বঙ্গবন্ধু কর্নার যেভাবে
বঙ্গবন্ধু কর্নারের সর্বপ্রথম ধারণা আসে অগ্রণী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং সিইও মোহম্মদ শামস্-উল ইসলামের নিকট হতে। তিনি জাতির পিতাকে ভালবেসে ব্যাংকটির প্রধান কার্যালয়ের ষষ্ঠ তলায় একটি পূর্ণাঙ্গ ‘বঙ্গবন্ধু কর্নার’ স্থাপন করেন। যে কেউ এসে এখানে অবস্থিত এমন কর্ণার দেখে অভিভূত হন। কেউ কেউ নিজেকে ক্যামেরায় ফ্রেমবন্দি করে নেন কর্নারে অবস্থিত ১১৭ কেজি ওজনের ব্রোঞ্জের বঙ্গবন্ধুর আবক্ষ ভাস্কর্যটির সাথে।
যার জন্য এদেশ, সেই মহান ব্যক্তিত্ব বঙ্গবন্ধুকে প্রতিদিন কীভাবে শ্রদ্ধা জানানো যায় সেই ভাবনা থেকেই বঙ্গবন্ধু কর্নারের উদ্ভাবন। মোহম্মদ শামস্-উল ইসলামের নিজ উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত এটি তৃতীয় বঙ্গবন্ধু কর্নার। এর আগে তিনি আনসার-ভিডিপি উন্নয়ন ব্যাংকে আরও একটি বঙ্গবন্ধু কর্নার তৈরি করেছিলেন এবং তারও আগে মৌলভীবাজারে ২০১০ সালে সর্বপ্রথম বঙ্গবন্ধু কর্নার স্থাপন করেন।
২০১৬ সালের আগস্ট থেকে রাষ্ট্রায়ত্ত অগ্রণী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) এবং সিইও পদে দায়িত্ব পালন করছেন মোহম্মদ শামস্-উল ইসলাম। এর আগে আনসার-ভিডিপি উন্নয়ন ব্যাংকের এমডি পদে সফলতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। ব্যাংক তথা কর্পোরেট পরিমন্ডলে বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিকাশের লক্ষ্যে নিজ কর্মস্থল অগ্রণী ব্যাংক ও তার আগের কর্মস্থল আনসার-ভিডিপি উন্নয়ন ব্যাংকসহ মোট তিনটি পৃথক স্থানে জাতির জনকের আবক্ষ ভাস্কর্যসহ ‘বঙ্গবন্ধু কর্নার’ স্থাপন করেছেন তিনি।
বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস পত্রিকার প্রতিনিধিকে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় ‘বঙ্গবন্ধু কর্নার’ সৃষ্টির পেছনের উদ্দেশ্য সম্পর্কে জানান সৃজনশীল ব্যাংকার মোহম্মদ শামস্-উল ইসলাম। আবেগঘন কন্ঠে তিনি বলেন, সাত বছর আমি দেশের বাইরে ব্যাংকিং করেছি। ক্যারিয়ারের ১৬ বছর কাটিয়েছি চট্টগ্রামে। ২০০৯ সালের ১ জানুয়ারি আমি জিএম পদে পদোন্নতি পেয়ে প্রধান কার্যালয়ে আসি। একইসঙ্গে আমাকে সিলেট অঞ্চলের অতিরিক্ত দায়িত্ব দেয়া হয়। জিএম পদটি দেশের বিদ্যমান পরিস্থিতিতে একটি সম্মানজনক পদ হিসেবেই স্বীকৃত। সিলেট যাওয়ার পর আমার মনে হলো, দেশ স্বাধীন না হলে আমি জিএম হতে পারতাম না। হয়তো হাবিব ব্যাংকের এসপিও পর্যন্ত যেতে পারতাম। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এদেশ স্বাধীন করেছেন। যাঁর জন্য দেশটি স্বাধীন হলো, আমি জিএম হতে পারলাম, সেই বঙ্গবন্ধুর সম্মানে কিছু করার ইচ্ছে হলো। দেশ স্বাধীন না হলে আমি কোনোদিনই অগ্রণী ব্যাংকের এমডি হতে পারতাম না।
‘বঙ্গবন্ধু কর্নার’ এর উদ্ভাবনে পথিকৃৎ মোহম্মদ শামস্্-উল ইসলাম এর বক্তব্যঃ
বঙ্গবন্ধুকে ভালোবেসে ২০১০ সালে অগ্রণী ব্যাংক মৌলভীবাজারের আঞ্চলিক কার্যালয়ে প্রথম বঙ্গবন্ধু কর্নার স্থাপন করি, এরপর আনসার ভিডিপি উন্নয়ন ব্যাংকের এমডি থাকা অবস্থায় ২০১৫ সালে বঙ্গবন্ধুর ৪১তম শাহাদতবার্ষিকীতে ব্যাংকটির দ্বিতীয় তলায় চেয়ারম্যানের কক্ষ ও বোর্ডরুমের পাশে দ্বিতীয় বঙ্গবন্ধু কর্নার স্থাপন করি।
