৌলভী গোলাম মোস্তফা ছিলেন একজন প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী এবং সমাজ সেবক। আর মাতা রহিমা খাতুন ছিলেন একজন পরহিতৈষী ধর্ম-পরায়ণ বিদুষী মহিলা।
আলমগীর মতি ১৯৭০ সালে লোনসিং বিদ্যালয় থেকে মেট্রিক পাস করে ভর্তি হন নারায়ণগঞ্জের সরকারি তোলারাম কলেজে। এই কলেজ থেকে ১৯৭৩ সালে ইন্টারমিডিয়েট পাস করে ভর্তি হন বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজে। এখান থেকে ১৯৮১ সালে ডিএইচএমএস ডিগ্রি লাভ করেন। সেই বছর তিনি কোনো চাকরি না খুঁজে ব্যবসায় নেমে পড়েন। ব্যবসাকালীন ১৯৯৩ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ব্যাচেলর অব হোমিওপ্যাথিক মেডিসিন এন্ড সার্জারি -বিএইচএমএস ডিগ্রি, ১৯৯৩ সালে ইন্ডিয়ান বোর্ড অব অল্টারনেটিভ মেডিসিন থেকে এম.ডি (অল্টারনেটিভ মেডিসিন) ডিগ্রি, ১৯৯৫ সালে চায়না থেকে নিউরো ডিগ্রি অর্জন করেন। ২০০৬ সালে ভারতের পশ্চিম বাংলার সোসাইটি অব কমপ্লিমেন্টারি মেডিসিনস এন্ড ফ্যামিলি ওয়েলফেয়ার কর্তৃক সম্মানসূচক ডক্টর অব ফিলোসোফী- ডি.ফিল প্রাপ্ত হন। আমেরিকান বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি থেকে হারবাল মেডিসিন বা ট্রাডিশনাল মেডিসিনে তিনি এম.ফিল করেন। ২০০৬ সালে ইনস্টিটিউট অব হোমিওপ্যাথিক মেডিসিন এন্ড রিসার্চ থেকে পোস্ট গ্রাজুয়েট সার্টিফিকেট অব ফেলোশিপ লাভ করেন।
বিশিষ্ট এই চিকিৎসাবিদ তার নিজ এলাকা শরীয়তপুরে হার্বাল ইউনানি হাসপাতাল স্থাপন করেছেন। স্থাপন করেছেন হোমিওপ্যাথিক কলেজ। তার রচিত প্রতিটি গ্রন্থের বৈশিষ্ট্য চিকিৎসা সেবা কেন্দ্রিক। তিনি দ্য ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ড্রাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) হারবাল ও ইউনানী ওষুধ বিষয়ক স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান মনোনীত হয়েছেন। সমাজসেবামূলক কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ ২০১৫-১৬ লায়ন্স ক্লাব ইন্টারন্যাশনাল ৩১৫ বি-২ বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি গ্রেটার ফরিদপুর ডেভলপমেন্ট ফাউন্ডেশনের সহ-সভাপতি, ঢাকা শরীয়তপুর সেন্ট্রাল লায়ন্স আই হাসপাতালের প্রতিষ্ঠাতা, ২০০১ সাল থেকে আঞ্জুমান-ই-মুহিব্বুন-ই-খাজা গরিব-ই-নেওয়াজ এর সেক্রেটারি জেনারেল। তার উদ্যোগে ২০০৪ সালে দেশে প্রথমবারের মতো শরীয়তপুরে বিকল্প ওষুধ ব্যবস্থার হাসপাতাল ‘মা জেনারেল হাসপাতাল’ প্রতিষ্ঠিত হয়। মানবতাবাদীর স্বীকৃতি স্বরূপ ভারতের মাদার তেরেসা পুরস্কার লাভ করেন। তিনি একজন শিক্ষানুরাগীও, তার অক্লান্ত মেধা ও শ্রমের ফসল মিরপুর মডার্ণ কলেজ এবং শান্তিনগর ট্রিনিটি কলেজ। বিভিন্ন এতিমখানা ও দাতব্য প্রতিষ্ঠানকে আর্থিকভাবে সহায়তা করে যাচ্ছেন তিনি।
ডাঃ আলমগীর মতি ব্যক্তিজীবনে এক ছেলে এবং তিন মেয়ের গর্বিত পিতা। তাঁর সহধর্মিণী কবি নার্গিস আলমগীর। তাঁদের ছেলে-মেয়েরা সবাই উচ্চশিক্ষিত। তিন মেয়ের মধ্যে দুই মেয়ে বর্তমানে ইউএসএ এর দু’টি স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করছেন। বাকি এক মেয়ে গৃহিণী। আর একমাত্র ছেলে হলি আর্টিজান রেস্টুরেন্ট (বাংলাদেশ, ব্যাংকক) এর চেয়ারম্যান। আলোকিত শরীয়তপুর ফাউন্ডেশন ডা. আলমগীর মতি এবং কবি নার্গিস আলমগীরকে সন্তানদের গৌরবময় ও কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ২০১৮ সালের ‘আলোকিত বাবা-মা সম্মাননা পদক’ এ ভূষিত করেছে।