অগ্রণী ব্যাংকের এমডি মোহম্মদ শামস্-উল ইসলাম বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী স্মরণীয় করে রাখতে সারাদেশে অগ্রণী ব্যাংকের শাখাগুলোতে বঙ্গবন্ধু কর্নার স্থাপন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। যখন আমি প্রথম এই কর্নার চালু করি তখন অনেকেই বিভিন্নভাবে এই কর্নার স্থাপনের সমালোচনা করেছেন। আজ সদাশয় সরকারই সারাদেশে বঙ্গবন্ধু কর্নার স্থাপন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, আমি এতে আনন্দিত ও গর্বিত।
অগ্রণী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহম্মদ শামস্-উল ইসলাম মুজিবশতবর্ষ উপলক্ষ্যে প্রত্যেকটি শাখায় ‘বঙ্গবন্ধু কর্নার’ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। বিনামূল্যে বীরাঙ্গনাদের মাঝে সেলাই মেশিন দিয়েছেন। উত্তরবঙ্গের মঙ্গা ও চর এলাকায় একটি করে আদর্শ গ্রাম করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, যেখানে রাস্তা, টিউবওয়েল, স্বাস্থ্যসম্মত পায়খানা থাকবে। আর বঙ্গবন্ধুর নামে চর এলাকায় একটি করে রাস্তা করে দেয়া হবে। বাংলাদেশ শিশু একাডেমিতে অগ্রণী ব্যাংকের উদ্যোগে প্রতিবছর যে শিশু সাহিত্য পুরস্কার দেয়া হয়, সে পদক এবার বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীতে শিশু একাডেমি কর্তৃক ‘বঙ্গবন্ধু গোল্ড মেডেল’ হিসেবে দেয়া হবে।
মোহম্মদ শামস্-উল ইসলাম আরো বলেন, মুজিবশতবর্ষ উপলক্ষ্যে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢোকার মুখে আমরা একটি বঙ্গবন্ধু ম্যুরাল স্থাপন করেছি। এছাড়া রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিবছর মেধাবী ছাত্রছাত্রীদের যে গোল্ড মেডেল দেয়া হয়, এবার আমরা তার নাম পরিবর্তন করে ‘বঙ্গবন্ধু গোল্ড মেডেল’ এই নামে দিব।
তিনি বলেন, অগ্রণী ব্যাংকের এমডি ও সিইও হিসেবে যোগদানের একশ’ দিনের মধ্যে প্রধান কার্যালয়ের চেয়ারম্যান, এমডিসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের ফ্লোরের প্রবেশদ্বারে বঙ্গবন্ধু কর্নার স্থাপন করেছি। এখানে রয়েছে বঙ্গবন্ধুর ১১৭ কেজি ওজনের ব্রোঞ্জের একটি আবক্ষ ভাস্কর্য। আরও আছে বঙ্গবন্ধু সম্পর্কিত বিভিন্ন বই, জার্নাল, বক্তৃতার সিডি, অ্যালবামসহ বিভিন্ন প্রকাশনা। এখানে স্থাপিত মনিটরে বঙ্গবন্ধুর ভাষণ শোনার ব্যবস্থা রয়েছে। অনেকে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে অনেক সংগঠন করে। আমি তাদের সঙ্গে দেখা হলে বলি, বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে আগে বই পড়ো। বঙ্গবন্ধু যে কত বিশাল, সেটা সম্পর্কে জানো। তাদের বলি, বঙ্গবন্ধু কত বিশাল! তাঁকে আবিষ্কার না করতে পারলে তুমি তো ফলোয়ার হতে পারবে না। আজ হয়তো কেউ এখানে এলো কোনো কাজে, এসে বঙ্গবন্ধু কর্নারে রাখা বই নিয়ে জাতির পিতা সম্পর্কে কিছু জানল, সেটাই আমার সার্থকতা।
অগ্রণী ব্যাংকের এমডি মোহম্মদ শামস্-উল ইসলাম বলেন, বঙ্গবন্ধু কর্নারের এই ধারণাকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেয়ার কথাও ভাবা হচ্ছে। তহবিল সংগ্রহ করে দেশের বিভিন্ন স্থানে বঙ্গবন্ধু কর্নার করে দেয়ার পরিকল্পনা আমাদের আছে। তিনি আরও বলেন, সম্প্রতি দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু কর্নার প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এরই মধ্যে এ কাজ শুরু হয়ে গেছে।
মোহম্মদ শামস্-উল ইসলামের বঙ্গবন্ধু কর্নার এর ধারণাটি দুই বছর ধরে আলোচনায় রয়েছে। তিনি বলেন, গত বছরের ১২ জুন অগ্রণী ব্যাংকের পক্ষ থেকে আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ত্রাণ তহবিলে চেক দিতে যাওয়ার সময় দু’টি ছবি নিয়ে গিয়েছিলাম। উদ্দেশ্য ছিল, এ বিষয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে জানানো। চেক দেয়ার পর দুরু দুরু বুকে প্রধানমন্ত্রীকে জানালাম, আমি আমার অফিসে বঙ্গবন্ধু কর্নার করেছি। সেখানে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে লেখা অনেক বই আছে। এরপর একটি ছবি দেখালাম। তিনি ছবি দেখে সন্তোষ প্রকাশ করলেন। তাঁর প্রশংসা পেয়ে আরেকটা ছবি বের করে জানালাম, আমি আনসার ভিডিপি ব্যাংকে থাকার সময় ওখানেও একটা এমন বঙ্গবন্ধু কর্নার করেছি। দুটো ছবিই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেখলেন এবং প্রশংসা করেন।
মোহম্মদ শামস্-উল ইসলাম আরও বলেন, পত্রিকায় দেখলাম যে, বঙ্গবন্ধু কর্নার করা হচ্ছে স্কুলে স্কুলে। আমার খুব ভালো লেগেছে এতে। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবন ও আদর্শ শিক্ষার্থীরা এখন আরও ভালোভাবে জানতে পারবে। আমি এতদিন যে চিন্তাটা করেছি, ‘বঙ্গবন্ধু কর্নার’ এর যে ধারণাটি উপস্থাপন করেছি, সেটার একটা অসাধারণ স্বীকৃতি মিলল। ইতোমধ্যে সরকার সকল উপজেলায় ‘বঙ্গবন্ধু কর্নার’ স্থাপন করার নির্দেশনা দিয়েছে যা অচিরেই কার্যকর হচ্ছে।
তিনি বলেন, দেশ ও জাতিকে জানতে হলে আগে ইতিহাস জানতে হবে, যার স্থপতি বঙ্গবন্ধু। তিনি আরো বলেন বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে সঠিক ইতিহাস না জানার কারনেই অনেকে বঙ্গবন্ধুর সঠিক মূল্যায়ন করতে পারেন না। তাই তিনি বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে জানতে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে রচিত বই পড়তে সকলকে উৎসাহিত করে থাকেন।
বই, ছবি ও ভাস্কর্য দিয়ে সাজানো ‘বঙ্গবন্ধু কর্নার’
কর্নারটি সাজানো হয়েছে বই, ছবি ও ভাস্কর্য দিয়ে। সেখানে আছে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে লেখা প্রায় ৪০০ বই। রয়েছে বঙ্গবন্ধুর তিনটি ছবির অ্যালবাম। বঙ্গবন্ধুর ছবি সম্বলিত ১০ ও ৫ টাকার দুটি বড় নোট। আর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের একক বড় একটি ছবি, যাতে আহ্বান করা হয়েছে ‘দাঁড়াও পথিকবর, জন্ম যদি বঙ্গে। এইখানে কিছুক্ষণ বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে’। বঙ্গবন্ধু কর্নারের সবচেয়ে আকর্ষণীয় অংশ ১১৭ কেজি ওজনের ব্রোঞ্জের আবক্ষ ভাস্কর্য যা দেখলে মনে হবে, পাশেই আছেন সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
সরকারের স্বীকৃতি
দেশের সর্বস্তরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু কর্নার স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। শামস্-উল ইসলামের আইডিয়া থেকেই এই উদ্যোগ নেয় সরকার। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবন ও আদর্শ শিক্ষার্থীদের জানানোর জন্যই এ উদ্যোগ ছড়িয়ে দিচ্ছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে শুরু করে উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ সব ধরনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের গ্রন্থাগারে বঙ্গবন্ধু কর্ণার স্থাপন করা হবে। এসব কর্ণারে বঙ্গবন্ধুর জীবন নিয়ে প্রকাশিত বিভিন্ন প্রকাশনা, গুরুত্বপূর্ণ ছবিসহ বঙ্গবন্ধু সর্ম্পকিত নানান ডকুমন্টেস ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস সংগ্রহে রাখা হবে।
জানা যায়, গত বছর সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য আখতার জাহান সারাদেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু কর্ণার স্থাপনের প্রস্তাব দেন। মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস ও জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবন ও আদর্শ শিক্ষার্থীদের জানাতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে তিনি এই প্রস্তাব পাঠান। তার এই প্রস্তাবের পর মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ চিঠি দিয়ে এ বিষয়ে মতামত জানতে চায় ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানের কাছে।
গত বছর ৮ অক্টোবর মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের যুগ্মসচিব সালমা জাহান স্বাক্ষরিত চিঠির উত্তরে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান সব ধরনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু কর্নার স্থাপনের বিষয়ে অনুকূলমত দেন। ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের পাঠানো প্রতিবেদনের পর সম্প্রতি দেশের সব স্তরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু কর্নার স্থাপনের উদ্যোগ নেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
অগ্রণী ব্যাংকের এমডি ও সিইও শামস্-উল ইসলাম এর বঙ্গবন্ধু কর্নার স্থাপনে সরকার উৎসাহিত হয়ে রাজশাহী বিভাগে বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানে এক হাজার ৯৮০টি বঙ্গবন্ধু কর্নার স্থাপন করেছে। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়েও বেশ কয়েকটি বঙ্গবন্ধু কর্নার তৈরি করা হয়েছে। সর্বশেষ বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির মহোদয়ের নির্দেশে বাংলাদেশ ব্যাংকে প্রায় একই আদলে বঙ্গবন্ধু কর্নার স্থাপন করা হয়েছে। অনেক বেসরকারি প্রতিষ্ঠানও এ রকম উদ্যোগ নিচ্ছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষকে স্মরণীয় করে রাখতে মোহম্মদ শামস্-উল ইসলাম এর বঙ্গবন্ধু কর্নার জাতির জন্য এই মুজিববর্ষের শ্রেষ্ঠ উপহার।